নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলতে চাই কিছু লিখেত চাই

মনুআউয়াল

মনুআউয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের নামে সহিংসতায় ইসলাম কি বলে

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৩



মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বলরেন, ‘বনি ইসরাইলিরা ৭২টি ভাগে বিভক্ত হয়েছিল, আমার উম্মতরা ৭৩টি দলে বিভক্ত হয়ে পড়বে। এর মধ্যে একটি মাত্র দল সুসংবাদ প্রাপ্ত, বাকি ৭২টি দলই জাহান্নামি হবে।’

জিজ্ঞাসা করা হল , ‘কারা সুসংবাদ প্রাপ্ত হবে?’ রাসুল (স.) বললেন, ‘যান আল্লাহ ও আল্লাহর রাসলের পথ সঠিকভাবে অনুসরণ করবে।’

হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর বিখ্যাত হাদিসটি সবারই জানা। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী ফলতে শুরু করেছিল তাঁর মৃত্যুর অল্প কিছুদিন পর থেকেই। মুসলমানরা নিজেরা নিজেরাই মারামারি, কাটাকাটি আর শত্রতায় লিপ্ত হয়ে গিয়েছিল। মহানবী (স.) ইসলামের যে মূল চেতনা প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন তা নষ্ট করে ফেলে মুসলমানরাই। সে কারণে খেলাফতের নামে প্রতিষ্ঠা হল রাজতন্ত্র। ভোগ-বিলাস আর অনাচার-অবিচারে এক জাতি নাম ধারণ করেও নেজেদের মধ্যে তারা বিভক্ত হয়ে পড়ল।

হযরত মুহাম্মদ (স.) এরকম পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথনির্দেশনাও দিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘আমি তোমাদের কাছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রেখে যাচ্ছি। যত দিন তোমরা এই দটি জিনিস আাঁকড়ে ধরে থাকবে ততদিন পথভ্রষ্ট হবে না। সেই দুটি জিনিস হল কোরআন আর হাদিস।’ এবেের মহানবী (স.) নিজেই সঠিক দল কোনটি তা চেনার মাপকাঠি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন।

মানুষের মৌলিক সহজাত প্রবৃত্তি যেমন লোভ-লালসা তথা ষড়রিপু দমন করে আধ্যাত্মিক শুদ্ধতা অর্জন করে মুসলমানদের কাছে ‘জিহাদে আকবর’ বা ‘বড় জিহাদ’ বলে পরিচিত। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বড় জিহাদ’ হলো কোনো ব্যক্তির অভ্যন্তরীন শুদ্ধতা অর্জনের সবচেয়ে বড় সংগ্রাম। পবিত্র কোরআনে ‘জিহাদে আসগর’ বা ছোট জিহাদের কথাও বলা হয়েছে।

অথচ পৃথিবীতে ইসলামের আবির্ভাব, বিস্তার ও প্রতিষ্ঠার সাড়ে চৌদ্দশ বছর পর এক দল লোক মনে করছে, ইসলামকে শক্ত করে প্রতিষ্ঠা করা দরকার। আর এ দাযিত্বও যেন তাদেরই। এরা আরও মনে করছে ইসলামের যে শাশ্বত-শান্তির পথ মহানবী (স.) প্রচার করেছেন এবং সারা জীবন অনুসরণ করে গেছেন, সেই সুন্দর পথ অবলমাবন করা যেন এখন আর যথেষ্ট নয়। এর বদলে এখন দরকার বোমা। মানুষ হত্যা। অর্থ্যাৎ এসব ধর্মপ্রেমী লোকের সারমর্ম এই যে, ইসলাম এখন আর প্রচারের বিষয় নয়, ইসলাম এখন চাপিয়ে দেওয়ার বিষয়।

ইসলামের মল থেকে সরে গিয়ে এরা মেতে উঠেছে ধর্মের নামে হত্যাযজ্ঞে। অথচ ইসলামে কোথাও কি এধরণের কথা বলা হয়েছে? বিদায় হজের ভাষণে হযরত মুহমম্মদ (স.) স্পষ্ট ভাষায় উম্মতদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন, ‘সাবধান! বাড়াবাড়ি কোরো না। অতীতে বহু জাতি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে।’ অথচ ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে এক শ্রেণীর জঙ্গি-উগ্রবাদী ধর্ম নিয়ে চূড়ান্ত রকম বাড়াবাড়ি করছে। যারা মহানবী (স.)-এর নির্দেশনা মানেনা, তারা কীভাবে, কোন ধৃষ্টতাবলে কোরআনের শাসন চালুর কথা বলে? আল্লার আইন চালুর কথা বলে?

