নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় শোক দিবস, তোমার রাসেল বলছি!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯

আজ ৩৯বছর হয়ে গেলো। এতো বছর পর আজ তোমার শোক দিবসে আমি কথা বলছি। আজ আমি আসিফ নয় আজ আমি তোমার রাসেল হিসেবে জাতির সামনে কথা বলছি।



পিতা সেদিন আমার কিছু করার ছিলো না। দেখো পিতা আজ আমার দিকে তাকিয়ে মৃত্যুও লজ্জা পাচ্ছে। কেমন করে সেদিন বাঙালীর দেবতাকে মার্ডার করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। দেবতা কখনও মরে না। তারা থাকেন দেবলোকে। আমি তোমাদের দেবলোক থেকে এসেছি পিতা। আজ আমি বলছি সবাই শুনছে।



আজকের দিন সত্যের দিন। আজকের দিন সুন্দরের জয়ের দিন। আজ আমি সেই দুর্বল রাসেল নই। আমি করে দেখিয়েছি পিতা। আমার বড় বোনের দুঃসময়ে ও চরম একাকিত্বের দিনে আমি ছুটে এসেছিলাম পিতা। বিশ্বের বাঘা বাঘা পলিটিশিয়ানদের সাথে লড়ে আমি আমার বোনের হাতে তোমার স্বপ্নের দেশকে তুলে দিয়েছিলাম। আজও আমি তোমার আদর্শ ও চেতনাকে মনের গভীরে পরম যত্নে লালন করে চলছি। তোমার চেতনাকে আজ বিশ্বপতাকার মতো আমি মেলে ধরেছি।



তোমাকে এভাবে করুন মৃত্যুর মধ্য থেকে চলে যেতে হয়েছিলো বলে এই জাতির কপালে অনেক দুঃখ কষ্ট এসেছিলো। এই বাঙালী জাতি কোনোকিছু না বুঝেই বহু দিনের বহু বাজে নষ্ট বোঝা মাথায় নিয়েছিলো।



পিতা তোমার মতো এমন লিডার আর কখনও আসবে না। আমি তোমার আদরের সন্তান রাসেল হিসেবে তোমার কথাই শুধু অন্যদের জানাই। আমি আমার বোনকে রক্ষা করেছি। আমার বড় বোন এখন দেশ পরিচালনা করছেন। অনেক শত্রু মিত্র আমি তাকে নিজ হাত দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি। আমাদের এই ভাই-বোনদের উপরে তোমার অদৃশ্য আগমন আছে বলেই আজও তোমার আশির্বাদ ধ্বনি কে অচেনা মনে হয় না। তুমি এমন এক মুক্তচিন্তাময় স্বাধীনতার গন্ধ দিয়ে গেলে যা আজও বাঙালীর প্রাণে দিবানিশি দোলা দিচ্ছে।



আজ আমার ভাষা ফিরে পেয়েছি পিতা। সেদিন ১৯৭৫ইং সালের ১৫ আগষ্ট ধানমন্ডি ৩২নং এর বাড়িতে যারা গার্ড হিসাবে ছিলো তারাও পালিয়ে গিয়েছিলো পিতা। তারা পুর্বদিক থেকে সোজা মিরপুর রোডে পালিয়ে যায়। তুমি যাদের এতো ভালোবাসতে, এতো আপন করে নিয়েছিলো। মা যাদের সন্তান ও ছোট ভাইদের মতো আদর করতো তারাও সেদিন তোমার আমার সাথে বেঈমানী করেছিলো পিতা! এই দুঃখ আমি কার কাছে বলবো পিতা।



আজ আমার বলার দিন হয়েছে বলে, প্রকাশ করে দিলাম। আমি তোমার রাসেল পিতা। আমি আবারও এসেছি। শুধু মাত্র তুমি এই অভাগা বাঙালী জাতটিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলে বলে আমি এসেছি। আমি তোমার আধুরি স্বপ্নকে পুরো করবার জন্যই এসেছিলাম।



আজকের এই শোক দিবসে আমি খুব বেশি আনন্দিত পিতা। কারণ এত সমৃদ্ধ শোক দিবস আর কখনই আমারা পালন করতে ও উপলব্ধি করতে পারি নি। তোমার গাইড লাইন নিয়ে এখনও কাজ করছি পিতা।



সেদিন তোমাকে তোমার রাসেল বাঁচাতে পারে নি। তখন রাসেল ছোট ছিলো। আজ তোমার রাসেল কে তুমি ক্ষমা করো। তোমার রাসেল আজ বড় হয়েই মুখ খুলেছিলো। তোমার সব স্বপ্নকে বাস্তবায়ন না করে তোমার রাসেন আর বাজে রাইফেলের গুলির ধাক্কায় হারিয়ে যাবে না। সে আজ অনেক বেশি শক্তিশালি।



আমাকে তুমি মাফ করে দিও পিতা। তোমার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে তুমি পাশে থেকো পিতা। যেমন ভাবে তুমি আমার সারাজীবন পাশে ছিলে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.