নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলতে চাই কিছু লিখেত চাই

মনুআউয়াল

মনুআউয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিনন্দন ড. ইউনূসকে

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫



আগে জুটেছিল শান্তির জন্য নোবেল। এরপর পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পুরস্কার। এবার পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল। হ্যাঁ, তিনি আর কেউ নন; বাংলাদেশের সন্তান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উপরের তিনটি পুরস্কার বিশ্বে এর আগে পেয়েছেন মাত্র ৬ সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। নরম্যান বারলগ, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, নেলসন ম্যান্ডেলা, ইলি উইমেল, অং সান সু চি ও মাদার তেরেসার সঙ্গে এবার যুক্ত হল ড. ইউনূসের নাম। উল্লেখ করা যেতে পারে, ইউনূস শুধু এই তিন পুরস্কারই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তিনি পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার





বিশ্বব্যাপী কেন এত স্বীকৃতি ড. ইউনূসের? কারণ, তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র পৃথিবী থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণের দর্শন হাজির করেছেন। সেই দর্শন দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকাও রেখেছে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক স্থানেই। তারই অনুরোধে এবার কংগ্রেসনাল মেডেলের নকশায় পরিবর্তন এনে সেখানে খোদাই করা হয়েছেÑ আমরা দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠাব। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের দর্শনের পর ড. ইউনূস সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে পথ এঁকেছেন, সেটাও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রথমে দারিদ্র্য বিমোচন, অতঃপর অর্থনৈতিক উন্নয়ন। কী চমৎকার স্বপ্ন! তিনি এত পুরস্কার পাবেন না, তো কে পাবেন? নারীর স্বনির্ভরতার ক্ষেত্রেও তার অবদান অপরিসীম। শুধু বাংলাদেশ নয়, এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশেই তিনি নারী সমাজকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে যে ভূমিকা রেখেছেন, তা অসামান্য। পদক প্রদান অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের চেয়ারম্যান জন বোয়েনার যথার্থই বলেছেন, ড. ইউনূসের কাজ মানুষকে শ্রেয়তর জীবনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।



ড. ইউনূস খুবই স্বল্প পরিসরে শুরু করেছিলেন তার ক্ষুদ্রঋণের প্রকল্প। আর আজ বিশ্বের ২০ কোটিরও বেশি মানুষ সুবিধা পাচ্ছে ক্ষুদ্রঋণের। তার অর্থনৈতিক দর্শনের অন্তর্গত শক্তির কারণেই তা দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করে। এই দর্শনে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশের দরিদ্র নারী সমাজের একটি বড় অংশ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক সহায়তা পেলে তারা স্বনির্ভর হতে পারেন। সামাজিক জীবনাচরণের ক্ষেত্রেও তারা এগিয়ে গেছেন। গৃহবন্দি জীবন থেকে বেরিয়ে এসেছেন উৎপাদন জগতে। বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন ও নারীর অগ্রসরমানতাÑ এই দুই-ই নজর কেড়েছিল বিশ্ববাসীর তথা নোবেল কমিটির। তাই ২০০৬ সালে ড. ইউনূস তার গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে পেয়েছিলেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। স্বদেশের সন্তানের এই কীর্তিতে আমরা সেদিন আনন্দে বিভোর হয়েছিলাম। ৭ বছর পর আবার আমরা উদ্বেলিত একই ব্যক্তির আরেকটি অসামান্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্তিতে।

তবে পরিহাস এই যে, বিশ্ববাসী ড. ইউনূসের কৃতিত্বের স্বীকৃতি দিলেও তার স্বদেশে একটি বিশেষ মহল বিশেষ করে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীগন তার প্রতি কাক্সিক্ষত আচরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।তারে তাকে অভিনন্দন জানানোর সৌজন্যতা বোধ করল না। ধিক ধিক ধিক প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীগনকে। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়েও বর্তমান সরকার তার প্রতি যে আচরণ করেছে তার জন্য বর্তমান সরকারকে ধিক জানায়। ড. ইউনূসের সাফল্যে সমগ্র জাতির একাট্টা হয়ে গর্বিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কেউ কেউ তার সাফল্যে গর্বিত না হয়ে ঈর্ষাবোধ করেছেন। বিষয়টি নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। তার প্রতি রইল আমাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও বিন্রম শ্রদ্ধা।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কংগ্রাচুলেশন!

