নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুন ঠিকানা-http://www.somewhereinblog.net/blog/ochenahappy

আবদুস সবুর খান

http://www.facebook.com/AskSumon -https://asksumon.wordpress.com/main-page/

আবদুস সবুর খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ : দাড়ি রাখার ব্যাপারে ইসলাম কি বলে..........

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৫১

প্রশ্ন: শরীয়তের দৃষ্টিতে দাঁড়ি রাখার হুকুম কি? পরিমান কতটুকু? শুনেছি শরয়ী পরিমাপ থেকে কম দাঁড়ি রাখেন এমন ব্যক্তি সর্বদা গুনাহে লিপ্ত থাকেন, কথাটি কতটুকু সঠিক ?



উত্তর:

প্রথমে একটি হাদিস দেখি:

যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে মুহাব্বত করল সে যেন আমাকেই মুহাব্বত করল। আর যে আমাকে মুহাব্বত করল সে আমার সাথে জান্নাতে বসবাস করবে।

(তিরমিযী শরীফ, মেশকাত- পৃ: ৩০)



দাঁড়ির হুকুম ও পরিমাপ:

ইসলামী শরীয়তে একমুষ্টি পরমান লম্বা দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব বা আবশ্যক। দাঁড়ি এক মুষ্টির কম রাখা বা একেবারে তা মুন্ডিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে হারাম এবং কবীরা গুনাহ। স্বয়ং হুজুর স. এর দাঁড়ি রাখা এবং তার অসংখ্য হাদীসে উম্মতের প্রতি দাঁড়ি রাখার সাধারণ নির্দেশই প্রমান করে যে, দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব এবং না রাখা হারাম। কারন, শরীয়ত প্রবর্তক কর্তৃক কোন বিষয়ের প্রতি সাধারন নির্দেশ হলে তা পালন করা ওয়াজিব এবং বিপরীত করা হারাম হয়ে যায়। আরে এটা ফিক্বাহ শাস্ত্রের একটি মূলনীতিও বটে। এছাড়া সাহাবা, সালফে সালেহীন এবং ফুক্বাহাগণের দাঁড়ি রাখার নিরবচ্ছিন্ন আমল এবং তাদের বিভিন্ন উক্তিসমূহের দ্বারাও এক মুষ্টি পরিমাপ লম্বা দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব এবং এর বিপরীত করা হারাম প্রমাণিত হয়।



নিম্নে দাঁড়ি সম্পর্কিত কতিপয় হাদীস, সাহাবাগণের আমল ও ফুক্বাহাগণের উক্তিসমূহ উল্লেখ করা হল:



হাদীস শরীফে দাঁড়ি:

১. হযরত আয়েশা রা. বলেন, রাসূল স. ইরশাদ করেছেন, দশটি বিষয় সকল নবী রাসূলগণের সুন্নাত। তন্মধ্যে গোঁফ ছোট করা এবং দাঁড়ি লম্বা করা অন্যতম।

(মুসলিম শরীফ,১/১২৯)



২. হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল স. ইরশাদ করেছেন, তোমরা গোঁফ কাট এবং দাঁড়ি লম্বা কর, আর অগ্নিপূজকদের বিরোধিতা কর।

(মুসলিম শরীফ,১/১২৯)



৩. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল স. ইরশাদ করেন, মুশরিকদের বিরোধিতরা কর, দাঁড়ি লম্বা কর, আর গোঁফ ছোট কর।

(বুখারী শরীফ- ২/৮৭৫, মুসলিম)



৪. হুজুর স. বলেছেন যে, তোমরা ভালভাবে গোঁফ কাট এবং দাড়ি বাড়াও। (বুখারী শরীফ)



৫. হুজুর স. এরশাদ করেন যে, গোঁফ কাট এবং দাড়ি ছড়িয়ে রাখ। (কাজী এয়াজ শরহে মুসলিম নববী)



৬. হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম স. ইরশাদ করেন, দাড়ি বাড়াও , গোঁফ কাট এবং এ ক্ষেত্রে ইহুদী-খ্রীষ্টানদের সাদৃশ্য অবলম্বন করোনা। (মাসনাদে আহমদ)



৭. নবী করীম স. এর আমল দ্বারাও দাড়ি প্রমান পাওয়া যায়। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে যে, সাহাবী হযরত খাব্বাব রা.-কে কেউ জিজ্ঞেস করেন, হুজুর পাক স. কি জোহর ও আছর নামাযে কেরআত পাঠ করতেন? তিনি বলেন, হ্যা, পাঠ করতেন। লোকটি পুন:প্রশ্ন করেন, আপনি কিভাবে তা বুঝতেন ? তিনি বলেন হুজুর স.-এর দাড়ি মুবারকের দোলায় আমরা বুঝতাম যে, তিনি কিরআত পাঠ করছেন। (তাহাবী শরীফ)



বলাবাহুল্য, কেরআত পাঠকালে ঐ দাড়ি দোলাই পরিদৃষ্ট হবে, যা যথেষ্ট দীর্ঘ হয়, ছোট ছোট দাড়ি কখনো দুলবে না।



এক নজরে দাড়ি:

১. দাড়ি বাড়াও। (বুখারী, মুসলিম শরীফ)

২. দাড়ি পূর্ণ কর। (মুসলিম শরীফ)

৩. দাড়ি ঝুলন্ত ও লম্বা রাখ। (মুসলিম শরীফ)

৪. দাড়ি বহার রাখ। (মাজমাউল বিহার)

৫. দাড়ি বেশী রাখ (বুখারী, মুসলিম)

৬. দাড়িকে ছাড়, অর্থাৎ কর্তন করো না। (তাবরানী)



দাঁড়ি ও সাহাবায়ে কেরামের আমল :

১.হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা.যখন হজ্জ্ব বা উমরা আদায় করতে, তখন স্বীয় দাঁড়ি মুষ্টি করে ধরতেন, অতঃপর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন।

(বুখারী শরীফ- ২/৮৭৫)



২. হযরত আবু হুরায়রা রা. স্বীয় দাঁড়ি ধরতেন, অতঃপর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন।

(মুসান্নাফ লি-ইবনি আবি শাইবা- ১৩/১১২)



দাঁড়ি ও ফুক্বাহাদের উক্তি:

১. হানাফী মাযহাবের কিতাব শরহে মুনহাল ও শরহে মানজুমাতুর আদবের মধ্যে লিখেছেন, নির্ভরযোগ্য ফতোয়া হল দাড়ি মুন্ডানো হারাম।



২.মাওলানা আশেকে এলাহী মিরাঠী রহ. তার প্রণিত “’”দাড়ি কী কদর ও কীমত” কিতাবে চার মাজহাবের ফক্বীহগণের মতামত শাফেয়ী মাজাহাবের প্রামান্য গ্রন্থ “আল ওবাব” হতে উদ্বৃত করেছেন :

ইমাম ইবনুর রাফ’আ বলেন, ইমাম শাফেয়ী রহ. “আলউম্ম” কিতাবে লেখেন যে, দাড়ি কাটা হারাম।



৩. মালেকী মাজহাব মতেও দাড়ি মুন্ডন করা হারাম। অনুরূপভাবে ছুরত বিগড়ে যাওয়া মত ছেটে ফেলাও হারাম। (কিতাবুল ওবদা)



৪. হাম্বলী মাজহাবের কিতাব “শাহহুল মুন্তাহা” ও “শরহে মুজ্জুমাতুল আদব” এর উল্লেখ হয়েছে যে, নির্ভরযোগ্য মত হল দাড়ি মুন্ডন করা হারাম।



অনুরূপ অন্যান্য গ্রন্থাকারও দাড়ি রাখা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে মাননীয় ইমামদের ইজমা (ঐকমত) বর্ণনা করেছেন।



দাড়ি কর্তনকারী আল্লাহ পাকের দুশমনদের মধ্যে গণ্য হওয়ার সম্ভাবনা:



ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. নিজ রচিত “কিতাবুজ্জুহুদে” আকীল ইবনে মোদরেক সালামী হতে উদ্ধৃতি করেন যে, আল্লাহ জাল্লা শানুহু বনী ইস্রাইলের এক নবীর নিকট এই অহী প্রেরন করেন যে, তিনি যেন নিজ কওম বনী ইস্রাইলকে এ কথা জানিয়ে দেন যে, তারা যেন আল্লাহ তা’য়ালার দুশমনদের বিশেষ খাদ্য শুকরের গোশত না খায় এবং তাদের বিশেষ পানীয় অর্থাৎ শরাব(মদ) পান না করে এবং তাদের শিক্ল ছুরত (আকৃতি) না বানায়। যদি তারা এমন করে অর্থাৎ শুকরের গোশত খায়, বা মদ পান করে, অথবা দাড়ি মুন্ডায় বা ছোট করে (ফ্রেন্সকাট করে) অথবা বড় বড় মোচ রাখে, তা’হলে তারাও আমার দুশমন হবে, যেমন তারা আমার দুশমন। (দালায়েলুল আসর)



কওমে লূতের নিন্দনীয় বৈশিষ্ট্য ও ধ্বংসের কারন:



