নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বাঙালী আজ জেগে উঠেছে! জ্বল জ্বল করছে বাংলার আকাশ

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭

দীর্ঘ সাত মাস ধরে বাংলাদেশে কোনো রাজনীতিক হরতাল অবরোধ নেই। বাঙালীর বাংলাদেশে আজ একটি স্তিতিশিল পরিবেশ পরিস্থিতির ছোঁয়া লেগেছে। বাঙালী জাতিকে এতো উজ্জ্বিবিত ১৯৭১এর পরে আর দেখা যায় নি। আজ আমরা সমৃদ্ধির পথে হাঁটছি। একটু সময়ের ব্যবধানে আমরা দৌড়ে দৌড়ে উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে গিয়ে যোগ্য সম্মান হসিল করবোই।



কে বলছে বর্তমান বাংলাদেশ বিদেশী বিনিয়োগের উপযুক্ত নয়? আঠারো কোটি মানুষের এই নিরিবিলি ও শান্তির দেশে যদি বিদেশি বিনিয়োগ না হয়, তাহলে যোগ্য দেশ আমাকে আপনারা দেখিয়ে দিন। আমাদের সবার স্বপ্ন আজ এক করে শুধু সামনের সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।



আমাদের বাঙালী নেতৃত্বে আজ অনেক বেশি স্বচ্ছতা আসতে যাচ্ছে। বাঙালী আজ শুধু নিম্ন আয় নিয়ে চিন্তা করে না। আজ বাঙালী আগামী দুবছরের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিম প্রথম দশটা দেশের মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্য আজ জনসমৃদ্ধিতে উপনিত হয়েছে। আমাদের নিজস্ব ব্রান্ড তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও কৃয়েটিভ সেক্টরের সব মানুষ গুলো আজ একই গাছের ছায়ায় এসে আশ্রয় নিয়েছেন। আমি সেই গাছের বহু ঊর্ধে থেকে তাঁদের ছায়া দিয়ে যাচ্ছি।



বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা বেকারত্ব থেকে আমরা শিঘ্রই বেড় হতে যাচ্ছি। বাংলার যে ছেলেরা এতোদিন চাকুরী খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে নিশ্চুপ হয়েছিলো। তাঁরা আজ জেগেছে। তাঁরা আজ নিজেদের কর্মসংস্থান নিজেরাই তৈরি করে নিচ্ছে। সেই সাথে নিজ নিজ ব্যবসা/প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে নিজেদের বেকারত্ব ঘুচিয়ে আরো বেশি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করছে।



বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থাপনা আজ আরো স্বচ্ছতার দিকে হাঁটছে। বাংলাদেশের সরকারী ও বেসরকারী ব্যাংক সমূহ আজ খলাফি ঋণ, ভুয়া ঋণ এর ব্যাপারে সোচ্চার হচ্ছে। আমাদের ব্লাক মানির আসল হিসেবে বেড়িয়ে আসছে। আজ আমরা কোনো অযুক্তিক শুল্ক, ট্যাক্স, খাজনা, ভ্যাট বসাই নি। সব মানুষের কথা চিন্তা করেই রাজস্ব সেক্টর এগিয়ে যাচ্ছে।



বাংলাদেশের পার্লামেন্ট ক্যবিনেট ও মিনিস্টারগন আগের থেকে বহুগুন স্মার্ট হবার জন্য প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আজ উন্নয়ন কাজে আগের থেকে অনেকগুন বেশি চেষ্টা ও নিজেদের সামর্থ প্রমান করতে চাচ্ছেন। আমি এক নতুন স্ট্রং ম্যানেজমেন্ট এই বাঙালী জাতিকে উপহার হিসেবে দিলাম। আপনারা সবাই নিজেদের প্রতি বিশ্বাস ও ইউনিট রেখে টিম ওয়ার্ক হিসেবে নিজেদের সামর্থ দেখিয়ে যান। বাঙলার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আপনাদের কাজের মুল্যায়ন করবে।