যেন হাজার বছর ধরে এখানে বংশপরম্পরায় বেড়ে ওঠা মসলমানরা সব অজ্ঞ, মূর্খ। এসব উগ্রপন্থিরা জানেইনা যে এ অঞ্চলে ইসলামের বিকাশ ও বিস্তার হয়েছে শান্তি ও উদারতার ধারায়। যুগে যুগে সুফি-সাধক, পীর-দরবেশরা এখানে ইসলামের যে শাশ্বত বাণী প্রচার করেছেন, মানুষের কাছে রাসুল (স.) যে বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন, তাতে কোন হানাহানি, জিঘাংসার চিহ্ন ছিল না। ইতিহাসের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক অনিবার্যতায় যেসব যুদ্ধবিগ্রহ

ঘটেছে, তাতে মানুস খুন করে, জবরদস্তি করে ধর্ম চাপিয়ে দেওয়ার ঘটনা বিরল। আর আজকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তর হতে জিহাদের ডাক দেওয়া হচ্ছে।



মানুষের মৌলিক সহজাত প্রবৃত্তি যেমন লোভ লালসা তথা ষড়রিপু দমন করে আধ্যাত্মিক শুদ্ধতা অর্জন করা, মুসলমানদের কাছে ‘জিহাদে আকবর’ বা ‘বড় জিহাদ’ বলে পরিচিত। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বড় জিহাদ’ হলো কোন ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ শুদ্ধতা অর্জনের সবচেয়ে বড় সংগ্রাম। পবিত্র কোরআনে ‘জিহাদে আসগর’ বা ছোট জিহাদের কথাও বলা হয়েছে। এই ছোট জিহাদ হলো পার্থিব অর্থে আমরা যাকে সংগ্রাম বলে মনে করি তা। এই অর্থে সংগ্রাম কেবল তাদের বিরুদ্ধেই বৈধ, যারা অত্যাচারী। এই সংগ্রামে বিন্দুমাত্র নিজের স্বার্থ থাকতে পারবে না। (সূরা বাকারা,১৯০)

মাওলানা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ইসলামী পরিভাষা অনুসারে জিহাদ হলো পৃথিবীতে কোন শ্রেষ্ট লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কারও সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিয়োগ করা। আর কোন মুসলমানের কাছেই আল্লাহর আশীর্বাদ প্রাপ্তির চেয়ে বড় কোন লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য থাকতে পারে না। এবং তা সম্ভব একমাত্র তার কাছে পূর্ণাঙ্গ আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়েই। সব স্বেচ্ছাচার, অশুভ কামনা ও কদর্যতা থেকে মুক্ত থেকে ভালো আর সুন্দরের প্রতি চিরন্তন আনুগত্যের দুর্বার প্রচেষ্টাকেই বলা হয় জিহাদ।’

এই হলো জিহাদের অর্থ। আরেিত এই অর্থেই জিহাদ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্ত ুজঙ্হিবাদীরা এই শব্দে এমন লেভেল এটেছে যেন ‘জিহাদ’ হলো ‘যুদ্ধ’-এর প্রতিশব্দ। এমনকি ১১ই সেপ্টেম্বরের দূর্ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী জ্ঞানী ব্যক্তিরা ইসলামী-জঙ্গি সমস্যা নিয়ে যত বক্তৃতা দিয়েছেন বা লিখেছেন তাতে তারা জিহাদ শব্দের সঠিক ও ব্যাখ্যামূলক অর্থটা না দেখেই জঙ্গিদের বাতলানো অর্থে জিহাদ মানে যুদ্ধ -এর ধারণা পোষণ করে এসেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, কোরআন শরিফে যে বিষয়ে স্পষ্ট বলা আছে, সেখানে অন্য কোনো অর্থ-ব্যাখা চলতে পারে না। নিজামী-চরমোনাই গংদের বাতলানো অর্থে জিহাদ মানেই যুদ্ধ, জিহাদ মানেই বোমা মেরে, গুলি করে পটিযি়ে মানুষ হত্যা করা এবং এসব অপকর্মের সাফাই হিসেবে ‘ইসলাম প্রচার ও প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ’ বলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা একাধারে মিথ্যা, বিকৃত ও ইসলাম বিরোধী। ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ওচর্চা দিয়েই প্রমাণকরা সম্ভব, বর্তমান বিশ্বে জিহাদের নামে যে উন্মাদ নৃত্য ও উদভ্রান্তে কর্মসূচী পরিচালিত হচ্ছে তা আদৌ জিহাদ নয়।

