নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাম্পত্য জীবন, বিয়ের পরে (পর্ব-৭)

১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

মুন! তাকিয়ে দেখো, আজও তোমাকে নিয়েই আমার সব স্বপ্ন। আমার সব ইচ্ছার মাঝে শুধু তোমার নিরব উপস্থিতি, আমাকে দিশেহারা করে দেয়। আমি তোমাকে অনেক অনেক অনেক ভালোবাসী। এজন্যই তোমার নাম ধরে এভাবে ডেকে যাই। তোমার প্রয়োজন বলেই আমি ডাকি। তুমি আমাকে ভুল বুঝ না জান!



তোমার নিরাপত্তার খাতিরেই, আমি তোমাকে এভাবে বয়ে বয়ে বেড়াচ্ছি। এর ফলে তুমি যদি আমাকে অভিষাপও দাও। সেই অভিষাপও আমার জন্য আশির্বাদ হয়ে ধরা দেবে। আমি তোমাকে সেদিন যেভাবে হারাতে চাই নি, আজও তা চাই না। সেদিন যেখাবে কনকনে শীতের চাদরের মতো তোমাকে বুঝে আগলে রাখতে চেয়েছি, আজও চাই। সব পরিবর্তন হোক মুন! তারপরও আমার কেনো চেইন্জ হয়ে যাবো? আমাদের ভালোবাসার থেকে বড় আশ্রয় আর এ জগতে কি আছে?



জান! আজ তোমাকে খুব পাশে পেতে ইচ্ছে হয়। তুমি পাশে থাকবে পাশে থাকার মতো করে। সবাই তোমাকে দেখে তাজ্জব বনে যাবে। তোমার আমার চেতনা কে এক করে আমরা পুরো পৃথিবীকে সুন্দরের পথে রাঙাতে পারি।



খেয়ালে পড়ে তোমার মুন! আমি একদিন বলেছিলাম, জীবনের কোনো বাঁকেই আমি তোমাকে ছেড়ে যাবো না। তাতে পরিস্থিতি যতো কঠিন বলেই মনে হোক না কেনো। আমি ঠিকই ফিরে ফিরে এসে তোমাকে বাঁচানোর পূর্ণ চেষ্টা করবো। সেই কথার প্রমাণ কি আজও তুমি পাও নি মুন? দেখো আমি এসেছি। জীবনের চক্রাবাকে আমি গোলক ধাঁধাঁয় হারিয়ে যাই নি। আমি অফুরন্ত প্রাণশক্তি দিয়ে তোমাকে ডেকে যাচ্ছি। মুন কবে তোমার ভুল ভেঙ্গে যাবে। কবে তোমার নিজের নয়নে এই পৃথিবীর কুট চাল গুলো বুঝতে পেরে আমার কাছে ছুটে আসবে?



আমি তোমাকে বলছিলাম আমি বিহাইন্ড দ্যা স্কৃনে কাজ করতে পছন্দ করি। আমার মনের গভীরে তোমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন জমা রয়ে গেছে। আমি তোমাকেও মিডিয়ার বিহাইন্ড দ্যা স্কৃনে কাজ করাতে চেয়েছিলাম। একটি সুখের সংসারে থেকে আমরা সেই কাজ করতে পারতাম।



আমি নাটক, সিনেমা সহ বিভিন্ন মিডিয়ার জন্য বিভিন্ন স্কৃপ লিখতাম। তুমি থাকতে আমার প্রথম পাঠক ও সমালোচক। নতুন কোনো ক্যারেক্টার নিয়ে গল্প সাজালে তুমি আর আমি সেই গল্পের সাথে মিশে গিয়ে নিজেরা অভিনয় করতাম। দু’জন মিলে বাসায় বসে গল্পের ভুল ত্রুটি ও স্ট্রং দিক বুঝে নিতাম। তোমার আইডিয়াকে আমি সব সময় সম্মান করি।