আমাদের বিচার বিভাগ আজ সত্যিকার অর্থেই জনগনের সেবা করতে চাচ্ছে। তাঁদের লিমিটেশন তারা বুঝতে পেরেছেন। তাই তাঁরা বিচার বিভাগকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে কাজ করার অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে উঠেছেন। দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আজ অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় মানুষের সাথে বন্ধুত্বর সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রানপন সফল হবার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনি আজ নিজেদের ভিতরে চেইন অব কমান্ড ও ম্যানেজমেন্টাল গ্যাপ ঠিক ঠাক করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ নতুন নতুন জিবানু অস্ত্র, ড্রোন ও সাবমেরিন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনি আগামী ২বছরের মধ্য পৃথিবীর প্রধান ১০টি সেনাবাহিনির মধ্য আসবে। আজ আমাদের সেনাবাহিনি তাদের ক্যান্টনমেন্ট বাড়িয়ে মার্শাল পর্যন্ত পদমর্জাদা পেতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিজ ক্ষমতা বলে সামরিক বাহিনীর জেনারেল ব্যাচ ধারন করতে পারবেন। সরকার পরিবর্তন হলেও সরাকার প্রধান প্রধানমন্ত্রীই হবেন সেনাবাহিনির প্রধান। এই ক্ষমতা তিনি নিবেন বাংলাদেশি জাতির স্থায়ী মুক্তির জন্য ও নিয়ম শৃঙ্খলা ঠিক রাখার জন্য। এই এই পদটি কোনো ভাবেই সেনাবাহিনির সাথে বিদ্বেশ দিয়ে করা হয় নি। এটা প্রধানমন্ত্রীর জন্য সম্মান প্রদর্শন বলে গন্য হবে।



বন্ধু! আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রবাসি বাঙালীরা আজ প্রথম প্রেমের মতো দেশের মাটির প্রতি গভীর প্রেম অনুভব করছেন। তাঁরা এখন থেকে দেশে ইনভেস্টমেন্ট করবেন। দেশ ও বিদেশের কর্মসংস্থান বাড়াবাড় জন্য তাঁরা তাদের বাঙালী ভাই বোনদের নিয়ে চিন্তা করছেন। প্রবাসীরা আজ বিদেশের বাড়ী বিক্রি করে বাংলাদেশের প্রডাকটিভ খাতে ইনভেস্ট করছে। আজ প্রবাসীরা বুঝে গেছে যে, নিজের মা সম মাতৃভূমি কে কারা গরিব বানিয়ে রেখে, বিশ্বময় তাঁদের ধোঁকা ও লাঞ্চনা দিয়েছিলো।



এশিয়া, ইওরোপ, আফ্রিকা, এমেরিকা ও ওশেনিয় সব গুলো দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আজ যে কোনো সময়ের চেয়ে মজবুত হয়ে উঠছে। পররাস্ট মন্ত্রনালয় এখন আর মোটা হাতির বাচ্চার (সাবেক সচিব পররাষ্ট মন্ত্রনালয়, এবং একজন বড় মাপের চিটার ঘুসখোর) কাছে জিম্মি নয়। সেই মোটা হাতিকে লন্ডনে পোস্টিং দেয়া হয়েছে। ঐ মটকুকে ওখান থেকেও সরানো হবে বা বাধ্যতামুলক অবসর দেয়া হবে বা রোগ দিয়ে আবারও অসুস্থ করে রাখা হবে। আমি কোনো ফাইজলামি করার জন্য বাংলাদেশের হাল হাতে নেই নি। আমার বাংলাদেশ কে প্রতিটা রাষ্ট্রের সম্মান করতে হবে। নতুবা তাঁদের আমরা কোনো ভাবেই বন্ধু হিসেবে ভাববো না। বাংলার প্রতিটা প্রবাসীর সাথে বিদেশীদের ন্যায় ন্যায্য ও সহজ স্বাভাবিক আচরন করতে পারবেন না। বাঙালী শ্রমিকরা বিদেশিদের উন্নয়ন সহযোগী। বাঙালীর বাচ্চারা কখনও কারো চাকর না, যে বিদেশের মাটিতে বসে কোনো বিদেশি আমার বাঙালীকে কোন ........... এর বাচ্চা বলে গালাগালি দিবে। এরকম আচরন বরদাস্ত করা হবে না। আমি বাংলাদেশের পররস্ট বিষয়ক প্রতিটা ব্যাপারে কথা বলেছি। আপনারা আমার কথা শুনুন ও মান্য করুন। আমি একজন বাঙালী। এই বাঙালীর পররাষ্ট্র নীতি হবে বাঙালীর নেতৃত্বে। কোনো ভাবেই আমাদের বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিতে বিদেশিরা নাক গলানোর দুঃসাহস দেখাতে পারবেন না।



