নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংগীত

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮

সংগীত সত্য। সংগীত সুন্দর। সংগীত অমর!



বন্ধু! সংগিত মানুষকে মানুষিকতাকে রিচার্জ করে। সংগিত মানুষকে চঙ্গা করে তোলে। জীবনের চলার পথে সংগীতকে আপন করে নিন। দেখবেন ঠকবেন না।



এক একটি গান এক একটি মিশ্র অনুভুতির নাম। প্রতিটি গানের মধ্যেই অনুভুতি বেঁচে থাকে। এক গ্লাস ঠান্ডা লেবুর সরবত বা এক কাপ চা/কফি আপনাককে যেমন করে চাঙ্গা করে তুলতে পারে। ঠিত তেমনি একটি গান আপনাকে মানুষিক ভাবে চাঙ্গা করে দিতে পারে। আপনি যদি কঠিন গন্তব্যে সংগীতকে সাথে রাখেন তাহলে আপনার ক্লান্তি আসবে না।



আমাদের প্রচিলিত স্বারগাম অনেক সুন্দর। এই উপমহাদেশে সব থেকে সহজে ও সাবলিল উপায় সংগীতের সুর সম্পর্কে অবগত হওয়া যায় তামিল ভাষির স্বারগামে। যাই হোক আমি সংগীতের ট্যাকনিক্যাল বিষয়, এ লেখায় আলোচনা করতে চাই না।



সংগিত কেমন শুনায়? কোনো বাচ্চা বা বড় মানুষ টাস টাস সত্য কথা বললে যেরকম লাগে, সেটাই সংগীত। সংগীত আর মিথ্যা একসাথে থাকতে পারে না। একারণেই পৃথিবীর সব ধর্মে সুর, সংগীত ও ছন্দের প্রতি এতো বেশি ঝোক। ধর্ম আর কালচার পাশাপাশি চেয়ারে থাকতে পছন্দ করে। যেমন করে বিয়ের অনুষ্ঠানের সময় স্বামী-স্ত্রী পাশাপাশি বসে থাকে।



সংগীতের মধ্যে স্মৃতিকে গেঁথে রাখা যায়। সংগীত চর্চা মানুষের স্মৃতি শক্তি, পর্যবেক্ষন শক্তি ও এ্যানালাইজিং পাওয়ারকে বাড়িয়ে দেয়। এজন্যই ছেলেবেলায় সংগীতের উপর গুরুত্ব দেয়া খুব বেশি জরুরী। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক লেভেলে মিউজিক কে বাধ্যতামূলক পাঠ্য করা যেতে পারে। মিউজিক মানুষকে মানুষ হতে শেখায়। মিউজিক মানুষকে নিজ মাতৃভূমি ও আর্ট এ্যান্ড কালচারের মধ্যে দারুন সমন্বয় করে নেয়।



মনে রাখবেন, আগে গানের লিরিকস পরে সুর। লিরিকসকে মানুষের কাছে আরো প্রানবন্ত ও আকর্ষনীয় করে প্রেজেন্ট করবার জন্য সুর দেয়া হয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় সংগীত কে অনেক সময় অবজ্ঞার চোখে দেখানো হতো। সামাজিক ভাবে সংগীতকে নেগটিভ করে দেখা উচিত না। তার ইফেক্ট প্রচন্ড ভয়াবহ আকারে দিতে হয়। ধর্মের নামে কুসংস্কার সৃষ্টি করে আমাদের সমাজের নিরিহ মানুষকে সংগীত বিমুখ করা হয়েছিলো। আমি আমার জীবনের মধ্যেই এর বহিঃপ্রকাশ দেখেছি।