প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে আসাকেরসহ আরো কতিপয় মুহাদ্দিস হযরত হাসান রা. হতে নবী করীম স. এর এই মুবারক হাদীস বর্ণনা করেন যে, দশ প্রকার পাপে লূত সম্প্রদায় ধ্বংস হয়েছিল; তন্মধ্যে দাড়ি কাটা, গোঁফ বড় রাখা অন্যতম।



আল্লাহ সুবানুহুতা’'য়ালা আমাদের সকলকে দাঁড়ি রাখার গুরুত্ব অনুধাবন করে যারা এখন দাঁড়ি রাখিনি তাদের দাঁড়ি রাখার তৌফিক দান করুন

এবং যারা দাঁড়ি সম্পর্কে আজেবাজে মন্তব্য করেন তাদের হেদায়াত দান করুন। আমীন।

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:০৯

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ইছলাম মানে শান্তি। ইছলাম শান্তির ধর্ম। ধর্ম নিয়ে এ ধরনের বাড়াবাড়ি, গোড়ামি ইছলাম সমর্থন করেনা। যখন তামাম দুনিয়ার পুরুষ গাল চেছে ঘুরছে, সেখানে এইসব ধর্মান্ধতা মানুষকে এক ঘরে করে দিচ্ছে, পশ্চাদপদ করছে। দাড়ি রেখে হিজবুতি, শিবির জঙ্গি সন্ত্রাসী ছাগু হওয়া ছাড়া কী হয়েছে মুছলমানেরা? তবে অমুসলিমরা দাড়ি রাখলে সে ছাগু না, তাদের আদর করে দেবদাস ডাকা হয়।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৩২

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনি বলেছেন
ধর্ম নিয়ে এ ধরনের বাড়াবাড়ি, গোড়ামি ইছলাম সমর্থন করেনা
সহমত

ইসলাম যতটুকু পালন করার নির্দেশ দিয়েছে ততটুকুই পালন করতে হবে
তার বেশিও নয় কমও নয়।
এবং বাড়াবাড়িও নয়।

আপনি বলেছেন,
যখন তামাম দুনিয়ার পুরুষ গাল চেছে ঘুরছে, সেখানে এইসব ধর্মান্ধতা মানুষকে এক ঘরে করে দিচ্ছে, পশ্চাদপদ করছে।

জনাব চে গুয়েভাড়া দাড়ি রেখেও হয় বিপ্লবী
আর মুসলমানরা হয় জঙ্গী

আপনি বলেছেন,
দাড়ি রেখে হিজবুতি, শিবির জঙ্গি সন্ত্রাসী ছাগু হওয়া ছাড়া কী হয়েছে মুছলমানেরা?

বাংলাদেশে ইসলামিক দল কয়টি সে সম্পর্কে আপনার ধারনা দেখছি একেবারে নগন্য !!!!

তবে হ্যা বাংলাদেশে ইসলামের নামে বোমাবাজি করা ইসলাম কখনই সমর্থন করে না।

আপনি বলেছেন,
তবে অমুসলিমরা দাড়ি রাখলে সে ছাগু না, তাদের আদর করে দেবদাস ডাকা হয়।

কারন তারা তো আমাদের পথপ্রদর্শক !!!!

অথবা তাদের ছাগু বললে কি দাদারা টাকা দেবে ???

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৪২

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: +++++priyote

Sri rabinrodonth thakur

carl marks

tolstoy

che Guevara

etc etc

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৫৪

আবদুস সবুর খান বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খাইর.....

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৪৭

বাংলা আমার প্রাণ বলেছেন: দাঁড়ি রাখতে ইচ্ছে করে। ছোটবেলায় না রাখায় এখন কেমন যেন কঠিন মনে হয় মনে হয় এখন দাঁড়ি রাখলে বৃদ্ধ দেখাবে। জানি পাপ হচ্ছে পাপের পথে যেতে একখ আর হচ্ছ করে না। তার পরেও দাঁড়ি রাখতে পারছিনা।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০০

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আল্লাহ কাছে সাহায্য চান এবং আল্লাহ উপর ভরসা করে রেখে দিন

আসলে শয়তান চায়না আমরা আল্লাহর হুকুম মানি তাই আমাদের এইসব জিনিষ মনে এনে আমাদের ধোকা দিতে চায়।

ভাই বৃদ্ধ দেখালে আর কি হবে আমার হায়াত বেশি হলে ১০০ বছর
হতে পারে আর ১ ঘন্টার ভিতরেই আমি মারা যেতে পারি।

তাই আল্লাহর উপর ভরসা করে দাড়ি রেখে দিন এবং দাড়ি রাখার কারনে যে সকল বাধা আসবে (আমি রাখার পর অনেক বাধা এসেছে) ধৈর্য
ধরে থাকুন। দেখবেন আজ যে আপনাকে মন্দ বলছে কাল সেই আপনার গুনগান গাইবে।

আল্লাহ চাইলে সব পারেন। তাই আমরা বেশি বেশি করে সওয়াবের কাজ করার জন্য সবসময় আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকি।

আল্লাহ তা’য়ালাই তো আমাদের একমাত্র সহায়।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৫৮

কাম্রুল বলেছেন: ধর্মীয় আইনের মারপ্যাচ দিয়ে একেবারে হারাম করে দিলেন?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০২

আবদুস সবুর খান বলেছেন: কাম্রুল ভাই , আপনি বলেছেন,
ধর্মীয় আইনের মারপ্যাচ দিয়ে একেবারে হারাম করে দিলেন?

নামায পড়া ফরজ এবং তা ধর্মীয় আইনের মারপ্যাচের মাধ্যমেই।

এখন কেউ যদি বলে, তোমরা মুসলমানরা ধর্মীয় আইনের মারপ্যাচ দিয়ে নামাযকে একদম ফরয করে দিলে !!!!!

------ তখন কথাটা কেমন শুনাবে ???????

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০৬

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই দাড়ি রাখা সুন্নত, ফরজতো নয়ই ওয়াজিবও নয়। আর দাড়ি না রাখলেও কোন গুনাহ হবে না।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৫৬

আবদুস সবুর খান বলেছেন: পোষ্ট-টি কি পুরো পড়েছেন?

যদি পোষ্টের হেডিং দেখে মন্তব্য করে থাকেন তবে পোষ্টটি পুরো পড়ে মন্তব্য করুন।

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১৯

কে এস আরেফিন বলেছেন: দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব কারন সকল সহী হাদিসে এসেছে দাঁড়ি বাড়াও গোফ ছোট কর আপনি উপরের হদিস গুলোতেও তাই উল্লেখ করলেন কিন্তু নিজে থেকে এক মুষ্ঠি শব্দটা কেন যোগ করলেন।

দাঁড়ি এক মুষ্টির কম রাখা বা একেবারে তা মুন্ডিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে হারাম এবং কবীরা গুনাহ।

তাদের বিভিন্ন উক্তিসমূহের দ্বারাও এক মুষ্টি পরিমাপ লম্বা দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব এবং এর বিপরীত করা হারাম প্রমাণিত হয়।

দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব এবং আল্লাহ তায়ালা মুখে যে অংশটুকুতে দাড়ি দিয়েছেন সেটুকু ছেড়ে দিতে হবে আর গোফ ছোট করতে হবে মুন্ডন করা যাবে না। এটাও সবগুলো সহী হাদিস দ্বারা প্রমানিত এবং আপনি নিজেও সেগুলো উল্লেখ করেছেন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৫৯

আবদুস সবুর খান বলেছেন: দাঁড়ি এক মুষ্টির কম রাখা বা একেবারে তা মুন্ডিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে হারাম এবং কবীরা গুনাহ

কিন্তু নিজে থেকে এক মুষ্ঠি শব্দটা কেন যোগ করলেন

ভাই দুটি কথার মধ্যে পার্থক্য তো ধরতে পারলাম না ????

হয়তো আমার বুঝার ভুল। একটু বুঝিলে বললে উপকৃত হতাম।

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৩৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: দাড়ি রাখার ব্যাপারে বুখারী শরীফের(সহী) ভলিউম-৭ এবং হাদিস নং ৭৮০-৭৮১ যেখানে রাসুল(সাঃ) বলছেন গোফ কামাতে ও দাড়ি রাখতে। এখানে এটাকে ফরজ অথবা ওয়াজিব বলা হয়নি। কাজেই যেটা সরাসরি ফরজ অথবা ওয়াজিবের কথা বলেনি সেটাকে তা বলা গুনাহর শামিল!

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:০১

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনি বলেছন,
দাড়ি রাখার ব্যাপারে বুখারী শরীফের(সহী) ভলিউম-৭ এবং হাদিস নং ৭৮০-৭৮১ যেখানে রাসুল(সাঃ) বলছেন গোফ কামাতে ও দাড়ি রাখতে। এখানে এটাকে ফরজ অথবা ওয়াজিব বলা হয়নি। কাজেই যেটা সরাসরি ফরজ অথবা ওয়াজিবের কথা বলেনি সেটাকে তা বলা গুনাহর শামিল!

