নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলতে চাই কিছু লিখেত চাই

মনুআউয়াল

মনুআউয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী নারীর হন্তারক

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

কোনকালে হয়নিকো জয়ী পুরুষের তরবারী, প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে বিজয় লক্ষ্মী নারী। আদিযুগ থেকে এ পর্যন্ত জগৎ সংসার পরিচালনায় নারী পুরুষের এই সম-অধিকার। নারী পুরুষের পাশাপাশি এই পথচলা মানুষের অগ্রগতির ধাপে ধাপে প্রতিষ্ঠিত করেছে বিজয়স্তম্ভ। একা পুরুষের পক্ষে পথচলা সম্ভব নয়। তবুও যেন সর্বত্র দেখা যায়, নারীরা বিভিন্নভাবে লাঞ্চনার শিকার।শতাব্দীর মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া এদেশের নারী মুক্তির যে বাণী প্রচার করে গিয়েছেন তা এখনও কার্যক্ষেত্রে পরিপূর্ণ হয়নি। তাঁর স্বপ্ন এখনও স্বপ্নজড়িমা চোখে আচ্ছন্ন হয়ে আছে আমাদের মা-বোনদের অবরুদ্ধ হৃদয় কন্দরে। এ নিগড় ভাঙ্গতে হবে। নারীকে দিতে হবে মুক্তির অধিকার। কারণ, নারীকে পশ্চাদপদ রেখে জীবনের অগ্রগতি সম্ভব নয়। আবার অনেকে পর্দাপ্রথাকে নারীদের অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাধা মনে করেন। আসলে তা ঠিক নয়। নারীরা সব করতে পারবে। পর্দা নারীদের অগ্রগতির ক্ষেত্রে কোন বাধা মনে করেনি। আজকাল অনেকে নারীদের পর্দাপ্রথা বজায় রেখেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফলতার সাথে সুন্দর ভূমিকা রাখতে দেখা যাচ্ছে। তারা ব্যাংক, বীমা, শিল্প-বানিজ্য এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হিসেবেও জাতি ও দেশ গঠনে চমৎকার ভূমিকা পালন করছেন। তবে বাংলাদেশে নারীদের উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হিসেবে যিনি সমাজের দেয়াল ভেঙ্গে ছিলেন তিনি বেগম রোকেয়া। মেয়েদের জন্যে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল করে তিনি তার সংগ্রামের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। আর যে কথা না বললেই নয়, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নারী। বিরোদী দলীয় নেত্রী নারী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একজন নারী। পররাষ্ট্র মন্ত্রীও একজন নারী। তবুও যেন দেখা যাচ্ছে, নারীরা আজ নানাভাবে নানান নাগরিক ও সামাজিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। খুবই নিকট অতিতের কিছু ঘটনা যা কোন বিবেকমাত্রকেই নাড়া না দিয়ে পারেনি। নারীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, সংসারে, কর্মক্ষেত্রে সর্বত্রই যেন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। পথে ঘাটে বখাটে যুবকদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে সেই নারীকে মাথায় কেরোসিন ঢেলে দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে। অনেকে আবার আপমানের জ্বালা সহ্য করতে না পারে নিজেই বিলিয়ে দিয়েছে নিজের জীবন অন্তীম শয্যায়। কিন্তু তারা আজও এর সত্যিকারের সঠিক পরিত্রাণ পায়নি। শুধু কি তাই? অনেক ক্ষেত্রে আবার দেখা যায়, নারীরাই নারীদের ক্ষতি করছে। বোন ও মায়ের প্ররোচনায় স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি বিরূপ আচরণ করছে। মারধর করছে। এবং দফায় দফায় যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দিচ্ছে। আবার দেখা যায়, স্ত্রীর ভুল সিদ্ধান্ত এবং খামখেয়ালীপনার কারণে ছেলে তার মায়ের সাথে খারাপ আচরণ করছে। বোন তার ভাইয়ের কাছে স্নেহ ও অধিকারহারা হচ্ছে। আবার এমন ঘটনাও ঘটেছে, স্বামী তুচ্ছ ঘটনায় স্ত্রীর চোখ উপড়ে ফেলেছে। সেক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্বামীকে যে মদদ যুগিয়েছে সেও একজন নারী। অর্থাৎ পাষান্ড স্বামীর ছোট স্ত্রী। একটি সংসারে বিবিধ কারণে সতিনের সাথে অমিল থাকাটাই স্বাভাবিক। তবুও কি উচিত ছিলনা স্বামীর এই অমানবিক কাজে ছোট স্ত্রীর বাধা দেওয়া। হতভাগ্য বড় স্ত্রীর অপরাধ ভাতের মধ্যে কোরোসিন তেলের গন্ধ পাওয়া গিয়েছিল। বড় স্ত্রী আকুতি মিনতি করে বলেছিল’ ‘‘আমারে মাইরা ফ্যালান। তবুও চোখটা উডাইয়েন না। আপনার হাতে ধরি, পায়ে ধরি।’’ বড় স্ত্রীর এই আকুতি-মিনতি ছোট স্ত্রীর মনে এতকুকু দয়ার উদ্রেক হয়নি; আমি যে আমার সতিনের চোখ উপড়ে ফেলার জন্য স্বামীকে বাধা না দিয়ে উল্টো সহযোগীতা করছি সেও তো আমার মত একজন নারী। আর এভাবেই এদেশে গ্রাম গঞ্জে শহরে বন্দরে সর্বত্রই নারীরাই নারীদের ক্ষতি করছে। আর শাসন ক্ষমতায় দফায় দফায় নারীরা ক্ষমতার শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিতও হচ্ছে; কিন্তু ঘটমান অপরাগুলোর দৃষ্ঠান্তমূলক বিচার করতে তারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আর অপরদিকে নারী নেত্রীরা মিছিল মিটিং করে তাদের সমঅধিকারের কথা বলছেন। সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে নারীর ক্ষমতায়নের সস্তা-বুলি আওড়াচ্ছেন। অথচ বেশ কিছু নারী-ই যে নারীদের ক্ষতি করছে- সেদিকে তারা সীমাহীন অসতর্ক ও অজ্ঞ। নারীদের সত্যিকারের অগ্রগতি ও মর্যাদা দিতে ও পেতে হলে এই সমস্ত কূপমন্ডুক ও কেবলা হাকীম নারী নেত্রীদের সতর্ক ও সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করা প্রয়োজন। কবি নির্মলেন্দু গুন’র ভাষায়- ‘‘আমি বলছিনা ভালবাসতেই হবে আমি চাই কেউ আমার জন্য অপেক্ষা করুক, শুধু ভিতর থেকে দরজা খুলে দেবার জন্য বাইর থেকে দরজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত।’’ উপরোক্ত কথাগুলো কবি অনেক আপেক্ষা করে বলেছেন। তাই নারীদের উচিৎ তার স্বামীকে ভালবেসে একান্ত আপন করে নেয়া। নারীদের উচিৎ ছেলের বউকে নিজের মেয়ের মত দেখা। নারীদের উচিৎ শাশুড়িকে নিজের মায়ের মত সম্মান করা। নারীদের উচিৎ ননদকে নিজের ছোট বোনের মত দেখা। আবার নারীদের উচিৎ ভাবীকে বড় বোনের মত দেখা। তাহলেই বাংলাদেশে নারী নির্যাতন রোধ হবে এবং নারীদের সত্যিকারের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

