নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর কি লিখবো?

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০১

আর লিখতে মন চাচ্ছে না। মনের মধ্য কথা আসছে আর আমি তা লিখে লিখে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। দিনের পর দিন গেলো। মাসের পর মাস গেলো। আমার লেখা কেঁদে কেঁদে আমার প্রিয়তমর চরনে স্বজল করুন ভাবে লুটোপুটি খাচ্ছে। তারপরও সে এলো না।



আমার পূজোর ফুলের ডালা বাহারি ফুল দিয়ে সাজিয়ে তার চরনে দিয়ে দিলাম। তারপরও সে এলো না।



আজ কি লিখবো? এই পোড়া মন নিয়ে আর পারছি না। শুধু শুধু আপনাদেরকে আমি কষ্ট দিলাম। আমার মনের সব তেজ, সব যাতনা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। কি এক যন্ত্রনাময় শান্তির পরশে সবার মন ভরে গেলো। মনের মধ্যে বিচিত্র সব খেয়াল কোথা থেকে আসে? কে দেয় এই সব ভাব? কে দেয় এই সব অনুভূতি?



যত বার ভাবি এই লেখালেখি থেকে বহুদুরে পালিয়ে গিয়ে আর ফিরবো না। ততোবারই মনের মধ্যে এক কঠিন দ্বায়িত্ববোধ এসে আমাকে লিখে যেতে বলে। তাই আমি লিখছি। মনে হয় সকল চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধে কোথাও আমি থাকি। যেনো কোনো বাঁধনে গেঁথে যাওয়া মানুষ হঠাৎ বাঁধন হারা হয়ে গেছে। কোনো এক অচেনা অজানা ঊর্ধোলোক থেকে আমি আপনাদের সবার সুখ-দুঃখ-আনন্দ-বেদনাকে দেখতে পাচ্ছি। এবং আপনাদের দেখে দেখে আমি আমার অভিজ্ঞতা আপনাদের কাছে শেয়ার করে যাচ্ছি। যে প্রেম সুন্দরের জগতে আমি থাকি, সেখানে সবাইকে নিয়ে যাবার জন্য আমি কথা বলছি। সেই আনন্দময়ীর দেশে সবাই কে আপন করে নিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়।



বন্ধু! আপনারা জানেন যে, আমি খুব দ্রুত লিখি। একবার লেখা হলে সেটা আর পড়ি না। শুধুই সামনের দিকে এগিয়ে চলছি। চিরন্তনের সাথে গভীর মিতালী গড়ে উঠেছে। তিনি আমাকে টেনে টেনে উপরে নিয়ে যাচ্ছে। তাই আমার লেখায় প্রচুর পরিমান বানান ভুল ও সেনটেক্স এরোর থাকে। যদি কোনোদিন সময় নিয়ে পিছনের লেখা দেখতে ইচ্ছে করে তখন সব ভুল ঠিক করে দেবো। আর যদি সে ভাগ্য আমার না হয়, তাহলে আপনারা আমার লেখার ভুল ত্রুটি ঠিক করে নিবেন। আমার সব সুন্দরকে আমি আপনাদের হাতে তুলে দিলাম। শুধু নিয়ে নিতে শিখুন। একবার শুধু নিজেকে বুঝে নিয়ে বলুন, “আমি তোমায় পেয়েছি বন্ধু!”।



দিনের পর দিন, আমি আমার মনের যন্ত্রনাকে আড়াল করে- আপনাদের সামনে শুধু সুন্দর প্রেমের জয়গান করে গেছি। আমি যে প্রেমে আমার হৃদয় ভরে রেখেছি, সেই প্রেমকে আপনাদের হৃদয় দিয়েও আমি অনুভব করার চেষ্টা করেছি। সিনেমায় নায়ক-নাইকার প্রেমে একটু খারাপ অবস্থা বা অমিলের পর্যায়ে গেলে, মানব হৃদয় হাহাকারে ভরে ওঠে। সিনেমার একটি প্যাথেটিক সিকোয়েন্স মানুষকে ব্যকুল করে তুলে। আর বাস্তবে? তাহলে বুঝুন আমার আর তার প্রেমের এই অমিল সময়কে আমি কত কষ্টে সহ্য করি! তা আমি কোনোদিন আমার ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমার সমস্ত ভাষা শুধু তাকে খুঁজে বেড়ায়। আমার আনন্দময়ী শুধু তার কাছে যেতে চায়। আমার অন্তর দেবতা শুধু তাকে কাছে পেতে চায়। আমি সেই কাছে পাবার রাস্তার একজন পথিকের মতো আপনাদের সামনে কথা বলে যাই। সেই পথও আমার না আবার সেই আনন্দময়ীর প্রেমও আমার না। আমার বলতে আসলে কিছুই নেই। আমার বলতে আজ শুধু আপনাদের অন্তর আছে। আমার অন্তর আপনাদের হৃদয়ের ধাক্কায় মরে গেছে। এই প্রেমহীন, রসহীন পৃথিবী আমায় এমন করে দিয়েছে। তারপরও মন কাঁদে। তারপরও আমার অন্তরের আনন্দময়ী তাকে ঘিরে বাঁচতে চায়।