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন, ‘মুসলমানরা কি যুদ্ধ করেনি?’ উত্তর হলো ‘হ্যাঁ করেছে।’ তবে এইটুকু উত্তর দিয়ে ইসলামের নামে যুদ্ধ প্রমাণ করা যাবে না। কারণ কখন, কী পরিস্থিতিতে মহানবী (স.)-এর নেতৃত্বে এবং তার ইন্তেকালের পর খুলাফায়ে রাশেদিনের নেতেৃত্বে যুদ্ধ করেছে তা জানা ও বোঝা না থাকলে অর্ধ-সত্য জেনে বিভ্রান্তি বাড়বে। ইসলামের প্রথমদিকে মুসলমানদের যুদ্ধের চরিত্রটাই বা কি ছিল? কোরআনে নেই যুদ্ধ সম্পর্কে কি বলা হয়েছে?

কোরআন থেকে যুদ্ধের যে নমুনা আমরা পাই তা হলো মুসলমানদের যুদ্ধ করার প্রথম অনুমতি দেয়া হয় যখন তারা মক্কা থেকে মদিনায় চলে যায় এবং যখন তাদের উপর আক্রমণ আসে তখন। অর্থ্যাৎ আত্ম রক্ষার জন্যই যুদ্ধ করতে বলা হয়েছে, অন্যের আত্মা ধ্বংসের জন্য নয়। বস্তুত, মদিনায় পৌঁছার পর জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম মুসলমানদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং বাধ্য হযে আত্ম রক্ষার জন্য তারা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। মদিনায থাকা অবস্থায এবং যুদ্ধকালীন যে সমস্ত সূরা অবতীর্ণ হয়েছে, সেখানে জিহাদ শব্দটি অনেক বিস্ত্রত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। মদিনায় অবস্থানের কয়েক বছর পরই মুহাম্মদ (স.) মক্কাআক্রমণ করার মত শক্তি অর্জন করলেন। তখন কি তিনি মক্কায় রকেক্ষ বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন? না, তিনি তা করেননি। আর মক্কা বিজয়ের পর? পৃথিবীর ইতিহাসে রক্তপাতহীন এত বড় বিজয় সম্ভবত দ্বিতীয়টি নেই। মক্কা বিজয়ের পর তিনিসব অত্যাচারী-অবিশ্বাসী কে এই বলে ক্সমা করে দিয়েছিলেন,‘ভাইসব! আজ তোমরা সবাই স্বাধীন, সবাই মুক্ত।’ আমাদের আজকের উগ্র-জিহাদিরা কিন্তু রাসুল (স.)-এর এই শান্তির পথে হাঁটতে নারাজ।

আল-কোরআনের ২৯ নম্বর সূরার নাম হলো ‘আনকাবুত’। এটা মুহাম্মদ (স.)-এর নবুওয়ত প্রাপ্তির পঞ্চম ও ষষ্ট বছরে অবতীর্ণ হয়। এই সূরায় জিহাদ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে কারো ক্ষমতা, যোগ্যতা ও প্রচেষ্টার সর্বোচ্চ ব্যবহারের তাগিদ হিসেবে। নিশ্চিতভাবে এই ক্ষমতা, যোগ্যতা ও প্রচেষ্টার সঙ্গে যুদ্ধ করার কোন ইঙ্গিত ছিলনা। চিল নিজের অন্তরাত্মাকে বিশুদ্ধ ও কোমল করে ভালত্ব অর্জন করার জন্য সর্বোচ্চ শ্রম নিয়োগের তাগিদ।



এই সূরার ৬৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘য়ারা আমার উদ্দেশ্যে জিহাদ করে, আমি তাদেরকে অবশ্যই আমাদের পথে পরিচালিত করব। আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মপরায়ণদের সাথে থাকেন।’ এই আয়াতে এটা স্পষ্ট যে সৎকর্ম ও ভালো কাজ করাকেই জিহাদ বোঝানো হচ্ছে, কোনো হানাহানিও খুনোখুনি নয়।

কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘আল্লাহর স্বভাবের অনুসরণ করুন’। আরেক জাযগায় আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা আল্লার রঙে রঞ্জিত হও’ (অর্থাৎ আল্লার চরিত্রে যে সব গুণ রয়েছে সে সব গুণ অর্জন করা) ।

যেখানে স্বয়ং আল্লাহ বলেছেন তাঁর গুণের গুণাবলী অর্জন করতে, সেখানে স্বভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে, যারা আল্লার আইন প্রতিষ্ঠার নামে বোমাবাজি আর মানুষ হত্যা করছে তারা কি আল্লাহর গুনে গুণান্বিত?

