নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবারও আন্দোলন

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫

পেপার পত্রিকা ও ইন্টারনেট থেকে খবর পাচ্ছি, বি.এন.পি নাকি সরকার পতনের আন্দোলন করবেন। আন্দোলন করুন তাতে আমার কোনো অসুবিধা নেই। যদি আপনারা স্বহিংস ভাবে হিংস্রতার পথে চলে যান তখন আমার আপত্তি আছে।



এমন ভাবে আন্দোলন করবেন যাতে দেশের কোনো সাধারণ নিরিহ মানুষকে অহেতুক হয়রানীর স্বীকার না হতে হয়। কোনো প্রকার রাষ্ট্রিয় সম্পদ নষ্ট করে বা ক্ষয়ক্ষতি করে আন্দোলন করতে পারবেন না। আমাদের এই নিরিহ বাঙালী জাতের উপর বিনাদোষে বহু বিপদ এসেছিল আমরা আর কোনো বিপদ চাই না। তাই আমি আপনাদের সতর্ক করে দিলাম।



বন্ধু! বি.এন.পি. ও বিরোধী দল সমূহ মিডিয়ায় যতোখানি কাভারেজ পাবার কথা, সে পরিমান কভারেজ তাদের দেয়া হচ্ছে না। বি.এন.পি. ও ১৪ দলকে যতখানী চৌকশ হওয়া উচিৎ ছিলো তারা ততোখানি চৌকশের পরিচয় দিতে পারে নি। হারার আগেই কেউ যদি হেরে যায় তখন আর কি করার থাকে। হারা আগেই যদি আপনি হেরে যান। তারপর যদি জিৎ আসে, তাহলে সেই বিজয় হলো পরাজয়ের বাল্যবন্ধু! আপনাদের সাহোসী হতে হবে।



প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আপনাদের আন্দোলন কিসের? আপনাদের আন্দোলন হবে অন্যায্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আপনাদের লড়াই হবে বি.এন.পি কর্মিদের জন্যই শুধু না। আপনাদের লড়াই হবে সমস্ত মানুষের অধীকার আদায়ের জন্য।



আপনাদের বুঝতে হবে, গণ আন্দোলন মুলত একটি বড় টিমওয়ার্ক। দুর্বল পলিটিক্যাল পার্টি কখনও বড় আন্দোলন করতে পারে না। দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের জনমানুষকে গুরুত্ব দিতে হবে। নিজেদের মধ্য আইডিয়া ডেভেলপ করতে হবে। পলিটিক্যাল কৃয়েটিভ মানুষদের মেধা বুঝতে হবে। পলিটিক্যাল পার্টির ম্যানেজমেন্ট সুন্দর ও স্বাভাবিক হতে হবে। তারপর আসবে আন্দোলন। হুজুগে একদিকে না বুঝেই ঝুকে পড়ার নাম আর যাই হোক – তা মানুষের অধীকার আদায়ের আন্দোলন না।



দেখুন বন্ধু! রাজনীতিক ইস্যু বা জনগনের সমস্যা বেড় করার জন্য স্টাডি প্রয়োজন। আন্তরিকতা প্রয়োজন। দেখার মতো চোখ দরকার। একটি অপজিশন পার্টি যে শুধু দেশের মধ্য থেকেই এজেন্ডা বেড় করবে এমন কোনো কথা নেই। ইন্টারন্যাশনাল সুবিধা-অসুবিধা নিয়েও আন্দোলন করা যায়। আবার ছোট বিষয়কেও অনেক বড় করে দেখতে হয়। আপনাদের চোখ থাকবে আকাশ থেকে বাথরুম পর্যন্ত বিস্তৃত।



বাথরুমের নাম যখন চলে এলো, তখন একটু বলে নেই। আমাদের দেশে ও পুর পৃথিবীতে প্রতিদিন কতোজন মানুষ রাথরুমে আছাড় খেয়ে পড়ে যায়? শারিরিক অসুস্থতা তো আছেই সেই সাথে প্রতি বছর কত মানুষ বাথরুমে আছাড় খেয়ে প্রান হারাচ্ছে? কেনো এতো মানুষ প্রতিবছর বাথরুমে পড়ে যাবে?



