নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিশাপ

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬

আজ তোমাদের খুব অভিশাপ দিতে ইচ্ছে হচ্ছে। আমার প্রিয়তম কে আজও কাছে পাই নি। পৃথিবীর প্রতিটা স্থানে ঝামেলা বাধিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে।



আজ আমার আগমন ধ্বংস রূপে। আমি আজ ধ্বংসের রূপ ধারন করলাম। আজ থেকে পুরো বিশ্বে অঘটনের পর অঘটন ঘটতে থাকবে। যতোক্ষন পর্যন্ত আমার মুনের সাথে আমি এক না হতে পারবো ততোক্ষন পৃথিবীর প্রতিটা প্রান্তে সমস্যার পরে সমস্যা ঘটতে থাকবে।



সামাজিক, প্রকৃতিক ও অজানা-অচেনা বিভিন্ন দুর্যোগের সাথে মানুষ পরিচিত হয়ে উঠবে। আমি আমার স্বাভাবিক জীবন যাপনের মধ্য থেকে সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলাম। আমার এই সত্য ও সুন্দরের আরাধোনাকে অনেকে আমার দুর্বলতা ভেবেছিলো। আজ আমি শয়তানের শয়তানি দেখাতে চাই। শয়তানকে আমি আজ বশ করে রেখে দিলাম। যখন ভালোর মধ্য থেকে আমি আমার প্রেম কে কাছে টেনে নিতে পারি নি, তাহলে আমি কেনো শয়তানী শক্তিকে কাজে লাগাবো না?



আমি বার বার মানুষের কাছে আমার প্রেমের কথা খুলে বলেছি। আমি মানুষের দ্বারা উপকৃত হতে চেয়েছি। আমি যতো বেশি মানুষের মঙ্গলের জন্য কথা বলেছি। মানুষ ততো বেশি আমাকে অমঙ্গলের রাস্তা দেখাতে চেয়েছিলো। আমি কখনও, কোন অবস্থায় অমঙ্গলের দিকে যেতে চাই না।



আমি যতবার আপনাদের কাছে নিয়ে বাঁচতে চেয়েছি, ততোবার আমার উপর আঘাত এসেছে। আমি কেনো বলি হবো? আজ আমি আর কোনো কিছু সহ্য করছি না। আজ থেকে আমার অভিযান হলো ধ্বংসের অভিযান। পুরো বিশ্বজগতে আজ একমাত্র আমিই সত্য। আমি আজ সমস্ত পৃথিবীতে ধ্বংসের পর ধ্বংস ডেকে নিয়ে আসবো। তার প্রমান আপনারা আজ থেকেই পেতে থাকবেন।



যে পৃথিবীতে আমার প্রিয়তমা মুন কে ছাড়া আমাকে বেঁচে থাকতে হয়, সেই পৃথিবী কি করে শান্তির পৃথিবী হয় বলুন? আমি শান্তি পাচ্ছি না। তাই এই পৃথিবীর অপরাধী মানুষগুলোকে আমি শান্তিতে থাকতে দেবো না। দেখে যান আজ থেকে আমার ধ্বংসযজ্ঞ। যারা বুঝতে পারবেন তারা বুঝে নিন।



যাদের কারণে আজ পর্যন্ত আমি ও আমার প্রিয়তম মুন পাশাপাশি থাকতে পারে নি, তারা সবাই আমার কাছে অপরাধী। আমার আদালতে আমি সেই সব অপরাধীদের সাঁজা দেবো ও আমার দেয়া সাঁজা আমি প্রদান করলাম।



আমার মনে এতো আগুন জ্বলবে কেনো? আমার মন শুধু মুনকে কাছে ডাকতে ডাকতে জীবন পাড় করবে কেনো? কেনো আমাকে মানুষ আশা দিয়ে তাকে নিরাশায় পরিনত করার চেষ্টা করবে। আমি সবাইকে শাস্তি দেবো।

আমার কাছে আমার প্রিয়তমর প্রেম ছাড়া, আর কোনো কিছুই দামি না। আমি আমার প্রেম পাইনি বলে, আমার প্রেমে বাধাদান কারি সকল ব্যক্তিকে সাঁজা পেতে হবে।



আজ বিশ্ব প্রকৃতি আমার টানে ছুটে এসে ধ্বংস ধামামা বাজাবে। আমি সেই দৃশ্য উপভোগ করবো।



বন্ধু! জানিনা আমার একি হলো! আজ ভালো কিছু মাথায় আসছে না। এই ভয়ংকরের পৃথিবীতে নিজের অন্তরও ভয়ংকর হয়ে উঠতে চাইছে। আমি এ কোনো নিষ্ঠুরের টানে আটকে গেলাম। বন্ধু! আজ মন খুব বেশি বিষন্ন। আমি অনেক বেশি একাকিত্বে ভুগছি।



