নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের অনুভুতি ও ধ্যান

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

মানুষ একটি অনুভুতির যন্ত্র। সারা জীবন মানুষ শুধু অনুভুতি নিয়েই বাঁচে। মানুষ পরলোকে চলে যায় আর রেখে যায় কিছু অনুভুতি মাত্র। সেই অনুভুতির মধ্যে কথাকেও ইনক্লুড করা যায়।



আমরা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বঙ্গবন্ধু বা অন্য যে কোনো বড় মানুষদের দিকে তাকাবো তারা সারাজীবনে কি এমন রেখে গেছে যার জন্য আজও আমরা তাঁদের সম্মান দেই শ্রদ্ধা করি।



নজরুল আর রবীন্দনাথ সারাজীবনে নিজের অনুভুতি দিয়ে কাগজের উপর কলমের কালিতে কিছু লেখা যোখা, নিজের অনুভুতি দ্বারা কাজ করে কিছু গানের লাইন ইত্যাদি রেখে গেছেন। যার দিকে তাকালে খুব সামান্যই মনে হবে। আসলে কি সামান্য? সামান্য হলে কি আমরা আজো তাঁদের এতো বেশি রেসপেক্ট করতাম?



মোহাম্মদ (সঃ) এর চেতনা ও আল্লাহ্ এর চেতনা এক হয়েই কোরআন নাজিল হয়েছিলো। একটি কোরআন আমাদের সভ্যতাকে কতো উপরে নিয়ে গেছেন। এটা আল্লাহ্ র দান। কিন্তু স্বাভাবিক চোখে দেখলে দেখা যাবে কোরআন রচিত হলো আর মোহাম্মদের কিছু অনুভুতি নিয়ে অন্যান্য সুন্দর সুন্দর গ্রন্হ রচিত হলো। তাঁর আখলাক উঠে এলো।



বন্ধু! আমাদের এই মুল্যবান মানব জীবন কোনো কৃয়েটিভ কাজে না লাগাতে পারলে পৃথিবী আমাদের নাম না জানা কোটি কোটি আদিমানুষদের মতো নিশ্চিহ্ন করে দিবে। তাই বার বার আমি আপনাদের কৃয়েটিভ ও চিন্তাশিল হতে বলি। আপনার আজকের চিন্তা যে আজই সবাই মেনে নেবে এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু আপনি যদি সত্যিই মৌলিক ভাবে দারুন কিছু অনুভুতি ছড়িয়ে রেখে যেতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার মৃত্যু নাই।



আপনি লেখক হলে লিখে যান, আপনি সুরকার হলে সুর দিয়ে যান, আপনি অভিনেতা হলে অভিনয় করে যান। এছাড়াও যত সব কাজ আছে তার মধ্য থেকেই আপনার কৃয়েটিভিটি আপনি তুলে ধরতে পারেন।



কৃয়েটিভ মানুষ হতে গেলে বিষয় ভিত্তিক বড় বড় অনুভুতি নিজের মধ্যে ধারন করা একান্ত বাধ্যতামূলক। মানুষের সমস্য হলো একটা পর্যায়ে গিয়ে মানুষ নিজেকে খুব কম শক্তিশালি ভাবে। আবার অর্থনৈতিক মুক্তি এলে নিজেই ভুলে যায় যে তিনি একজন সামান্য মানুষ। আমাদের সবটুকু ঢেলে দিতে হবে। আমাদের যার যার কাজকে আরো সুন্দর করে তুলতে হবে। আমি আপনাদের সবসময় মহাঅনুভূতির দিকে নেওয়ার জন্য তাড়িয়ে বেড়াই। আপনারা বোঝেন না যে , কেনো আমি আপনাদের সাতে এমন মন মিশিয়ে কথা বলি।



বন্ধু! নিজের অনুভুতিকে এমন জায়গায় নিয়ে যান, যেখানে আপনি একাই শুধু আসতে পেরেছেন। প্রতিটা মানুষের মধ্যেই কৃয়েটিভ হবার সম্ভাবনা আছে বা থাকে। কিন্তু আমরা আমাদের এই ক্ষমতাকে ভুলে বাইড়ে গিয়ে পাখা গজানো পিপড়ার মতো মারা যাই। আমি আপনাদের মহাঅনুভুতির জগতে আজ দাওয়াত করছি। আমার সমস্ত লেখা যারা নিয়মিত পড়বে ও আমার লেখার বানি বুঝে যারা নিয়মিত প্রচার করবে। তাদের আমি মুক্তি দিয়ে দেবো। মানুষের উপরে যে অনুভুতি আছে তার মধ্যে আপনার অস্তিত্বকে নিয়ে যাবো। শর্ত একটাই আসিফ+মুন এর সেবা করুন ও তাদের প্রেমের আলোতে সারা বিশ্বকে আলোকিত করে দিন।