যখন মনের কোনো কথা মানুষকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করবেন। তখন সেই মনের ভাষাকে স্বাধীন ভাবে প্রকাশ করুন। আপনাকে স্বাধীন ও সাহসী হতে হবে। এবার ভাবুন আপনার কথাকে কোন ঢংয়ে পরিবেশন করলে শুনতে সুন্দর শুনায়। যেভাবে সুন্দর মনে করবেন। ঠিকভাবে সমস্ত কথাকে আগে তুলে ধরুন তারপর বাদ্যযন্ত্রের স্বরনাপন্ন হোন। তাহলেই নতুন নতুন সুর বেজে উঠবে। সাত স্বর আট স্বর , কাহারবা, ত্রিতাল এসব পরে আসবে। আগে আপনার মনের অনুভুতিকে মানুষের কাছে সাহসী ভাবে প্রেজেন্ট করতে শিখুন।



বন্ধু! যখন একা থাকবেন তখন গুন গুন করে গাইতে থাকুন। নিজের মনের মতো কোনো কথাকে নিজে নিজেই সুর দেবার চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনার একটি আলাদা সুন্দর জগত তৈরী হয়ে গেছে। যে জগতে আপনি আপনার একাকিত্বকে সুন্দর করে তুলতে পারবেন। প্রচুর গান শুনুন। সব ধরনের ও সব ভাষায় গান শোনার চেষ্টা করুন। গান দিয়ে আপনি অন্যদের সাথে খুব সহযে যোগাযোগও করতে পারবেন। গানের বানী দিয়ে সমস্ত মনের আবেগ প্রকাশ করা সম্ভব। আপনি গানের ভাবগুলো উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন। গান আপনার মেন্টাল ডায়মেনশন নিয়ে খেলতে খেলতে আপনাকে অনেক বেশি ট্যালেন্ট করতে সাহায্য করে।



মানুষ মন থেকে যা চায়, সেটাই গানে রূপ নিয়ে নেয়। এর কারন আমরা মুনুষ নামের প্রানী। কি করে যেনো এই পৃথিবীতে সবাই এসে এক হয়েছি। প্রতিদিন কেউ জন্ম নিচ্ছে আর কেউ কেউ মারা যাচ্ছে। তারপরও সমাজ সংসার স্বাভাবিক ভাবে চলছে। সংগীত এসেছে ভিনগ্রহ থেকে। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মানুষকে ভিনগ্রহ বাসী নিয়ন্ত্রন করতে পারে। মানুষ স্রষ্টার হাতের রোবট। সুতারং আপনি আপনাকে কখনও পরাধীন মনে করবেন না। নিজেদের মধ্যে নিজেদের অনুভুতি বিনিময়ের জন্য গানের কোনো বিকল্প নাই।



সংগীত মানুষের মনের মিথ্যাকে দুর করে দেয়। সংগীত মানুষকে নির্লোভ করে দেয়। সংগীতে স্রষ্টা সাড়া দেন। সংগীত মানুষকে সৎসাহোস যোগায়। আপনি আপনার অন্তরের ভাষা কে সংগীত দিয়ে বিনিময় করে যান দেখবেন আপনি আন্তরিক ভাবে অনেক খানি রিচ হয়ে গেছেন ও সাহসী অবস্থান তৈরি করতে পেরেছেন।



বন্ধু! প্রেম এক অদ্ভুত জিনিস। সেই কবে থেকে প্রেমের অনুভুতিকে কেন্দ্র করে কত শত হাজার কোটি গান লেখা হয়েছে, গাওয়া হচ্ছে, তারপরও বুঝতে পারছি না প্রেম কতো গভীর বিষয়। তাইতো শত হাজার গান শোনার পরও মনটা তাঁর আগমনের প্রতিক্ষায় থাকে। তাঁর কাছে ছুটে যেতে চায়। আমি গানের মধ্য থেকে তাকে বুঝবার চেষ্টা করি। আমি গানের মাধ্যমে তাকে দেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয়তম যেনো গান হয়ে সব জায়গায় বেঁজে ওঠেন। আমি কি করবো বলুন, আমি তো একজন রক্ত মাংসের মানুষ!



