নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তান ইন্ডিয়ার বি.এস.এফ. হত্যা করছে কেনো?

১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান শান্তির রাষ্ট্র। এই তিনটি দেশে না আছে তেমন কোনো বড় জঙ্গি সংগঠনের উৎপাত, না আছে যুদ্ধ, না আছে তেমন বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বাংলাদেশ আজ একটি শক্তিশালী ওয়ার্ল্ড ট্রেডের নাম। বাংলাদেশ অনেক দ্রুত অনেক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।



আপনি যদি আপনার অন্তর থেকেই সবকিছু হিসাব করে দেখেন, দেখবেন বাংলাদেশ বিশ্বের সব থেকে সম্ভাবনাময় দেশ। সব দিক থেকেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের এক নম্বর সম্ভাবনাময় অবাক করা দেশ। যেখানে কিছু না থেকেও সবকিছু আছে। আবার সবকিছু থেকেও কেমন যেনো সব এলোমেলো। এখন শুধু গোছাতে বাকি। বাংলাদেশের সবই আছে শুধু একটু গুছিয়ে উঠতে পারলেই হলো।



বন্ধু! আজকের বাংলাদেশ আর আজকের পাকিস্তানকে কেউ যদি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষন করেন তাহরে দেখবেন আমরা ভাতের মতো নরম অবস্থার মধ্যে আছি। আর পাকিস্তান আছে শুষ্ক রুটির মতো উষ্কো-শুষ্কো। আজকের পাকিস্তান পৃথিবীর বুকেই এক কলংকের নাম। যারা না পারছে নিজেদের জাতিগত বিবেধ আর ধর্মিয় গোরামিকে সংযতো করতে, না পারছে আশেপাশের মানুষদের সেবা করতে।



ইন্ডিয়ান বর্ডারগার্ড বি.এস.এফ. জওয়ানদের পাকিস্তান কেনো হত্যা করবে? এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে কার?



এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে অত্র হিন্দুস্তানের শান্তি প্রতিষ্ঠায়। আপনাদের বুঝতে হবে যে, পাকিস্তান জঙ্গি বলুন আর পাকিস্তানি দুস্কৃতি কারি বলুন তারা একটি কমন ছকের মাধ্যমে হিন্দুস্তানে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। যার পিছনে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা সক্রিয় ভাবে কাজ করছে। এ ব্যপারে পাকিস্তানের উর্দ্ধোতন কমান্ড জড়িত তাকে বিন্দু পরিমান সন্দেহ করবেন না।



বন্ধু! আমি এই টু-সুইট-সিস্টার ইন্ডিয়া বাংলাদেশ নিয়ে বহুকিছু বলেছি। যার একটি ইফেক্ট এর মধ্যেই আপনারা দেখতে পেয়েছেন। পাকিস্তান সিমান্তে বি.এস.এফ. হত্যার বিষয়টকে যারা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা সাময়িক এক্সিডেন্ট হিসেবে মনে করেন। তাদের আমি স্পষ্টতার সুরে ধিক্কার জানাচ্ছি।



পাকিস্তান সিমান্তে বি.এস.এফ. হত্যা টোটাল ইন্ডিয়ার শান্তি প্রতিষ্ঠার উপর মন্দ শক্তির যুদ্ধ ঘোষনা সরূপ লজ্জ্বাজনক ও অনেক বেশি ভয়ংকর। শুধু মাত্র এমন কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা পুরো হিন্দুস্থানের প্রবাহমান শান্তিকে অশান্তিতে রুপান্তর করে দেবার জন্য যথেষ্ট।



আমি সবসময় ইন্ডিয়াকে বলেছি তারা যেনো ইউ.এস.এ. এর থেকে চায়নার সাথে বেশি সম্পর্ক রেখে চলে। ইন্ডিয়াকে কোনো অভ্যন্তরিন সমস্যার মধ্যে ফেলে ইউ.এস.এ. ফায়দা লুটতে চেষ্টা করবে। যারা ইউ.এস.এ. এর ইন্টান্যাশনাল পলিটিক্স সম্পর্কে বোঝেন তারা নিশ্চই আমার সাথে একমত না হয়ে পারবেন না। চায়ন আমাদের প্রতিবেশি ও দ্বায়িত্বশীল বড় ভাইয়ের মতো। বড়ভাই কখনও ছোট বোনের সংসারে অশান্তি চাইতে পারেন না।