আল্লার যে নিরানব্বইটি গুণবাচক নাম রয়েছে তার মধ্যে কোরআনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে ‘রহমান’ ও ‘রহিম’ নাম দুটি, যার অর্থ ‘পরম করুণাময়’ ও ‘পরম দয়ালু’ । কোরআনে পরম করুণাময় ও পরম দয়ালু (রহমানির রহিম)- এই নামগুলো ব্যবহৃত হয়েছে ১২৪ বার। আল্লাহ নিজের গুন বোঝাতে ‘দয়া’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন ১৭৩ বার। তাঁর উল্লেখযোগ্য এ গুণগুলোর বিপরীত গুণ হলো ‘ক্রোধ’ এবং ‘ক্রুদ্ধ’। সারা কোরআন শরিফে তিনি ক্রোধ শব্দটি মাত্র তিনবার ব্যবহার করেছেন (সূরা ফাতিহা ৭, বাকারা ৯০ ও আল ইমরান ১১ নম্বর আযাতে)। আর ক্রুদ্ধ শব্দটি তিনি ব্যবহার করেছেন মাত্র ৪ বার (আল মাইদা, আনফাল, আল মুজাদিলা ও আল মুমতাহানা)

ইসলাম প্রচারের নামে মানবতা ও মানবিকতার ওপর দলন-পীড়ন করছে। আর যাদের উপর তাদের কোন কর্তৃত্ব নেই এবং ইসলামও যে কর্তৃত্ব দেয়নি তাদের উপরই তারা জোর করে শরিয়া প্রতিষ্ঠার এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছে। এ ব্যাপারে তারা যদি মুহাম্মদ (স.)-এর আচরণের দিকে তাকাত তাহলে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখতে পেত। মাওলানা মোহাম্মদ আলী তাঁর ‘রিলিজিয়ন অব ইসলাম’ গ্রন্থে বলেছেন, যখন মুহম্মদ (স.) দেখলেন যে, লোকজন তাঁর কথায় কর্ণপাত করছে না এবং বোঝারও চেষ্টা করছে না, তখন আল্লাহ তাকে সান্ত্বনা ও উপদেশ দিতেন এভাবে- ‘তাহলে কি তুমি বিশ্বাসী হওয়ার জন্য মানুষের উপর জবরদস্তি করবে?’ (সূরা ইউনূস ৯৯)



তখন একটি দল ছিল যারা মুহাম্মদ (স.)-এর কথা শুনতো এবং মানতো। আরেক দর ছিল যারা তাঁর কারণ আহ্বানে পাত্তাই দিত না। এদর জন্য তিনি মাঝে মাঝে অধৈর্য হয়ে উঠতেন, হতাশ হয়ে যেতেন। কিন্তু কোরআনে আল্লাহ তাকে ধৈর্য ধারণ, ক্ষমা ও সহ্য করার জন্য উপদেশ দিতেন। আল্লাহ বলেছেন, ‘তারা এই বাণীতে বিশ্বাস না করলে তাদের পেছনে পেছনে ঘুরে ঘুরে তুমি হয়তো দুঃখে নিজেকে শেষ করে ফেলবে।’ (সূরা কাহাফ্ ৬)



