নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এমন মধুর ১৬আগস্ট কি আর এসেছিলো?

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০

৩৯বছর আগে ১৯৭৫ইং সালের ১৬ই আগস্ট সমস্ত বাঙালী জাতি অবাক হয়ে গিয়েছিলো। একি হলো একটি দেশের স্থপতি কে এভাবে মেরে ফেলাও সম্ভব? বিশ্ব বিবেক তখন কোথায় ছিলো? সেনাবাহিনীর অবস্থান সেদিন কোনদিকে ছিলো? ভারতের অবস্থান সেদিন কোনদিকে ছিলো? মুসলিম বিশ্বের অবস্থান সেদিন কোন দিকে ছিলো? এমেরিকান কংগ্রেস ম্যানদের অবস্থান সেদিন কোনদিকে ছিলো? জাতিসংঘ তখন কি করেছিলো?



সেদিন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্য ছোট ছোট প্রতিরোধ গড়ে ওঠবার চেষ্টা হয়েছিলো। সত্যিকারের নেতা ও সঠিক নেতৃত্বর অভাবে সেদিন কোনো প্রতিরোধই বাংলাদেশ কে আসল শান্তির পথে নিতে সক্ষম হয় নি। বাঙালী এমন একটি সরল সোজা জাতি তারা খুব সহজেই নিজের নারীর ইতিহাস ভুলে গিয়ে মুখ হাসি হাসি করে রাখে। আজ হাসির দিন হলে হতে পারে। কিন্তু সেদিন যারা বাঙালীর হাসি আনন্দকে কেড়ে নিয়েছিলো –সেই সব কুলঙ্গারদের কিভাবে ভুলে যাই বলুন?



১৯৭৫ইং সালের ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত যে শান্তির পথে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে, শত দুঃখ কষ্টের মধ্যেও এগিয়ে চলেছিলো আজ সেই কথা তখনকার মানুষ গুলোর ঠিকই মনে আছে। আজ আমি সেই দিনের সেই অন্তরপোড়া মানুষদের আমার পক্ষ থেকে তিব্র নমস্কার জ্ঞাপন করবো। আমার তখন জন্ম হয় নি। তারপরও আমি ১৫ আগষ্ট এলেই সেই দিনের ছোট ছোট প্রতিরোধ গড়তে যাওয়া মানুষদের শ্রদ্ধা চিত্তে স্মরন করেছিলাম। আমি তাঁদের কষ্টের মধ্য দিয়ে নিজের কষ্টকে অনুধাবন করেছিলাম। আজও আমার অন্তর ১৫আগস্ট ১৯৭৫ইং এর কথা শুনলে পুরে পুরে ওঠে। কেনো সেদিন কোনো বিদেশী শক্তি বাংলার মানুষের কাছে এসে পজেটিভ অর্থে দাঁড়ায় নি? আজ যদি আমার হাসু আপুর কিছু হয়, তখন কি আসলেই আমাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ আছে? এই কথা ভেবে আমি আমার, আমার পরিবার ও হাসু আপুর স্থায়ী নিরাপত্তা জোড়দার করার জন্য সরকারের নিকট বলছি। আমরা জনগনের জন্য কাজ করছি। আমরা দেশের জন্য কাজ করছি। আমাদের নিরাপত্তা দেশ দেবে। কোনো আমলাদের প্রটোকলে আমার নিরাপত্তার দরকার নেই। ১৯৭৫ইং সালে ১৫আগষ্ট পরবর্তি সময়ে আমলারা কি এমন করতে পেরেছিলো?