এই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ বাথরুমের ফ্লোরে পিচ্ছিল, প্লেন ও ঝকঝকে-তকতকে বাহারি টালইলস লাগানো। যে কোনো ভাবেই হোক আমাদের বাথরুমের ফ্লোর পিচ্ছিল মুক্ত করতে হবে। আমরা ঝকঝকে পিচ্ছিল টাইলস কে নিজের বাথরুমে আর বসাবো না। প্রয়োজনে রাস্ট্রকে আইন করতে বাধ্য করা হবে যে, বাথরুমের ফ্লোরে পিচ্ছিল টাইলস বসানো যাবে না। খসখসে, কামড়শীল, অপিচ্ছিল বস্তু দিয়ে বাথরুমের ফ্লোর করতে হবে। বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা (ডব্লুউ, এইচ, ও) কে এই বাথরুমে মানুষ আছাড় খাওয়ার প্রশ্নে এগিয়ে আসতে হবে। জনগনকে পিচ্ছিল প্লেন টাইলস বসানো থেকে বেড় করে নিয়ে আসতে হবে। টাইলস এর দোকান কোনোভাবেই বাথরুমের ফ্লোরে প্লেন টাইলস বসানো থেকে জনগনকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। অবশ্যই বাথরুমের ফ্লোর খসখসে বস্তু দিয়ে সাজাতে বাধ্য করতে হবে।



বি.এন.পি. যখন তিস্তার বাধ ও দেশের পানি সমস্যা নিয়ে আন্দোলন/রোড মার্চ করেন, তখন আমি বেশ খুশি হয়েছিলাম। আসলে জনগনের সমস্যাকে আগে বেড় করে নিয়ে আসতে হবে। প্রতিদিন সরকার প্রধানের বিরুদ্ধে একথা-সেকথা-অন্যকথা ও মিথ্যেকথা বলা বিরোধীদলের কাজ না। বিরোধী দলে যারা আইডিয়াবাজ লিডার আছে তাঁদের থেকে বিভিন্ন আইডিয়া গ্রহন করুন। সেই আইডিয়া গুলো থেকে আন্দোলনের ইস্যু বেড় করুন। তারপর তা জনগনের সামনে নিয়ে আসুন। যে ইস্যু নিয়ে ঘর ছেড়ে রাস্তায় আন্দলোন করবেন , সেই প্রশ্নে আর পিছপা হবেন না।



বর্তমানে বাংলাদেশ কেনো সব দেশেই সরকার পতনের আন্দোলন করা নেহাতি হাস্যকর শুনায়। একটি প্রতিষ্ঠিত সরকারকে এভাবে গদি থেকে নামানো যায় না। এজন্য বার বার সরকার পতন শব্দটি ব্যবহার করতে হয় না। তাহলে নিজেদের দলের ওয়েট কমে যায় এবং জনগনের চাওয়া ও পাওয়ার মধ্যে বিশাল গ্যাপ সৃষ্টি হয়ে- দলের প্রসার কমে যায়। দল দুর্বল হয়ে পড়ে। বিনাদোষে সরকারি দল যদি বিরোধী দলের নেতাদের আটকে রাখে- তা গুরুতর অন্যায় ও মানবতা বিরোধী ব্যাপার। বিরোধি দল এই নিয়ে এজেন্ডা তৈরি করতে পারে। এবং বিরোধি দলকেও বুঝতে হবে তারা আসলে কার জন্য আন্দোলন করছেন। যার জন্য আন্দোলন করছেন, সেই ব্যক্তি আসল দলের জন্য কতটা দরকার ও দলের প্রতি কতটা অনুগত।



বন্ধু! দিনের পর দিন চলে যাচ্ছে। টাইম মেশিনের থেকেও বেশি স্পিডে জীবনের দিন গুলো পাড় হচ্ছে। আমাদের বিরোধী দলরা দিনের সাথে নিজেদেরকে আপগ্রেড করতে পারছে না। এটা খুবই দুঃখ জনক ব্যাপার। আসলে আজকের ওয়ার্ল্ড পলিটিক্স খুব বেশি দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিশ্ব পলিটিক্স একটি খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যচ্ছে। ভালো মানের লিডার তৈরি হচ্ছে না। এটা খুব বড় একটি সমস্যা। আমি আপনাদের বার বার তাগিদ দেই, তারপরও আপনারা এই দুর্বল মানুষটির কথায় কর্নপাত করেন না। আমার আইডিয়া কাজে লাগানো ছাড়া আপনারা কিভাবে পলিটিক্স কে উন্নত করবেন? এই মুহুর্তে জগতে আমার থেকে ইম্পর্টেন্ট পলিটিশিয়ান আর কে কে আছে? আমার কথা আপনাদের অবশ্যই শুনতে হবে। সরকারি দল আর বিরোধী দলের তফাৎ আমার কাছে কখনও ছিলো না। আমি শুধু আপনাদের মঙ্গলকর পলিটিক্সের কথা বলে চলছি। আমি চাই আপনারা আপনার স্বপেশায় স্বধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ পান। আপনারা ভালো থাকলেই আমার ভালো থাকা।