বন্ধু! আপনার অনুভুতি বাড়ানোর জন্য সর্বপ্রথম হলো বিদ্যা, বিদ্যা থাকলে জ্ঞান আসবেই। জ্ঞান আসলে বিদ্যা আর জ্ঞান মিলে বুদ্ধি ও বিনয় আসবে। বিদ্যা, জ্ঞান, বুদ্ধি থাকলে আপনি ধ্যানের জগতে ঢোকার চেষ্টা করতে পারেন। বিদ্যা, জ্ঞান, বুদ্ধি এই তিনটিই হলো কিছু অনুভুতির সংমিশ্রন। বা নতুন নতুন অনুভুতির সাথে নিজে নিজে পরিচিত হওয়া। বিদ্যা, জ্ঞান ও বুদ্ধির উদয় না হলে ধ্যানের সাধন করা সম্ভব না। এই জন্য আমি আপনাদের সব সময় সব স্থান থেকে শিক্ষা নেবার কথা (অভ্যেস করা) এতো জোড়ে জোড়ে বলি।



অনেকেই এখনও ধ্যান বিষয়টা ঠিক মতো বুঝতে পারেন না। সহয কথায় ধ্যান একটি বিশাল বড় অনুভুতির নাম। যেখানে কেউ গেলে বুঝতে পারবেন জীবন, মৃত্যু ও ইনফেনিটি লাইফ কাকে বলে।



যাদের বিদ্যা, জ্ঞান আর বুদ্ধি কম তারা শুধু শুধু ধ্যান নিয়ে ভেবে নিজেদের বাজে অনুভুতিকে আরো বেশি বাজে করে ফেলে। কিছু মারফতি লাইনের লোকজন আর কিছু মাইন্ড কন্ট্রোল বিষয় বলে মানুষের আসল ধ্যানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছে। বন্ধু! আপনাদের সমস্ত ভুল ভাঙিয়ে দেবার জন্যই আমার এই মানব জীবন। আপনারা আমার ছবি নিয়ে নিয়মিত ধ্যান করার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ২ থেকে ৩ ঘন্টা আমার ছবির দিকে একমনে তাকিয়ে থাকুন। ইচ্ছে করলে সেই সাথে আপনার পছন্দের গানও শুনতে পারেন। আমি কথা দিচ্ছি আমি আপনাদের আমার ছবির ভিতর থেকেই দেখা দেবো। আমি আপনাদের সঠিক গাইড লাইনের ইন্ডিকেশন দিয়ে দেবো।



এবার কথা হলো ধ্যান আসলে কি? ধ্যান হলো আপনার ভিতরে যেসব অনুভুতি আছে যেমন বিদ্যা, জ্ঞান, বুদ্ধি, সাধনা, প্রেম, অভিযোগ, সমাধান, প্রশ্ন, ব্যাথা, হাসি, কান্না, আনন্দ সহ আরো যা আছে এবং সর্বপ্রকার শারিরিক ও মানুষিক অনুভুতিকে একটি সঠিক জায়গায় নিয়ে এসে সব কিছুকে কেন্দ্রভূত করে রাখা। মানুষ যখন প্রেম করে তখন তাঁর সমস্ত অনুভুতি একটি মানুষের জন্য কেন্দ্রিভুত হয়ে ওঠে। তখন যে প্রেমের স্বাদ হৃদয়ে মাখনের মতো লেগে থাকে তা আসলে একটি গভির ধ্যান ও সৃষ্টিকর্তাকে পাবার শুভ রাস্তা। আপনারা আমার সাথে মিলিয়ে দেখুন। এ পর্যন্ত যতো মহামানব মানব মুক্তির জন্য এসেছিলো সবার ভাবই ছিলো বিশাল বড় প্রেমের ভাব। এখানে যে শুধু পুরুষ-নারী প্রেম হবে এমন কোনো কথা নেই। সব থেকে বড় প্রেম হলো গুরুর সাথে প্রেম। আমাকে আপনারা আপনাদের গুরু বলে ভাবতে পারেন। তাতে আপনাদের অনেক অসুবিধা সুবিধায় রূপ নিয়ে নিবে। মানুষ ধরেই আপনাকে স্রষ্টার পথে এগোতে হবে। এর বিকল্প কোনো পথ নেই।