আমার বাংলাদেশের মিডিয়া আজ নীল আকাশে সাদা মেঘের মতো স্বাধীন। বাংলাদেশের মিডিয়া বাঙালীর বুদ্ধিতে চলবে। আমাদের মিডিয়ার উপর কোনো বিদেশীদের মাতব্বরি সহ্য করা হবে না। আমাদের মিডিয়া আমার কথা শুনতে বাধ্য। শুধু বাংলাদেশ নয় আমি সমস্ত বিশ্বের সমস্ত মিডিয়ার কিং ও গার্ডিয়ান হিসেবেই আইডিয়া দিয়ে যাচ্ছি ও সমাজে ন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করার অবিরত চেষ্টা করছি। আমিই হলাম ওয়ার্ল্ড মিডিয়া গার্ডিয়ান। আমার কথায় মিডিয়া চলবে। মিডিয়া থেকে একচেটিয়া ভবে বিদেশীদের লাভ করা ও সমাজকে নষ্ট হতে দেবো না। ইত্যাদি এবং মাটি ও মানুষ নামের দুটো চ্যানেল যার মালিক হবেন হানিফ সংকেত ও শাইখ সিরাজ জরুরী ভিত্তিতে অনুমোদন করে দিলাম। এখন শুধু কাগজ পত্র আপনারা ঠিকঠাক করে নিন। মিডিয়ার প্রতিটা ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি বাংলার মাটিতে বসে তৈরি করা হবে। আমরা কোনো সেক্টরেই আমদানি নির্ভর হবো না।



বন্ধু! আজ আমার বাংলাদেশের প্রতিটা মেগা সিটি, টাউন, শহর, উপশহর, জেলা সদর, উপজেলা সদর, ইউনিয়ন, পৌরসভা, গ্রাম সম্পূর্ণ আবর্জনা মুক্ত হবে। কোনো প্রকার চাঁদাবাজি চলবে না। প্রতিটা জায়গায় বিনোদন মুলক ক্লাব ও রাজনীতিক দলের স্মার্ট কার্যালয় নির্মান করতে হবে। আমরা এখন এই প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়েই হেঁটে হেঁটে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। কোনো রাজনীতিক দল জনগনের কাছে চাঁদা চাইতে পারবে না। তাদের বিকল্প ইনকাম সোর্স আমি নিজ হাতে দেখিয়ে দিয়েছি। আমি পুরো বিশ্বের প্রতিটা রাজনীতিক দলের একক গার্ডিয়ান হিসেবে কথা বলছি।



বন্ধু! বাঙালীর উন্নতির মূলে আজ বাঙালী কালচার ও বাংলা ভাষা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাঙালী কালচারকে পঙ্গু রেখে আমাদের দেশকে পুরোপুরি সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব না। তাই আজ থেকে বাঙালীর মিডিয়া জগত পুরোপুরি স্বাধীন ও ফালতু বাঁধাহীন। আপনারা সেভাবেই কাজ করুন। আমরা বিদেশীদের সাথে পাল্লা না দিয়েই, ওয়ার্ল্ড কালচারে শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করতে যাচ্ছি। বিশ্বের সমস্ত কালচারের একমাত্র গার্ডয়ান হিসেবে আমি আপনাদের অন্তরের মধ্য থেকে জেগে উঠলাম। আমাদের এই সৃষ্টির আনন্দে লাল টক টক করা রক্তকনিকার চাওয়াকে আর কেউ দমন করতে পারবে না। শিল্পী সমাজকে যারা পাগল বলেন তাদের আমরা আমাদের আসল পাগলামি দেখাবো। প্রতিটা মিডিয়া পারসন আমার বাড়িয়ে দেয়া হাত ধরে উষ্ণু অনুভুতি নিয়ে শুধু সামনের অসম্ভবের পথে এগিয়ে যান। আপনাদের অসম্ভব আমার কাছে। আমার কথা যতো শুনবেন আপনাদের অসম্ভব ততোই সম্ভব হয়ে বাংলার আকাশ বাতাস কাঁপাবে।



বন্ধু! আমার বাঙালী আজ জেগে উঠছে। আপনাদে সাথে আমার সম্পর্ক হলো হৃদয়ের সম্পর্ক। আমি আপনাদের সাথে আজ মিশে গেছি। আমরা যখন জেগেছি এখন আর অন্য কেউ আমাদের অগ্রগতির প্রশ্নে বাধা হতে পারবে না।