এবার আপনি বলুন,
হুজুর স.-এর আদেশসূচক বাক্য শরীয়তের ক্ষেত্রে কোন পর্যায়।

১. ফরয
২. ওয়াজিব
৩. সুন্নত
৪. মুস্তাহাব
৫. মুবাহ

আশা করি উত্তরটি দিবেন ....

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৪১

মাহফুজশান্ত বলেছেন: প্রথমেই বলে রাখি, আমি দাড়ি রাখার পক্ষে। তবে বেশি লম্বা দাড়ি রাখা পছন্দ করি না।

কোন মুসলিম নিয়মিত শূকরের মাংস খেলে কি তিনি মুসলিম থাকতে পারবেন?
কোন মুসলিম নিয়মিত দাড়ি সেভ করলে কি তিনি মুসলিম থাকতে পারবেন?
আশাকরি উত্তর দেবেন।
ধন্যবাদ-

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:০৪

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনার প্রথম প্রশ্ন আমার পোষ্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় তাই উত্তর দিলাম না।

আপনার দ্বিতীয় প্রশ্ন....

কোন মুসলিম নিয়মিত দাড়ি সেভ করলে কি তিনি মুসলিম থাকতে পারবেন?

অবশ্যই পারবেন। কিন্তু তিনি ওয়াজিব তরক করার কারনে গুনাহের ভাগিদার হবেন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:২০

আবদুস সবুর খান বলেছেন: হাদীসে আছে,
নবী করীম স. এর আমল দ্বারাও দাড়ি প্রমান পাওয়া যায়। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে যে, সাহাবী হযরত খাব্বাব রা.-কে কেউ জিজ্ঞেস করেন, হুজুর পাক স. কি জোহর ও আছর নামাযে কেরআত পাঠ করতেন? তিনি বলেন, হ্যা, পাঠ করতেন। লোকটি পুন:প্রশ্ন করেন, আপনি কিভাবে তা বুঝতেন ? তিনি বলেন হুজুর স.-এর দাড়ি মুবারকের দোলায় আমরা বুঝতাম যে, তিনি কিরআত পাঠ করছেন। (তাহাবী শরীফ)

বলাবাহুল্য, কেরআত পাঠকালে ঐ দাড়ি দোলাই পরিদৃষ্ট হবে, যা যথেষ্ট দীর্ঘ হয়, ছোট ছোট দাড়ি কখনো দুলবে না


আপনি বলেছেন,
তবে বেশি লম্বা দাড়ি রাখা পছন্দ করি না

আমি যদি এখন সুদ খাওয়াকে জায়েয মনে করেন তবে আমার ভাই কি করার আছে (কথার কথা বললাম আরকি) ?

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:১২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: সবুর ভাই, বহু হাদিসেই রাসুল(সাঃ) বলেছেন এটা তোমাদের জন্য সুন্নত, ফরজ, ওয়াজিব, মুস্তাহাব এবং সরাসরি হারাম। এগুলোর অনেক গুলোই পবিত্র কোরআনে নেই। ঠিক তেমনি দাড়ি রাখার ব্যাপারেও পবিত্র কোরআন আল্লাহপাক কিছু বলেননি। তাই উক্ত সহী বুখারীর রেফারেন্স অনুযায়ী যেহেতু রাসুল(সাঃ) কোন কিছুই উল্লেখ করেন নি তাই সেটাকে সাধারণত সুন্নত বলেই ধরে নিচ্ছি। এইটা সাধারণ আহবান, রাখতেই হবে এমন বিষয় নয়। ধন্যবাদ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৩৪

আবদুস সবুর খান বলেছেন: তিনি বললেনঃ হে আমার জননী-তনয়, আমার শ্মশ্রু ও মাথার চুল ধরে আকর্ষণ করো না; আমি আশঙ্কা করলাম যে, তুমি বলবেঃ তুমি বনী-ইসরাঈলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছ এবং আমার কথা স্মরণে রাখনি।
সুরা ত্ব-হা-94

উক্ত আয়াত দ্বারা প্রমানিত হয় নবী এবং রাসূলদের দাড়ি এবং চুল বড় হয়।
অন্তত কমপক্ষে এক মুষ্টি।

এবং আবার প্রশ্ন..........

হুজুর স.-এর আদেশসূচক বাক্য শরীয়তের ক্ষেত্রে কোন পর্যায়।

১. ফরয
২. ওয়াজিব
৩. সুন্নত
৪. মুস্তাহাব
৫. মুবাহ

আশা করি উত্তরটি দিবেন ....

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:১৬

কে এস আরেফিন বলেছেন: "দাঁড়ি এক মুষ্টির কম রাখা বা একেবারে তা মুন্ডিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে হারাম এবং কবীরা গুনাহ।

তাদের বিভিন্ন উক্তিসমূহের দ্বারাও এক মুষ্টি পরিমাপ লম্বা দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব এবং এর বিপরীত করা হারাম প্রমাণিত হয়।"

এই লাইন দুইটা আপনার পোস্ট থেকেই কোট করে জানতে চায়েছি আপনি এক মুষ্ঠির কথা কিভাবে বললেন। কোথাও তো এক মুষ্ঠির কথা নাই।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:২৪

আবদুস সবুর খান বলেছেন: দাঁড়ি ও সাহাবায়ে কেরামের আমল:

১.হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা.যখন হজ্জ্ব বা উমরা আদায় করতে, তখন স্বীয় দাঁড়ি মুষ্টি করে ধরতেন, অতঃপর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন।
(বুখারী শরীফ- ২/৮৭৫)

২. হযরত আবু হুরায়রা রা. স্বীয় দাঁড়ি ধরতেন, অতঃপর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন।
(মুসান্নাফ লি-ইবনি আবি শাইবা- ১৩/১১২)

কথাটা ছিল এরকম.....

এছাড়া সাহাবা, সালফে সালেহীন এবং ফুক্বাহাগণের দাঁড়ি রাখার নিরবচ্ছিন্ন আমল এবং তাদের বিভিন্ন উক্তিসমূহের দ্বারাও এক মুষ্টি পরিমাপ লম্বা দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব এবং এর বিপরীত করা হারাম প্রমাণিত হয়।

----এর বিপরীত”---- বলতে এক মুষ্টির কম রাখাকে বুঝানো হয়েছে।

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৩৪

কে এস আরেফিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই

আপনার "এক মুষ্টির" কথাটা এখন খুব পরিস্কার হলো, যে দাঁড়ি লম্বায় এক মুষ্টি পর্যন্ত রাখতে হবে এর বেশি হলে এক মুষ্টি রেখে ছাঁটা যায়।

আপনার উপরের কথা থেকে আমি মনে করেছিলাম আপনি মুখে থুথনির কাছের এক মুষ্টির কথা বলেছেন। যেটা অনেক মুসলমানদেরকে রাখতে দেখা যায়। তার থুথনির কাছে রেখে উপরের অংশ কেটে ফেলে সে হারাম।

আল্লাহ আপনাকে উত্তম যাযা দান করুন। আমিন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৩

আবদুস সবুর খান বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খাইর............

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই এই ঘটনায় বুঝা যায় নবী ও রাসুলদের দাড়ি ছিল! কিন্তু মুসলমানদের জন্য দাড়ি রাখা ফরজ অথবা ওয়াজিব তা কোন সহী হাদিসে বলা আছে সেটা দয়া করে বলবেন কি?

আপনার যে প্রশ্ন তার সমন্ধে আমার খুব বেশী জ্ঞান নাই। দাড়ি রাখার প্রশ্নে এক আলেম বলেন ফরজ তো আরেকজন বলেন ওয়াজিব। তাই আমরা এখানে দাড়ি রাখা ফরজ বা ওয়াজিব তা সহী হাদিসের মাধ্যমে জানতে চাই। ধন্যবাদ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১০

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনি বললেন,
ভাই এই ঘটনায় বুঝা যায় নবী ও রাসুলদের দাড়ি ছিল!

আমি বলেছিলাম,
উক্ত আয়াত দ্বারা প্রমানিত হয় নবী এবং রাসূলদের দাড়ি এবং চুল বড় হয়।


আপনি বলেছেন,
আপনার যে প্রশ্ন তার সমন্ধে আমার খুব বেশী জ্ঞান নাই

আগে বলেছিলেন,
ভাই দাড়ি রাখা সুন্নত, ফরজতো নয়ই ওয়াজিবও নয়। আর দাড়ি না রাখলেও কোন গুনাহ হবে না।

যে বিষয়ে জ্ঞান নেই সেই বিষয়ে এতবড় কথা কিভাবে বললেন ???