যাকগে, পুরান কথা উঠালে অনেক কথা। আজ আমি সে বিষয়ে যেতে চাই না। সেদিন যে নেতারা নিজেদের অভিভাবকহীন বলে লজ্জ্বায় পালিয়েছিলের তারা এখনও সরকার ও দলের চরম সুখের সময় এসে বল্লার মতো আনন্দচিত্তে মধু খেতে কোনো কার্পন্য বোধ করেন না। তারা আজ নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে, নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড়া করিয়ে, নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন। কি উত্তর পান তা আমাদের জানান। সবকিছু আমরা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছিলাম। তারপরও আজও আপনাদের অহামিকা ও মিথ্যে ক্ষমতার দম্ভ মোটেও কমেনি বরং বেড়েছে।



আজ আপনাদের মন দিয়েই আপনারা এই আসিফ এর চোখের দিকে তাকিয়ে সব বুঝে নিন। আমি চাইনা বাংলায় আর কোনো ১৫আগস্ট কোনোদিন আসুক। আমি চাইনা আরকোনো হাসু ও রেহানার মন তুষের আগুনের মতো যুগের পর যুগ জ্বলতে থাকুক। কি বুঝবেন সেই জ্বালার?



আমি বহু দুরের মানুষ হয়েও আজও সেই তুষের আগুনে নিজে জ্বলে পুরে মরছি। আমি নিজেকে রাসেল জ্ঞান করে শুধু পিতা-মাতা-ভাই-বোনদের কাছে মিনতি ভরা ভঙ্গিতে ক্ষমাই শুধু চেয়েছি। কিছু পাবার নেই আমার। আমি আমার পিতার কাছ থেকে ত্যাগটুকু নিতে পেরেছি তাতেই আমি ধন্য। এতো নামধাম আমার দরকার নাই। আমি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের তোষামোদকারি মোসাহেব হয়ে জন্মা জন্মান্তর বাঁচতে চাই নি। আমি যে কদিন বাঁচবো, সে কদিন আমি রয়েল বেঙ্গল টাইগার হিসেবে সবার উপরে সুন্দর বনের রাজা হয়েই বেঁচে থাকবো। আমার বোন হাসু আপাকে আমি ওপেন সেল্টার দিয়ে যাবো। এই দেশের উন্নতি ও প্রগতির প্রশ্নে আমি আমার প্রেমিকা ও বোনদের সাথেও আপোষ করি না। সব গেলে সব যাক। তবুও যেনো আমার বাংলার মানুষ সুখে থাকে। আমরা বাংলার মানুষ যেনো প্রাণভরে স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে- এটাই আমার মহাসাধনা।



আপনাদের ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স বুঝতে হবে। আপনাদের বুঝতে হবে যে, আজ যদি আজকের দিনে আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা না করি তাহলে আগামীকাল কোনোভাবেই শান্তি আসবে না। এই অদম্য কর্মস্পৃহাই আমাকে আপনাদের সামনে প্রতিদিন লেখা আকারে নিয়ে আসে। আমি নিজের সুখে কিছুই লিখি না। আমি আপনাদের অন্তরের প্রেম ও নিজেদের কাজের আসল মর্ম বোঝাতে চাই বলেই, এভাবে দিনের পর দিন আপনাদের সামনে কথা বলে যাচ্ছি।



আজ চোখ দিন বাংলার দিকে। দেখুন আমার বাংলা আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আমার বাঙালী আজ বহুবছর পরে আনন্দ যাত্রার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ ৮(আট) মাস ধরে দেশ থেকে হরতাল-অবরোধ উঠে গেছে। সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তারা নির্বিঘ্নে অফিস আদালত করতে পারছেন। দেশের ক্ষুদ্র শ্রমিকরা আর হরতাল অবরোধের কারনে কাজ বঞ্চিত হচ্ছে না। আমার বোন হাসু আপা বিভিন্ন ধরনের ভিষন ঘোষনা করে রাজনীতিক স্বার্থ নিতে চেষ্টা করছে। আমি কোনো ভিষন মানছি না। আমি আগামী ২ (দুই) বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমির প্রথম ১০টি রাষ্ট্রের মধ্য নিয়ে যাবার জন্য আপনাদের নিয়েই জোড়ালো চেষ্টা চালাচ্ছি। আপনারা শুধু আমাকে একটু সাহায্য করুন। আমার কথাগুলো সাথে সাথে শুনুন ও মানুন। যা ক্ষতি হবার হয়ে গেছে এবার আমরা দেশটাকে গুছিয়ে একেবারে ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডের মতো করে ফেলবো। আমাদের ইচ্ছাশক্তি তিব্র থেকে তিব্রতর হলে আমার দেয়া ওয়াদা রক্ষা করা মোটেও কঠিন কিছু না।