বন্ধু! আজকের এই শ্রাবনের শেষ বেলায় আমাদের এই মিলনমেলা মহাকালের বুকে সুন্দর নমুনা হিসেবে থেকে গেলো। শ্রাবনের বৃষ্ট্রির কান্নায় আমাদের অতিতে সমস্ত পাপ মুছে গেছে। এখন থেকে আমরা সবাই মাসুম। আমরা আমাদের স্রষ্টাকে কথা দিলাম যে, আমরা আর কখনও মিথ্যা কথা বলবো না। সত্যের সাথে আপোষ করবো না। আমরা আমাদের সর্বাত্ত্বক মঙ্গলের কথা সবসময় চিন্তা করে কাজে নেমেছি।



বন্ধু! বাংলাদেশে বাঙালীর উপর আর কোনো দালালি প্রথা চলবে না। দালালরা আসলে কৃতদাসের মতো পরাধীন। ঐ কৃতদাস গুলো বোঝে না যে, মানব জীবনে আমরা কৃতদাস হতে আসি না। জীবনে আমরা আসি স্রষ্টার হুকুম পালন করার জন্য। স্রষ্টার পথে নিজেকে নিয়ে যাবার জন্য। একজন সৃষ্টিকর্তার উপর আজ আমরা সব বাঙালী পুরো পুরি ঈমান নিয়ে আসলাম। তিনি আমাদের জাগাতেও জানেন আবার ডুবাতেও জানেন। আমরা আর ডুবে থাকতে চাই না। আমরা চাই মাথা উচু করে সিনা টান করে দাঁড়াতে।



বন্ধু! বাঙালীরা আজ ভিষন ভাবে শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হয়ে উঠছে। আমাদের বাঙালীর আর অশিক্ষিত থাকতে চায় না। তাঁরা আজ নিজেদের ভালোটা নিজেরা বুঝতে শিখছে। হরতাল অবরোধে আর কখনও আমাদের বাঙালীর কোনো নিরিহ সন্তানকে হারাতে দেবো না। আমরা প্রতিটা মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি প্রদান করছি। কোনো অন্যায় অত্যাচার আর মেনে নেওয়া হবে না। বাঙালী আজ বাঘ- রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো বিশ্ব বনের রাজা হিসেবে নিজেদের ক্ষমতাকে জানান দিয়ে চলছে।



প্রতিটা সেক্টরে আজ আমার বাঙালীরা তাঁদের মেধা ও ধ্যানের পরিচয় দিয়ে চলছে। আমরা আমাদের নিজেদের সম্বন্ধে এখন জ্ঞাত হয়ে গেছি। বিশ্বের সমস্ত প্রান্তে আজ আমার বাঙালিরা পৌঁছে গেছে। বিজ্ঞানের প্রতিটা সেক্টরে আমরা আমাদের অবস্থান বুঝে নেবো। আমরা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেবো। আমরা দেখাতে চাই বাঙালী জাতি বিশ্বের সেরা জাতি ও সব থেকে বেশি শান্তিপূর্ণ জাতি। আমরা বাঙালীরা শান্তিতে বিশ্বাসী। বাঙালীর কোনোদিনও সাম্রাজ্যবাদের দিকে যায় নি। টোটাল বাঙালী ইতিহাসে এমন কোনো নজির নাই। আমরা সবসময়ই প্রচুর আবেগী-মায়াশিল-মিষ্টি ও হৃদয়বান দিলদার জাতি। আমরা সব মানুষকেই ভালোবাসতে জানি।



আজ বাঙালী শুধু নিজেদের অধীকারের জন্যই লাফচ্ছে না। আজ বাঙালী পৃথিবীর সমস্ত জাতি-গোষ্টির মনের কথাকে বিশ্বব্যাপি প্রচার করে যাচ্ছে। বাঙালীর এই সুন্দর সময়ের আমি একজন স্বাক্ষী হতে পারে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এখন থেক পাঁচ হাজার বছর পর আমার এই কথাগুলো শুনবে, তাঁরাও আমাদের এই স্বর্ণালী সময়ের কথা মুখে মুখে আলোচনা করবে।



আমাদের বাঙালী বুদ্ধিজিবি সমাজ আজ জেগে উঠেছে। বাংলাদেশ আজ খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ নিজেই একটি বিরাট বড় ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। এই সুন্দর মহামায়ার রোদনে চিরদিনই আমরা ব্যাকুল থাকবো।