কাইয়ুমহেপি বলেছেন: আপনার শিরোনাম দেখে প্রতারিত হয়েছি হাসি :), এটা মজা করে বললাম। আসলে নারী বিষয়ক লেখা এত কম আসে, এবং এত ক্লিশে স্টেরিওটাইপড হয় মনে করেছিলাম, এটি ভিন্ন হবে, কিন্তু না! হাসি :)। যাই হোক, পাঠক হিসেবে আমার অনুরোধ থাকলো, যে সমস্ত মহিলারা কারো মা বোন স্ত্রী ইত্যাদি পরিচয়ের বাইরে নিজেদের পরিচয় গড়ে তুলেছেন, তাদের ওপরে হওয়া নিপীড়ন/ সামাজিক বাধা/ নিগ্রহ নিয়ে কিছুলিখতে। আমি কয়েকটা সূত্র ধরিয়ে দিতে পারি কি নিয়ে লিখতে পারেন, গণিতের তাপসী হাইপাশিয়া, মহাশ্বেতা দেবী, জোয়ান অফ আর্ক, আমাদের ঘরের কাছের তসলিমা নাসরীন, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, নভেরা আহমেদ, অরুন্ধতী রায়, খনা, মেরী কুরী, সিলভিয়া প্লাথ, রোসা পার্ক এ ক'টা নাম মনে আসছে। মায় অপরাহ উইনফ্রে বা এলেন এর মতো ভীষণ মেইনস্ট্রিম মানুষের জীবন নিয়েও খুব ইন্টারেস্টিং লেখা হতে পারে। কিন্তু এই "তারা মা তারা বোন তাদের সম্মান করুন" - আমার কাছে পাঠক হিসেবে ভীষণ মধ্যযুগীয় মনে হয় এই ২০১০ এ। আমি তারা দেইনা, সিস্টেমটিতে আস্থা নেই বলে। গালিগালাজ ও করিনা। কিন্তু অপছন্দ/ পছন্দ সোজাসাপ্টা জানাই। ভালো থাকবেন, ভালো লিখবেন। অন্ততঃ চেষ্টা করবেন। হাসি সচলে স্বাগতম।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