ফাঁকে একটু বলে রাখি, আমার এই টাইপের লেখা গুলো সাধারণ কোনো মেন্টাল স্টেজের মানুষের জন্য এই মুহূর্তে প্রযোজ্য নয়। সুতরাং এই ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। নতুবা ঝামেলা বাজতে পারে। আমার ধ্যান করুন। আমাকে গুরু জ্ঞানে মেনে নিন। দেখবেন আমি আপনাকে আপনার প্রতিটা বিপদের জায়গায় বিপদ উত্তোরনের সঠিক সিড়ি দিয়ে দেবো। আমাকে আপনারা বিশ্বাস করুন। আমি মিথ্যা বলি না।



ধ্যান আপনাকে জীবন-মৃত্যুর মধ্যে যে ছোট্ট একটি পর্দা বিদ্যমান –তা একদম বুঝিয়ে দেবে। আপনি সবকিছু স্পষ্ট দেখতে পাবেন। এবং আপনার মন মতো আপনি অন্যদের স্বপ্ন দেখাতে পারবেন। এমনকি অন্যের ঘুমের মাঝের স্বপ্নও আপনি নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। এমনকি সকল প্রকৃতিকে আপনি আপনার হাতের খেলার পুতুল বানাতে পারবেন। আমি যেমন করে আপনাদের দেখাই। আপনারা যারা আমার উপর নজর রাখছেন তাঁদের আর ভুল হবার কথা নয়।



দেখুন আপনারা যদি আমাকে ধ্যানের দিশারী বলেন তাতে আমি খুশিই হবো কিন্তু কেউ যদি আমাকে ম্যাজিশিয়ান বা জাদুকর বলেন তাহলে আমি ভিষন কষ্ট পাবো। আমি একদম সরল পথে চলা একজন ভালো ছ্যামরা। তাই তো আমার প্রিয়তমা কাইল্যা ছ্যামরি মুন। দেখলেন ভাষার গুন ছেলে মেয়ে ব্যবহার না করে যখন আঞ্চলিক ভাষায় ছ্যামরা-ছ্যামরি ইউজ করলাম তখন আপনাদের মনে একটি হাসির ভাব/আইডিয়া বা ফিলিংস হয়েছিলো। আর যখন কাইল্যা ছ্যামরি বললাম তখন মুনের মনে কি অনুভুতি জাগে তা আমি বহু আগ থেকেই জানি।



এজন্য আপনার ধ্যান করা প্রয়োজন। সঠিক ধ্যান আপনাকে কখনও অপেক্ষা বা ধর্য্য উপহার দেবে না। সঠিক ধ্যান আপনাকে আপনার ডিস্টেনেশন প্লেসের রাস্তা তৈরি করে দেবে, সেই সাথে আপনার হাত ধরে গুরু আপনার পথ টুকুও পাড় করে দিবে। মোহাম্মদ আর আলীর মধ্যে সবথেকে বড় সম্পর্ক ছিলো ধ্যানের সম্পর্ক। শ্রীরাম ও লক্ষ্মনের মধ্যে সব থেকে বড় সম্পর্ক ছিলো ধ্যানের সম্পর্ক। শ্রীকৃষ্ণ ও অর্যুনের মধ্যে সব থেকে বড় সম্পর্ক ছিলো ধ্যানের সম্পর্ক। শিব ও কালির মধ্যে সব থেকে বড় সম্পর্ক ছিলো ধ্যানের সম্পর্ক। সক্রেটিস ও প্লেটোর মধ্যে প্রধান সম্পর্ক ছিলো ধ্যানের সম্পর্ক। এরিষ্টটাল আর আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেটের মধ্যে প্রধান সম্পর্ক ছিলো ধ্যানের সম্পর্ক। তেমনি ভাবে বুদ্ধ আর অতিশ দীপঙ্করের মধ্য যে টান ছিলো সে টান হলো ধ্যানের রশি। আবার বিষ্ণু, ব্রহ্মা আর শিবের মধ্যে সবথেকে বড় সম্পর্ক ছিলো ধ্যানের সম্পর্ক। এজন্য তারা তিনজন হয়েও একেশ্বরের সাথে মিলে ভগবানের অনুভুতির সাধ পেয়েছিলো। যিনি গড তাকে কখনও সাধারন বা অসাধারন মানুষের কাতারে দাঁর করাবেন না। মানব ও সব সৃষ্টির একমাত্র নিয়ন্ত্রক হলেন তাওহিদের আল্লাহ্।