যদি কোন বিষয়ে জ্ঞান না থাকে তবে

আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেন,
“অতএব, জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা কর যদি তোমাদের জানা না থাকে”
- সূরা নাহল (৪৪)

অতএব, পোষ্টের কথা অনুযায়ী আমল করুন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১২

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনি বলেছেন,
দাড়ি রাখার প্রশ্নে এক আলেম বলেন ফরজ তো আরেকজন বলেন ওয়াজিব।

এই পোষ্টটি পড়ে দেখতে পারেন -http://www.somewhereinblog.net/blog/asksumon0000/29540920

এবং যেহেতু আলেমরা কেউ এটাকে ফরজ আবার কেউ এটাকে ওয়াজিব বলছেন তাহলে অবশ্যই এটা পালনীয়।

১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৪৪

অমল ধবল বলেছেন: প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইবনে আসাকেরসহ আরো কতিপয় মুহাদ্দিস হযরত হাসান রা. হতে নবী করীম স. এর এই মুবারক হাদীস বর্ণনা করেন যে, দশ প্রকার পাপে লূত সম্প্রদায় ধ্বংস হয়েছিল; তন্মধ্যে দাড়ি কাটা, গোঁফ বড় রাখা অন্যমত

দয়া করে একে অন্যতম করে দিন।


আল্লাহ সুবহানাহুতা’'য়ালা আমাদের সকলকে দাঁড়ি রাখার গুরুত্ব অনুধাবন করে যারা এখন দাঁড়ি রাখিনি তাদের দাঁড়ি রাখার তৌফিক দান করুন

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৬

আবদুস সবুর খান বলেছেন: সুন্দর পরামর্শ দেয়ার জন্য জাযাকাল্লাহ খাইর........

১৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫০

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি দাড়ি রাখার সাথে সুদ খাওয়ার বিষয টেনে আনলেন!!
অথচ আমার প্রথম প্রশ্ন পোষ্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে এড়িয়ে গেলেন!!
আল-কোরআনে গরীবির সুযোগ নিয়ে ঋণ দিয়ে চক্রবৃদ্ধি হারে অতিরিক্ত আদায় করার বিষয়ে (রিবা) স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সুতরাং এরূপ চক্রবৃদ্ধি হারে অতিরিক্ত গ্রহণ (রিবা) অবশ্যই হারাম এবং তাতে আমার কোনই সন্দেহ নেই।
দাড়ি কর্তন করা হারাম বা দাড়ি না রাখলে ইমানদার হওয়া যাবে না অর্থাৎ দাড় রাখা ফরজ/ওয়াজিব, এমনটি কি আল-কোরআনে বলা আছে?
আশাকরি অযথা কটাক্ষ না করে সঠিক উত্তর দেবেন। আর দিতে না পারলে স্বীকার করবেন।
কেননা সুক্ষ্ম বিচারের মালিক একমাত্র আল্লাহ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:৫৭

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনি তেনা পেচাতে থাকুন। আমি তেনা পেচানোর জন্য ব্লগে লিখিনা।

ধন্যবাদ

১৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: সত্য কথা স্পষ্ট করে বললে তনা পেচানো হয়!!
তাহলে কি আপনি বিভেদ সৃষ্টির জন্য লিখেন?
এভাবে যারা বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়- তাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।
'সত্য স্রষ্টার শাশ্বত সৃষ্টি, সুতরাং সত্যকে স্বীকার কর'
'মিথ্যা মানুষের মনগড়া মডেল মাত্র, সুতরাং মানসপট মিথ্যার মায়াজাল মুক্ত কর'

১৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই, আপনি বলছেন যে দাড়ি রাখা ওয়াজিব। তা রাখলে গুনাহ হবে। কিন্তু এইখানে একজন ইসলামী স্কলার আব্দুর রহিম গ্রীণ বলছেন ফরজ;

Click This Link

স্পষ্টতই একেক জন ইসলামী আলেম নিজস্ব রায়ে এটাকে ফরজ অথবা ওয়াজিব বলছেন। কারণ একটাই উক্ত সহী বুখারীর হাদিসে কোন স্পষ্ট উল্লেখ অথবা রাখতেই হবে এমন কোন কথা(ফরজ-ওয়াজিব) উল্লেখ নেই। তাই কেউ সূনির্দিষ্ট করতে পারছেন না। যার যার মত এটাকে চূড়ান্ত করে ফেলছেন। এই প্রসঙ্গে ইসলামের চার ইমামের কথা বলা যায় যেমন হানিফা(রাঃ) এই হাদিসে যতটা জোর দিতেন শাফী(রাঃ) অতটা জোর দিতেন না। এই প্রসঙ্গে লন্ডন মুসলিম কলেজের অধ্যাপক জামাল সোলেইমানের বক্তব্য দেখুন;

Click This Link

চার ইমাম দাড়ি রাখার জন্য বলেছেন যাতে ছোয়াব আছে। কিন্তু ইমাম শাফী(রাঃ) এটাকে ফরজ বা ওয়াজিব বলেন নি। আর অধ্যাপক সোলেইমানও বলছেন এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নয়। তাই দাড়ি না রাখলে কোন গুনাহ হবে না। ধন্যবাদ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৮

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনি বলেছেন,
কারণ একটাই উক্ত সহী বুখারীর হাদিসে কোন স্পষ্ট উল্লেখ অথবা রাখতেই হবে এমন কোন কথা(ফরজ-ওয়াজিব) উল্লেখ নেই

আপনাকে একটি প্রশ্ন আগেও করেছি আবার করছি
এবং উত্তরটি আপনার কোন নির্ভরযোগ্য আলেম থেকে জেনে দালিলিকভাবে আমাকে জানান...........


এবং আবার প্রশ্ন..........

হুজুর স.-এর আদেশসূচক বাক্য শরীয়তের ক্ষেত্রে কোন পর্যায়।

১. ফরয
২. ওয়াজিব
৩. সুন্নত
৪. মুস্তাহাব
৫. মুবাহ

আশা করি উত্তরটি দিবেন ....

আমি এই প্রশ্নটির


আপনি বলেছেন,
কিন্তু ইমাম শাফী(রাঃ) এটাকে ফরজ বা ওয়াজিব বলেন নি

সূত্র দিন।

এবং আমার সূত্র যাচাই করুন.......
ইমাম শাফেয়ী রহ. “আলউম্ম” কিতাবে লেখেন যে, দাড়ি কাটা হারাম।

(যদি সম্ভব হয় ভিডিওটি দেখে তারপর বলুন। আমার নেট স্পিড কম এবং লিমিডেট তাই আমার পক্ষে ভিডিওটি দেখা সম্ভব নয়)

১৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: দুঃখিত! দয়া করে তা না রাখলে গুনাহ হবে! পড়ে নিয়েন।

১৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩০

েমা আশরাফুল আলম বলেছেন: Nice post of current interest. Please, please don’t argue with this matter.
We lost Spain to make debate like this.

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫১

আবদুস সবুর খান বলেছেন: ভাল বলেছেন।
যে স্পেন আমরা ৮০০ বছর শাসন করলাম সেই স্পেনে আজ আযানের আওয়াজ শোনা যায় না।

কবে যে আমরা বুঝব ?

জাযাকাল্লাহ খাইর..........

১৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩১

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: @মাহফুজ শান্ত, এবং বাংলাদেশ জিন্দাবাদ,

আমি যত মত পন্থার আলেমদের কথা শুনেছি, সেটা তাবলীগ হোক, আওয়ামী ওলামা হোক, জামাত হোক, হাটহাজারী, দেওবন্দী হোক, মাসিক মদীনা হোক, মাসিক পৃথিবী হোক

কোন আলেম কখনই বলেন নি দাড়ি রাখা একটা সুন্নত

সবাইকে সর্বসম্মতিক্রমে ওয়াজিব বলতে শুনেছি, পড়েছি। আমরাদের এত তর্ক করার খায়েশ হয়ে যেকোন (আপনার মন মত ভাড়াটে হলেও হবে) মুফতির সাথে দেখা করতে পারেন। গায়ের জোরে, নিজের পছন্দ চাপিয়ে দিয়ে তর্ক করবেন না।

২০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭

কে এস আরেফিন বলেছেন: @বাংলাদেশ জিন্দাবাদ

ভাই আপনার কাছে একটা কথা জানতে চাই, যদি ইসলামের বড় বড় স্কলার বা ইমাম কোন কথা বলে আর কোরআন এবং সহী হাদিস দিয়ে সেটা প্রমান না করা যায় তাহলে কি সেটা পালন করা যাবে?

কে কি বলল সেটা না খুজে আপনার কাছে অনুরোধ নিজে একটু কোরআন হাদিস ঘেটে দাঁড়ি বিষয়ে যতগুলো আয়াত এবং সহী হাদিস আছে সেগুলো জানুন এবং সে অনুযায়ী আমল করুন।

দাঁড়ি নিয়ে যতগুলো হাদিস আছে সবগুলোতেই দাঁড়ি বড় করার কথা আছে তাই দাঁড়ি করতে হবে বলেই প্রতিয়মান হয়।

আর রসুল ( সাঃ ) যে কাজের তাগিদ দিয়ে গিয়েছেন সেটা আমাদের জন্য অবশ্যই করনীয় বলেই মনে হয়।

আল্লাহ আমাদের কে সঠিক ভাবে ইসলাম বোঝা এবং মানার তৌফিক দিন। আমিন।

২১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪১

কে এস আরেফিন বলেছেন: @মাহফুজশান্ত

আপনার কাছে প্রশ্ন শুধু কোরআন কি ইসলামের উৎস?

যদি তাই হয় তাহলে কোরআনের একটি আয়াত দিয়ে ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ প্রমান করুন। নামাজ আদায়ের পদ্ধতি প্রমান করন। প্রমান করুন যাকাতের নিসাব পরিমানের হিসাব।

সুদের যে সংগা দিলেন তাতে কি সকল প্রকার সুদ নিহিত আছে?