বন্ধু! শুধু প্রধান বিরোধি দলই নয়। একটি দেশের ছোট বড় সব দলেরই আন্দোলন করার অধীকার আছে। তাই বলে সেই আন্দোলনে সরাকারি সম্পদ নষ্ট হতে দেয়া যায় না। পলিটিশিয়ানদের কথা বার্তা চালচলন হতে হবে ওয়েটফুল ও স্ট্রং পারসোনালিটি সমৃদ্ধ। তাদের দেখেই মানুষ তাদের প্রেমে পড়ে যাবে। নিজেরা তাঁদের সম্মান করবে ও অন্য মানুষদেরও তাঁদের আদর্শে দিক্ষিত হতে বলবে। আমি আপনাদের আগেও পলিটিক্যাল ডায়ালোগ ও ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কথা বলে, আপনাদের সত্যিকারের পলিটিক্স শিখাতে চেয়েছি। আমি চাই আপনাদের সবাই কে সত্যিকার অর্থ মুক্তি দিতে। আপনারা যদি আমার কথায় যুক্তি খুঁজতে খুঁজতে দিন পার করেন তাহলে আমার আদর্শকে কিভাবে বিকাশিত করবেন? আমার আইডিয়ালিটি ও কৃয়েশন কে কিভাবে বিশ্বদরবারে দ্রুত জাগ্রত করবেন?



বন্ধু! এখনো সময় আছে আপনারা ভালো হয়ে যান। নিজেদের সত্য মঙ্গল নিজেরা খোঁজার মতো সামর্থ লাভ করুন। নিজেদের অনেক বড় উচ্চতায় নিয়ে যান। বর্তমান পঙ্গু ও প্রতিবন্ধি বিশ্ব পলিটিক্সকে আপনারা বাঁচান। দেশের জন্য ও দেশের মানুষের জন্য নিজের মনের সব প্রেম ঢেলে দিয়ে সামনে এগিয়ে চলুন।



আমি আপনাদের সবাইকে উপকার করতে চাই। এজন্যই আমি সব পলিটিক্যাল দলের মানুষ হয়ে গেছি। যখন যাকে সুন্দর লাগে তার কথা তুলে ধরতে চেষ্টা করি আবার যখন যাকে বিরক্ত লাগে – তার বিরক্তিকে মুছে দিয়ে শান্তিময় হবার জন্য গাইড লাইন দিয়ে দেই। তাতে আমার যদি অপরাধ হয় হোক। আপনাদের মঙ্গলের জন্য আমি সব বাজে মিথ্যে অপবাদ ও শাস্তি মাথায় নিতে সবসময় প্রস্তুত ছিলাম ও এখনও আছি, থাকবো।



সরকারি দল, বিরোধী দল, প্রতিবেশি দল সবাই মিলে নিজেদের মধ্যে একটি অদৃশ্য ঐক্য নিয়ে আসুন। রাষ্ট্রিয় পলিটিক্সকে রক্ষা করুন ও নিজেদের হাতে সব কাজের নিয়ন্ত্রন রাখুন। এই নিয়ন্ত্রন ভার এদিক সেদিক হলেই তখন একটি জাতির জীবনে দুর্যোগ নেমে আসতে পারে।



স্বাধীন বাংলায় বসে সংঘাতপুর্ণ আন্দোলন করা তো বহু দুরের ব্যপার। কেউ এই সব বাজে কথা মুখেও নিয়ে আসতে পারবেন না। আমরা আর কোনো সংঘাত চাই না। আমরা চাই শান্তি ও নিরিবিলি নিজেদের মতো স্বাধীন পরিবেশ।



এই দেশে আর কোনোদিন যেনো কোনো হরতাল/অবরোধের নাম করে মানুষ পোড়ানো না হয়। আমি আপনাদের সাবধান করে দিলাম। আমি সংঘাত বন্ধ করার জন্য নিয়মিত আপনাদের উপরে লেগে আছি আর আপনারা কোন সাহসে আবারও সংঘাত পরিস্থিতির কথা কল্পনায় নিয়ে আসেন?



বন্ধু! এই বাংলা আমাদের। আমাদের প্রতিটা মানুষের মানইজ্জতের সাথে এই বাংলার মানইজ্জত জড়িত। আমাদের এই ছোট্ট মানব জীবনে আমরা যদি ক্ষমতার জন্য সংঘাতই করে বেড়াই তাহলে আনন্দ করবো কখন। আমরা চাই নির্মল পরিবেশে থেকে অফুরন্ত আনন্দ।



আমি চাই প্রেম। আমাকে আপনারা প্রেম দিন। আমি প্রেমের মধ্যে সবসময় ডুবে থাকতে চাই। এই একাকি জীবন আর ভালোলাগে না। আমার জীবন অবশ্যই প্রেমময় হতে হবে। আমি জানি প্রিয়জন দুরে চলে যাবার জ্বালা কতো কষ্টের। আমি রাজনিতিক অধিকার চাই না, আমি চাই প্রেমের অধিকার। কারণ আমার প্রেমের অধিকার থাকলে রাজনীতি এমনিতেই সুন্দর থেকে সুন্দরতর হয়ে মহাসুন্দর হতে বাধ্য।



ভালো থাকবেন। আপনাদের সবার চির মঙ্গল কামনা করছি।



https://www.facebook.com/asif.ud

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.