নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লঞ্চ, ফেরি ও জাহাজ ডিজাইনিং

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

আমি আপনাদের অন্তর থেকে আগেই লঞ্চ/জাহাজ/ফেরির নিরাপত্তার জন্য কথা বলেছিলাম ও আইডিয়া দিয়েছিলাম। আপনারা আমার কথা শুনলেন না। আজ নৌ-পরিবহন মন্ত্রনায়ের মন্ত্রীর বোনেরা সন্তান হারা হলেন। আপনারা যদি তখন আমার আইডিয়া ডেভেলপ করতেন তাহলে কি এতো মানুষ আজ নিখোঁজ থাকতো বলেন? আমার লেখা গুলো খুঁজে দেখুন। সেই কবে আমি লঞ্চের যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেটের কথা বলেছিলাম।



আপনাদের আমার কথা শুনতেই হবে। কারণ আমি আপনাদের পৃথিবীর সকল মানুষের গার্ডিয়ান।



বন্ধু! আমাদের যে সব যাত্রীবাহি লঞ্চ/ফেরী/ট্রলার/জাহাজ/নৌজান আছে সেগুলোর বর্তমান ডিজাইন ঠিক রেখেই, মানুষের জন্য নিরাপদ করে গড়ে তুলতে পারি। শুধু সরকারি আইন ও প্রজ্ঞাপন দিয়েই আমরা এই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারি।



গাড়ির টিউবের মতো বায়ুপূর্ণ বড় বয়া তৈরি করে নিলেই হলো। বয়াটি লঞ্চ বা নৌজানটির চারপাশে রাউন্ড আকারে থাকবে। এবং এর বাতাশ ধারন ক্ষমতা হতে হবে নৌজানের তলিতে থাকা আয়তনের থেকে বেশি। এর ফল নৌজান কিছুটা ধীর গতিতে চলতে পারে কিন্তু বার বার লঞ্চ ডোবার হাত থেকে আমরা ৯৯% বেশি নিরাপদ থাকবো।



আমাদের বুঝতে হবে যে। যে কোনো নৌপরিবহনের উচ্চতা যদি লঞ্চের আয়তনের দৈর্ঘ প্রস্থের থেকে বেশি হয় তখন সে নৌযান নিরাপদ থাকতে পারে না। আমাদের দেশের নৌ ডিজাইনিং এ অনেক বেশি ঘাপলা পরিলক্ষিত হয়। এর জন্য লঞ্চ-জাহাজ বন্ধ করে দেবার কোনো মানে হবে না। বরং নৌজাহাজের নকশা পরিবর্তন করলেই আমরা আমাদের নৌ পরিবহন কে আরো বেশি সুন্দর ও নিরাপদ করতে পারি।



বাংলাদেশ আজ জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে বড় এক পজিশন পেতে যাচ্ছে। আমার কথা হলো যে সব জাহাজ ভাঙ্গা হয় তার সবগুলোই কি মাল ও যাত্রীধারনে অক্ষম। আমার মনে হয় না। আমরা ঐ সব জাহাজ থেকে বেছে বেছে এমন কিছু জাহাজ বেড় করতে পারি যা আমাদের ছোট ও সামঞ্জাস্যহীন নৌজানগুলোর রিপ্লেসমেন্ট হতে পারে। বা পদ্মার কেওড়াকান্দি ও মাওয়া রুটে যেসব যাত্রীপার করা নৌজান গুলো যাত্রি পরিবহন করছে, সেই নৌজান গুলোকে নষ্ট না করে। তুলনা মুলক ছোট নদীর রুটে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া যায় অথবা এগুলোর বডির কিছু পরিবর্তন এনে যাত্রীবাহি থেকে মালবাহি করে নেয়া যায়। আর এই সব স্থানে আসতে পারে জাহাজ। যে জাহাজ আমরা জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের ভাঙতে দেয়া জাহাজ থেকে পেতে পারি। তাতে ৪ পক্ষের সবাই লাভবান হবে। জাহাজ মালিক, পুরাতন জাহাজ ক্রয়কারি, জাহাজ ভাঙ্গা কোম্পানি ও যাত্রি জনগন এই চারপক্ষের সবারই মঙ্গল হবে।