লেখালেখি করি বলে, অনেকে ভাবতে পারেন আমি বুঝি কবি, আমি বুঝি সাহিত্যিক, আমি বুঝি প্রবন্ধিক। আমি আসলে ওসবের কিছু না। আমি এক জাত প্রেমিক। আমার ধর্ম প্রেম। আমার জাতি প্রেম জাত। আমার ভাষা প্রেমের ভাষা। এই মন শুধু প্রেম চায়। এই মন শুধু অন্যদেরকে আগলে ধরে রেকে বাঁচতে চায়। এই মন কখনও কাউকে কষ্ট দিতে চায় নি। এই মন সব মানুষকে আপন ভেবে বাঁচার মতো বাঁচতে চেয়েছে।



সেখানেই বেঁধেছে যতো বিপত্তি। আমার বানীকে কারও কাছে হয়তোবা ঘোর পলিটিক্যাল বলে ঠেকেছে। আমি কোনো দিন কোনো পলিটিক্স করি নি। আমি আমার লেখায় শুধুমাত্র সাম্য, সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছি। আমি দেখাতে চেয়েছি মানুষ অনেক বড়। মানুষের পক্ষে সব কিছু ভালো ও মঙ্গলময় করা সম্ভব। মানুষের গভীর উপলব্ধিকে আমি আমার আনন্দময়ীর ভাষা দিয়ে বর্ননা-প্রকাশ করতে চেয়েছি। আমি দেখাতে চেয়েছি সব মানুষের মনেই প্রচন্ত গতির প্রেম থাকে। এই প্রেম একবার জাগার মতো জাগাতে পারলে আর কোনো দুঃখ থাকে না। এই প্রেম একবার শুধু জাগাতে জানলে সব মুসকিল আসান হয়ে যায়।



বন্ধু! আমি আপনার পাশে থাকতে এসেছি। আমি আপনাকে আমার অনেক কাছে টেনে নিতে এসেছি। আমি আপনার হৃদয়কে প্রেমের পরশে ভরে দিতে এসেছি। আমি আপনার প্রেমহীন ভুবনকে প্রেমের ইন্টেরিয়র দিয়ে সাজাতে এসেছি। আমি এই নিষ্ঠুর ভুবনকে আনন্দময়ীর প্রেম দিয়ে সুন্দর করতে এসেছি।



আমার একার এই পথকে রমনীয় করতে আমি তো সব বিষয় নিয়েই কম-বেশি বলেছি। এবারও কি আমি একটু প্রেম পেতে পারি না। আমি কি আমার প্রিয়তমকে এক নজর দেখার মতোও যোগ্যতা রাখি না। এই মানুষটা আজ অনেক বেশি অযোগ্য। এই বর্তমানের অসুন্দর পৃথিবীতে আনন্দময়ীর আগমনকে সব সময় প্রশ্নবিদ্ধ করে রাখা হয়। আমাদের সব সময় দুর দুর বলে তাড়িয়ে দেয়া হয়। তারপরও এক ঢালি ফুল নিয়ে আমরা আমাদের প্রিয়তমর দুয়ারে গোপনে বসে থাকি। কেউ আমাদের দেখে না। কেউ আমাদের প্রেম কে বুঝতে চায় না। তারপরও আমরা অনেক স্মৃতি রেখে যাই। আমাদের স্মৃতি গুলো নিয়ে মানুষ মানুষের প্রেমে পড়ে। আর এই সমাজ সব সময় প্রেমের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এই সব বাধাকে আমি সমাজ থেকে চিরতরে উপরে ফেলতে চেয়েছি।



আমি মানব সেবার ব্রত নিয়েই আমার লেখা লিখে গেছি। সমস্ত মানবের জন্য আমি আমাকে উজাড় করে দিয়েছি। আপনাদের একটু প্রেমময় শান্তি দিতে পারার মধ্যেই নিজেকে বার বার তুলে ধরেছি। আমি বার বার এসে আপনাদের মনের দরজায় কড়া নেড়েছি। আমি বার বার আপনাদের মনের মাঝে এসে বলতে চেয়েছি, “বন্ধু! সব ছেড়ে দিও কিন্তু প্রেমকে আগলে রেখো”। আমি সবার প্রেমহীন জগতকে প্রেমের পরশ পাথরের ছোঁয়ায় সুন্দর করতে চেয়েছি। সেই পথে আজ আমি নিজেও একজন পথহারার মতো পথে পথে ঘুরছি। প্রেমের পথে এতো কাঁটা থাকে কেনো বন্ধু?