২২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪২

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: সাইফ ভাই আপনি ১৬নং কমেন্টের ইউটিউবের প্রথম লিংকটা দয়া করে দেখবেন সেখানে আ. র. গ্রীণ এটাকে ফরজ বলছেন। কিন্তু পরের লিংকে ইমাম শাফী(রাঃ)কে রেফারেন্স টেনে অধ্যাপক সোলাইমান বলছেন ফরজ অথবা ওয়াজিব নয়। তবে চার ইমামই রাখতে বলেছেন। তাই যেহেতু কোন সহী হাদিসে সরাসরি ফরজ বা ওয়াজিব বলেনি তাই দাড়ি না রাখলে কোন গুনাহ হবে না।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনি বলেছেন,
আ. র. গ্রীণ এটাকে ফরজ বলছেন।

তিনি রেফারেন্স কি দিয়েছেন ???

আপনি বলেছেন,
কিন্তু পরের লিংকে ইমাম শাফী(রাঃ)কে রেফারেন্স টেনে অধ্যাপক সোলাইমান বলছেন ফরজ অথবা ওয়াজিব নয়

ইমাম শাফেয়ী রহ. “আলউম্ম” কিতাবে লেখেন যে, দাড়ি কাটা হারাম।

২৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৪৮

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আরেফিন ভাই দাড়ি রাখলে নেকী আছে অবশ্যই স্বীকার করি। কিন্তু যেহেতু আলেমগণ এটাকে সূনির্দিষ্ট ভাবে ফরজ অথবা ওয়াজিব বলতে পারছেন না তাই এটাকে আমি সুন্নত হিসেবেই ধরে নিব। আপনি দয়া করে অধ্যাপক জামাল সোলাইমানের বক্তব্য(১৬নং কমেন্ট) দেখে নিয়েন। ফরজ এবং ওয়াজিব যা না পালন করলে গুনাহ সেই কারণেই সবুর ভাইয়ের স্রেফ এই অংশে ভিন্নমত পোষণ করছি। আমি আমার সারা জীবন দাড়ি রাখা সুন্নত বলেই জেনে আসছি।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৫৪

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনি বলেছেন,
ফরজ এবং ওয়াজিব যা না পালন করলে গুনাহ সেই কারণেই সবুর ভাইয়ের স্রেফ এই অংশে ভিন্নমত পোষণ করছি

আমি আপনাকে প্রশ্নে করেছিলাম,
হুজুর স.-এর আদেশসূচক বাক্য শরীয়তের ক্ষেত্রে কোন পর্যায়।

১. ফরয
২. ওয়াজিব
৩. সুন্নত
৪. মুস্তাহাব
৫. মুবাহ

এই মাসয়ালা জেনে তারপর বলুন।

অনেক আলেম তো মাজারে সিজদা করাও জায়েজ বলে
আপনি কি তাদের কথা মানবেন।


আপনি বলেছেন,
যেহেতু আলেমগণ এটাকে সূনির্দিষ্ট ভাবে ফরজ অথবা ওয়াজিব বলতে পারছেন না তাই এটাকে আমি সুন্নত হিসেবেই ধরে নিব।

লেখাটি পড়ে মন্তব্য করেছেন ?

দাঁড়ি ও ফুক্বাহাদের উক্তি:
১. হানাফী মাযহাবের কিতাব শরহে মুনহাল ও শরহে মানজুমাতুর আদবের মধ্যে লিখেছেন, নির্ভরযোগ্য ফতোয়া হল দাড়ি মুন্ডানো হারাম।

২.মাওলানা আশেকে এলাহী মিরাঠী রহ. তার প্রণিত “’”দাড়ি কী কদর ও কীমত” কিতাবে চার মাজহাবের ফক্বীহগণের মতামত শাফেয়ী মাজাহাবের প্রামান্য গ্রন্থ “আল ওবাব” হতে উদ্বৃত করেছেন :
ইমাম ইবনুর রাফ’আ বলেন, ইমাম শাফেয়ী রহ. “আলউম্ম” কিতাবে লেখেন যে, দাড়ি কাটা হারাম।

৩. মালেকী মাজহাব মতেও দাড়ি মুন্ডন করা হারাম। অনুরূপভাবে ছুরত বিগড়ে যাওয়া মত ছেটে ফেলাও হারাম। (কিতাবুল ওবদা)

৪. হাম্বলী মাজহাবের কিতাব “শাহহুল মুন্তাহা” ও “শরহে মুজ্জুমাতুল আদব” এর উল্লেখ হয়েছে যে, নির্ভরযোগ্য মত হল দাড়ি মুন্ডন করা হারাম।

অনুরূপ অন্যান্য গ্রন্থাকারও দাড়ি রাখা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে মাননীয় ইমামদের ইজমা (ঐকমত) বর্ণনা করেছেন।

কুরআন ও হাদীসের বাহিরে কথা বললে কারো কথাই গ্রহনযোগ্য নয়।

২৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৬

কে এস আরেফিন বলেছেন:
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ ভাই যদি ধরেই নিয় দাঁড়ি রাখা সুন্নত তাহলে যদি কেউ জেনেশুনে সুন্নতের খেলাপ কাজ করে তার জন্য কি হুকুম হতে পারে?

রসুল ( সাঃ ) এর সুন্নতকে পালন না করে কোন মুসলমানের কি উচিত অন্য কারো অনুসরন করা.

এবার আসি সুন্নত আমল কোনগুলো, যে আমলগুলো রসুল ( সা ) নিজে পালন করেছেন উম্মতকে তাকিদও দিয়েছেন কিন্তু হুকুম করেননি, সংক্ষেপে সেগুলোকেই সুন্নত আমল বালা হয়।

দেখুন দাড়ি রাখার সকল হাদিসে হুকুম এসেছে। তারপরও যদি সুন্নত বলেন তাহলেও দাঁড়ি রাখতেই হবে কারন সেটা রসুল ( সাঃ ) রেখেছেন, আমাদেরকে তাঁকেই অনুসরন করতে বলা হয়েছে।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক ভাবে ইসলাম বোঝা এবং মানার তৌফিক দান করুন।

২৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪৩

মাহফুজশান্ত বলেছেন: @কে এস আরেফিন ভাই,
আপনার দাড়িটা বেশ সুন্দর। অন্তত এক মুষ্ঠি হবে তো?
ভাই, দাড়ি রাখার ব্যপারে আপনি বেশ কঠোর।
কিন্তু নিজের ছবি প্রদর্শনের ব্যপারে আপনার এত শৈথিল্য কেন?
ফতোয়া অনুসারে অযথা ছবি প্রদর্শণ আপনার জন্য যায়েজ কি?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:০৯

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আমার পোষ্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ার কারনে আপনার আগের মন্তব্যটি মুছে ফেললাম।

২৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০৬

কে এস আরেফিন বলেছেন: @মাহফুজশান্ত
আপনি প্রমান করুন আমার ছবি দেওয়া যায়েজ না। আমি ছবি সরিয়ে নিব। আমার ছবিটা এখানে আমার আইডি নিজেকে গোপন রাখার কোন ইচ্ছে আমার নাই।

২৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০৯

কে এস আরেফিন বলেছেন: প্রমানটা অবশ্যই কোরআন এবং সহী হাদিস দিয়ে হতে হবে। আর একজন মুসলমান আর একজন মুসলমানকে ঠাট্টা বিদ্রুপ করা নিয়ে মহান আল্লাহ তাঁয়ালা কি কোরআনে কোন আয়াত নাজিল করেন নাই। করে থাকেলে সেটা খুজে দেখার জন্য অনুরোধ করলাম।

২৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:০৮

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাই@কে এস আরেফিন,
আপনি অযথাই রেগে গেলেন দেখছি। আমি তো ভাই পেছনে বলিনি, সরাসরি আপনার কাছেই জানতে চাইলাম। আর আপনার দাড়িটা সত্যিই ভাল লেগেছে। আর ভাল লাগলে তা বলাটা ঠাট্টা-বিদ্রুপ হবে কেন? আমি এমন দাড়িই পছন্দ করি। এতেই সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।
আপনার কথা ও রাগের ধরন থেকে বোঝা গেল, আপনার জন্য এভাবে ছবি প্রদর্শন করা যায়েজ মনে করেন। এ ব্যাপারে আপনার কাছ থেকে একটা পোষ্ট আশা করছি।
যে যাই বলুক, এসব নিয়ে আমি খুব একটা মাথা ঘামাই না। অতি প্রয়োজন হলে ছবি তুলতে বা কোথাও সংযোজন করার বিষয়ে আমিও একমত। কিন্তু অযথা প্রদর্শন না করাই শ্রেয় মনে করি। আপনি যদি এখানে ছবি প্রদর্শন করা ঠিক মনে করেন। তবে তাই করেন।
তবে ছবির মাধ্যমেও যেহেতু প্রতিকৃতি তৈরি করে পূজা, অর্চনা ও ভক্তি প্রদর্শন করার প্রচলন শুরু হয়েছে। তাই এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কেননা যে কোন ধরনের প্রতিকৃতি তৈরি করে শিরকে লিপ্ত হওয়া আল-কোরআন ও হাদিছ মতে হারাম।
এরপর এ সম্পর্কে আর বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে কি?
ভাই, দাওয়াতের কাজে ধৈর্য সহকারে, ক্রোধ সংবরণ করে এগুতে হবে। অযথা সেন্টিমেন্টাল হলেও চলবে না।
আমার কথায় কষ্ট পেয়ে থাকলে মাফ করবেন।
ধন্যবাদ-

২৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:০৯

কে এস আরেফিন বলেছেন: মাহফুজ ভাই, আপনার কথাতে আমার কিন্তু রাগ হইনি বরং অপ্রাসাগ্নিক মনে হয়েছিল. আর আমি দাড়ি রাখার পর থেকে ছাটিও না কাটিও না। আল্লাহ যেভাবে দিয়েছেন ওভাবে রেখেদিয়েছি।

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন এবং সঠিক ভাবে দ্বীন পালন এবং প্রচার করার তৌফিক দিন। আমিন

৩০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:২২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমিন..................