যে সব ভাঙতে দেয়া জাহাজ আমরা রিপেয়ার কবরো। সেগুলো যদি তেল পরে বা অন্য কোনো কারনে জনস্বাস্থ্যের বিপরিতে যায় তাহলে সেই জাহাজ গুলোকে কমপক্ষে ২ বছর কুলে উঠিয়ে রেখে বিভিন্নভাবে ধাপে ধাপে মানুষের জন্য নিরাপদ করতে হবে।



যাত্রীবাহি লঞ্চ/জাহাজ কোনো ছোট সাইজের কিছু না। যা আপনার ঘরে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আটকে রাখতে পারবেন। এগুলো নদীতে উম্মুক্ত অবস্থায় থাকে। টার্মিনালে ভিরে, যাত্রী উঠায়। তারপরও দেশের বেশিরভাগ লঞ্চ জাহাজের কেনো আসল লাইসেন্স নাই। নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের নৌ রেজিস্ট্রেশন দপ্তর কি করে? তারা এতো বেশি ঘুস খায় কেনো। দেশের টার্মিনাল গুলো এতো বেশি সেকেলে কেনো। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে একটি সুন্দর ও নিরাপদ নৌটার্মিনাল নাই।



লোহার একটি বাক্স বানিয়ে তার উপর লোহা ঘেরা টিনের ঘর বানিয়ে, পুরুষ, মহিলা ওয়েটিং রুম ও বাথরুম থাকলেই সেটা নিরাপদ টার্মিনাল হয়ে যায় না। টার্মিনালে গাড়ীপার্কিং এর মতো লঞ্চ/জাহাজের আয়তন সমুতুল্য লাইন বসাতে হয়। যার মধ্যে প্রতিটা লঞ্চ/যাত্রীবাহি জলজান আলাদা আলাদা ভাবে ভিরবে।



প্রতিটা জাহাজ ও নৌযানকে সম আয়তনের টিউব পরিয়ে দেবার জন্য বাধ্য করুন। বাংলাদেশে মোট কতগুলো নৌজান আছে? এই হিসাব নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় আমাকে সঠিক ভাবে জানাতে পারবে না। তাহলে বুঝুন তারা অফিসে ও বাইড়ে কতখানি ঘুস নিতে ব্যস্ত আছেন। আরে ভাই, আপনার দুনিয়ায় এসেছেন কি শুধু ঘুস খাবার জন্য? কি হয় ঘুস খেয়ে? শত ঘুস খেয়েও কি আপনি আপনার পিছনের দিনে যেতে পারবেন?



নৌপরিবহন মন্ত্রীর অন্তরের সুপ্ত কান্না আমি বুঝি। নৌপরিবহন মন্ত্রীর বাপের মেয়ের ঘরের নাতনী মারা গেছে। অনেক দুঃখের ব্যপার। আজ আমি সবার কষ্টের প্রতি সমান শ্রদ্ধা, মমতা, বিনয় ও প্রেম দিয়ে আরজি রাখবো, আপনার স্বেচ্চার হয়ে উঠুন। অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে নৌজানে না ওঠার পরামর্শ মোটেও যুক্তিযুক্ত না। তার থেকে আমাদের নৌজানের সিডিউল এমন ভাবে সাজাতে হবে যাতে যাত্রীদের ভির সবার মাঝে ডিস্ট্রিবিউশন হয়ে স্বভাবিক হয়ে ওঠে।



নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় নৌযানে লাইসেন্স সব নতুন করে নবায়ন করা ও তৈরি করার ব্যবস্থা নিন। সমস্ত লাইসেন্স সিস্টেম ডিজিটাল করুন। বাংলাদেশের প্রতিটি বেসামরিক নৌজানের ছবি ও ডিটেইলস নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় এর ওয়েব সাইটে দিয়ে দিন। নৌজানে অনলাইন টিকিট কাঁটার ব্যবস্থা গ্রহন করুন। ওয়েব ও মোবাইলে নৌজানের টিকিট কাটার ব্যবস্থা গ্রহন করুন। বাংলাদেশের সকল এলাকার সকল টার্মিনালের ছবি, ধারন ক্ষমতা ও লেটেস্ট অবস্থা ওয়েবে প্রকাশ করুন।



ফেরিঘাটে টানা ফেরী (মূলত বার্জ তার সাথে একটি ছোট সাইজের লঞ্চ বাধা থাকে। ঐলঞ্চের শক্তিতে বার্জটি চলে) ব্যবহার করবেন না। আর যদি করতেও হয় তাহলে টানা ফেরির জন্য, ফেরি ঘাটে আলাদা টার্মিনাল নির্ধারন করে দিন। তাতে যাত্রিদের দুর্ভোগ কমবে। অনেক সময় মাওয়া ও কেওড়াকান্দি এলাকায় একটি ফেরি ভিরতেই ২/৩ঘন্টা সময় লাগে। এতে আমাদের দেশের সাধারন মানুষের মুল্যবান কর্মঘন্টা নষ্ট হয়।