ধর্মে কোন জোরাজুরি নেই



স্পষ্টতই কোরআন ও হাদিসের আলোকে বোমাবাজি করে, মানুষ খুন করে জিহাদ করার চেষ্টা করা কোনভাবেই স্বীকৃত নয়, বেধ নয়। কোরআনে ধর্ম প্রচার প্রসঙ্গে যা বলা হয়েছে, সেখানে কোন রকম জবরদস্তির কথা বলা হয়নি। সূরা কাহাফে বলা হয়েছে, “বল ‘সত্য’ এসেছে তোমাদের প্রতিপারকের কাছ থেকে; যার ইচ্ছা সে বিশ্বাস করুক আর যার ইচ্ছা সে অবিশ্বাস করুক।” (সূরা কাহাফ ২৯) সূরা ইউনূসে বলা হয়েছে, ‘তাহলে কি তুমি বিশ্বাসী হওয়ার জন্য মানুষের উপর জবরদস্তি করবে?’ (সূরা ইউনূস ৯৯)। সূরা বাকারায় বলা হয়েছে, ‘লা ইকরাহ ফিদদীন’ অর্থাৎ ‘ ধর্র্মে কোন জবরদস্তি নেই’ (সূরা বাকারা, ২৫৬)। সূরা কাফিরুনে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, ‘তোমাদের ধর্ম তোমাদের, আমার ধর্ম আমাদের।’ (সূরা কাফিরুন, ৬)।

মুহাম্মহ (স.)-কে আল্লাহ এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা প্রদান করেছিলেন যে, তিনি যদি সহজ-সরল ভাষায় সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিটা লোকজনের কাছে বলে দেয় তাহলেই তাঁর মিশন শেষ। এ চেয়ে বেশি কিছু তার কাছ থেকে আশা করা হবে না। মানুষ তার দাওযাত গ্রহণ করেছে কি করেনি এটা দেখার দায়িত্ব তাঁর নয়। তাঁর দায়িত্ব ছিল শুধু এটুকু জানিয়ে দেয়া, কোনটা সঠিক পথ আর কোনটা বিপথ। আল্লাহ্র এই নির্দেশনা অনুসারে তিনি মানুষকে আরো জানিয়েছেন, কোন পথে চললে কী ফল হবে। অর্থাৎ নিজের পছন্দের ব্যাপারে মানুষ পুরোপুরি স্বাধীন। আল্লাহ জোর করে, বোমা মেরে তার পথে চলতে বাধ্য করতে চান না। তিনি মানুষকে বোঝার, বিচার করার ও স্বাধীনভাবে পছন্দের ক্ষমতা দান করেছেন।

আল্লাহ্র নবী মুহাম্মদ (স.) যদি কারো উপরে ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে জোর না খাটিয়ে থাকেন, তবে তারা কোন ইসলামী আইনের বলে তারা জোর জবরদস্তি আর সন্ত্রাসের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে? এরা যা করছে তা করার কোন বৈধ অধিকার তাদের নেই। এদের ঘৃণা করা দরকার, বিশেষ করে মুসলমানদের এই দায়িত্ব সবার আগে। কারণ এরা ইসলামের নাম নিয়ে ইসলামের ওপরই অমোচনীয় কলঙ্ক চাপিয়ে দিচ্ছে।



কুফর কী, কারা কাফির



মাওলানা মোহাম্মদ আলী কুফর শব্দের ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘কোরআনের ব্যাখ্যাকারদের বেশিরভাগই কুফরের অর্থ করেছেন ‘সত্যকে অস্বীকার’। মূলত এর অর্থ হলো ‘আবৃত করা’ বা ‘গোপন করা’।

প্রাথমিকভাবে কুফর বলতে বোঝাতো ইসলামপূর্ব যুগের লোকদের আল্লাহর একত্ববাদ ও নবীর নবীত্বের অস্বীকারকে। এছাড়াও কুফর শব্দের আরেকটি অর্থও তখন প্রচরিত ছিল, সেটি হলো বেঁচে থাকার আবশ্যিক উপাদান বা উপকরণসমূহ গোপন করে ফেলা বা প্রত্যহার করা যা স্রষ্টা মানবজাতির ভালোর জন্য সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি চান যে এগুলো সবার কাছেই সমান সহজলভ্য হয়ে থাক। এই অর্থে দৈনন্দিন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং মজুদকারীরাও কুফর করে। অর্থাৎ তারা কাফির।



যারা আজ বোমা ফাটিয়ে, বোমা মেরে, গুলি করে পটিযি়ে মানুষ হত্য দেশে ইসলাম ও ইসলামী আইন কায়েম করতে চায় তারাই সুযোগ পেলে বড় গলায় বলতে ছাড়ে না যে তরবারির জোরে পৃথিবীতে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অথচ এখন তাদের সবার হাতে বোমা। ইসলামের ছদ্মবেশে এরাই আজ ইসলামের বড় শত্র“।