৩১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:২৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: লেখক সাহেব। এই পোষ্ট থেকে মুছে ফেললেই কি তা চিরতরে মুছে ফেলা যাবে?
আমরা যা বলছি, করছি এবং লিখছি, তা তো সংরক্ষিতই থেকে যাচ্ছে।
এক তো জবাব দেন নাই, তারপর আবার মুছেও ফেললেন। এই দায় থেকে পালাতে চাইলেই কি পালাতে পারবেন?
পরকালে বিশ্বাস আছে তো?

৩২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৬

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাই@কে এস আরেফিন, আপনার ২১ নং মন্ব্যটি মিছ হয়ে গিয়েছিল-
আপনার কাছে প্রশ্ন শুধু কোরআন কি ইসলামের উৎস?
আমার কাছে ইসলামের মূল উৎস আল-কোরআন। তারপর আল-কোরআনের নির্দেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সহী হাদিছ।
আমাকে 'আহলে কোরআন' বা 'আহলে হাদিছ' ভাবলে ভুল করছেন-

আল-কোরআনে যেহেতু সালাত কায়েমের নির্দেশ আছে। তাই সালাত সম্পর্কিত আল-কোরআনের নির্দেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সহী হাদিছ গ্রহণ করতে আমি বদ্ধপরিকর। যাকাতের ক্ষেত্রেও তাই।

সুদের যে সংগা দিলেন তাতে কি সকল প্রকার সুদ নিহিত আছে?
এর উত্তর এখানে পাবেন-

৩৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: আরেফিন ভাই দাড়ি রাখতে বলছেন ভালো কথা। কিন্তু মনে রাখবেন অমুসলিম ও নাস্তিকরা দাড়ি রাখেনা বলে আমি তাদের অনুসরণ করি সেটা ঠিক নয়। রাসুল(সাঃ) টেবিলে নয় ঘরের মেঝেতে বসে খাবার খেতেন এটাও কিন্তু সুন্নতী তরিকা। তাহলে যেহেতু দেড়শ কোটি মুসলমানদের সিংহভাগই টেবিলে বসে খাবার খায় সেটা নিশ্চয়ই কোন গুনাহ নয়। ধন্যবাদ।

আর লেখক ভাইকে বলছি যেহেতু ইমাম শাফী(রাঃ) দাড়ি রাখাকে ফরজ বা ওয়াজিব বলেন নি কাজেই দাড়ি না রাখলে কোন গুনাহ হবে না। অধ্যাপক জামালের রেফারেন্স অনুযায়ী বলতে চাই এ নিয়ে অহেতুক ফিতনা সৃষ্টি না করাই ভাল। ধন্যবাদ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:০০

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনি বলেছেন,
লেখক ভাইকে বলছি যেহেতু ইমাম শাফী(রাঃ) দাড়ি রাখাকে ফরজ বা ওয়াজিব বলেন নি কাজেই দাড়ি না রাখলে কোন গুনাহ হবে না। অধ্যাপক জামালের রেফারেন্স অনুযায়ী বলতে চাই এ নিয়ে অহেতুক ফিতনা সৃষ্টি না করাই ভাল।

আপনি যে সুবিধাবাদি লোক তা বুঝতে পারলাম।

কারন ইমাম শাফী র.- কি বলেছেন তা আমি উল্লেখ করেছি।
এবং অন্যান্য ইমামগণ কি বলেছেন তাও উল্লেখ করেছি।

এবং আবার প্রশ্ন..........

হুজুর স.-এর আদেশসূচক বাক্য শরীয়তের ক্ষেত্রে কোন পর্যায়।

১. ফরয
২. ওয়াজিব
৩. সুন্নত
৪. মুস্তাহাব
৫. মুবাহ

আশা করি উত্তরটি দিবেন ....

এবার আপনি বলুন

সুদ খাওয়া = হারাম
সুদ না খাওয়া = ?

দাড়ি কাটা = হারাম
দাড়ি না কাটা = ?

যা নিজের পক্ষে আসল তাই মানলাম
এবং যা নিজের পক্ষে আসল না তা মানলাম না

--------------- এর নাম কি ইসলাম মানা !!!!

৩৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৫

অগ্রপথিক... বলেছেন: ফরয,সুন্নাত,মুবাহ, মুস্তাহাব ইত্যাদি পরিভাষা বেশিরভাগই ফুকাহায়ে কিরাম দিয়েছেন, আমলের গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে, এখন কেউ যদি বলে কোরআন ও হাদিস ছাড়া অন্য কোথায় এসব পরিভাষা না থাকলে মানব না, তাহলে অনেক আমল কোন পর্যায়ের তা তারা বের করতে পারবে না।

আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। জাজাকাল্লাহু খাইর

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫০

আবদুস সবুর খান বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খাইর............

৩৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:২৩

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: সবুর ভাই, আপনি দয়া করে সরাসরি হাদিস দেখান যে দাড়ি রাখা ফরজ!
তারপর অন্য কথা!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪৭

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আমি কোথায় দাড়ি রাখা ফরজ বলেছি ???

আপনাকে একটি প্রশ্ন করেছিলাম.....

হুজুর স.-এর আদেশসূচক বাক্য শরীয়তের ক্ষেত্রে কোন পর্যায়।

১. ফরয
২. ওয়াজিব
৩. সুন্নত
৪. মুস্তাহাব
৫. মুবাহ

আশা করি উত্তরটি দিবেন ....

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪৮

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আবার কোন প্রশ্ন করার আগে উপরের কথা এবং উপরের মন্তব্যের জবাব দিন।

৩৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:২৬

মুনিম সিদ্দিকী বলেছেন: তিনি বললেনঃ হে আমার জননী-তনয়, আমার শ্মশ্রু ও মাথার চুল ধরে আকর্ষণ করো না; আমি আশঙ্কা করলাম যে, তুমি বলবেঃ তুমি বনী-ইসরাঈলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছ এবং আমার কথা স্মরণে রাখনি।
সুরা ত্ব-হা-94[/sb ]

১।ভাই এই কথায় কি নবীদের শুধু দাড়ি ছিল বলে প্রমাণ হয়? আমি তো দেখি চুল দাড়ি মাথা ছিল বলে প্রমাণ হয়!

২।নবী জি কি কখনও চুল মুন্ডন করেন নাই! মাথার চুলে ব্যাপারে তো নির্দৃষ্ট আকার নাই। আর দাড়ীর বেলা নির্দৃষ্ট আকার কেন করা হল?

৩। নামাজ রোজা হজ যাকাত ইত্যাদির মত ইবাদত তো কোরআনে উল্লেখ আছে সে ভাবে দাড়ি রাখার কথা কি উল্লেখ আছে?

৪। ফরজ আদেশ দেবার মালিক এক মাত্র আল্লাহ নবী জির কি সেই ফর্জ আদেশ দেবার পাওয়ার ছিল?

৫। পুরো আফ্রিকায় মালিকি মাযহাবের লোক তাদের মুফতি গ্রান্ড মুফতি ইমাম গ্রাণ্ড ইমাম কারো তো দাড়ি নাই! তো এরা কি ইসলামের ফর্জ ওয়াজিব জানেন না?


দাড়ি রাখা যদি ফর্জ বা ওয়াজিব হত তাহলে অবশ্য তা কোরআনে লেখা হত! যেহেতু আল্লাহ এই বিষয়ে নির্দেশ দেন নাই তাই এইটি ফর্জ বা ওয়াজিব হতে পারেনা।

হ্যা আল্লাহ আমাদের বলেছেন নির্দেশ দিয়েছেন নবী সাঃ আদেশ নির্দেশ মেনে চলতে। নবী সাঃ দাড়ি রাখতে বলেছিলেন যাতে মুশরিকদের থেকে তখনকার নও মুসলিমদেরকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা যায়। নবীজির সেই আদেশ স্থান কাল ভেদে রাখা না রাখা উপর নির্ভরশীল।

মরক্কোর লোকে না রাখে দাড়ি না পরে টুপি না পড়ে সুন্নত না পড়ে নফল। সেই দেশে শতকরা শত ভাগ মুসলিম। তাদের আমিরুল মুমিনের দাড়ি নাই । তাই তাদের দেশের ইমামদের মুখেও দাড়ি নাই!