আমাদের বুঝতে হবে যে, আমরা কোনো জন পরিবহনকেই অনিরাপদ করে রাখতে পারি না। আমাদের পরিবহন সেক্টরকে হরতাল, অবরোধ ও সিস্টেমলেস করার জন্য বিদেশী পশ্চিমাদের গোপন কৌশল ছিলো। একারনে আজও আমরা পদ্মা ব্রিজ পাইনি। পৃথিবীতে পদ্মা (প্রস্তাবিত শেখ রাসেল সেতু) ব্রিজই একমাত্র ব্রিজ যার আইডিয়া আসার বহু পরে বাস্তবায়িত হতে চলছে। এবং আমি ব্যক্তি হিসেবে গর্বিত যে আমার দেশের অর্থ আমাদের পদ্মা ব্রিজ নির্মিত হতে যাচ্ছে।



আজ পদ্মা ব্রিজ বাস্তবায়ন করা থাকলে আমাদের ওখানে এতোগুলো মানুষের একসাথে জীবন বলি দিতে হতো না। কিছু বাজে মানুষের কুবুদ্ধি ও সাম্রাজ্যবাদি মনোভাবের জন্যই এসব মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।



বন্ধু আজ সময় এসেছে মাথা তুলে দাঁড়াবার। আপনারা পুরোদমে আমার প্লান অনুযায়ী কাজ করে যান। প্রধানমন্ত্রী, প্রসিডেন্ট, টোটাল ক্যাবিনেট ও আমলারা আমাকে সাহায্য করুন। আমার কথা মানুন এবং আমরা একটি নিরাপদ রাষ্ট্র গড়ে তুলি।



আমরা একই বাঙালী জাতির একটি দেশ। আমাদের দেশের সবার ভাষা এক। সুতরাং আমাদের দেশে জন নিরাপত্তার প্রকাশ রূপ দেখানো সহয। আসুন আমরা আজ থেকে বুঝতে চেষ্টা করি, কারা আমাদের এই বাঙালী জাতিটার উপর মাদবারী করতো? আপনারা ভয় পাবেন না। এই আসিফ সর্বদা আপনাদের মঙ্গলের জন্য নিয়োজিত আছেন। আমি আপনাদের মনের মধ্যেই বাস করি এবং আপনার বাস্তব কল্পনা ও আপনার প্রেমের মধ্যই বার বার জেগে উঠি।



আপনাদের মঙ্গল কামনা করছি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

বিজন শররমা বলেছেন: বুদ্ধিমান (?) মানুষের উদ্ভট কথাবার্তা - সময় নষ্ট ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: দেশের বিপদের সময় সব মানুষকে এগিয়ে আসতে হয়। আমাদের সবার আইডিয়াকে যদি এক করে সামনে এগিয়ে যাই তাহলে কোন সমস্যাই আর সমস্যা মনে হবে না।

আপনার নইলে সময় নষ্ট করার সময় আছে। আমার কাছে নষ্ট করার মতো কোনো সময় নেই। তাই লিখি। আপনাদের মঙ্গল হোক।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: ভালো পরামর্শ

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই! আমি আসলে এ লাইনের লোক না। মানুষের মৃত্যু দেখতে মন চায় না। তাই নিজে যা পেরেছি, পরামর্শ দিচ্ছি।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

খাটাস বলেছেন: হে মহান বলদ, তোমারে স্বপ্ন না দেখে আমি ভারাক্রান্ত। তোমারে থাব্রাইয়া হহইতে চাই শ্রান্ত। কিপ ইট আপ। বলদ কুনহাঙ্কার

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: লেছেন: বন্ধু! আপনার গালি সাদরে গ্রহন করতে পারলাম না। আপনাকে আমি স্বপ্ন দেখাবো কেনো?

যারা মিথ্যে বলে ও মানুষের উপর অত্যাচার করে তারা এমনিতেই খোদার করুনা বঞ্চিত থাকে।

আমাকে থাপ্পর দিতে ইচ্ছে করলে দিন। তারপরও নিজের অন্তরের শক্তি কে বুঝতে শিখুন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.