আজকের পরিস্থিতিতে পাকিস্তান কোনো সভ্য দেশের মধ্যে পড়ে না। তারা বর্বর পলিটিক্স ও প্রশাসনের মধ্যে পড়ে গেছে। এই অবস্থা থেকে সহযে উত্তোরন সম্ভব না। এজন্য পাকিস্তানের হাইকমান্ড যদি হিন্দুস্থানের হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে ফালতু ঝামেলা বাজাতে চেষ্টা করে তাহলে সেই ঘটনা সত্যিই আন্তজার্তিক বিশ্বের শান্তি স্থাপনের অন্তরায়।



আমাদের বুঝতে হবে ইন্ডিয়া কোনো একক জাতিগোষ্ঠির দেশ নয়। ইন্ডিয়ার অভ্যন্তরে প্রচুর আমলাতান্ত্রিক ও মানবসৃষ্ট্র ঝামেলা আছে। যখন শোনা যায় পাকিস্তান সিমান্তে ইন্ডিয়ান ফোর্স মারা যাচ্ছে তখন ইন্ডিয়ার অন্যান্য সন্ত্রাসী জতি-গোষ্টি-সংগঠন নিজেদেরকে অনেক বেশি আক্রমনের তাগিদ অনুভব করে। একসাথে ৪-৫টি জায়গার সন্ত্রাসীদের একটু সাহোস দৌড়াত্ম টোটাল ইন্ডিয়ার উন্নয়ন ও শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। সেই সাথে কিছুদিনের ভিতর ইন্ডিয়াকে বহু ক্ষতির মধ্যে ফেলতে পারে। এই কাজ মার্কিন টোপ। ইন্ডিয়ার মধ্যে ঝামেলা না বাজাতে পারলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা, মার্কিন ট্রেড ও মার্কিন মিডিয়া সম্রাজ্য আর টিকানো যাবে না। তাই যাকে আপনারা জঙ্গি আক্রমনে বি.এস.এফ. হত্যা দেখছেন তাকে আমি মার্কিন পলিটিক্স বলছি।



মার্কিনরা এই কয়বছরে বহু বহু বাজে চিন্তার প্রতিফলন বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়াকে দেখিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই মার্কিনরা ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশের উপর নতুন নতুন খেলা দেখাচ্ছে। ঐ দিন নরেন্দ্র মোদিকে টার্গেট করে মার্কিন-রাশিয়া ইউক্রেনে প্লেন হামলার চেষ্টা করেছিলো। নরেন্দ্র মোদি অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন আর বলি হলেন মালায়েশিয়া ও ডাচ জনগন।



নরেন্দ্র মোদি ও ইন্ডিয়া কোনো ভাবেই ইউ.এস.এ. কে বন্ধু দেশ হিসেবে মনে করতে পারেন না। সৌদি আরবের শাসন যেভাবে মার্কিনিরা চালাচ্ছেন ঠিক ভিন্ন একটি মাত্রায় পাকিস্তানের শাসন ব্যবস্থা আজ ইউ.এস.এ. এর হাতে বন্দি আছে। সমস্য হলো পাকিস্তান দেশ হিসেবে যতোখানি ব্যর্থ তথাপিও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আজও বিশ্বের অন্যতম চৌকশ একটি টিম। পাকিস্তান ইন্টালেজেন্সি সব সময়ই দারুন দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। সমস্য হলো পাকিস্থান ইন্টালেজেন্সি আর ইউ.এস.এ. ইন্টালেজেন্সি আজ একযোগে কিছু কিছু মিশনে নেমেছে। তার মধ্যে বড় একটি মিশন হলো ইন্ডিয়ার অভ্যন্তরে ঝামেলা বাঁধানো।



আজকের এই পর্যায়ে এসে একবার ভেবে দেখুন বন্ধু, ইন্ডিয়ার অভ্যন্তরে খুব দ্রুত কিছু প্লেন ক্রাস করানোর মতো ঘটনা ঘটতে পারে। ইন্ডিয়ার অভ্যন্তরে কিছু কিছু জঙ্গি সংগঠন বোমা হামলা সহ ভয়ংকর কিছু কৌশল করে, ইন্ডিয়াকে সমস্যায় ফেলে ব্লাকমেইল করতে পারে। এজন্য আগে আমাদের চায়নার সাথে সম্পর্ককে অনেক ভালো করা দরকার। চাইনিজ জাতের সাথে আগে থেকে ব্যবসায়িক ও কুটনিতিক ভালো সম্পর্ক না গড়লে পরবর্তিতে চায়নাকে পাশে পাওয়া কঠিন হবে। চায়না একটি স্বচ্ছ জাতি। তারা ইচ্ছে করে কখনও ঝামেলায় যায় না। আর ইউ.এস.এ. একটি অস্বচ্ছ পলিটিক্সের দেশ। ইউ.এস.এ. ইচ্ছে করে ঝামেলা বাজানোর চেষ্টা করে।



