নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পলিটিক্যাল ডায়ালোগ

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭

বিশ্ব পলিটিশিয়ান ভাই-বোন-বন্ধু!



আজ বিশ্ব এক নতুন পলিটিক্স দেখছে। যেখানে সবাই সবাইকে সম্মান দিতে শিখেছেন। আবোল তাবোল কথাবার্তা যেখানে কোনো স্থান নাই। পেশি শক্তির বড়াই সেই পলিটিক্সে নাই। আমি আপনাদের ঐ পথেই নিয়ে যাচ্ছি।



আজ পৃথিবী পরিবর্তন হয়ে গেছে। সমস্ত পলিটিশিয়ান আজ অকাজের নয় কাজের বানী দিচ্ছে। প্রতিটা নেতার কথা আজ মিষ্টি কথা বলতে শিখেছে। আজ সবার মাঝে বিনয় এসে গেছে। সবাই সবাইর সাথে প্রেমের সম্পর্কের মতো পবিত্র ভাবে মিলতে শিখে গেছে। এমন দিনই তো আমরা চাচ্ছিলাম।



বন্ধু! মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকে না। মানুষের কথা থেকে যায়। আমরা যদি আমাদের কথাকেই সংযত করতে না পারি- তাহলে কিসের আশায় এই মানব জনমে বেঁচে আছি?



শুধু মাত্র পলিটিশিয়ানদের বাজে উক্তির কারণে প্রতি বছর পৃথিবীতে কি পরিমান ক্ষতি হচ্ছে তা শুধু আর্থিক ক্ষতির হিসাব দিয়ে নিরূপন করা সম্ভব না।



আমাদের ভাষা আরো বেশি সাহসী ও সুন্দর হতে হবে। মনের স্পষ্ট শক্তিকেই কথায় নিয়ে আসতে হবে। বিশ্ব মিডিয়া শুধু ভালো ভালো উক্তি নিয়েই ব্যস্ত থাকবে। মিডিয়া অসুন্দর ও বাজে কথাকে সেন্সরিং করবে। যারা বাজে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে মিডিয় সোচ্চার ও একতাবদ্ধ হয়ে উঠবেন। আমি সবসময় মিডিয়াকে সুন্দর করা ও একতাবদ্ধ করতে চেয়েছি। আপনারা তা ভালোকরেই জানেন।



বন্ধু! সংসদে-পার্লামেন্টে পজিশন ও অপজিশন পলিটিক্যাল পাওয়ার থাকতে পারে। তাই বলে তাঁরা বাইড়ে বসেও যে সরকারী আর বিরোধী দল হয়ে সাপে-নেউলে সম্পর্ক তুলে ধরবে এমন কোনো কথা নেই। বিরোধী দলের অনেক সুন্দর স্পিছ উপহার দেয়ার সুযোগ থাকে। সবাই কথা বলার সময় সাবধান থাকবেন। দেখবেন রাজনীতিক সংলাপ যেনো গিবত হয়ে না যায়। কোনো অকাজের অহংকার যেনো মুল্যবান কথার মাঝে স্থান না পায়। পলিটিক্যাল ল্যাঙ্গয়েজ হবে একদম সহয, সরল, মার্জিত ও স্বভাবিক কথা। দেখা যায় এটুকু নীয়ম রক্ষা করেও অনেক পার্লামেন্টেরিয়ান কথা বলতে জানেন না। এর মুল কারন সহয, সরল, স্বাভাবিক ও বুদ্ধিদিপ্ত কথা বলতে গেলে তাঁকে নিঃসন্দেহে সৎ হতে হয়। নিজের কাজের মধ্যে ২ নম্বরি থাকলে মানুষ তা ঢাকতে পারে না। এই সব বাজে স্বভাব কথার মধ্যে ফুটে উঠবেই। তাই আমি পৃথিবীর প্রতিটা পলিটিশিয়ানদের এ ব্যাপারে খেয়াল করার জন্য বিশেষ ভাবে বলছি।