মওদুদীনামা

মহানবী মুহাম্মদ (স.) সুষ্পষ্ট ভাষায় বলে গেছেন যে কোরআন এবং হাদিসকে আঁকড়ে ধরে সে কোনদিন পথভ্রষ্ট হবে না। এ কথা দিয়ে তিনি ইসলামে পরোক্ষভারে গুরুবাদ বা যাযকবাদকে অনুৎসাহিত করেছেন। অর্থাৎ প্রত্যেকটি মানষেরই যোগ্যতা আছে সরাসরি কোরআন হাদিস থেকে সমাধান গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি কোরআন, হাদিস নিয়ে কী বলল তা যেন মুসলমানদের ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না করে। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট ধর্মান্ধগোষ্ঠী মাওলানা মওদুদীকে আদর্শ মানে। তাদের কাছে কোরআন হাদিস বলতে এই সম্পর্কে মাওলানা মওদুদী যা বলেছেন তা-ই সব। এটা অনেকটা ব্যাক্তি-পুজার শামিল,যা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। মওদুদীই প্রথম ব্যাক্তি যিনি ১৯৪১ সালে হাজার বছর ধরে চলে আসা রাজনৈতিক ইসলামের দর্শনকে আধুনিক গনতন্ত্রের সাথে জোড়াতালি দেন। মওদুদী বলেছেন, ‘পৃতিবীর বুকে সকল রাষ্ট্র এবং সরকা কে ইসলাম ধ্বংস করার ইচ্ছা পোষণ করে, যারা ইসলামী আদর্শ বা প্রকল্পের যারা ইসলাশী আদর্শ বা প্রকল্পের বিপক্ষে অবস্থান করে। যখন সম্পদ আ বে তখন তারা অনৈসলামিক সরকারকে মুছে ফেলে সেই যায়গায় ইসলামী সরকারকে বহাল করবে।’ (উৎস ঃ জিহাদ ও ইসলাম)।

মূলত আধুনিক কালে ইসলামের নামে জিহাদ করার যে প্ররোচনা এসেছে মওদুদীর কাছ থেকে। মওদুদীর প্রতিষ্ঠিত দল জামায়াতে ইসলামী ও তার অনুসারীরা সেই থেকে ইসলামের নামে মানুষ হত্যার কাজে লিপ্ত হচ্ছে।

সম্পদ অর্জন হয়ে গেলেই যেহেতু ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠা করা যায়, তাই জামায়াতে ইসলামী সম্পদ বানানোর কারখানায় পরিণত হয়েছে। ব্যাংক, বীমা, স্কুল, কলেজ, বিশ্বদ্যিালয়, হাসপাতাল, পরিবহন, আবাসন প্রকল্প, সমবায় সমিতি বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি খাতে জামায়াত তার জাল বিছানোর কাজ শেষ করে এনেছে।



“কাফের” বনাম “মোনাফেক”

অনেকেই হয়তো জানে না যে জাহান্নামের নিকৃষ্টতম দোজখটি কাফেরদের জন্য বরাদ্দ নয় বরং মোনাফেকদের জন্য। এ কথা আল্লাহ সুস্পষ্টভাবে কোরআনে বলেছেন মোনাফেক হলো তারা, যারা অন্তরে কোনো কিছু গ্রহণ না করে বাইরে প্রচার করে বেড়ায় যে তারা তাতে বিশ্বাস করে। এরা কাফেরের চেয়েও অধম। কারণ কাফেরতো অন্ততপক্ষে স্বীকার করে যে সে কী বিশ্বাস করে। আর মোনাফেকরা অন্তরে বিশ্বাস করে এক, বাইরে প্রচার করে আরেক। তথাকথিত কি ভেবে দেখেছে কারা মোনাফেক হয়? যে অবিশ্বাস করে সে তো ঘোষণা অবিশ্বাস করে; সে মোনাফেক নয়। কিন্তু যারা বাইরে প্রচার করে যে আমরা আল্লাহর সৈনিক অথচ আল্লাহর গুণের চর্চা করে না, তাদের পক্ষেই একমাত্র মোনাফেক হওয়া সম্ভব।

মুহাম্মদ (সঃ) কাউকে কাফের বা মোনাফেক হিসেবে বিচার করতেন না। এমনকি যারা ঘোষিত মোনাফেক ছিল তাদেরকেও না। মদিনায় যখন মোনাফেকদের কুখ্যাত সরদার আবদুল্লাহ ইবনে উবাই মারা যান তখন মুহম্মদ (সঃ) তাকে মুসলিম হিসেবে সম্বোধন করেন। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল এ রকম যে, যে-ই আল্লাহর বান্দাকে কাফের বলুক না কেন, সে নিজেই কুফরের কাছাকাছি চলে যায়।



