নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর কত তামাশা দেখতে হবে, ভাউ?

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৪

সনাতন ধর্মের বীরদের মধ্যে যদি এমন কোন নজীর থাকত যে তারা কখনো নিজ অঞ্চলের সীমানা ছেড়ে কিংবা সাগর পাড়ি দিয়ে কখনো ধর্ম প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছে তবে দেখা যেত আজকের ভারতের হিন্দুত্ববাদী দল আরএসএস, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভাও তালেবান- আল-কায়েদার মোল্লা ওমর- লাদেনের ন্যায় সেই যুদ্ধের বিকৃত ব্যাখ্যা ও যুক্তি হাজির করে তোরাবোরা পাহাড়ে বসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে, জেহাদি ভিডিও বার্তা ইন্টারনেটে আপলোড করছে, আইএসের মত ভূ-খণ্ড দখল করে পৃথিবীকে হিন্দুত্ববাদ চাপিয়ে দেওয়ার জন্য কোন মহাদেশের নিরপরাধ মানুষের উপর হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করছে। সুখের বিষয় এই যে সনাতনী বীরদের মধ্যে মত ওরকম নজীর নেই। হতে পারে সেটা তাদের সর্টকামিং!!
-----------------------------------------------
আমি চুরি করার সুযোগ পাইনি বলে জীবনে চুরি করিনি আর সুযোগ পেয়েও জীবনে চুরি করিনি- এই দুটোর মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে। চুরি করার সুযোগ পাইনি বলে চুরি না করা প্রকৃতপক্ষে সাধুতার কোন নমুনা নয়। সেটা আসলে চুরিরই নামান্তর। মানসিক দিক দিয়ে সে চোরের সমতুল্য।
-----------------------------------------------
চরিত্রগত দিক দিয়ে আসলে প্রত্যেক উগ্রবাদীরাই সমগোত্রীয়। সেটা মুসলিম পরিচয়ে হোক আর হিন্দু পরিচয়ে হোক কিংবা খ্রিষ্টান পরিচয়েই হোক। তাদের মধ্যে চরিত্রগত দিক দিয়ে কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধু বাইরে- পোশাকে, চুলে-দাড়িতে। খ্রিষ্টানদের মধ্যেতো উগ্রতার ইতিহাস নজীর হয়ে আছেই। ঔপনিবেশিক শাসন প্রবর্তনের সময় ধর্মের লেবাসধারী পাদ্রীরা সামরিক বাহিনীর পেছনে পেছনে গিয়ে মানুষকে কিংডম অব হ্যাভেনের সুসংবাদ নিয়ে হাজির হতো। লোভ দেখিয়ে, অর্থ দিয়ে তারা ভিন ধর্মের মানুষদেরকে খ্রিষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করত। এভাবে সামরিক বাহিনী যখন মানুষকে মেরে কেটে বিনাশ করত তখন পাদ্রীরা গাছের নিচের ফল কুড়ানোর মত নিজেদের পক্ষে সুবিধা আদায় করে নিত।
-----------------------------------------------
আমির খান যখন মতামত ব্যক্ত করে বলেছেন ‌'ভারতে অসহিষ্ণুতা বেড়েছে' তখন এই মতামতের বিরোধীতা করে ধর্মান্ধ মৌলবাদী হিন্দু শিবসেনা গ্রুপের শীর্ষনেতা রাজ থ্যাকারে যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে আমি আমার হাসি রোধ করতে পারছি না। এই ধরণের মতামত দেয়ার কারণে আমীর খানকে চড় মারার পুরষ্কার হিসেবে এক লাখ রুপি ঘোষণা করা হয়েছে আর শাহরুখ খান এর আগে একই ধরনের কথা বলায় তাকেসহ আমীর খানের মুণ্ডু কর্তন করে প্রকাশ্যে ঝোলানোর দাবি করেছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। এই হচ্ছে সহিঞ্চুতার নমুনা!!
------------------------------------------------
আর কত তামাশা দেখতে হবে, ভাউ?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

shiponblog বলেছেন: যাদের চুটকি পুলকায় তারা চুলকাবেই। এরা ছিল আছে থাকবেই।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৬

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: আমি চুরি করার সুযোগ পাইনি বলে জীবনে চুরি করিনি আর সুযোগ পেয়েও জীবনে চুরি করিনি- এই দুটোর মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে। চুরি করার সুযোগ পাইনি বলে চুরি না করা প্রকৃতপক্ষে সাধুতার কোন নমুনা নয়। সেটা আসলে চুরিরই নামান্তর। মানসিক দিক দিয়ে সে চোরের সমতুল্য।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

উড়োজাহাজ বলেছেন: একমত?

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: মৌলবাদীরা শুধু লম্ফঝম্ফই করবে কিন্তু তারা কাজেকাজ কিছু করতে পারবে না । মানুষ যে যা ধর্মই মানুক না, কিন্তু অশান্তি কেউ চায়না । মৌলবাদীরা মৌলবাদীই থাকবে ,মৌলিক হতে পারবে না :D:D:D

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৮

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: এই ধারা দুনিয়ার সব জায়গায় আছে। সব ধর্মেই আছে। এমনকি নাস্তিকদের মধ্যেও আছে উগ্রপন্থা। দোষ একা আফগানিস্তানের না, ভারতের না কিংবা বাংলাদেশ মায়ানমারের না। ১ কোটি লোকে ১০০০ লোক এমন হইলেও কিন্তু এরা যখন একত্রিত হয় তখন শক্তিটা ব্যাপক। ছিলো এবং দুনিয়া ধ্বংস হওয়ার আগপর্যন্ত থাকবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.