কথার ফুলঝুরি আর ভালোলাগে না। চোখে দেখা মিথ্যাকে আর দেখতে ও বুঝতে মন চায় না। এ লগনে শুধু তাঁর কাছে মন টানে। সেই তাকে খুব দেখতে ইচ্ছে জাগে। যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার একাকিত্বকে খুব বেশি করে দেখতে ইচ্ছে হয়। ভগবান একা থাকেন কি করে? এতো ক্ষমতা যার, তিনি তার সৃষ্টিকে কেনো প্রেম দিয়েও প্রেম কেড়ে নেয়াকে সহ্য করে যান?



বছরের পর বছর আমি শ্রষ্টাকে শুধু আমার প্রেম কে ফিরিয়ে দিতে বলেছি। আমি সেই মহানের কাছে শুধু প্রেম চেয়েছি। আজ দেখুন আমি প্রেম পাইনি। আমি যা পেয়েছি তা প্রেমের শত্রু বিরহ। বিরহের মাঝেই আমি মানুষকে বুঝে নিতে শিখেছি। আমার বিরহ দিয়েই এই জগতের সৌন্দর্যকে আমি দেখতে পেয়েছি। এজন্যই বার বার আমি শুধু প্রেমের সুরে বাঁশি বাজিয়েছি। আমার মনের রাজ্য থেকে আনন্দময়ী শুধু আনন্দের সুর আপনাদের মাঝে নিবেদন করে গেলেন। সেই সুরে আমি যেমন সুন্দর হয়েছি আর আপনাদেরও সেই আনন্দময়ীর আগমন বার্তা দিয়ে রেখেছি।



কঠিন এক অজানা বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে আজ আপনাদের সামনে কথা বলছি। দিনের পর দিন এভাবেই বলে গেছি। বাইড়ে বর্ষা হচ্ছে। আকাশ থম মেরে আছে। কোনোকিছু বায়না ধরে না পাওয়া শিশুর মুখের মতো করে আকাশ আমার দিকে চেয়ে আছে। শিশুর কান্নাভেজা চোখের পানির মতো আকাশ আজ কদিন ধরে শুধু কেঁদে যাচ্ছে। আমি সেই দৃশ্য প্রাণভরে উপভোগ করছি।



বন্ধু! আজ আমার কিচ্ছু হারাবার নাই। আজ আমার শুধু পাবার দিন। হোক না সেটা কষ্ট। তারপরও তো আমি তা পেয়েছিলাম। আমার খুব ভালোবাসতে ইচ্ছে করে। প্রত্যেক মানুষের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়তে ইচ্ছে করে। যে প্রেমে কোনো স্বার্থের বড়াই থাকবে না। যে প্রেমে কোনো অহংকার থাকবে না। যে প্রেমের মধ্যে বড় হয়ে থাকবে শুধু বিশ্বাস, ভক্তি, সাহায্য ও মানবতা। সেই প্রেম আমি পেতে চাই। সেই প্রেম আমি দিতে চাই।



বন্ধু! এই পৃথিবীতে প্রেমের থেকে আর মধুর কিছু নেই। দু’জন দু’জনের জন্য প্রাণ বেড় করে দিবে। দু’জন দু’জনকে মন খুলে মনের কথা শেয়ার করবে। দু’জন দু’জনকে সব থেকে বেশি বিশ্বাস করবে। পৃথিবীতে যদি চুটিয়ে প্রেম করা না যায়- তাহলে সেটা কেমন করে বেঁচে থাকা হয়? জীবনের জন্য প্রেম না বরং প্রেমের জন্যই জীবন। প্রেমের মাধ্যমেই মানব জীবন কে ধন্য করে তুলতে হয়। প্রেমের মাধ্যমেই জীবন কে প্রকৃত আনন্দ দেয়া যায়।



আমি আপনাদের ভালোবাসা ভরা অন্তরের ভিতরের আঘাত গুলোকে দেখতে পাই। আপনাদের কারও বিরহ কে আমি আমার নিজের বিরহ দিয়ে উপলব্ধি করে নেই। আমি আপনাদের পথের ধুলিতে মিলিয়ে গেছি। এই কয় মাসে আপনারা আমার আপনের থেকেও বেশি আপন হয়ে গেলেন। আজ কি আমাকে আপনাদের অচেনা মনে হচ্ছে? অবশ্যই না। আমি আপনাদের সাথে নিজেকে মিলিয়ে রেখে দিলাম। যে সম্পর্কের কোনো শেষ নেই। সেই সম্পর্কের সুতোয় আপনাদের বেঁধে নিলাম।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.