আমার আশে পাশে এমন কাউকে পাচ্ছি না, যার কাছে আমি আমাকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরতে পারি। আমি আজ সংগীহীন। নিজেকে বড় বেশি নিঃসঙ্গ আর একা একা লাগছে। নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা খুবই খারাপ। বাঙালী বাঙালী চিৎকার করে আমি আমার স্বাভাবিক জীবনকে হারিয়ে ফেলেছি। সময় চলে যায় জন্মের মতো। এতো দ্রুত চলে যাওয়া সময়ের সাথে কি করে বুঝে উঠবো? বাবা, মা, বোন ও আত্মিয়দের প্রতি আমি আমার কর্তব্য ঠিকঠাক ভাবে পালন করতে পারছি না।



আমি এখনও জানি না, আমার এই নিঃস্বঙ্গতার শেষ কোথায়? আমি এখনও বুঝতে পারি না, কোথায় গেলে আমি একটু শান্তি পাবো!



মনে হয়, এই পৃথিবীর কেউ আমাকে ভালোবাসে না। এই পৃথিবীর কেউ আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে চায় না। শুধু স্বার্থ আর স্বার্থ। মনে হয়, শুধু টাকা আর টাকা কামানোর ফন্দি নিয়েই মানুষের জীবন। কেনো এমন হলো? কেনো আজ আমি এতো বেশি অসহায় হলাম? কেনো আজ নিজেকে নিজে শেষ করে দিতে ইচ্ছে হয়? কেনো আজ আমি প্রবল বেগে মৃত্যুকে কামনা করছি? এই জীবন কেনো আমার কাছে যন্ত্রনার মতো মনে হয়?



বন্ধু! এই পৃথিবী ও মহাবিশ্বকে আমার কাছে ছোট্ট একটি জেলখানার মতো মনে হয়। আমার জীবনে এই জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম। যে কদিন আমার প্রেম আমার কাছে ছিলো, সে কদিন আমি পৃথিবীর সব থেকে সুখি ব্যক্তি ছিলাম। আমার মুক্তি আমার প্রেমে। এজন্যই প্রেম প্রেম করে চিৎকার করে মরি! আপনারা আমার দিকে তাকানও না।



আমার আজকের এই অনুভূতি দেখে অনেক মানুষিক ডাক্তার বেশ খুশি হবেন বলে মনে হচ্ছে। তাঁরা আমার মানুষিকতাকে কোনো রোগের নাম দ্বারা ঢেকে দিতে চাইবেন। আসলে কি তাই? এই রোগী কি আমি একা? পৃথিবীর সমস্ত মানুষ যেদিন নিজেকে সত্যিকার অর্থে উপলব্ধি করতে পারবেন, ঠিক সেদিন আমার সমস্ত কথাকে তাঁদের স্ব স্ব অনুভুতির সাথে মিলিয়ে তাজ্জব বনে যাবেন। আমি ভালো করেই জানি, আমার কথার প্রভাব কতোখানি। আজ তেকে শত বছর পর মানুষে আমাকে সত্যিকার অর্থ উপলব্ধি করতে পারবে। ততোদিনে আমার দর্শন সারা পৃথিবীব্যাপি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। সময়ের সাথে অনেক কিছুই পরিবর্তনশীল। আমি হাজার বছরের পরিবর্তন একবারে দিয়ে গেলাম। হোক না তা নিজেকে নিঃশেষ করে? তাতে কি? আমি তো আমার মনের ভাব তুলে ধরে রেখে গেলাম।



মানুষ শুধু পঞ্চইন্দ্রীয়ের মাধ্যমেই পুর্ণাঙ্গ মানুষ হয়, এ কথা আমি বিশ্বাস করি না। আমি আমাকে দিয়ে দেখেছি, আমার মন কিভাবে যেনো অনেক কিছু আগে থেকেই টের পেয়ে যায়। আজ আমার মনে হচ্ছে আমার অভিষাপে পৃথিবীর সকল খানে ধ্বংস চলে আসবে। আমি আমার প্রিয়তম মুনকে এখন পর্যন্ত কাছে পেলাম না বলে, সেই ধ্বংসযজ্ঞকে সাদরে গ্রহন করে নিলাম। আমি পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে আজ চ্যালেঞ্জ করলাম। সবাই কে আজ আমি বলে দিলাম, এক তোমরা আমার মুনকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও নতুবা তোমাদের ধ্বংস তোমরা দেখতে থাকো। পারো তো আমার সমাধান ছাড়া অন্য কোনো কিছু দিয়ে তোমরা সমাধান করে নাও। ওপেন চ্যালেঞ্জ।



