নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভেবে দেখবেন কি, কিভাবে আপনার ধর্মের প্রতি দরদ আপনার ধর্মেরই ক্ষতি করছে?

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১২

১। আপনার প্রত্যেকটি স্ট্যাটাসের মূল প্রতিপাদ্য যখন গিয়ে 'ফাসি চাই' এ গিয়ে ঠেকে তখন বুঝতে ।হবে আপনি মানসিক বিকারগ্রস্ত শাহবাগী।

২। আপনি নাস্তিক, কিন্তু আপনার প্রতি স্ট্যাটাসের প্রতিপা্দ্য বিষয় যদি হয় ইসলামের সমালোচনা, রসুলের উপর আক্রমণ তখন বুঝতে হবে আপনি ইসলাম বিদ্বেষী।

৩। আপনার প্রতিটি কথায় যখন সনাতন ধর্মের অথবা ইসলামের সমালোচনার বাণী বেরিয়ে আসে তখন বুঝতে হবে আপনি উগ্র সাম্প্রদায়িক, গোড়াপন্থী লোক।

৪। আর আপনার প্রতিটি স্ট্যাটাস যখন একটি নির্দিষ্ট দলকে টার্গেট করে লেখা হয় তখন বুঝতে হবে আপনার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে গেছে। এটা মানসিক ভারসাম্যহীনতা।

এইরকম আরো অনেকগুলো ক্যাটাগরি আছে। তবে উপরের প্রত্যেকটা ক্যাটাগরিই ছোয়াচে। এর বংশবৃদ্ধি ঘটে চলেছে। অর্থাত শাহাবাগের প্রতিবাদ করতে গিয়ে সেই প্রতিবাদী অংশটাও এখন তাদেরই মত চরিত্র ধারণ করেছে। ওরা যেমন কথায় কথায় ফাসি চাই, ফাসি চাই করতো এরাও এখন তাই করে। ওরা যেমন গালাগালি করতো এরাও গালাগালি করে।

তাহলে ভিন্ন দুই প্রান্তের দুটো অংশের মধ্যে ব্যবধান কি রইলো? কিছুই না। দুটোই উগ্রগ্রুপ। চরমপন্থায় দুটোই প্রথম সারিতে। পার্থক্য শুধু এ একটা নিয়ে আর ও অন্য একটা নিয়ে। কিন্তু চরিত্র ও আচরণগত দিক দিয়ে তারা একই, উগ্র, গোড়া।

কিন্তু কথা আছে। আপনি যখন একজন শাহাবাগী হন, আপনি যখন একজন নাস্তিক হয়ে এসব করেন তখন আপনাকে বলার কিছু নেই। কারণ, আপনি কারো কাছে বাধা নন। আপনার কোন অভিভাবক নেই। কিন্তু আপনি যখন ইসলামের পক্ষ নিয়ে লড়েন তখন আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি গোটা একটি জাতির প্রতিনিধিত্ব করছেন। আপনার সামান্য ত্রুটি, চরিত্রগত স্খলন পুরো জাতির উপর প্রভাব ফেলবে। যে ফেসবুকে নেই, সাধারণ বিশ্বাসী মুসলামান তারাও এর শিকার হবে। তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু তারা তো আপনাকে সেই প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার দেয় নি। তাহলে আপনি কোন অধিকার বলে গোটা ধর্মটাকে তামাশার বস্তু বানাচ্ছেন? কোন অভিধান থেকে গালি ধার করছেন? আপনি যখন ধর্মবিদ্বেষীদের নাস্তানুবুদ করতে গিয়ে তাদের যুক্তি না খন্ডে তাদেরকে গালি দিচ্ছেন। তারা আপনাকে প্রশ্ন করছে এটা কোরানের কোন সুরার কত নম্বর আয়াত। এর চাইতে লজ্জাষ্কর আর কি থাকতে পারে? এর মাধ্যমে তো আপনি গোটা জাতিটাকে অপমান করছেন। আপনি যদি মনে করেন তাদেরকে যুক্তি দিলে তা মানে না তাহলে তাদের কাছে যান কেন? তাদেরকে দমন করার ঠিকাদারী আপনি কবে পেয়েছেন?

না, আপনি প্রকৃত পক্ষে ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করছেন না। আপনি হয় ইচ্ছায় হোক অথবা অন্যের দ্বারা ব্যবহৃত হয়ে-আপনি নিজেই ইসলামকে নাস্তিকদের থেকেও বেশি অপমানিত করছেন, রসুলকে অপমানিত করছেন। আর ভিন্ন ধর্মীদের সাথে সম্প্রীতি নষ্ট করে, তাদের দেব-দেবীদের গালাগালি করে আপনি মানবজাতির ঐক্যের বিনষ্ট করছেন। আপনি মানবতার শত্রু। আশা করি আপনার অহঙ্কারী চেতনায় এটা সামান্য হলেও আঘাত করবে। আফটারঅল অহঙ্কার মানুষকে অন্ধ করে দেয়। আর আঘাতের ফলে সম্বিত ফিরে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আপনি মানবজাতির ঐক্যের বিনষ্ট করছেন। আপনি মানবতার শত্রু।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

উড়োজাহাজ বলেছেন: হ্যা, আমি যদি তাই করে থাকি তবে আমি তাই।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

ূথ‚ত্য বলেছেন: ++++++++++++

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০১

উড়োজাহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

বটের ফল বলেছেন: পুরোটাই আমার মনের কথা বলেছেন। অনুমতি দিলে ফেসবুকে শেয়ার করতে পারি। ভালো থাকবেন।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭

উড়োজাহাজ বলেছেন: অনুমতি আছে। শেয়ার করেন। আমার ফেসবুক টাইমলাইন থেকেও শেয়ার দিতে পারেন। সকলের জানা উচিত এবং এই টাইপের মানসিকতা থেকে মানুষ মুক্ত হোক।
আমার ফেসবুক মেইল আইডি: [email protected]

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.