আগেই বলা হয়েছে ধর্মের নামে কোনো কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি বা জোরাজুরির ব্যাপারে ইসলাম ঘোর বিরোধী। কিন্তু নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা শরিয়ার নামে এই কাজটিই মূলত করতে চায়। চাপিয়ে দিতে চায়। কোরআনের দোহাই দিয়ে শরিয়ার নামে তারা কোরআন বিরোধী কী কী করেছে তার কিছু নজির দেখা যাক ঃ স্বামী যদি ‘তালাক’উচ্চারণ করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তালাক হয়ে যায়Ñএমন কথা কোরআনের কোথাও পাওয়া যায় না। অথচ শরিয়া আইনে তা বৈধ। চুরির অপরাধে চোরের হাত কেটে দেয়াই কোরআনের নিয়ম। একই সঙ্গে ক্ষমার কথাও বলা আছে। কিন্তু এ নিয়মকে স্থান, কাল-পাত্র ভেদে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে হবে সেই হুঁশজ্ঞান শরিয়ার ধ্বজাধারীদের নেই। একবার এক চোর চুরি করে ধরা পড়লো। বিচার করবেন হযরত উমর (রাঃ)। যার সম্পর্কে মুহম্মদ (সঃ) মন্তব্য করেছেন, ‘আমার পর যদি কোনো নবী আসতো তবে সে হতো উমর।’ তিনি চোরের শাস্তি দিলেন। না তিনি হাত কেটে ফেলেননি। কেননা তখন দূর্ভিক্ষ চলছিল। পরিবেশ পরিপ্রেক্ষিত অনুসারে আইনের এই যে ব্যবহার তা আর সবাই বুঝলেও , খামখেয়ালীপূর্ণ জিহাদিরা বোঝে না, অথচ সবক দিয়ে বেড়ায় যে তারা ইসলাম কায়েমের সংগ্রামে লিপ্ত।



ইসলামের মর্মবাণী হলো শান্তি। ইসলাম মানেই শান্তি।ইসলামের নবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) ক্লেশ,দুর্যোগ,দুর্ভোগ,অত্যাচার,নির্যাতন সহ্য করছেন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য।জালিম শক্তির জুলুম সহ্য করে তিনি মুসলিম উম্মাকে শান্তিবোধে উদ্বুদ্ধ করছেন। ইসলাম কখনোই অশান্তি ও বিশৃঙ্খলাকে অনুমোদন দেয়নি। ধর্মের নামে মানুষ হত্যাকে ইসলাম কখনোই অনুমোদন করে নাই। পবিত্র কোরআনুল করীমে পরিস্কারভাবে আল্লাহর বাণী অবতীর্ণ হয়েছে,যে অন্যায়ভাবে কোনো একজনকে হত্যা করল সে যেন গোটা মানব জাতিকে হত্যা করলো। আল কোরআনে আরো বলা হয়েছে’ ফিতনা বা বিপর্যয় সৃষ্টি হত্যার চেয়ে জঘন্য।

নবী মুহম্মদ(স.) বলেছেন দ্বীন প্রচার ও প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহজ পন্থা অবলম্বন করবে এবং চরম পন্থা অবলম্বন করবেন না।অথচ আজ তথাকথিত কিছু ধমীয় সংগঠনের ব্যানারে অধর্ম শক্তির বাড়াবাড়ি চলছে। মূলত তারা কলুষিত করছে ধর্মকে, মানবতাকে। অস্থিতিশীল করা হচ্ছে সারা দেশ কে। বিপদে ফেলা হচ্ছে দেশের মানুষকে।দেশকে যারা লস্কর এ তৈয়েবা, হরকাতুল জিহাদ, জে এম বির ঘাটী বানাতে চাই এইসব ধর্মব্যবসায়ী জঙ্গী উগ্রবাদীদের রুখে দাড়ানোর দায়িত্ব সবার। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই হবে ইসলামের জন্য সত্যিকারের কাজ, মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