তাদের দেশের এক প্রবাদ - যার আছে লেহা (দাড়ি) তার নাই হায়হা(লজ্জা)!!! আমি দেখেছি সে দেশে যে কয়জনের দাড়ি আছে তারা বেশি লটরবটির করে কথায় এবং কাজে।







১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪৬

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনি বলেছেন,

তিনি বললেনঃ হে আমার জননী-তনয়, আমার শ্মশ্রু ও মাথার চুল ধরে আকর্ষণ করো না; আমি আশঙ্কা করলাম যে, তুমি বলবেঃ তুমি বনী-ইসরাঈলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছ এবং আমার কথা স্মরণে রাখনি।
সুরা ত্ব-হা-94[/sb ]

১।ভাই এই কথায় কি নবীদের শুধু দাড়ি ছিল বলে প্রমাণ হয়? আমি তো দেখি চুল দাড়ি মাথা ছিল বলে প্রমাণ হয়!


ধন্যবাদ। যেহেতু এখানে দাড়ি নিয়ে কথা হচ্ছে তাই আমি দাড়ির ব্যাপারেটি বলেছি।
এবং চুলের ব্যাপারে কিছু বলিনি।


২।নবী জি কি কখনও চুল মুন্ডন করেন নাই! মাথার চুলে ব্যাপারে তো নির্দৃষ্ট আকার নাই। আর দাড়ীর বেলা নির্দৃষ্ট আকার কেন করা হল?


কারন মাথার চুল বড়-এর সাথে সাথে মহিলাদের চুল বড়-এর সম্পর্ক আছে
এবং হাদীসে এই ব্যাপারে বিস্তারিত বলা হয়নি।

এবং আপনি চুল এবং দাড়িকে কেন এক করে দেখছেন।

দাড়ির বেলায় কেন নিদির্ষ্ট করা হল তা তো আল্লাহ তা’য়ালাই ভাল বলতে পারবেন।


৩। নামাজ রোজা হজ যাকাত ইত্যাদির মত ইবাদত তো কোরআনে উল্লেখ আছে সে ভাবে দাড়ি রাখার কথা কি উল্লেখ আছে?

দাড়ির কথা উল্লেখ আছে এবং আপনি প্রথমেই আয়াতটি দিয়েছেন।

নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত এগুলো ইসলামের স্তম্ভ।

আপনি এগুলো সাথে কেন দাড়িকে তুলনা করছে তা বুঝতে পারলাম না !!!!


৪। ফরজ আদেশ দেবার মালিক এক মাত্র আল্লাহ নবী জির কি সেই ফর্জ আদেশ দেবার পাওয়ার ছিল?

আপনার কথাটি অসুম্পূর্ণ
এই কথাটি পোষ্টের কোন কথার আলোকে বললেন তা উল্লেখ করুন।


৫। পুরো আফ্রিকায় মালিকি মাযহাবের লোক তাদের মুফতি গ্রান্ড মুফতি ইমাম গ্রাণ্ড ইমাম কারো তো দাড়ি নাই! তো এরা কি ইসলামের ফর্জ ওয়াজিব জানেন না?

আপনাকে একটা প্রশ্ন করি,

পুরো আফ্রিকায় মালিকি মাযহাবের লোক তাদের মুফতি গ্রান্ড মুফতি ইমাম গ্রাণ্ড ইমাম পরের কথা

পৃথিবীর সকল মানুষ যদি আজকে নামায পড়া ছেড়ে দেয় তবে কি নামায পড়া ফরজ এই হুকুমটি বদলে যাবে ???


আপনি বলেছেন,
দাড়ি রাখা যদি ফর্জ বা ওয়াজিব হত তাহলে অবশ্য তা কোরআনে লেখা হত! যেহেতু আল্লাহ এই বিষয়ে নির্দেশ দেন নাই তাই এইটি ফর্জ বা ওয়াজিব হতে পারেনা।

কোন হুকুম কখন ফরজ বা ওয়াজিব হয় ???

হুজুর স.-এর আদেশসূচক বাক্য শরীয়তের ক্ষেত্রে কোন পর্যায়।

১. ফরয
২. ওয়াজিব
৩. সুন্নত
৪. মুস্তাহাব
৫. মুবাহ


আপনি বলেছেন,
হ্যা আল্লাহ আমাদের বলেছেন নির্দেশ দিয়েছেন নবী সাঃ আদেশ নির্দেশ মেনে চলতে। নবী সাঃ দাড়ি রাখতে বলেছিলেন যাতে মুশরিকদের থেকে তখনকার নও মুসলিমদেরকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা যায়। নবীজির সেই আদেশ স্থান কাল ভেদে রাখা না রাখা উপর নির্ভরশীল।

আপনার কথার দলিল দিন। আপনার এই কথা কুরআন ও হাদীসের দলীল উপস্থাপন করুন।

আপনি বলেছেন,
মরক্কোর লোকে না রাখে দাড়ি না পরে টুপি না পড়ে সুন্নত না পড়ে নফল। সেই দেশে শতকরা শত ভাগ মুসলিম। তাদের আমিরুল মুমিনের দাড়ি নাই । তাই তাদের দেশের ইমামদের মুখেও দাড়ি নাই!

পৃথিবীর সকল মানুষ যদি আজকে নামায পড়া ছেড়ে দেয় তবে কি নামায পড়া ফরজ এই হুকুমটি বদলে যাবে ???


তাদের দেশের এক প্রবাদ - যার আছে লেহা (দাড়ি) তার নাই হায়হা(লজ্জা)!!! আমি দেখেছি সে দেশে যে কয়জনের দাড়ি আছে তারা বেশি লটরবটির করে কথায় এবং কাজে।

প্রবাদটি কেন চালু আছে তা জানুন......

তাদের দেশের এক প্রবাদ - যার আছে লেহা (দাড়ি) তার নাই হায়হা(লজ্জা)!!!

ধরুন,
আপনি যদি কোন হুজুরকে জিজ্ঞাসা করে,
হুজুর আমি ফরজ গোসল কিভাবে করব

এখন সে যদি লজ্জা করে তবে কি আপনার মাসয়ালা জানা হবে ????

আপনি বলেছেন,
আমি দেখেছি সে দেশে যে কয়জনের দাড়ি আছে তারা বেশি লটরবটির করে কথায় এবং কাজে

ইসলামের নামে বোমাবাজি করলে কি ইসলামের দোষ হবে ???

দাড়ি রেখে কেউ লটরবটির করলে কি দাড়ির দোষ হবে ???

আপনি দাড়ি রেখে মানুষকে দেখাচ্ছেন না কেন যে দাড়িওলা সব খারাপ না
ভালও আছে !!!!!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪৯

আবদুস সবুর খান বলেছেন: ২।নবী জি কি কখনও চুল মুন্ডন করেন নাই! মাথার চুলে ব্যাপারে তো নির্দৃষ্ট আকার নাই। আর দাড়ীর বেলা নির্দৃষ্ট আকার কেন করা হল?


কারন মাথার চুল বড়-এর সাথে সাথে মহিলাদের চুল বড়-এর সম্পর্ক আছে
এবং হাদীসে এই ব্যাপারে বিস্তারিত বলা হয়নি

এটা হবে........

এবং হাদীসে এই ব্যাপারে বিস্তারিত বলা হয়েছে

৩৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৪৪

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: মুসলমানদের চিন্তা চেতনা কি কখনই দাড়ি, টুপি ছাড়িয়ে বাস্তব জীবনের সীমানায় আসবে না? কবি নজরুল সেই কবে বলে গেছেন -

দুনিয়া যখন এগিয়ে চলেছে আমরা তখন পিছে
বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি ফেকার কেতাব চষে

আজকের এই জ্ঞানভিত্তিক বিশ্বায়নের যুগেও আমরা দাড়ি নিয়ে ঝগড়া করছি!! আপনার কি মনে হয় একজন মানুষ শুধুমাত্র দাড়ি রাখা বা না রাখার কারনে জান্নাত/জাহান্নামে যাবে? আল্লাহর বিধান কি এতই হালকা এতই ঠুনক?

একটা উদাহরণ দেই - ধরুন আপনি একটা বড় জাহাজ কেনার জন্য তার বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দেখছেন। তখন কেউ একজন আপনাকে বল্ল ঐ জাহাজের ২০৩ নম্বর কেবিনে একটা ডিমলাইট থাকার কথা ডিজাইনে উল্লেখ আছে কিন্তু সেটা নাই। কথাটা কিন্তু সত্যি - ডিজাইনে ঐ ডিম লাইটের কথাও আছে আবার বাস্তবেও সেটা দেখা যাচ্ছে না। আপনি একজন জাহাজ ক্রেতা হিসেবে কি তখন ঐ ডিমলাইট নিয়ে দেন দরবার করা শুরু করবেন??