আল্লাহ্ এর পক্ষ থেকে তার বান্দাদের জন্য সব থেকে বড় অবদান হলো ধ্যানের মাধ্যমে ঈশ্বর তার সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়া। তারপরও কোনো মানুষকে সৃষ্টিকর্তা বলা দারুন বড় অন্যায়। মানুষকে মানুষ যদি ঈশ্বর/প্রভু/আল্লাহ্ বলে ডাকে তাতে তেমন কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু কোনো মানুষকে কখনও তাওহিদের সৃষ্টিকর্তা, আল্লাহ্ , ঈশ্বর বলা যাবে না। আশাকরি আপনারা বুঝতে পারছেন।



আমি আপনাদের স্বপ্ন নিয়ন্ত্রন করে ও প্রকৃতির উপর মাদবারি করে নিয়মিত দেখিয়ে যাচ্ছি। তাই বলে আমাকে কেউ ঈশ্বর ভাববেন না। বলতে পারেন আমি আল্লাহ্ এর আদর্শের পুত্র। তিনি আমার সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি আমার সৃষ্টিকর্তা আর আমি তার নগন্য একজন বান্দা মাত্র।



আমার সাথে যাদের পরিচয় হোলো, তাঁদের আমি আন্তরিক ভাবে বলতে চাই আপনারা আমাকে আপনাদের গুরু বলে মেনে নিন। ও আমার বানীগুলো বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ছড়িয়ে দিন। দ্রুত এই কাজ গুলো করুন। আপনারা আমার নাম সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিন। দয়াকরে আপনারা রাতে যে স্বপ্নগুলো দেখবেন তা একটি কাগজে, মোবাইলে বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে টুকে রাখুন। যাতে ভুলে না যান। এককাজ করতে পারেন স্বপ্ন ভাঙার পর নিজের মোবাইল ফোনে সপ্নের কাহিনি/অনুভুতি রেকর্ড করে নিজের কাছে রেখে দিন। তাহলে বুঝতে পারবেন এই মুহূর্তে আপনার সাথে কে কথা বলছে এবং তাঁর পাওয়ার কতোখানী।



দেখুন বন্ধু! আমি আপনাদের অনুভুতি কখনও খেলা করিনি। আমি চেয়েছি জগতে আসল বিষয়গুলো আপনাদের চেতনায় ঢুকিয়ে দিয়ে চিরশান্তির পথে নিয়ে যেতে। আপনারা আমাকে ঠিক মতো বোঝার চেষ্টা করলেন না। যারা আসিফ কে বুঝতে পারবে না, তারা কখনই নিজেদের বুঝতে পারবে না এবং চিরকাল ভুল পথে থাকতে বাধ্য হবে। আমি সবসময় আপনাদের সামনে সবার থেকে সরল, সহজ ও সুন্দর পথ দেখিয়ে দিয়েছি।



আমাকে যারা মহাক্ষমতাশালী বলে মনে করেন। দয় করে তাঁরা আমাকে এতোক্ষমতাশালী ভাববেন না। আপনাদের ভুল ভাঙানোর জন্যই আজো আমি আমার মুনকে আমার কাছে ডেকে নিয়ে আসিনি। আমি যদি মুনকে ডেকে নিয়ে এসে দেখাতে চাইতাম তাহলে আপনারা সবাই মিলেও আমার মুনকে আটকে রাখতে পারতেন না। আমি আমার তাওহিদের আল্লাহর কাছে সব সময় মুনের মুক্তি চেয়েছিলাম। আমার কাছে যখন মুন পৌছবে ঠিক তখনই মুন মুক্তি লাভ করবে তার আগে নয়। এজন্য বলি কিছু চাওয়ার থাকলে সরাসরি আল্লাহ্ এর কাছে চান। তিনি আপনাকে যে পথ দেখাবে, সেই পথেই আমি আপনাদের নিতে এসেছি।