কাইয়ুমহেপি বলেছেন: ২০১৩ হবে

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১২

নুরুললাহরকস বলেছেন: কালের হাওয়ায় বিশ্বের সাথে সাথে দেশ এগুতে না পারলেও সময়ের ব্যবধানে আমাদের নারীদের ঘটেছে ব্যাপক পরিবর্তন। বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনে তাদের পোশাক, আচার-আচরণ, চিন্তা চেতনায় এবং কর্মক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনে গ্রহনীয় বর্জনীয় দু’টোই আছে। ক্রমাগত নারী অধিকার নিয়ে ব্যস্ত থাকা নেত্রীদের অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের দাবী পুরণে ,কেননা আমাদের ক্ষমতায় যিনি আসিন তিনি নিজেই যে একজন নারী। আজ দেশের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের রয়েছে স্বঃতস্ফূর্ত অংশগ্রহন। তাদের জন্য ক্রমাগতই ক্ষেত্র তৈরী হচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের স্বঃতস্ফূর্ত অংশগ্রহন নিঃসন্দেহে আশাজাগানিয়া। কিন্তু সাম্প্রতিক মনে হচ্ছে তাদের অধিকারের ক্ষমতা বলে তারা হারিয়ে যাচ্ছে,উদাসীনতায় নিজেদের ভাসিয়ে দিচ্ছে,যা মোটেও কাম্য নয়। আমি মনে করি আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিয্য সংরক্ষণ করেই সকল পরিবর্তন আনা উচিত।

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

রিতেশহেপি বলেছেন: :D খুবই ভালো পোষ্ট

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৭

Abul বলেছেন: এক্ষেত্রে আমাদের নারী সমাজের অবশ্যই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে।

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

মনিরুলবেস্ট বলেছেন: উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। অথচ এদেশের নারীরা অনেক নিপীড়িত

ভালো থাকবেন

৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

নাছিরুলবেস্ট বলেছেন: নারীদের উন্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরী। সেটা হতে পারে ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা জাতীয় অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে।

৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

মোসতফরকস বলেছেন: আমাদের প্রচলিত চিন্তার মূলোৎপাটন করা জরুরী।

৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

িমতা নুর277 বলেছেন: নারী ও পুরুষের দায়িত্ব কর্তব্য ও একই সমাজে বসবাস করার কারণগুলো নতুনভাবে খুজে দেখার প্রয়োজন ।

১০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৮

তািনয়া898 বলেছেন: আমি, নিজের সম্পর্কে, একথা বলতে পারি যে নারী স্বাধীনতা বলতে আমি যা বুঝি তার শতকরা একশ ভাগ প্রতিফলন আমার নিজের জীবনেও নেই, আমি এখনও সে পর্যন্ত পৌছাতে পারিনি; ব্যাপারটা খুবই লজ্জার বিষয় (যার জন্য আমার কিছুটা হলেও ঘৃণা প্রাপ্য), কিন্তু সত্য।

১১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৫

মনুআউয়াল বলেছেন: Thanks Every One

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.