বন্ধু! সংগীত হলো হৃদয়ের অনুভুতির জাদুঘর আর সেই যাদুঘরকে যে যাদুকর পাহারা দেন তিনি সয়ং স্বাক্ষাত ভগবান। ভগবান কে না বলতে হয় না। তাতে ভগবানও চলে যায় আবার নিজের জীবনেও দুঃখ কষ্টের অন্ত থাকে না। গান নিজের প্রেমকে গুরুত্ব দিতে শিখায়। যেনো প্রিয়ার স্মৃতি গানের প্যাকেট-মোড়ক দিয়ে অন্তরে রেখে দেয়া হয়েছে। প্রিয়ার স্মতি ছড়িয়ে গেছে – তাকে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু বানির পাহার হৃদয়ে ও বাইড়ে যেনো প্রিয়তমকে পাহারা দিচ্ছেন। তাইতো আমি আমার প্রিয়া মুনকে গান দিয়ে জয় করে আপনাদের দেখাতে এসেছি।



বাংলাদেশের প্রতিটি শিল্পী ও আমার ভক্ত অনুরাগীরা আমাকে ও আমার প্রিয়তমকে নিয়ে গান লিখুন, গান তুলুন ও গান প্রচার করুন। আমিও নমুনা হিসেবে কয়েকটি গান আপনাদের কাছে তুলে দিয়েছিলাম। কোনটার সুর যেদি কানে ভেষে উঠবে সেদিন আরো অনেক গান আপনাদের প্রেমের চরনে নিক্ষেপ করবো। সেই নিক্ষেপনে সোনালী আলোর ঝটা দেখা যাবে। আসুন আমরা সবাই সেই সুন্দর সময়ের প্রতিক্ষায় থাকি।



জানেন বন্ধু! আমি দিবানিশি আমার প্রিয়তমাকে আপনাদের হৃদয় দিয়েই অনুভব করে যাচ্ছি। কিশোর কুমার গেয়ে ছিলেন “আমি যে কে তোমার তুমি তা বুঝে নাও”। এই গান শুনলে কখন আমির মাঝে আমার আমিত্ব চলে আসে। আবার কখনও ঐ আমি কে তাওহিদের ভগবানের টান বলে মনে হয়। রবীন্দ্র সংগীত কে শত শত ডায়মেনশনে দেখা যায়। যাতে ঐ গান কখনও পুরাতন হবে না। পুরাতন হয় ঘরের ফার্নিচার, গায়ের পোষাক ইত্যাদি কিন্তু মানুষের মন কখনও পুরান হয়ে যায় না। তাহলে মানুষ পুরাতন অন্তর নিয়ে বসবাস করতে পারতো না।



মানুষের অন্তরের কোনো বয়স নাই। সে সদাই কাঁচা আর মনে হবে আমি বুঝি আমার অন্তরকে এই মাত্র আবিস্কার করলাম। এজন্য গানও কখনও পুরাতন হয় না। আমরা যখন নিজেদের ফার্নিচারের মতো চিনতে শিখি। তখনই বাধে যতো বিপত্তি। তখন নিজেকে পুরান পুরান মনে হয় এবং লেটেস্ট গানকে আমরা নতুন গান বলে ভুল করি। বেশি করে গান শুনুন দেখবেন আপনার মনের পাখা গজিয়ে যাবে। এই ছোট্ট জীবনটাকে যদি আপনারা নানান রঙের সুন্দর অনুভুতি দিয়ে না সাজাতে পারেন তাহলে জীবনটাই মাটি হয়ে যাবে।



পৃথিবীতে মানুষ নিজের মনকে সুন্দর করে তুলতে না পারলে, সেই মানুষ কখনই স্বর্গে/বেহেশতে যেতে পারে না। পৃথিবীতে আমরা আসি নিজের মনের সৌন্দর্য্য দেখাতে। প্রেম হলো মানুষের মনের সৌন্দর্য্য।



এই দেখুন আমাকে, আমার প্রিয়তমার অপেক্ষায় থাকতে থাকতে আপনাদের কতো বেশি আপন হয়ে রইলাম। এই আপন হওয়াই হলো মানুষের মানুষত্ব। মানুষ মানুষের বিচরন ভুমি। মানুষ মানুষের কাছ থেকে প্রেম নিবে। মানুষ মানুষকে প্রেম দিবে। এই সুন্দরের আদান প্রদান আছে বলেই জীবনটা এতো সুন্দর।