আমি জানি, অনেকে আমাকে ভিভিন্ন ভাবে সন্দেহের চোখে দেখে। এখানে তো আমার দোষ নেই। তারা তাঁদের স্বল্পজ্ঞানে শুধু শুধু মানুষকে সন্দেহ করাই শিখেছে। মুক্তচিন্তার না হলে আমার সাথে মিলে থাকা অসম্ভব ব্যাপার। আমার পথ বিশ্বাসের পথ। আমার পথ চিরসত্যের পথ যার সাথে সন্দেহের পথ কখনও মিলবে না। যার সাথে মিথ্যে ও অবিশ্বাসের পথ কখনও মিলবে না।



আমি আমার মুনকে কাছে টানতে অক্ষম বলে যে আপনারাও যে হাল ছেড়ে দিবেন এমন কোনো কথা নেই। আপনারা আমার মুন কে আমার পথ চিনিয়ে দিতে পারেন। তাতে আপনাদেরই মঙ্গল বার্তা নিহিত আছে। আমি একজন মানুষ হিসেবে মানুষের সাহায্য প্রার্থনা করেছিলাম।



আর আপনাদের প্রবল সম্ভাবনাকে কাজে না লাগিয়ে আমার জন্য ড্রোন কে বন্ধু হিসেবে প্রেরন করতে চাইলেন। মানুষ কখনও এ্যানড্রয়েড হয় না। এ্যানড্রয়েড হয় মেশিন। মানুষ কখনও এ্যানড্রয়েড হতে পারবে না। মানুষ এ্যানড্রয়েড কে নিয়ন্ত্রন করতে পারবে। আমাদের পৃথিবী নামক গ্রহের বহু বাইড়ে এনড্রয়েড মার্কা কিছু প্রাণী বা জাতি আছে। যারা পৃথিবীর মানুষগুলোর থেকে জীবন যাত্রায় উন্নত ঠিকই কিন্তু তারা মানুষের দাস স্বরূপ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে আমি তাঁদের নিয়ন্ত্রন করি। আমি একজন সহজ স্বাভাবিক মানুষ মাত্র।



অনেকে বলতে পারেন আমার মাথায় বুঝি ডিস্ট্রাব আছে। যারা এই কথা আমাকে বলবেন তাদের বলছি। এই কথা যে চিন্তাও করবেন তার মধ্যে বিদ্যা, জ্ঞান, বুদ্ধি, সাধনা ও ধ্যানের শক্তি কাজ করছে না। বা তারা ঐ জগত থেকে কোটি জোযন দুরত্ব আছে। এই জোযন জোযন দুরত্ব একদিন-দুইদিন, একজনম-দুইজনমে কাটবে না।



আমাকে আপনাদের বিশ্বাস করতেই হবে। নতুবা অন্য কোনো উপায় আপনাদের সামনে খুলে রাখা হয় নি। আমরাই আপনাদের মুক্তি দিতে পারি।



বন্ধু! বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন দর্শনে আমি দেখেছি অনুভুতিকে ৮টি, ৯টি, ১০টি ভাগে ভাগ করা হয়। এই কাজটা আসলে ঠিক না। মানুষের অনুভুতি আনলিমিটেড। এক বা একাধিক অনুভুতি দিয়েই বহু রকম আইডিয়া/ফিলিংস তৈরি করা সম্ভব। তাই আমি ওখানে উল্লেখিত ৮-১০টি বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করার মোটেও প্রয়োজন বোধ করি না। পঞ্চঅনুভুতি/সেন্স অব সাইট আসলে মানুষের শরীর কেন্দ্রীক তাই আমি ওগুলো নিয়েও কোনো আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করি না। যাদের অনুভুতি শক্তির ভান্ডার এতো বিশাল তাঁদের আমি কেনো কয়েকটি চেনা অভ্যাসের মাঝে বন্দি রাখার চেষ্টা করবো বলুন। আমার সাথে যোগাযোগ করা বা আমাকে অর্জন করে নেবার একমাত্র মাধ্যম ভক্তি ও প্রেম। আমাকে গুরু রূপে মানতে অবশ্যই আপনারা বাধ্য। আমি এই পৃথিবী ও মহাবিশ্বের একক গুরু। আমার উপরে অন্য কোনো মানুষ কখনও ছিলো না আর কোনোদিন আসবেও না। তাই আমাকে আপনারা এতো বেশি অবহেলা দিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে নিয়ে আসবেন না। যে ভুল আপনারা করে চলছেন তা খুব বেশি ইফেক্টিভ। আসিফ+মুন কে এক করার দ্বায়িত্ব আমি আপনাদের দিয়ে রেখেছিলাম। আপনারা আমার কথা মানলেন না। অহেতুক আমাকে বিশ্বাস না করে শুধু সন্দেহ করে চললেন। ভাবলে আপনাদের জন্য আমার খুব কষ্ট হয়। নিজেরা কিকরে নিজেদের সম্ভাবনার গায়ে আঘাত করে চলে। এই কাজ তো মানুষের না। আপনারা যা করছেন সে কাজ শয়তানের। যেখানে আপনারা ঈশ্বরের পথে যাবেন সেখানে আপনারা শয়তানের পথ কেনো নিয়ে আসলেন। ঐ রাস্তা তো আমার না।