সাংবাদিকদের মনের সাথে যে কথা মিশে যাবে। সেই কথাকেই আপনারা জনগনের সামনে তুলে ধরবেন। আপনারা আপনাদের নিজস্ব ব্যক্তিত্ব ও রুচিবোধকে প্রধান্য দিন। নিজস্ব রুচিবোধ সুন্দর না হলে মিডিয়ায় তা ধরা পড়ে যায়। দেশের সাধারণ মানুষকে আপনারা বোকা ভাববেন না। যার কথা-বার্তা, আচার আচরন সুন্দর মিডিয়ায় সেসব পলিটিশিয়ানদের গুরুত্ব দিন।



পলিটিক্স এমন একটি পেশা যেখানে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহন করে এগিয়ে যেতে হয় আবার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অন্যদের শিখাতে হয়। সুতারং এমন সব মানুষদের এই পেশায় নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করুন। যাদের কথায় জনগনের শিক্ষা হতে পারে সেই সাথে নিজ এলাকার মানুষ ও নিজ দল উপকৃত হতে পারে। রাজনীতি একটি কথার বক্সের মতো। প্রথমে বক্সে কথা আটকে থাকে তারপর বক্সের বাইড়ে গিয়ে সবাইকে বিমহিত করে তোলে। যারা হালকা কথা বলেন তাদের কখনও রাজনীতিতে স্থায়ী ভাবে প্রসার হয় না। আমরা যদি আব্রাহাম লিংকন ও দেবতা মুজিবকে ফলো করি তাহলে দেখতে পাবো, এরা দু’জন কথা দিয়েই বিশ্বকে জয় করার ক্ষমতা রাখতেন। এবং তারা কখনই মিথ্যের সাথে আপোষ করেন নি। ন্যায় ন্যায্য ভাবে চলেছেন। আজ সেই মাপের পলিটিশিয়ান কোথায় হারিয়ে গেলো?



আমাদের পলিটিক্স আজ ভিষন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ শুধু মাত্র ভালো মনমানুষিকতার মানুষগুলো পলিটিক্সে ভালো অবস্থানে না আসতে পারার কারণে।



বন্ধু! মিডিয়া ডায়ালোগের ব্যপারে আমাদের সবাইকে সজাগ হতে হবে। প্রতিটা পলিটিক্যাল ও মিডিয়া পারসন ও স্পেশালিস্টদের আজ সজাগ হতে হবে। একটি কথা মিডিয়ায় প্রচুর পরিমানে জায়গা পেলেই সেই কথা দামি হয়ে যায় না। দামি কথা হলো তাই যে বর্তমানের সমস্যা ও সমাধানকে কথার মাধ্যমে চিরন্তনের বুকে স্থায়ী ভাবে গেঁথে রাখতে জানে। আপনারা আমার সব লেখা নিয়মিত পড়লে – এর সত্যতা নিজেদের কথা ও কাজ দিয়েই উপলব্ধি পারবেন। এবং আপনাদের অনেক মাম্বলিং কেঁটে যাবে।



বন্ধু! আজ বিশ্বব্যাপি বিশ্বনেতা খেতাব পাবার মানুষদের অভাব নেই। কিন্তু আদৌ কে কে আছে যাদের কথা ও কাজের মধ্যে ওরকম গভীরতা আছে? কেনো এমন হলো? পুরো বিশ্ব পলিটিক্সকে আমরা ঠিক প্লাট ফরমে নিয়ে আসতে পারি নি। অন্য পেশার বহু মানুষ আজ পলিটিশিয়ানদের উপর মতব্বারী করে চলছে। এমন অবস্থায় আজ পলিটিক্স খুব দুর্বল হয়ে উঠেছ। আমাদের আবারও সেই পলিটিক্সের প্যাঁচ গোছের নতুন স্ক্রু সেটে দিতে হবে। সেই দ্বায়িত্ব ভার আজ আমি আপনাদের হাতে তুলে দিলাম। আপনারা নিজ নিজ গুণে জ্বলে উঠুন। আমি সবসময় আপনাদের মঙ্গল কামনা করি।