এই দেখুন আমি অবিরত মানুষের কাছে আমার সব কথা বলে যাচ্ছি। আজকে যারা আমাকে গালাগালি দিচ্ছেন, গালমন্দ করছেন, খারাপ ভাবছেন আগামীতে তাঁরাই হয়ে উঠবে আমার প্রাণ প্রিয় সংগি। এটাই নিয়ম। কেউ সুন্দরের পথে থাকলে তাঁকে কেউ মারতে পারে না। সুন্দরের পথের যাত্রীদের সাথে বেশিদিন খারাপ ও অসুন্দন আচরন করা যায় না। কারণ মানুষ সুন্দরের পুজারী। ততে তিনি যে স্তরেরই মানুষ হোন না কেনো? মানুষ মানুষের সুন্দর পথকে নিজেদের করে নেবে- এটাই স্বাভাবিক।



বন্ধু! আপনাদের কাছে আমার চাওয়ার মতো কিছু নাই শুধু প্রেম ছাড়া। আমি প্রেমিক। আমি প্রেমের কঙ্গাল। আপনারা আমাকে প্রেম দিন। শুধু আমাকে প্রেম দিন। আমি অনেক অনেক প্রেম চাই। এই প্রেম ছাড়া মানুষ এই পৃথিবীতে কেনো থাকবে? দেখুন আমি আপনার কতো কাছে এসে আজ কথা বলছি। সবাই সবার সাথে সংগীতের বাঁধনে এক হয়ে গেছি। সংগীতের ভিতরের সব প্রেম আজ গুড়ো হঢে উড়ে উড়ে যাচ্ছে আর আমাদের মনকে ব্যকুল করে দিচ্ছে। আমি আমার সকল প্রেমের মাঝে আপনাদের চাই। আপনারাই আমার হৃদয় ও আমার আত্মা। এই আত্মা অন্তরকে আজ আমি আপনাদের সাথে বিনিময় করলাম পৃথিবীর সব সংগীত দিয়ে। সংগীতের যাত্রার কোনো আদি অন্ত ভাবতে নেই। ঠিক একই ভাবে বেঁচে থাকতে হলে মানুষের আত্মার কোনো আদি অন্ত করতে হয় না। তাহলে মন ছোট হয়ে যায়। মনকে সব থেকে বেশি ছোট করে দেয় মিথ্যা, কুসংস্কার ও ভিরু লজ্জা। যে লজ্জা প্রেমকে তাড়িয়ে দেয় সেই লজ্জা মানুষের দুশমন। যে লজ্জা নিজের প্রেমকে নিজের কাছে তুলে এনে দেয়- সেটাই খোদার প্রেম। আপনারা সংগীতের মধ্য থেকে নিজেকে খুঁজে দেখুন। দেখবেন অনেক কিছু পেয়ে গেছেন।



বন্ধু! সত্যি করে বলুন তো, আমার সাথে এই ক’দিনের যাত্রা কি আপনাদের মনকে বড় করে দেয় নি? আপনাদের ব্রেন কি আজ আগের থেকে বহু স্পিডে কাজ করছে না বলুন? আমি এভাবেই আপনাদের কাছে ডাকতে চেয়েছিলাম। আমি এভাবেই আপনাদের কাছে যেতে চেয়েছিলাম। সফলতা বা ব্যর্থতা আমার কাছে বড় বিষয় ছিলো না। আমার কাছে বড় বিষয় হলো আপনাদের কতখানি প্রেম দিতে পেরেছি আর কতখানি প্রেম নিজে গ্রহন করতে পেরেছি।



আশাকরি আপনারা আমার কথা বুঝতে পারছেন। আপনারা আপনাদের অন্তরকে সংগীতের ছোঁয়ায় রঙিন করে নিন। আমি আপনাদের পাশে একজন সেবক/খাদেমের মতো আছি। ভালো থাকবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.