তার পদ্ধতি নীয়ে আলোচনা থাকতে পারে, ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু সম্মাননা অবশ্যই অভীনন্দন যোগ্য।

অভিনন্দন ড. ইউনুস।

আপনার সাথে সাথে বাংলাদেশের নামও আজ উজ্জল হল বিম্ব মানচিত্রে।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

মনুআউয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার সাথে একমত

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: ভাল মানুষের সন্মান আল্লাহ রাখবেন সেটাই স্বাভাবিক ।আর আমাদের দূরভাগ্য আমরা ভালো মানুষের মূল্য দিতে জানিনা ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

মনুআউয়াল বলেছেন: ঠিক তাই

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অভিনন্দন ডঃ ইউনুস আরো সফলতা লাভ করুন।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

মনুআউয়াল বলেছেন: ডঃ ইউনুস আরো সফলতা লাভ করুক।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

কোহিন বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম,
ভ্রাতা
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শাসক মহলের নিকট হইতে কোনো পুরস্কার গ্রহণ একজন সত্যকারের মুসলমানের জন্য সম্মানের বিষয় নহে বরং তাহা শরমের বিষয়। ইউনুস ছাহাবের প্রতি যে ইয়াহুদি-নাসারাদের জোট সহানূভূতিশীল তাহা আরও একবার প্রমাণিত হইলো। একজন মুসলমানের কর্তব্য এই স্বঘোষিত সূদি-ব্যবসায়ীকে ঘৃণা করা।
উনি আফগানিস্তানের শান্তির বিষয়ে খামোশ থাকেন। ইরাকে পবিত্র ঈদের দিন সাদ্দাম হোসেনকে ফাসি দেওয়া হইলেও কোনো প্রতিবাদ জানান নাই। কাশ্মীরের মুসলমানগণ প্রতিদিন নির্যাতিত হইতেছেন। সেইসব বিষয় নিয়া ইউনুস ছাহাব নীরব। মায়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাগণকে নির্বিচার কোতল করা হইলেও তিনি আং সান সূচিকে অনুসরণ করিয়া মুখে কুলুপ আটিয়া থাকেন। ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য তাহার কোনো দরদ দেখা যায় নাই।
এই সুবিধাবাদী, স্বার্থবাদী, নাসারা-ভক্তের জন্য রহিলো ঘৃণা।
ছহি-ছালামতে থাকিবেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

মনুআউয়াল বলেছেন: আফগানিস্তানে অধিকাংশ মানুষ আফিম চাষ করে। সাদ্দাম হোসেন হাজার হাজার কূর্দীদের হত্যা করেছন। কুয়েত দখল করে হত্যা করেছন নারীদের ধর্ষন করেছেন। তাদের জন্য আপনার এত দরদ কেন। মৌলবাদী মনমানিসকতা পরিহার করুন।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ফজলে রাব্বি চৌধুরী বলেছেন: সারা বিশ্বে এই দেশকে যিনি চেনাচ্ছেন ?? সেখানে অত্যন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের এল ,জি, আর ডি মন্ত্রী বলেন - ওয়াইন খেয়ে নাকি নোবেল জিতেছেন !! ধিক ! ধিক ! ধিক ! এই সকল নেতাদের ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

মনুআউয়াল বলেছেন: আমাদের এল ,জি, আর ডি মন্ত্রী বলেন নিজে খানতো তাই ।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: সকল নেতাদেরকেও ধিক্! ধিক্ মি ইউনুছ কেও। এই মুহুর্তে উনাকে সন্মাননা দেয়ার পেছনে যে অসৎ উদ্দেশ্য মার্কিনীদের রয়েছে তা বুঝতে হলে আমাদের আর কয়টা দিন অপেক্ষা করতে হবে!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

মনুআউয়াল বলেছেন: সন্মাননা দেয়ার পেছনে যে কি অসৎ উদ্দেশ্য আছে তা যদি বলতেন ভালো হত।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @যারা আম্রিকার স্বার্থ এবং ইহুদীবাদ নিয়া ঘৃণাবাদিতার কথা বলছেন- ভাই আবেগ এক জিনিষ আর বাস্তবতা এক জিনিষ।

আপনি আবেগ দিয়ে চলছেন বলেই আম্রিকা আর ইহুদীরা বাস্তবতায় দিনে দিনে তরতর করে এগিয়ে চলছে...