আজ শুধু পলিটিক্সের জন্যই আমাদের পলিটিক্স করতে হবে। পলিটিক্স একটি মহান পেশা। এই পেশাকে আমরা আর কলঙ্কিত করতে পারি না। আমাদের সবাইকে সুস্থ্য পলিটিক্স ফিরিয়ে নিয়ে এসে সবাই কে দেখাতে হবে। আমি আপনাদের সেই পথে এসে ঐ পথেই নিয়ে যেতে এসেছি। যাতে পলিটিক্স পেশাটির পবিত্রতা বজায় থাকে। নতুবা আগামী প্রজন্মান্তরে আমাদের অবদান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। আব্রাহাম লিঙ্কন, দেবতা মুজিবের আমলে আমি জন্মাই নি। তারপরও কেনো কথায় কথায় তাঁদের নাম ভেষে ওঠে বলুন? তারা কি অনেক ধনী ছিলেন? তারা কি অনেক মোটা ছিলেন? তারা কি কুস্তিগির বা ফুটবলার ছিলেন? না বন্ধু! তাঁরা সত্যিকার অর্থেই মানুষের মঙ্গলের জন্যই উদগ্রিব থাকতেন। এভাবেই নাম ও সুনাম হয়। আপনারা ভয় পাবেন না। আপনারা ভয়কে সহজেই জয় করে নিতে পারেন।



বন্ধু! আজ বর্তমান বিশ্বে আমাদের নেতাদের কথাবার্তা ভালো না। বা প্রেজেন্টেশন সুন্দর না। আবার কিছু ব্যক্তিদের নিজ অবস্থান সম্পর্কে মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ তাই তাঁদের কথার গুরুত্বদেবার প্রয়োজন বোধ করা হয় না। একজন আইডিয়াল পলিটিশিয়ানের কথা ও কাজের মিল থাকতে হবে। শুধু মুখে বললেই হবে না। এক করে দেখাতে হবে। নতুবা কাজটি সম্পন্ন হবার আগেই সঠিক গাইডলাইন সবাইকে দিতে হবে। বুঝাতে হবে নিজের তেজ সম্পর্কে। সবার আগে একজন পলিটিশিয়ান হোক বা যে কোনো শ্রেণী পেশাই হোক না কেনো তাকে নিজের সম্পর্কে নিজের ভালো ধারনা থাকতে হবে।



বন্ধু! আমরা সবাই প্রকৃতির সন্তান। এই প্রকৃতি ও এই মহাবিশ্বের সম্পদ আমরা সকলে। আমাদের নিজেদেরকে বড় করে ভাবতে হবে। আমাদের মুক্তচিন্তার আবরন খুলে বড় থেকে বড় চিন্তাভাবনা করা শিখতে হবে। আমাদের প্রতিটা সমাজ, প্রতিটা জাতি ও প্রতিটা দেশ সম্পর্কে আমাদে সম্মুখ জ্ঞান থাকতে হবে। প্রতিটা লেভেলের মানুষদের মন মানুষিকতা আমাদের বুঝতে হবে। সবার জন্য সমান ভাবে দৃষ্টিপাত করার ক্ষমতা থাকতে হবে। যার নিজের মনের ক্ষমতা নেই তাকে কেউ ক্ষমতা দিলেও- সেটা ক্ষমতা হয় না। সেটা হয় করুনা। সত্যিকারের ক্ষমতা অর্জন করতে হয় বহু বহু ত্যাগের বিনিময়ে।



আসুন আজ আমাদের এই বর্তমান পলিটিক্সকে আরো নতুন নতুন রঙে রাঙিয়ে দেই। আমরা আমাদের মনের ভিতরের নেতাকে জাগিয়ে তুলি। আমরা সর্বদা সত্য প্রকাশের অভ্যাস গড়ে তুলি। আমরা আমাদের চরিত্র ও ব্যক্তিত্বকে কখনই নিজেদের ভুলে প্রশ্নবদ্ধ হতে দেবো না। আমাদের প্রতিটি কথা হবে দ্বায়িত্বপূর্ণ ও সাহসী সচেতন।



বন্ধু! এখন আর আমাদের পিছনের দিকে তাকানোর মতো সময় নেই। এখন আমাদের সবার এগিয়ে যাবার পালা।



এখনই আপনি নিজের কাছে নিজে প্রতিজ্ঞা করে নিন। আর কখনও মিথ্যে-বাজে-গিবত ও মুখে এক অন্তরে এক কথা বলবো না। আর আমাদের বচন ভঙ্গিকে বাচ্চাদের মতো কোমল করে তুলবো। এবং মনে মনে ঈশ্বরের মতো নির্ভয় থাকবো। আপনাদের সবার মঙ্গল কামনা করি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.