নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শান্তির জন্য এত এত চিৎকারে কতটা লাভ?

১৫ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২

বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্র আজ নিজেদের অনুগত বাহিনী, বিশেষায়িত বিভিন্ন সংস্থা, সরকারি আমলা ইত্যাদি দ্বারা এতটাই শক্তিশালী হয়েছে যে সেসব দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোন কিছু বলে বা করে উদ্ধার পাওয়ার ক্ষমতা নেই। তেমন কিছু বলে বা করে সে ভিন্ন দেশে পলায়ন করবে তারও উপায় নেই। কারণ প্রতিটি রাষ্ট্রের মধ্যে রয়েছে আন্ত:যোগাযোগ ও নানা ধরনের চুক্তি। এসবের ফলে বিশ্বটা হয়ে গেছে একটা গ্রামের মত। এই অবস্থায় রাষ্ট্র যদি নিজ থেকে ভাল না হয়, ন্যায় ও সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত না হয় তবে তাদেরকে শান্তি বজায় রাখতে কেউ বাধ্য করতে পারবে না। এমনকি তাদেরকে ক্ষমতা থেকে কেউ জোর করে নামাতেও পারবে না। যদিও আজ থেকে দশ-বিশ বছর আগে দেখা যেত যে, প্রবল গণ-অসন্তোষের মুখ রাষ্ট্র তার অন্যায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হতো। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে ততই সেই সম্ভাবনা ক্রমশ লীন হয়ে যাচ্ছে। এখন রাষ্ট্র মানুষকে দিন দিন নি:সঙ্গ করে দিচ্ছে। কোন একটা বিষয়ের কোন ধরনের প্রতিবাদ হবে তারও ছক নির্ধারণ করে দেয় রাষ্ট্র। সেই প্রতিবাদ হবে কি হবে না তার অনুমতিও দেয় রাষ্ট্র।

রাষ্ট্র ক্ষমতায় কে আরোহণ করবে কিংবা ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রের অপছন্দনীয় পরিচালকদের পরিবর্তন করার অধিকারও অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত হয় রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের অভ্যন্তরস্থ কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের দ্বারা। ইচ্ছে করলেই শাসক প্রকৃত গণরায়কে ঘুরিয়ে দিতে পারে ইলেশন ম্যাকানিজমের মাধ্যমে। আবার তাদের এই অন্যায়কে চেপে রাখার জন্য বাধ্য করতে পারে রাষ্ট্র দ্বারা অনুমতিপ্রাপ্ত মিডিয়াগুলোকে। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর নাগরিকদের দ্বারা ভোটের মাধ্যমে শাসক পরিবর্তন করা যেমন অসম্ভব তেমনি উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর ক্ষেত্রে জনগণের ক্ষমতার ঢোল পেটানো হলেও বাস্তবে সেখানোও কাজ করে আরো বড় ধরনের ফাঁকিবাজী। সেসব দেশে কাকে বা কোন দলকে নির্বাচিত করতে হবে সেটা নির্ধারণ করে দেয় সেসব দেশগুলোর বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক এবং আড়ালে থাকা রাষ্ট্রের অভিভাবকগণ। যে ব্যক্তি অথবা যে দলই নির্বাচিত হোক না কেন, তাদেরকে চলতে হয় ওদেরই দেওয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী। কৃতজ্ঞতার স্বাক্ষর হিসেবে তারাও আনুগত্য প্রকাশ করে যায় গোপনে। কোথাও একটু এদিক-ওদিক হলেই চাপে ফেলে তাদের জনপ্রিয়তাকে তলানীতে নামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ঐ সব গোপন অভিভাবক এবং কর্পোরেট পুঁজির মালিকগণ

এমতাবস্থায় বলা যায়, অতীতের রাজতন্ত্রের মতই কোন রাজ্যের রাজা ভালো হলে যেমন প্রজাদের সুখ-সমৃদ্ধি আসত, উন্নতি হতো তেমনি আধুনিককালেও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শাসক ও অভিভাবকগণ যদি নিজ থেকে ন্যায় ও সুবিচারের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে তবে রাষ্ট্রের কল্যাণ হয়। আর অন্যদিকে যদি সেটা না হয়ে শাসক ও গোপন অভিভাবক-পুজিঁপতি উভয়ে মিলে ব্যক্তিগত স্বার্থে স্বজনপ্রীতি, দলপ্রীতিতে নিমজ্জিত থাকে, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় তবে সেটাকে জনগণের দুর্ভাগ্য হিসেবেই আখ্যা দেওয়া যায়। কোন ভূ-খণ্ডে সেটা নেমে আসলে তা থেকে রেহাই পাওয়ার সম্ভাবনা দিনকে দিন আনুপাতিকহারে কমে আসছে। রাষ্ট্রপরিচালক, গোপন অভিভাবক ও কর্পোরেট পুঁজিপতিদের ন্যায়বিচার ও সততা নির্ভর করে তাদের আধ্যাত্মিক উন্নতি ও নিজেদের বিবেকের কাছে জবাবদিহিতার মানসিকতার উপর। কিন্তু হায়! এই বস্তুবাদী সভ্যতায় সেটা কয়জনের মধ্যে কতটুকুর দেখা মিলবে?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৩৬

আহসানের ব্লগ বলেছেন: :||

১৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

উড়োজাহাজ বলেছেন: :(

২| ১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:২৭

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: ভালো বলেছেন।

১৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:২৭

বর্ণিল হিমু বলেছেন: :(

৪| ১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

শাহীন খাঁন বলেছেন: ভালই বলেছেন!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.