আজ দেখুন বন্ধু! দেশের মধ্যে অনেক অনাচার স্মরন কালের মধ্যে সর্বোচ্চ রকম ভাবে কমে গেছে। লুট-গুম-হত্যা বেড়ে গিয়েও আজ তা আবার লিমিটের মধ্যে চলে এসেছে। আমি আপনাদের মনে দাগ কাঁটার জন্যই এই কথাগুলো এমন ভাবে লিখে বেড়াই। এখন হয়তো আপনাদের বুঝতে বাকি নেই যে, একটি জাতির দৃষ্ট্রিভঙ্গি কিভাবে সুন্দর তেজময় হয়ে ওঠে। একটি মানুষ কিভাবে একটি দেশের সবার কর্নধার হয়ে ওঠে। একটি মানুষ কিভাবে একটি দেশ হয়ে ওঠে। আমি আপনাদের শুধু দেখাতে এসেছি যাতে আপনারা এতো সুন্দর সুযোগের মধ্যে থেকেও যাতে ডিপ্রিশন ও টেনশনে না ভোগেন। আপনাদের চিন্তাশক্তিকে আমি বিকাশিত করার চেষ্টা করেছি। দরকার নেই আমার নাম কামের। যে দেশের জাতির পিতা ও একজন বিশ্বনেতাকে কাপড় কাচা সবার দিয়ে মৃত্যুর পর শেষ গোছল করাতে হয়, সেই দেশ ও দেশের মানুষের কথা বলে আমি কি পাবো তা আমাকে আর আপনাদের শিখিয়ে দিতে হবে না। আমি কষ্ট বুক পেতে গ্রহন করার জন্যই এসেছি। যাতে আপনাদের কষ্ট না হয়।



১৯৭৫ইং এর ১৫আগস্টের ঘটনার পরপরই যদি দেশি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা ও মিত্র শক্তি গুলো এমন বেঈমানের মতো আচরন করতে পারে তাহলে আজ আমি বা আমার বোন হাসু আপা মারা গেলে কে কি করতে পারে তা আমাদের জানা হয়ে আছে।



এজন্যই বলি, আমার বাংলাদেশের পলিটিক্সে আর কোনোদিন কোনো বিদেশি শক্তির বাজে ভাবে ইন্টারফেয়ার করার সুযোগ দেয়া হবে না। যতোবার তোমরা আমার দেশ নিয়ে খেলা করার চেষ্টা করবে ততোবারই আমি ভিন্ন ভিন্ন রূপে তোমাদের সামনে হাজির হবো ও দেখিয়ে দেবো আলৌকিকতা কাকে বলে। আমার দেশ নিয়ে যারা মাদবরি করবা আমিও তোমাদের দেশ নিয়ে মাতবরি করে তার জবাব তোমাদের অন্তরের মধ্য থেকেই দিয়ে দেবো। যারা বোঝার তারা আমার এই কথা বুঝে নাও।



আমি চেষ্টা করেছি বন্ধু! আমার কি চাওয়ার ছিলো আপনাদের কাছে? তেমন কিছুই না। তারপরও আমি আমার নিজ দ্বায়িত্বে আপনাদের দ্বায়িত্বকে নিজের কাধে তুলে নিয়েছিলাম। দুনিয়ার কারও প্রতি আমার কোনো ব্যক্তিগত ক্ষোভ নেই। আমার দেশের স্বার্থে আমি সবকিছু করতে পারি। একথা আজ আমি মুখে বলছি না। এই কথার সত্যতা আমি আপনাদের দেখিয়ে দিয়েছি। যার ইতিহাস মহাকাল তার আপন ঘারে তুলে লালন পালন করে চিরজীবিত করে রেখেছেন। আজকের এই কথা আমার ডিসিসনের জবাব রূপে আপনাদের কাছেই থেকে যাবে। আমি আপনাদের কাছে শুধু দিতে এসেছি। এই দেবার কোনো অন্ত নেই। কারণ আমি দলমত, জাতিগোত্র, ধর্মঅধর্ম ভেদে সব মানুষকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতে জানি। আমি আমার প্রেম ছড়িয়ে সবার মনকে আমার কাছে নিয়ে আসতে জানি। আমি আমার হৃদয়ের প্রেমের টান দিয়ে আপনার অন্তরের খুব কাছে থেকে আপনার মনের সাথে নিজে মনকে মিলাতে জানি। আমি আর আপনার মধ্যে আমার কাছে কোনো ভেদাভেদ আমি করি নাই।



