নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলমান রাজনীতিক সংস্কৃতির আশু পরিবর্তন দরকার

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

এক বছর বিরতির পর দেশে আবারও পূর্বের অচলাবস্থা, রাজনীতিক হানাহানি, জ্বালাও-পোড়াও ফিরে এসেছে। ক্ষমতাসীন দল দ্বারা গঠিত এক বছর বয়স্ক সরকারকে শুরু থেকেই ‘অবৈধ’ সরকার হিসেবে দাবি করে আসছিল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোট। ২০১৪ সালের পাঁচই জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিহীন ঐ নির্বাচনের একবছর পূর্তিতে বিরোধী জোট রাজধানীতে একটি সমাবেশ করতে চেয়েছিল। অপরদিকে ক্ষমতাসীন দলটিও একই দিনে কর্মসূচির আহ্বান করে। এমতাবস্থায় দুই পক্ষের পাল্টা-পাল্টি সমাবেশকে ঘিরে নাশকতার আশঙ্কায় প্রশাসন রাজধানী শহরটিতে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ করে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ২০ দলীয় জোট সমাবেশ করতে পারে সেই আশঙ্কা থেকে বিরোধী জোট নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তার কার্যালয়ে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখে। এমতাবস্থায় সমাবেশ করতে না পেরে জোটের পক্ষ থেকে লাগাতার অবরোধের আহ্বান করা হয় যা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।

বিরোধী জোটের আহ্বানে চলমান এই অবরোধের ফলে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল। প্রায়শঃই অবরোধ অমান্য করে চলাচল করা যানবাহনগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজধানীতে শুধু গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্রায় আটটি গাড়ি। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে পোড়ানো হয়েছে বহুসংখ্যক যানবাহন। বিস্ফোরিত হয়েছে হাত বোমা। এসবকে উপেক্ষা ও যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস এবং একই সাথে প্রশাসনিক প্রহরা ব্যবস্থার ঘোষণায় এখন সীমিত সংখ্যক যানবাহন চলাচল করলেও চালক ও যাত্রীদের মন থেকে আতঙ্ক দূর হয়নি। দূরপাল্লার পরিবহনে আরোহন করতে ভয় পাচ্ছেন যাত্রীরা। কেননা, ইতোমধ্যে পুলিশের পাহারা থাকা অবস্থায়ও অবরোধ সমর্থকদের পক্ষ থেকে পণ্যবাহনী ট্রাকে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বিরোধী পক্ষ দেশের এই দূরাবস্থায় সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে যে, বৃহত্তর কল্যাণের জন্য, জনগণের উপর চেপে বসা ‘অবৈধ’ শাসকদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে নি®কৃতির জন্যই সাময়িক এই অসুবিধা। সুতরাং ক্ষমতাসীনদেরকে উৎখাতে চলমান অবরোধে তারা যেন সর্বাত্মক সমর্থন প্রদান করে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির নি®কৃতি ঘটাতে এবারেই এই অসুবিধাগুলোর ইতি ঘটবে তার নিশ্চয়তা কোথায়? সেই নিশ্চয়তা কোথায় যে ভবিষ্যতে ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলে গিয়েও জনগণের স্বার্থে অনুরূপ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে না? বরং অতীত থেকে আমরা এমনটাই বার বার দেখে এসেছি। এটা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্থায়ী সংস্কৃতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কোন পরাজিত দল বিনা বাক্য ব্যয়ে তাদের পরাজয় মেনে নেওয়ার নজির আমাদের দেশে নেই। অথচ আমাদের এই উপমহাদেশীয় ও প্রতিবেশী দুটো দেশ শ্রীলঙ্কা ও ভারতের ক্ষেত্রে দেখা গেছে পরাজিত দল কোন ধরনের আপত্তি ছাড়াই নির্বাচনী ফলাফল মেনে নিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে পরাজিত দল নির্বাচনী ফলাফলতো মেনে নেয়-ই না, বরং বিরোধী দলে অবস্থান করে তারা সব সময়ই সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে হিঁচড়ে নামানোর জন্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে করতে থাকে। এমতাবস্থায় ক্ষমতাসীনদেরকে তাদের অর্ধেক সময়, মেধা ও মনোযোগ ব্যয় করতে হয় বিরোধীদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে গিয়ে।

তাহলে আমরা কীভাবে বর্তমানে সরকারবিরোধী পক্ষের কথায় আশ্বস্ত হতে পারি যে এই আন্দোলনের সফলতার পর আমাদের সুদিন ফিরে আসবে? সে ধরনের নিশ্চয়তা আমরা পাইনি। এমতাবস্থায় সরকারবিরোধী এবং সরকারপক্ষীয় দল সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নির্মূল করার নামে যে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, সাধারণ মানুষের অসুবিধায় সমবেদনা প্রকাশ করছে তা তাদের প্রতি পরিহাসে পরিণত হচ্ছে। সত্যিই যদি তারা সাধারণ মানুষের দুঃখে ব্যথিত হয়ে থাকেন তবে তাদের উচিত আগে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এই সংস্কৃতির অবসান ঘটানো। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উচিত তাদের এই মায়াকান্নায় প্রভাবিত হয়ে না হয়ে রাজনীতিকদের উপর চাপ প্রয়োগ। অথবা এই চলমান এই সংস্কৃতি আমাদেরকে অনন্তকাল ধরে পিষ্ট করে যাবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

খেলাঘর বলেছেন:


সবাই বুঝে পরিবর্তন দরকার।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: কিন্তু কেউ কিছু করে না, তাই না?

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমাদের সুদিন আসবে না কোনদিনও।। যে পর্যন্ত জন-সাধারনের মানষিকতার পরিবর্তন না হবে।। লংকায় যে যায় সেই রাবন হয়,প্রবাদটি বাস্তবতার নীরিক্ষে।।
আমি বরাবরই বলে আসছি যে, আমাদের দেশে প্রয়োজন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন,সিবিআইর মত স্বাধীন শাসনযন্ত্র আর প্রশ্নবিহীন বিচার বিভাগ।। ।। দেখুন না এরপর কি হয়?? পুরো শাসনতন্ত্রই বদলে যাবে।। উন্নতবিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখুন,অনুসরনীত।। ধন্যবাদ।।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

উড়োজাহাজ বলেছেন: সহমত।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২১

ইমরান আশফাক বলেছেন: পরিবর্তন অবশ্যই হবে, তবে আশু হবে কিনা বলতে পারছি না।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৫

উড়োজাহাজ বলেছেন: হুম!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.