ইসলাম ঐ জাহাজেরমত একটা ব্যাপক বিষয় যা মানুষের বাস্তব জীবনের ব্যাক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সকল দিক ও বিভাগের ব্যাপারে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয় - যা মানব জাতির উৎকর্ষের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়/উপকারী/অত্যাবশ্বকীয়। তার তুলনায় দাড়ির আকার কতটুকু হবে সেই বিতর্ক ঐ ডিমলাইটের মতই গুরুত্বহীন। এই রকম বিষয় নিয়ে যে জাতির লোকেরা বিতর্ক করারমত সময় পায় সেই জাতির পরিনতি ধ্বংস ছাড়া আর কিছু হতে পারে কি??

আমরা সবাই জানি ইসলামী বিধানের সর্বোচ্চ উৎস হচ্ছে কোরআন, তার পরে হাদীস তার পরে ইজমা কিয়াস ইত্যাদি। বিষয়টাকে এভাবে ধরুন - বাংলাদেশের প্রশাষণের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর, তার পর অন্যান্য মন্ত্রীদের, তারপর এম.পি সচিব ডিসি ইত্যাদি। কোন ব্যাক্তির কাছে যদি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কোন আদেশ/নির্দেশ উপস্থিত থাকে তাহলে সে কি সেই আদেশ বাস্তবায়ন শেষ না করে অন্যদের আদেশের ব্যাপারে চিন্তা করবে? নিশ্চয়ই নয়। তাহলে আমরা কেন কোরআনের আদেশ জানা-বোঝা-পালনের দ্বায়িত্ব শেষ না করেই অন্যগুলো নিয়ে তর্ক করছি?

আপনারা যারা দাড়ি নিয়ে এত আলোচনা করছেন তারা সবাই কি পুরো কোরআন বুঝে পড়েছেন? জেনেছেন এতে আপনার জন্য কি কি আদেশ নিষেধ আছে? সেগুলি কি নিজ নিজ জীবনে বাস্তবায়ন করা হয়ে গেছে?? তার পর হাদীসের সরাসরি নির্দেশ বা রাসুল(স.) যেগুলিকে অবশ্ব পালনীয় হিসেবে বলে গেছেন, নিজে করে দেখিয়ে গেছেন সেগুলিও কি সব বাস্তবায়িত হয়ে গেছে??

যদি হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে দাড়ি কতটুকু লম্বা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে - কিন্তু আমি নিজের ব্যাপারে দু:খের সাথে বলতে পারি যে শুধুমাত্র কোরআনে বর্ণিত অবশ্বপালীয় বিধানের অতি সামান্য অংশ পালন করাও কতটা দুরুহ ব্যাপার তা নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে কোন কুল কিনারা পাচ্ছি না - তাই দাড়ি সংক্রান্ত এই আলোচনা আমার কাছে নিতান্তই হাস্যকর/দৃস্টিকটু মনে হয়েছে বলে দু:খিত।

আর আপনারা ভিন্ন মতের মানুষকে যেভাবে কাফের/ষড়যন্ত্রকারী/ ইসলামের দুশমন ইত্যাদি বলে ঘোষনা দিচ্ছেন সেটাতো মারাত্মক বিপজ্জনক। এই ভাবে পরস্পরের বিরুদ্ধে ছোটখাট বিষয় নিয়ে লেগে থাকলে এই জাতির ভাগ্য কোন দিনই বলাবে না - সারা জীবনই কাফের মুশরিক বেদ্বীনদের দাষত্ব করে কাটাতে হবে।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন - আমীন।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:১২

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনার সকল কথার শেষ কথা হল.........

মুসলমানদের চিন্তা চেতনা কি কখনই দাড়ি, টুপি ছাড়িয়ে বাস্তব জীবনের সীমানায় আসবে না?

এগুলো কি মুসলমানদের চিন্তা চেতনার বাহিরে ??????

এবং সত্যিকার অর্থে যখন এই চেতনাগুলো পুরোপুরি অর্থে ধারন করেছিল তখন অর্ধপৃথিবী শাসন করেছিল।

বাস্তব জীবনকে এখানে অস্বীকার করা হয়নি। শুধু ইসলামের একটি হুকুমের কথা বলা হয়েছে এখানে।

৩৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৩৯

কখঅআ বলেছেন: ভাইজান, আপনি তো দেখি ইসলামের নামে দাড়ি রাখাকে ওয়াজিব কইলেন। তার মানে দাড়ি কাটা হারাম- হায় হায়!!
কিন্তু নিচের লিংকে দেখি আরও প্রমাণ সহ বলা হইল। এই পোষ্ট সম্পর্কে কিছু কন।
দাড়ি লইয়া খোঁচান কিংবা খামকা কড়াকড়ি ও লড়ালড়ি ঠিক কি?

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০৮

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনি বলেছেন,
ভাইজান, আপনি তো দেখি ইসলামের নামে দাড়ি রাখাকে ওয়াজিব কইলেন।

ভাই আমি এখানে কি আমার কোন ব্যক্তিগত কথা বলেছি
নাকি কুরআন ও হাদীসের আলোকে বলেছি ???

আপনি বলেছেন,
তার মানে দাড়ি কাটা হারাম- হায় হায়!!

এখন যদি হারাম হয় তবে আপনি যদি মানতে না চান তবে তো আমার কিছু করার নেই !!!!!

আপনি বলেছেন,
কিন্তু নিচের লিংকে দেখি আরও প্রমাণ সহ বলা হইল।

এই লিঙ্কে উনি যা বলেছেন উনার কথার জবাব দেয়া হয়েছে।

দেখে নিতে পারেন।

এবং উনার পোষ্টে রাকি২০১১’-এর জবাব খুব কৌশলে এড়িয়ে গেছেন।


যতদিন মানুষ আকাবিরদের থেকে ইলম শিখবে ততদিন তারা সৎপথে পরিচালিত হবে অর যখন মানুষ আসাগির থেকে ইলম শিখবে তখন তারা গোমরা হয়ে যাবে ।
হাদিসটি হাফেজ ইবন আব্দুল বার ঈবন মাসউদ ও উমর রা থেকে বর্ণনা করেছেন দেখুন মুখ্তাসারু জামিউ বয়ানুল ইলম পৃ ৮৩ ।

৩৯| ১৬ ই জুন, ২০১২ রাত ১:৩৪

নিশাচর০০ বলেছেন: @মুনিম সিদ্দিকী ভাই, আপনি বললেন দাড়ি রাখা যদি ফর্জ বা ওয়াজিব হত তাহলে অবশ্য তা কোরআনে লেখা হত! যেহেতু আল্লাহ এই বিষয়ে নির্দেশ দেন নাই তাই এইটি ফর্জ বা ওয়াজিব হতে পারেনা।

তাহলে নামাজের ভিতরে বাইরে আমরা যে ১৩-১৪ টি ফরজের কথা জানি সেগুলো কি কুরআনে উল্লেখ আছে ????
যদি না থাকে তাহলে কি সেগুলো ফরজ না ????
আপনি হাদিসের উপর কম গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে আমার মনে হল। নবীজির(সঃ) নিজের কোন এক্তিয়ার নেই কোনটা ফরজ কোনটা ওয়াজিব বানানোর , উনি শুধু আল্লাহ্‌র হুকুম পালন করে গেছেন । তাই তিনি যা বলেছে তা আল্লাহ্‌রই হুকুম।

পুরা পৃথিবীর মানুষ , হাদিস বলে এককথা আর আপনি সেটা না দেখে দেখছেন আফ্রিকায় কে কি করছে । ব্যাপারটা অনেকটা সুবিধাবাদীদের মত আচরণ হয়ে গেল না ??? যেটা আপনার ভাল লাগবে আপনি বেছে বেছে সেটাই করবেন শুধু আর বাকিগুলো অস্বীকার করবেন সেটা ঠিক না।
অনেকে অনেক রকম সীমাবদ্ধতার কারনে সাময়িকভাবে দাড়ি না রাখতে পারেন কিন্তু সেই না রাখাটাকে দীর্ঘায়িত করার কোন মানে হয় না।

৪০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮

মো কবির বলেছেন: এত সুন্দর একটা পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আজ ৪ মাস হল দাঁড়ি রাখলাম। আচ্ছা ভাই টুপির ব্যাপারে কিছু বলেন, টুপি সব সময় পড়ার আলাদা কোন গুরুত্ব আছে কিনা এবং কষ্ট করে রেফারেন্স দেওয়ার চেষ্টা করবেন।


জাজাক আল্লাহু খাইরান।

৪১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

কাজী শাহ এমরান বলেছেন: সহমত

৪২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১২

সৌরভ খান (বিমূর্ত) বলেছেন: "কেউ কট্টরপন্থায় (দ্বীনে) আধ্যাত্মিক উৎকর্ষতা অর্জন করতে চাইলে, সে তা করতে পারে- কিন্তু অন্যকে সে (উক্ত পন্থায়) বাধ্য করতে পারবেনা। কারণ তা করতে গেলে অবচেতনভাবে সে হয়ত তাকে ধর্ম থেকেই দূরে সরিয়ে দেবে" -মহানবী (সাঃ)।
"ধর্মে বাড়াবাড়ি হতে সাবধান। তোমাদের পূর্বে বহু জাতি বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে ভস্ম হয়ে গেছে" "- [আহামদ, ইবনে মাজা, মুসলিম]

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.