তাই বলছি এই যে, পাকিস্তান সিমান্তে যেসব বি.এস.এফ. হত্যা হচ্ছে তা মোটেই কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই ঘটনা ইচ্ছে করে মার্কিন ও পাকিস্তান ইন্টারলেজেন্সি ঘটাচ্ছে। আমরা কোনো ভাবেই আফগানিস্থানের উপর ইউ.এস.এ. ও রাশিয়ান হস্তক্ষেপকে দির্ঘায়ু হতে দিতে পারি না। আগে না হয় একচেটিয়া ভাবে মার্কিনিরা ঝামেলা বাজাতো। এখন তো মহামুশকিল। কারণ আজকের এই সময়ে এসে মার্কিন-রাশিয়া কমন কিছু কাজে একজোট হয়ে গোপনে কাজ করছেন। ইউক্রেনের প্লেন আক্রমন করে নামানো এর একটি নজির। পুতিন নিজেকে এখনও অনেক বেশি ক্ষমতাধর হবার চেষ্টা চালাচ্ছে। যেটা মোটেও যোক্তিক নয়। ইন্ডিয়ার উপর চায়নার প্রভাব স্পষ্ট হলে ওয়ার্ল্ড পলিটিক্স নতুন মোর নেবে। তখন ইউ.এস.এ. আফ্রিকার দিকে ছুটে যেতে চাইবে।



আর তখনই খেলবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চায়না-ইন্ডিয়া একযোগে কাজ করলে রাশিয়া এমনিতেই আমাদের কথা শুনতে বাধ্য হবে। সেই অনাগত আফ্রিকা মিশনে তখন আমরা আফ্রিকার সাধারণ জনগনের পাশে জোড়ালো ভাবে দাঁড়াতে পারবো।



কিছু দিন আগের ইন্ডিয়া আর বর্তমান নরেন্দ্র মোদির ইন্ডিয়ার মধ্যে অনেক স্পষ্টমান পার্থক্য ধরা পরে। নরেন্দ্র মোদির স্টাইল সুন্দর ও গুছানো। তিনি খুব দ্রুত ইন্ডিয়াকে একটি সাবলম্বি দেশ হিসেবে দাঁড়া করানোর মতো নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সমস্যা হলো এই মুহূর্তে যদি ইন্ডিয়ার অভন্তরে কয়েকটি ঝামলা বাজানো যায় তাহলে মোদি সরকার আর উন্নয়নের চিন্তা করতে পারবেন না। এখানেই ইউ.এস.এ. ও পাকিস্তানের লাভ।



আমি অবাক হয়ে দেখলাম যে, পাকিস্তান জঙ্গি সংগঠনের নামে বি.এস.এফ. হত্যা করা হচ্ছে আর ইন্ডিয়ান হাই কমান্ডদের তেমন কোনো মাথা ব্যাথা নাই। কখন মাথা ব্যাথা হবে, যখন আর কোনো উপায় থাকবে না তখন?



ইন্ডিয়ান মিডিয়াকে এ ব্যাপারে যথেষ্ট দ্বায়িত্বের পরিচয় দিতে হবে। কিছু কিছু নিউজ স্কিপ করে যেতে হবে। ইন্ডিয়ার অভ্যন্তরে দেশ চেতনা ও হিন্দু ধর্মিয় চেতনায় মানুষকে উজ্জিবিত করতে হবে।



বন্ধু! আমি ইন্ডিয়ার জনগন সহ সব দেশের মানুষের শান্তি ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আমি চেষ্টা করছি দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে। আজ যে সমস্যা সূচের মতো কাল তা ফাল হয়ে দাঁড়াবে। তাই কোনো সমস্যাকেই তুচ্ছ জ্ঞান করা উচিত না। বিশেষ করে এই সব গুরুতর অপরাধকে কখনই হালকা চোখে দেখা ঠিক না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.