নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শান্তি প্রতিষ্ঠা না ইয়ার্কি!

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৯

মুক্তমত প্রকাশের নামে ভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের শ্রদ্ধার পাত্র মহামানবদেরকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন, তাদের বিশ্বাস নিয়ে ব্যঙ্গ-কার্টুন ছাপানোকে বন্ধ করছে না ফ্রান্সসহ পশ্চিমা বিশ্ব। অথচ তাদের এসকল গর্হিত কর্মকাণ্ডের কারণে ক্ষুব্ধরা যখন ব্যঙ্গকারীদের হত্যা করছে, মানুষের চোখের পানির কারণ হচ্ছে, তখন তাদেরকে নির্মূলে নিয়োগ করা হচ্ছে হাজার হাজার সেনা- পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা। এসবের পেছনে ব্যয় করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ফ্রান্স শার্লি হেবদোর ঘটনার পর তাদের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত সর্বোচ্চ দশ হাজার সংখ্যার সেনা মোতায়েন করেছে। অন্যদিকে রবিবার প্যারিসে প্রায় দেড় মিলিয়নসহ পুরো ফ্রান্সে ৩.৭ মিলিয়ন মানুষ নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানাতে রাস্তায় নেমে এসেছিল। নিউইয়র্কবাসীও তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এদের মুখ থেকে ফুটে উঠেছে ইসলামের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা। প্রায় ৪০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানগণ হাজির থেকে এই সমাবেশকে অলংকৃত করেছেন। যার মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট না চাইলেও আগ বাড়িয়ে হাজির হয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ফ্রান্সের এই সন্ত্রাসী ঘটনায় পূর্বের মতই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়। অপরাধ বিজ্ঞানের মতে, একটি খারাপ ঘটনা থেকে আখেরে যারা লাভবান হয় তারাই মূলত ঘটনার স্রষ্টা হয়ে থাকে। ফ্রান্সসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপে কোণঠাসা হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়, পুরো ইউরোপ আজ তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। কাগজে কলমে সেটা ইসলামের বিরুদ্ধে না হলে বাস্তবতায় সেটা মুসলমানদের বিরুদ্ধেই যাচ্ছে, তাদেরই উপর চড়াও হচ্ছে, তাদেরই মসজিদে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। লাভবান হচ্ছে যারা প্রতিনিয়ত ইসলামের সাথে বৈরিতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে তারাই, লাভবান হয়েছে ব্যঙ্গকারীরাই। তাদের তৈরি একটি সাধারণ পত্রিকা এখন সাড়ে পাঁচ লাখে গিয়ে পৌঁছেছে। এসব ন্যাক্কার জনক ঘটনার পেছনে তারাই যে এদেরকে ব্যবহার করছে তা এখন নিশ্চিত হওয়ার কোন উপায় নেই। আজকের আলকায়েদা, তালেবান, আইসিসের মত উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোর জন্ম এদের হাতেই হয়েছিল। এটা এখন প্রকাশ্য সত্য। আজ থেকে দশ বছর পর হিলারী ক্লিনটনের মত তাদেরই কোন একজন হয়তো প্রকাশ্যে স্বীকার করবেন যে এটা আসলে তাদেরই সাজানো ঘটনা ছিল। সুতরাং এখন তালেবান, আলকায়েদা কিংবা আইসিসের হাতে তারা আক্রান্ত হলে সেটার দায়ও তাদের উপরই বর্তানোর কথা। কিন্তু এ সত্য কথাটি বলার মত কোন মুসলিম নেতা পৃথিবীতে নেই। এরা যার যার পিঠের চামড়া আর তখ্ত তাউশের সিংহাসন রক্ষা ব্যস্ত। কিংবা পৃথিবীর কোন এক কোনায় কেউ থাকলেও সেটা পাশ্চাত্য মিডিয়াকে উপেক্ষা করে হালে পানি পাবে না।

এভাবে এসব করে তারা কি করতে চায়? এরা কি শুধু অস্ত্রের জোরে, অর্থের জোরে এভাবে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায়? এটা কি কখনো সম্ভব? একপক্ষকে যা খুশি তা বলার অধিকার দিতে গিয়ে একটি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পুরো পৃথিবীবাসীকে ক্ষেপিয়ে তোলায় লাভটা কী? আদৌ কি তারা পৃথিবীতে শান্তি চায়, আদৌ কি এভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব? তারা আজকে যে শক্তি, যে অর্থ ও প্রাণ দিচ্ছে তার কিয়দাংশও ব্যয় করতে হতো না যদি এই গোষ্ঠীটিকে মুক্ত মতের নামে যা খুশি তা করা, অন্যের বিশ্বাসে এমন করার আঘাত করার নোংরা অধিকারকে রোধ করত। কিন্তু এমন সরল অংক এই দাজ্জালীয় সভ্যতার প্রতিনিধিদেরকে কে বোঝাবে যখন তার একটি চোখ (ডান চোখ, আধ্যাত্মিক চোখ) অন্ধ?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

বুয়েটিয়ান বলেছেন: so sad :(

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: ভেরি স্যাড।

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এটা প্রকাশ্য কায়েদা,তালেবান বা আই এস সৃষ্টি একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে।। এখন আমরা যদি সেটা না বুঝি তাহলে "এই পরিনতি" থেকে মুক্তি নেই। আমি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা বলতে পারবো না, কিন্তু স্বধর্মের,বিশ্বাসের এই অবমাননা ভালও লাগছে না।। তাই বলে আমি ধর্মান্ধ নই। তবু রক্তে মিশে যাওয়া বিশ্বাসের এই অবনতি ভাল লাগছে না।।
আসলে পশ্চিমাদের রাজনীতি,পরিকল্পনা তাদের ভবিষ্যত জেনারশনের জন্য আর আমাদের, শুধুই আমাদের।।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: তাদের এসব ষড়যন্ত্রের কারণে অন্যরা যেমন বিপদের মুখোমুখি হচ্ছে তেমনি তারা্ও কিন্তু মুক্ত নয়। এভাবে কি শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়, কখনোই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা কি সম্ভব?

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: রাজনীতিতে বৃহত্তর স্থার্থের জন্য এমন ক্ষুদ্র বিসর্জনের নমুনা নূতন নয়।।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৪

উড়োজাহাজ বলেছেন: আহা! তারা যদি বুঝত যে এটা কোন ক্ষুদ্র বিসর্জন নয়, এটা মানবজাতির প্রধানতম মৌলিক সমস্যা।

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কিন্তু আমি আমার বক্তব্য থেকে হঠবো না।। বলতে পারেন মেননের হত্যাকারীর পরিনতি কি??
দাবা খেলায় কিন্তু রাজা,মন্ত্রী,আর হাতি, ঘোড়াকে বাচাতে পনকে কি কিভাবে বিসর্জন দেয়া হয়।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.