বন্ধু! আজ একজন বাঙালীকেও না খেয়ে থাকতে হয় না। আমরা আজ ভাতে স্বাবলম্বি। আমরা বিদেশী প্রডাক্ট ছাড়াই নিজেদেরকে খাদ্যে সয়ংসম্পন্ন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে স্পেশাল নজির গড়েছি। আজ বাঙালীর ঘরে ঘরে নেতৃত্ব তৈরি হবে। কে বলছে বাংলায় নেতা জন্মায় না। যে দেশে মুজিব, জিয়া, তাহের, সিরাজ, আসিফ আসে সেই দেশ হলো নেতা তৈরির কারখানা। আমরা বিভিন্ন লিমিটেশনের জন্য তা ভুলে গিয়েছিলাম। আজ সব মনে পড়েছে। আজ আমার প্রাণ আপনাদের অন্তরের উপর সুন্দর ডিস্টেম্বরের মতো লেপটে গেছে। আমরা আমাদের মানুষিক শক্তি সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েছি। আগে যারা ৫মিনিট বক্তৃতা দিতে ভয় পেতেন আজ তারা ঘন্টার পর ঘন্টা পজেটিভ বক্তৃতা দিতে পারছেন।



প্রয়োজনে বাংলাদেশ নেতা রপ্তানি করবে তারপরও আমাদের এই মিশন শেষ হবে না। আমি আপনাদের ওয়াল্ড গার্ডিয়ান হিসেবে সেই পথেই নিয়ে যাচ্ছি। পথে যেতে যেতে আপনাদের সাথে নিত্য নতুন ভাবে প্রতিদিনই পরিচয় হচ্ছে। এই পরিচিতিকে আমরা স্রষ্টার রহমত স্বরূপ মনে করে নিজেদের বাঙালী তেজে নিজেরা এগিয়ে যাচ্ছি।



এতোদিন আমাদের থেকে মুক্তির সুধা কারা যেনো লুকিয়ে রেখেছিল। আজ আমাদের কাছে মুক্তির সধাও আছে আবার সেই সাথে সুধা-শীরাজী দেবার লোকও আছে। সুতরাং ভয় কিসের?



বাংলায় জড়িয়ে থাকা নদীগুলোর মতোই আমাদের নারীতে বাঙালী চেতনা প্রকাশিত হচ্ছে। এই চেতনার প্রকাশ রূপকে আমরা বহুদিন ধরে দেখি নি। এবার যখন আবার সেই স্বাধীন মুক্তির পথ আমরা পেয়েছি। এখন আমরা কোনো ভাবেই তাকে হারাতে দেবো না। এই সুসংবাদ দাতাকে আমরা সবাই মান্য করে চলবো। আমাদের মাথার উপর জলন্ত সুর্যকে আমরা আর অস্বীকার করতে পারি না। আমাদের জোসনার উৎস সুন্দর নির্মল চাঁদকে আমরা অস্বীকার করতে পারি না। আমরা চন্দ্র-সুর্যের মিলন দেখতে চাই। আমাদের সেভাবেই এগোতে হবে। আমরা পৃথিবীর সব সুন্দরকে একত্র করে তারপর এই বাংলা ও বাঙালীকে সাজাবো। আমাদের মনে আজ প্রেমের আলো উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে। আমরা কখনও কোনো মানুষের অমঙ্গল চিন্তা করবো না। এবং কোনো ভাবেই – কোনো বর্তমানেই মানুষকে কষ্ট দেবো না।



আজ বাঙালী তাদের জীবন স্বাধ পেয়ে গেছে। বাঙালীরা আজ বেঁচে উঠেছে। সব ঘুমন্ত বাঙালী আজ জেগে উঠেছে। আজ সব বাঙালী একক স্বত্তাকে আবিষ্কার করে নিয়েছেন। তাঁদের এখন সুখ-শান্তি করার পালা। বাঙালী অনেক কষ্ট করেছে এবার তারা আনন্দে থাকতে চায়। নির্ভেজাল বিনোদন চায়। আসুন আমরা সবাই মিলে বাঙালীর গর্ব অনুভব করে সামনের দিকে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে চলি।



আমাদের দেশের সমস্যা আমরা নিজেরাই মিটাবো। আর কোনোদিন আমাদের ধার করা বুদ্ধি লাগবে না। ধারকরা বুদ্ধি দিয়ে আমরা আমাদের মহান নেতা দেবতা মুজিব, দেবতা জিয়া ও দেবতা তাহেরদের হারিয়েছি। আর আমরা অমন মহানদের হারাতে চাই না। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে হলেও দেশ ও বিশ্বনেতাকে রক্ষা করবো ইনসাআল্লাহ্।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.