কালীদাস বলেছেন:
নবী মুহম্মদ(স.) বলেছেন দ্বীন প্রচার ও প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সহজ পন্থা অবলম্বন করবে এবং চরম পন্থা অবলম্বন করবেন না।অথচ আজ তথাকথিত কিছু ধমীয় সংগঠনের ব্যানারে অধর্ম শক্তির বাড়াবাড়ি চলছে। মূলত তারা কলুষিত করছে ধর্মকে, মানবতাকে। অস্থিতিশীল করা হচ্ছে সারা দেশ কে। বিপদে ফেলা হচ্ছে দেশের মানুষকে।এইসব ধর্মব্যবসায়ী জঙ্গী উগ্রবাদীদের রুখে দাড়ানোর দায়িত্ব সবার। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই হবে ইসলামের জন্য সত্যিকারের কাজ, মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব।

চমৎকার পোস্ট+++++++++++

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৬

মনুআউয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

নায়করাজ বলেছেন: অসাধারণ একটা লিখা। খুব ভালো লাগল।

ইসলামের সেবক বলে দাবীদার জামায়াত শিবির রাজাকার যুদ্ধাপরাধী চক্রের মিথ্যার বেসাতি পাবেন নিচের লিংকে। তাদের মিথ্যার বেসাতি দেখে অবাক হয়ে যাবেন।

Click This Link


ইসলামের সেবক বলে দাবীদার জামায়াত শিবিরের নেতা মওদুদীর ভ্রান্ত আকিদা সম্পর্কে বলেছেন বিভিন্ন আলেম উলামাগণ। সরাসরি নিচের লিংকে চলে যান : Click This Link

জামাতে ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়। বিস্তারিত পাবেন এখানে : Click This Link


ইসলামের কোথায় লেখা আছে গণহত্যাকারী, গণধর্ষণকারী, লুণ্ঠনকারীদের বিচার চা্ওয়া যাবে না ?


০১ লা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৩৮

মনুআউয়াল বলেছেন: লিংক দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

রওনক বলেছেন: বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মকে বারাবারি বললে মডারেট কোনটা? এখন পর্যনত কোন দলতো পর্দার কথাই বলে নাই।

০১ লা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৩৬

মনুআউয়াল বলেছেন: বাংলাদেশের সব ইসলাম দলই কায়েমী স্বা্র্থবাদী।এদের সবগুলোকে নিষিদ্ধ করা উচিৎ।

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

হিমু ঘাসফড়িং বলেছেন: সেই ৭২ টি দলের মধ্যে তুই কোন দলে পরিস? সোজা বেহেশতে চলে যাবি মনে করতেছিস? শালা ধর্ম পালন করলে পুরোপুরি পালন কর। না করলে মুড়ি খা। অন্যকে জ্ঞান দিতে আসবি না.।

০১ লা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:২৯

মনুআউয়াল বলেছেন: ভাই ব্লগে এইভাবে লেখালেখি পরিহার করে যুক্তির চরচা করা উচিৎ। ভাল থাকবেন।

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

শরীফ উদ্দিন সবুজ বলেছেন: জামাতের ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়। ধর্মের বারাবারি উচিৎ।

০১ লা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৩১

মনুআউয়াল বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন ধন্যবাদ

৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

শরীফ উদ্দিন সবুজ বলেছেন: জামাতের ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়। ধর্মের বারাবারি উচিৎ নয়।

০১ লা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৩১

মনুআউয়াল বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন ধন্যবাদ

৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

পত্রনবিস বলেছেন: ভালো লাগলো অনেকের আপনার কথাতা পছন্দ হবে না । মন্তবে একজন কে অলরেডি প্রমান পাওয়া যায় । যাই হোক ভালো লাগলো

০১ লা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:২৪

মনুআউয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২১

েক বাবু বলেছেন: মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে তোকে হত্যা করা

০২ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

মনুআউয়াল বলেছেন: আপনাদের মত লোকদের কারনে সারা বিশ্বে ইসলাম সন্ত্রাসীদের ধর্ম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

লক্ষণ12 বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন বাবু ভাই, শালা একটা শয়তান

০২ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

মনুআউয়াল বলেছেন: আপনাদের মত লোকদের কারনে সারা বিশ্বে ইসলাম সন্ত্রাসীদের ধর্ম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

১০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

ইহসান আকসার মাহমুদ বলেছেন: https://www.alislam.org/
http://www.ahmadiyyabangla.org/
সকল মুসলমানের কাছে অনুরোধ, শুধু একবার ঘুরে আসুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.