আজকের মতো এতো সুন্দর একটি ১৬আগষ্ট আর কবে এসেছিলো? অনেক দিনের হরতাল, অবরোধ, বিদেশি শক্তি প্লান মতো ঝামেলা নিয়ে আমরা অনগ্রসর জাতি হিসেবে বিনাদোষে দুর্নাম কামিয়ে ছিলাম। আজ আমি স্পষ্ট ভাবে সকল রাজনীতিবিদ ও মিডিয়া স্পেশালিস্টদের বলতে চাই, আপনারা আপনাদের কথাবার্তা ঠিক করুন। আপনাদের মনে সংকোচ থাকলে আমার ভাষা থেকে আপনারা শিক্ষা নিন। তারপর জনগনের সামনে বক্তৃতা দিন। আমি আপনাদের সামনে বক্তিৃতার পর বক্তৃতা দিয়ে নিজের নাম কামাতে আসি নি। আমি আপনাদের বক্তৃতা শিখাতে এসেছি। আমার কাছ থেকে আজ শিখে নিন। লিখে নিন ও বুঝে নিন। নিজেদের চিন্তা শক্তি দিয়ে ভেবেচিন্তে দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নের কাজে নিজেদের নিয়োজিত করুন।



বিশ্বাস করুন বন্ধু! আমি কোনো দলীয় পলিটিক্স কখনও করিনি। আজ যদি আমার পলিটিক্স করার মতো উপায় থাকতো তাহলে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লিগের ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করতাম। যাতে দলের মধ্যে আওয়ামীলীগ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে। তবুও আমি যেসব সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে রেখেছি তা সব রাজনিতিক দলের জন্যই প্রযোজ্য। আপনারা শুধু সেই পথে এগিয়ে যাবেন। প্রতিটা দলের অভ্যন্তরিন পরিবেশ উন্নত করুন। একটা দিনের অনেক দাম। দ্রুত কাজ করতে হবে। নিজেদের দলগুলোর ইন্টারনাল ম্যানেজমেন্টকে গতি দিন ও জীবন্ত করে তুলুন। দল উন্নত হলে দেশ উন্নত হতে বাধ্য। আগে দলের গনতন্ত্র ও সততা তারপর দেশের শান্তি ও প্রগতি আসে। এ আমার মুখের কথা না, একথা প্রমানিত সত্য কথা।



আজ বাংলাদেশে বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড কমে গেছে। আজ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা স্মরন কালের মধ্যে বেড়েছে। আমাদের অর্থনীতি আজ সোজা লম্বর মতো করে উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে। আমাদের শেয়ার বাজার এখন একটি পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। তারপরও পিছনের ঠকবাজদের আমরা ছাড়বো না। যারা এই দেশ ও দেশের মানুষের উন্নতির প্রশ্নে বাধা ছিলো তাদের আমরা উকুনের মতো ধরে হাতের বুড়ো আঙ্গুলের নখে তুলে এনে ঠাস ঠুস শব্দে মেরে ফেলবো। কোনো অন্যায়ের শাস্তি দিতে ও সঠিক তদন্ত করতে আমরা পিছপা হবো না।