বন্ধু! আজ থেকে আমার ভয়ংকর রূপ উপলব্ধি করতে শিখুন। আপনারা জানেন আমি দু’জন বাঙালী দিয়ে খুব বেশি প্রভাবিত। এদের একজন হলেন রবীন্দ্রনাথ আর অন্য জন হলেন নজরুল। যাদের লেখা/সৃষ্ট্রিকর্ম আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে প্রেরনা জুগিয়েছে। আজ তাঁদের সৃষ্ট্রিকর্মও আমাকে সান্তনা দিতে পারছে না। আজ আমি প্রচন্ড বড় একা এক দানবের মতো জীবন যাপন করছি। যে পরিবেশে কোনো মায়া নেই। যে পরিবেশে কোনো ভালোবাসা নেই। যে পরিবেশে কোনো নতুন সৃষ্টি নাই। যে পরিবেশে সৃষ্টিশিলতার কোনো দাম নেই। এই পরিবেশে বাস করতে করতে আজ আমার বিরক্তি ধরে গেছে। পুরো পৃথিবী আজ আমার কাছে জেল খানার মতো। একটি জীবের বাঁচার জন্য যে আনন্দটুকুর দরকার হয়, তার কোনো কিছুই আমি পাচ্ছি না। আমি আজ নিরানন্দের মধ্যে আনন্দ মনে করে নিজের জীবনকে কাটাতে চেয়েছিলাম। সেই ইচ্ছে আজ কেমন যেনো জিপসী হয়ে গেছে। আজ শুধু নিজের মৃত্যুকেই সব থেকে আনন্দের ব্যপার বলে মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে, এই অসুন্দরের পৃথিবী থেকে পালাতে পারলে আমি বেঁচে যাই।



নিজের কাছে নিজেকে জিজ্ঞেস করি, কেনো এই পৃথিবীতে এলি? যখন এখানে এলিই তখন আবার প্রেম করার কি দরকার ছিলো? জানিস না এই পৃথিবী করাপটেড? জানিস না এখানে কেউ কাউকে হেল্প করে না বরং ক্ষতি করতে বেশি উৎসাহী হয়? আজ আমি অসুন্দরকে আপনাদের কাছে ছেড়ে দিলাম। যারা সুন্দরকে বোঝেন নি তারা নিশ্চই অসুন্দরের ভয় কে মেনে নিবেন। ভালোটা দিয়ে আজ পর্যন্ত যা সম্ভব করতে পারি নি, নিশ্চই খারারপটা দিয়ে তাদের আমি মহাশাস্তি দিতে দিতে বুঝাতে পারবো।



আমি দেখতে চাই পৃথিবীর সব মানুষের কতখানি শক্তি আছে? আমি দেখতে চাই আমার এই ধ্বংসযঞ্জ তারা কিভাবে মোকাবেলা করতে পারে? আমি দেখতে চাই শয়তানের শয়তান কে? আমি দেখতে চাই সমস্ত শয়তান কেনো আমার গোলামের মতো আচরন করবে না?



আজ আমি আমার মনে কোনো দয়া মায়া রাখলাম না। আমি আজ দয়ামায়াহীন এক দানব। এই দানব শুধু ধ্বংসের দানব। প্রেমহীন একজন মানুষ দানবের থেকেও অসহায়!



বন্ধু! আমার আজ কি হলো? শুধু শুধু সবকিছু ধ্বংস করে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে। আমি তো এমন ভাবে কথা বলতে চাই নি। তারপরও আমাকে দিয়ে কে বা কারা লিখিয়ে যাচ্ছে? কেনো এতোসব কথা আমি আপনাদের বলছি? কেনো আমি এতো বেশি বিষয় নিয়ে আবির্ভাব ঘটালাম? আমার সব প্রশ্নের উত্তর আপনারা পেয়ে যেতেন। যদি না আপনারা আমার কাছে প্রশ্নের বদলে প্রশ্ন সাপ্লাই না দিতেন। আজ আমি সেই সব মানুষদের দেখতে চাই, যারা আমার প্রেমে বাধা দিয়েছিলো। যারা আমার প্রেম কে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে গেছেন। আমি আজ বোঝাতে চাই প্রেমহীন করার ফল কতো বেশি কঠিন হতে পারে। আজ আমি কঠিন ইস্পাতের মতো শক্ত হয়ে গেছি। আজ আমি আমার শক্তিদ্বারা শয়তানের শক্তিকে কাজে লাগাবো। আমি থেকে যাবো সব সময় ধরা ছোঁয়ার বহু উর্দ্ধে!



(আমার এই রকম লেখাগুলো সব শ্রেণীর মানুষের জন্য না। যারা অলৌকিকতা বিশ্বাস করেন, যারা ব্লাক ডিসিসনে বিশ্বাস করেন ও যারা ধ্যানের মাধ্যমে উচ্চ স্তরে আছেন। তাঁদের জন্য এই লেখাটি দিয়ে দিলাম। কোনো সাধারণ মানুষ আমার এই লেখাটি পড়ে বাজে ধ্যান ধারনা গ্রহন করলে এর জন্য আমি মোটেও দায়ী না।)



https://www.facebook.com/asif.ud

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.