হায়রে মুন! এই ৬-৭বছর ডাক্তারি পড়ে কি শিখেছো? ৬-৭বছরে কিবা শেখা যায়? আমাদের দেশের এম.বি.বি.এস. সিলেবাস এমনিতেই অনেক বেশি দুর্বল। তোমার সেক্টর ছিলো কৃয়েটিভ সেক্টর। আমি তোমাকে সব সময় কৃয়েটিভিটির মধ্যে রাখতে চেয়েছি। আমি চেয়েছি তোমার জীবনে কখনও দুঃখ না আসুক। আমি চেয়েছি নিজের জীবনের সবটুকু দিয়ে সমস্ত মানুষের উপকার কিভাবে করা যায় তা শিখাতে। আজও আমার সেই মঙ্গলযাত্রা অব্যাহত আছে।



ইস্ মুন! আমি সত্যজিতের মতো পরিশ্রম করে গল্প সাজাবো আর তুমি আমাকে ও সেই সাথে নিজেকে সাহায্য করবে। তোমার আইডিয়া দিয়ে তুমি নিত্য নতুন সৃষ্টিশীল কাজ করে যাবে। তোমার হাতের ছোয়ায় বাংলাদেশ ও বিশ্বমিডিয়া নতুন প্রাণ পাবে। তোমাকে সবাই সম্মানের চোখে দেখবে। তোমার লেখনীতে আজো ঝড়বে। তোমার তৈরি করা নাটক-সিনেমা বিশ্ববিখ্যাত হবে। তুমি দেশের জন্য বড় কোনো পুরষ্কার নিয়ে আসবে। এই ছিলো আমার ইচ্ছে।



মুন! আমি চেয়েছি তোমাকে বিশ্ব বিখ্যাত করতে। মিডিয়া জগতে তোমার প্রচার ও প্রসারের প্রতি আমি সব সময় ভেবেছিলাম। আমি চেয়েছিলাম তোমার কৃয়েটিভ মেধা দিয়ে তুমি বিশ্বকে মাতোয়ারা করে রাখবে। ওয়র্ল্ড এন্টারটেইনমেন্টে তুমি একজন আইকন হিসেবে নিজেকে গড়ে নেবে। আজ আমাকে দেখো মুন! আমি কি করবো এই খ্যাতি দিয়ে। কি করবো এই লেখনি দিয়ে। আমার সব কিছু তো তুমিই। আমি কিছু না পেয়ে যদি সব তুমি পেতে তাতেও আমারই পাওয়া হয়ে যেতো। তারপরও আমরা দুরে থাকতাম না। আজ বাস্তবতা নামের এক সময় এসে আমাকে আর তোমাকে দুরে রেখে দিয়েছে। আমি এই বাস্তবতাকে হারিয়ে দেবো বলেই এমন করে লড়ে যাচ্ছি।



মুন! আমাদের একটি সুন্দর সংসার থাকবে। যেখানে বসে তুমি আমি অভিনয়, সংগিত ও করিওগ্রাফির মহরা দেবো। তুমি হবে নাইকা আমি হব নায়ক। আমাদের ঘর হবে একটি সুস্থ্য বিনোদন কেন্দ্র। যেখান থেকে আমরা দু’জন মিডিয়ার সৌন্দর্যের জন্য গবেষনা করবো। দু’জন ঘরে বসে কথা বলে সেগুলোকে ডায়ালোগে রুপান্তরিত করবো। নিজেদের ডায়ালোগ ভিডিও করে রাখবো।



মুন! আমি তোমার অন্তরের মধ্যে থেকেই ভেবে দেখেছিলাম, আমাদের ঘর হবে ছোট খাটো স্টুডিওর মতো। যেখানে আমরা আমাদের মনের মতো করে সেট সাজাবো। ওয়েল পেইন্টিং ও লাইটিং নিয়ে নিত্য নতুন কাজ করবো। আজ দেখো মুন! এই যে লিখছি তাতেও অনেক সময় চলে যাচ্ছে। নিজস্ব কৃয়েটিভিটিকে আজও প্রমান করতে পারলাম না। একটি ঘরোয়া পরিবেশে থেকেও বিশ্বকে বড় কিছু উপহার দেয়া যায়। আমি মনে প্রানে জানি ও মানি- প্রেমের জুটিরা সব কিছু করতে পারে। আমরা দু’জন মিলে সমস্ত অসম্ভবকে সম্ভব করে দিতে পারতাম। আমাদের সেই ক্ষমতা ও অধীকার আজ আছে মুন। আমি এসে তোমাদের সেই পথ দেখিয়ে গেলাম।