প্রিয় পলিটিশিয়ান বন্ধুগন! আমি আপনাদের যেভাবে ঘুম ভাঙাতে চাই আপনারা সেই ভাবেই ঘুম থেকে জেগে উঠুন। নিজেকে উপলব্ধি করুন। নিজের সর্বোচ্চ শক্তিকে একটি কেন্দ্রে একভিতো করুন। দেখবেন আপনি এমন কিছু দিতে পেরেছেন যা আপনি নিজেও কখনও ভাবেন নি। আমাদের ব্লাক মানি কামানোর ধান্ধাকে কমাতে হবে। আমাদের রাজনীতির নামে হয়রানী কে না বলতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিত্বকে পাহাড় সম উচু করতে হবে। আমাদের সকল প্রকার তোষামদি ও চাটুকারিতা থেকে বেড় হতে হবে। আমাদের জনগনের সাথে সরাসরি মেশার ক্ষমতা থাকতে হবে। পিএস-এপিএস দিয়ে রাজনীতি করে নিজেকে জনগনের সামনে ঘুসখোর ও খারাপ বলে পরিচিত করে তোলার দিন কে বাই জানাতে হবে।



মনে করবেন, রাষ্ট্রের একটি দুরারোগ্য রোগ হয়েছিলো। কারও ট্রিটমেন্টে দেশ ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গতকালের থেকে আজকের দিনের দেশের শরীর কিছুটা ভালো। আগামী দিন দেশ আরো সুস্থ্য হবে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করবে। আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে পজেটিভ। প্রতিটা সেক্টরে আপনাদের মন মানুষিকতা এমন করে তৈরি করে নিন।



বন্ধু! আজকের দিনকে আজই গুরুত্ব দিবেন। আজকে যে সমস্যা আপনার হাতের কাছে আছে। তা আজই সমাধান করার চেষ্টা করুন। কালকের জন্য কিছু জোড় করে রাখবেন না। একটি জাতি এভাবেই উপরে ওঠে। আমার আগমনের পর এই আট মাসে আমরা কি অনেক পরিবর্তিত হই নি? আমরা কি আজ আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না বলুন? তাহলে আপনারা কি নিয়ে হতাশ হবেন? হতাশ হবার কিছু নাই। এখন থেকে দেশ এভাবেই আমরা এগিয়ে নেবো।



নিজের ধর্ম ও একমাত্র স্রষ্ট্রার উপর সর্বোচ্চ ভরসা রাখবেন। মনে রাখবেন স্রষ্টা চান বলেই আপনাকে শত খারাপের মধ্যেও ভালোকাজ করার সুযোগ দিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানের প্রতিটা দিনকে গুরুত্ব দিন। ভেবে নিবেন আজকের দিনে কতটা অগ্রগতি করলাম। ঠিক এভাবেই আমার বাংলাদেশের ইকোনোমি ওয়ার্ল্ড ইকোনোমির শিখরে পৌছে যাবে। নিজেরা নিজেদের ভিতরের ইউনিটিকে নষ্ট করবেন না। একটি রাজনীতিক দলের মধ্যে যদি ম্যানেজমেন্ট ভালো হয় তাহলে দল একটি মানুষের জন্য সুন্দর শক্ত ঢাল হতে পারে। আমাদের এই পরিবেশ তৈরি করতে হবে।



বিদেশীরা আমাদের সুসময়ের ব্ন্ধু হতে পারে। কিন্তু কোনভাবেই নিজেদের দুঃসময়ে বিদেশীদের সাহায্যের দিকে হাত বাড়াবেন না। আমাদের অনেক অনেক কঠিন সময়ে আমরা বিদেশিদের ন্যায্য ভাবে পাই নি। আমার দেশের কোটি কোটি মানুষ না খেয়ে দিন পাড় করতো আর তারমধ্যে বিদেশিরা আমাদের দেশের উন্নয়নের কান্ডারি শেখ মজিবুর রহমানের মতো নেতাকে মেরে ফেলতে কম উস্কানি ও বাজে সাহায্য করে নি।



সবাই বাংলাদেশকে ছোট ঘরে থাকা বড় একটি পরিবারের মতো মনে করবেন। ছোট ঘরে বড় পরিবারের ভাই বোন মা দাদি নানি যেভাবে একসাথে মিলেমিশে নিজেদের অবস্থান ঠিক করে নেয়। আজ আমরা সবদল মত নির্বিশেষে একই ছাতার নিচে দাঁড়ালাম। আমাদের মধ্যে আজ কোনো বিবেধ নেই। আজ আমরা সবাই নেতা আবার সবাই কর্মি ফিরবী সবাই দেশের জনগন। এই বোধ নিজেদের মনমানুষিকতার ভিতরে সুন্দর করে লেপটে দিন।



