নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাতাল এমপির এলোপাতারি গুলিতে শিশু আহত, হাসপাতালের পথ বাধা- এ কোন মগের মুল্লুক আছি?

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪

মাতাল এমপির এলোপাতারি গুলিতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চাচার সাথে ভোর বেলা হাঁটতে যাওয়া এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনাটিকে যদি নিছক দুর্ঘটনা কিংবা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেও দেখা হয় তবুও পরের কাণ্ডটি প্রমাণ করে সেটা আদৌ দুর্ঘটনা নয়। প্রমাণ করে আমরা এক মগের মুল্লুকে বসবাস করছি। আমরা রাষ্ট্র বানিয়েছিলাম সেবা পাওয়ার জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই রাষ্ট্রই এখন আমাদেরকে কৃতদাস বানিয়ে ফেলেছে।

দু পায়ে গুলিবিদ্ধ শিশুটিকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো তখন গাড়িটিকে আবার পথে সেই এমপিরই লোকজন থামিয়ে রাখে। নির্মম ও অরাজক এই ঘটনায় ইউএনও এসে গাড়িটিকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করলেও ঘটনাটি সম্বন্ধে প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ যে ধরনের নিষ্পৃহ আচরণ করেছে সেটাই আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে সবচেয়ে বেশি। 'মাতাল' এমপি গুলি করতেই পারে, কিন্তু তার এই অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রশাসন কিভাবে এতটা নিস্পৃহ ভূমিকা পালন করতে পারে?

বাংলানিউজে প্রকাশিত এ সংবাদটিতে পুলিশের বক্তব্য হচ্ছে, "এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই মিল্টন বাংলানিউজকে জানান, শিশুটিকে বহনকারী গাড়ি আটকের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং শিশুটিকে রংপুর পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন। তবে কিভাবে শিশুটি গুলিবিদ্ধ হয় তা জানাতে পারেননি তিনি। সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) জিন্নাত আলী বাংলানিউজকে জানান, গুলিবিদ্ধ শিশুকে রমেকে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু কিভাবে বা কার গুলিতে শিশুটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।"

অর্থাৎ অপরাধী একজন এমপি বলে প্রশাসন যে ধরনের সতর্কতামূলক ও সাবধানী আচরণ করছে, অপরাধীর প্রতি যে ধরনের সমীহ প্রকাশ করছে তাতে পরিষ্কার হয়ে যায় যে আইন সবার জন্য সমান নয়। মানুষের সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যারা সাধারণ মানুষের ভোটে ক্ষমতায় যাচ্ছে তারা সাধারণ মানুষের সেবা না করে বরং তাদেরকে গালাগালি করছে, গুলি করে মারছে। বাস্তবে তারা মানুষের প্রভু হয়ে গেছে।

অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্ন নিয়ে এমন দেশই কি আমরা গড়েছিলাম? আমরা কি ভোট দিয়ে এমন প্রভুই বানিয়ে যাব আর তাদের গুলি খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে মরতে হবে? তারা কি আমাদেরকে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য হাসপাতালেও যেতে দেবে না? হাসপাতালের দিকে যাওয়া আহত শিশুটিকে বহন করা গাড়িটিকে যারা থামিয়ে রাখল তাদের কি আদৌ কিছু হবে? নাকি ক্ষমতার দাপট আর রাজনৈতিক পরিচয়ে তারা পার পেয়ে যাবে? এমপি হলেই যদি যাচ্ছেতাই করার ক্ষমতা পেয়ে যায় তবে এই আইন, এই সংবিধান কার জন্য? শুধু দুর্বলকে আরো মারার জন্য?

[সংযুক্তি: অনেকে এই ঘটনাটিকে বর্তমান সরকার বিরোধী অবস্থান থেকে বিচার করে এ থেকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করবেন। কিন্তু আমি প্রশ্নবিদ্ধ করছি গোটা সিস্টেমটাকেই যেখানে সবগুলো রাজনৈতিক দলই রয়েছে। কারণ আমরা লংকায় গেলে সবাই রাবণ হতেই দেখে আসছি]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

প্রামানিক বলেছেন: এটা কেমন খবর দিলেন ভাই, শুনে তো মাথা ঘুরতেছে।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

উড়োজাহাজ বলেছেন: আমার সবই ঘুরছিলো প্রথম। মাথা আউলায়া গ্যাছিল।

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

ইকবালবিডি০৯ বলেছেন: প্রবাদে পড়েছিলাম মগের মুল্লক কিন্তু অর্থ তেমন বুঝিনি এখন বুঝতে পারছি আসলে আমরা মগের মুল্লক এ আছি। মগের মুল্লক এর পর কিসের মুল্লক আসে তাবুঝতেছিনা।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২২

উড়োজাহাজ বলেছেন: মগের মুল্লুক উৎরাতে পারলে তো পরের মুল্লুকের কথা চিন্তা করতে পারবেন! দেখেন এই মগের মুল্লুক পার করতে পারেন কি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.