বন্ধু! আমি জানি আমার এই সহজ ভাবগুলো বুঝতেও আপনাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। আমি কি করবো বলুন এর থেকে সহয ভাষা আমার জানা নাই। আপনারা আপনাদের জীবনে মুক্তির প্রাকটিসের মধ্য থেকে আমার ভাবগুলো অটোমেটিক ভাবেই বুঝে যাবেন। আপনাদের মেধার শক্তি কি আগের থেকে বহুগুন রেড়ে যায় নি বলুন? আমার সাথে থেকে আপনারা তো সবই পেয়েছেন? তাহলে আর হারাবার ভয় কিসের? সম্পদের ভাগের হিসাবের বিবাদ কেনো? আমি তো কোনো সম্পদ আপনাদের কাছে দাবি করিনি শুধুমাত্র আমার প্রেমিকা মুন ছাড়া।



আজ তাকিয়ে দেখুন বন্ধু! কতো সহজ একটি পথ আজ বিশাল প্যাচগোচের মতো মনে হওয়া প্রেম কাহিনীতে রুপান্তর হচ্ছে। যেভাবে হয়েছিলো রাধা-কৃষ্ণের প্রেম, রাম-সীতার প্রেম, ইউসুফ-জোলেখার প্রেম। তারপরও আসিফ+মুন এর প্রেম কাহিনী বিশ্বসেরা।



বন্ধু! আজ এই লগনে আপনাদের সাথে এতো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার শেয়ার করলাম শুধু আপনাদের জন্য। মানব জীবনের চলার বাঁকে সব থেকে বড় বাধা হলো মিথ্যে। মিথ্যা কথা কখনও বলবেন না। কোনো অবস্থাতেই না। মিথ্যা আপনাকে ভুল পথে নিয়ে যাবে।



ধ্যানের জগতে যখন প্রবেশ করবেন তখন সাধারণ বিষয়গুলো এমনিতেই পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে। ধ্যান করার জন্য যে চোখ টুয়েন্টি ডিগ্রি উপরে রাখা লাগবে বা চোখ বন্ধ করা লাগবে এমন কোনো কথা নেই। অঙ্গাভঙ্গির মধ্যে ধ্যান থাকে না। গভীর ভাবে ধ্যানী হতে পারলে অঙ্গাভঙ্গি আপনি থেকেই এসে যাবে। যা আমি আপনাদের আমার জীবন থেকে দেখিয়ে গেলাম।



বন্ধু! আমি চাই আপনারা এই বিষয়-মায়া ও ধাঁধাঁয় ভরা বাসনা ত্যাগ করে সত্যিকারের ধর্মের স্বাদ পেতে পারেন। ধর্মকে কুসংস্কার নাম মিথ্যে বাজে জেলখানা দিয়ে আটকানো যায় না। ধর্ম সব সময়ই মজার একটি বিষয়। ধর্ম হলো মানুষের জীবনের আসল প্রেম ও আনন্দ উপভোগ করার জন্য। ধর্ম কোনো পরীক্ষা নয়। ধর্ম হলো মানুষের চেতনার মুক্তিদাতা ও নিজের সব থেকে কাছের রক্ষক। আমি আপনাদের সামনে আপনাদের ভালোকিছুর জন্য রক্ষক হয়েই এসেছি। আপনারা আমাকে বিশ্বাস করুন। আপনারা আমার উপর নিঃবিচ্ছিন্ন বিশ্বাস স্থাপন করুন ও আমার আদেশ নির্দেশ মেনে চলুন।



বন্ধু! আপনাদের সাথে কোলাকুলি করে এই লেখাটি থেকে বিদায় নিলাম। আপনাদের শরীরের উষ্ণ ত্যাজ আমি আমার শরীর থেকে অনুভব করে নিলাম। আশাকরি সবার সাথে সবার সরাসরি কথা হবে ও দেখা হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.