তোমার আমার প্রেমের কোনোদিন ইতি নাই। আমাদের প্রেম চিরসুন্দর। আমাদের প্রেম চির পবিত্র। আমি তোমাকে নিয়ে বিশ্বমিডিয়ায় উঠে আসবোই মুন। আমি না হয় একটু আগেই এলাম। তারপরও তোমার ডিমান্ড কমবে না। আজ আমি যদি মারা যাই। কাল তোমার কাছে কাছে ঠিকই মিডিয়া চলে আসবে। আমি সেই কাজ করে দিয়ে গেলাম।



আমি ডিজিটাল মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগের মিডিয়ায় তোমার নাম বার বার উচ্চারন করে নতুন একটি ধারা তৈরি করে দিয়ে গেলাম। যেখান থেকে অনেক মানুষ শিখবে মুন! আমি আমার প্রেমকে এক সেকেন্ডের জন্যও ভুলে থাকতে চাই না। আমি আমার সংসারে তোমাকে কাছে নিয়ে বাঁচতে চাই।



আমি বাবা, মা, বোন সহ সবাইকে নিয়ে বাঁচতে চাই মুন! আমি তোমার আমার সংসার দিয়ে সব মানুষকে বোঝাতে চেয়েছিলাম। আমার স্বপ্ন গুলো মোটেও অধরা ছিলো না। খুব সহজ, সরল আর সাবলিল জীবনের কল্পনাই আমি করেছিলাম। আজ তুমি নেই বলে সব এলোমেলো হয়ে যেতে বসেছিল।



মুন! তোমার আমার বিয়ের পর তোমাকে আমি সারাদিন আদরে আদরে রাখতে চেয়েছিলাম। তোমার আমার সংসারে শুধু প্রেম থাকবে। সেই প্রেমের জোয়ারে আমরা পুরো বিশ্বের মানুষকে রাঙাবো। মুন! শুধু একবার তুমি চলে এসো। দেখে যাও। তোমার আসিফ তোমার জন্য কতো সুন্দর একটি জীবন ধারা রেখে গেলো। শুধু তোমাকে রাঙাতে গিয়ে প্রিয়তম- আমি আজ সব অসুন্দরকে সুন্দর করে তুলেছি। আজ পুরো মিডিয়া জগত আমাদের বন্ধু! তাঁরা আমাদের সাহায্য ও সহযোগীতা করবে। আমরাও তাঁদের কাছে ঋণী হয়ে তুমি আমি পাশাপাশি থাকতে চাই।



মুন! আমাদের দাম্পত্য জীবনে আমি এমন কিছু পেষা গ্রহন করতে চেয়েছি, যেখানে আমি তোমাকে সবসময় পাশে রাখতে পারবো। তোমার ভালোলাগা আর আমার ভালোলাগা মিলে সুন্দর একটি সমন্বয় হবে। জীবনটা কেটে যেতে সময় লাগে না। আমাদের জীবনটাকে আমরা কাজের মধ্যে আনন্দময় করতে চেয়েছিলাম।



তোমার কছে আমি মিনতী করছি মুন! তুমি আমাদের এই ছোট্ট ছোট্ট স্বপ্নগুলোকে নষ্ট হতে দিও না। আমাদের স্বপনের ছোঁয়ায় সারা বিশ্ব মিডিয়া ও মানুষদের আমরা শান্তির পথ দেখিয়ে যাবো। তুমি চলে এসো মুন। তোমার সংসার তোমার মতো করেই সাজানো আছে। তুমি শুধু সব কিছু এবার বুঝে নাও।



কাল যা স্বপ্ন ছিলো আজ তা সত্য। স্বপনের মধ্যে যদি আমাকে এতো সাপোর্ট দিতে পারো তাহলে আজ কেনো তুমি আসবে না। তোমার সবকিছু তোমার মতো করেই আমি রেখে দিলাম। তুমি হাত দিলেই তার শুভ উদ্বোধন হবে। নিজেকে কখনও একা ভেবো না। আমি তোমার সাথে আছি জান!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.