আজ আমরা আর পিছনের বাজে দিন গুলোর কথা মনে করে অহেতুক চোখের জল ফেলবো না। আজ আমরা সমস্ত কান্না ভুলে গিয়ে শুধু কান্না না আসার পথ গুলো খুলে দেবো। এবং যেসব ছিদ্র দিয়ে বাজে ঝামেলা আসার মতো ছল হিসাবে মনে হবে, সেই অসুন্দরকে আমরা গলাটিপে মেরে ফেলবো।



এই বাঙালিকে আমরা চিরমুক্তির পথে নিয়ে যাচ্ছি। কি করবো বলেন বন্ধু! এই বাঙালীরা আমাকে কম লাথি ঘুসি দেয় নি। তারপরও ওদের জন্য আমার মন কাঁদে। নিজের মানুষের লাথি ঘুসি খাবার মধ্যেও আনন্দ আছে। পর মানুষ ভিন্ন জাতি আমাদের বাঙলার উপর আর কোনো দিন এসে মতবরি করতে পারবে না। এই রাস্তা আজ থেকে বন্ধ করে দেয়া হলো। যদি কোনো বিদেশী শক্তি আমার সাথে চ্যালেঞ্জ করতে চায়। তাহলে তাদের আমি সাদরে স্বাগতম জানাবো। আমি দেখতে চই ওদের শক্তি কতটুকু! আমি ওদের নিয়ে খেলা করবো। আমি বাঙালী, আমি কোনো ফালতু কথা বলিনি। আমি আমার দেশকে শান্তির পথে দেখতে চেয়েছি, সে পথে চেষ্টা করেছি। আর চেষ্টা করলে মানুষ সফল হবেই – এ কথা সব ধর্মেই আছে। আমি সব ধর্মের একজন নিরিহ সুন্দর ভক্ত। আজ আমাদের মধ্যে কোনো লাজ নেই। নিজেরা নিজেদের বড়াই করবো। কারণ আজ আমরা জানি আমাদের বড়াই করার মতো বহু জিনিস আছে।



বন্ধু! আজকের এই দিনে এসে নিজেদের ধন্য মনে করুন। পিছনের সময় গুলোর সাথে আজকের দিনকে মিলিয়ে নিন। দেখবেন কোনো দুঃখ থাকবে না। আজ আমরা সফলতার পথে এগিয়ে যাচ্ছি। বাজে, নোংড়া পলিটিক্স থেকে আমরা মূল ধারার সৎ পলিটিক্সের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। পলিটিশিয়ানদের আর ভয় পাবার কিছু নেই। আপনারা আমাদের সাথে সবসময়ই নিরাপদ।



এই বাংলাদেশ আমার আপনার ও সমস্ত বাঙালীর। এই ভুখন্ডের উপরে বিদেশীদের বাজে দৃষ্টি পড়লে সেই চোখ তুলে নেয়া হবে। আজকের এই চির নতুন স্বর্ণালী ১৬আগষ্টে নিজেরা নিজেদের মনকে শক্ত করুন। মনকে মুক্ত ভাবে ছেড়ে দিন। মনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রাখুন। নিজের দেশকে পুরোপুরি শান্তিময় অবস্থানে নেবার জন্য যত প্রকার প্লান প্রোগাম ও একাগ্রতা দরকার তা নিজেদের অন্তর দিয়ে উপলব্ধি পূর্বক বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দিন। নিজের আশেপাশের পরিবেশ কে সুন্দর করুন।



সব রাজনীতিক নেতারা নিজেদের মধ্যে একতা নিয়ে আসুন। নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে সবাই এক থাকবেন। সবার মধ্যে সততার সম্পর্ক তৈরি করুন। দ্বিমুখি ভাব থেকে সরে আসুন। অন্যদের মতামতকে গুরুত্ব দিন। সবসময় গঠনমূলক আলোচনা করবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.