কারণ কোরানেই বলেছে - যে চেষ্টা করে আমি তাকে ফল দেই।

আপনি বিনা চেষ্টায়, একটা দুইটা বোম দিয়া তাদের দমন করতে পাবেন মনে হয়?

জ্ঞান বিজ্ঞানে মুসলমানের পশ্চাৎপদতা, চলমান বিশ্ব রাজণীতিতে গোত্র বিভেদহীন মুসলিম নেতৃত্বহীনতা, এসব সমালে পরে না আপনার বিজয়। আর তারাতো অবশ্যই বসে নেই।

এখণ তারা চেষ্টা করছে। আপনি বসে আছেন। আর শুধু ঘৃনা করছেন! তাতেই কি বিজয়ের পথে এক ইঞ্চিও আগানো যাবে?

বরং তারা যেমন মধ্যযুগে জ্ঞানের জন্য হুমরি খেয়ে পড়েছিল মুসলমানদের কেন্দ্রভূমিতে- তেমনি সকলে ঝাপিয়ে পড়তে হবে,
জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে হাতের মুঠোয় আনতে হবে। এভাবে যদি দীর্ঘ প্লানে মুসলমানরা এগিয়ে যেতে পারে- তবেই হয়তো ভবিষ্যতের কোন পরিবর্তন আশা করা যায়। নয়তো শুধু স্বপ্নেই আনন্দলাভের মতো হয়ে যাবে, নয় কি?

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

মনুআউয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৭

এ মতিন বলেছেন: আশা করা যায় শেখ হাসিনা আরও তীব্রভাবে মনোযাতনায় কাতর হবেন!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

মনুআউয়াল বলেছেন: আমারো তাই মনে হয়।

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: এতে কিছু দুপেয়ে জীবের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে মনে হয়!

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

মনুআউয়াল বলেছেন: আমারো তাই মনে হয়।

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

Sukur742 বলেছেন: এই বিরল সম্মাননা অর্জনের মাধ্যমে ড. ইউনূস দেশ ও জাতিকে আবারও বিশ্বসভায় সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করলেন

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

মনুআউয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: অন্য কোন দেশে হলে আজ সেই দেশে হুলুস্থুল অবস্থা হতো। আজ আম্রা নিরব, হিংসায় জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছি।


সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অভিনন্দন ডঃ ইউনুস আরো সফলতা লাভ করুন।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

মনুআউয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

জয় রায় ৫৪ বলেছেন: একটা মানুষ দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনলো। কিন্তু একমাএ বিরোধীদলীয় নেএী ছাড়া কারো অভিনন্দন পেলে না

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

মনুআউয়াল বলেছেন: দূর্ভাগা জাতি , দূ্র্ভাগা প্রধানমন্ত্রী ও সরকার।

১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

কোহিন বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম,
ভ্রাতা মনু আউয়াল
আপনি কহিয়াছেন :
'' আফগানিস্তানে অধিকাংশ মানুষ আফিম চাষ করে।''
এই কারণে আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনির আক্রমণ জায়েজ হইয়া যায়? আফগানিস্তানের মানুষ কী করিবে না করিবে উহা সেই দেশের জনগণের নিজস্ব বিষয়। তাহা নিয়া পশ্চিমাগণের এতো মাথা ব্যাথা কেন? আফগান জনগণ তো পশ্চিমাদিগের বিষয় লইয়া মাথা ঘামায় না। তাহা ছাড়া আরো কিছু কথা রহিয়াছে। আফগানিস্তানের এই আফিম কোথায় যায়? যায় তো পশ্চিমাদের দেশেই। উহা কেন তাহারা প্রতিরোধ করিতে পারে না। নিরস্ত্র নিরীহ মানুষের উপর কাপুরুষের মতোন ড্রোন হামলা করিয়া নিজের স্বার্থ হাসিল করিতেছে।
আপনি আরো কহিয়াছেন :
' সাদ্দাম হোসেন হাজার হাজার কূর্দীদের হত্যা করেছন।
কুর্দিদিগের উপর তো তুরস্ক প্রতিনিয়ত অত্যাচার করিতেছে সেই তুরস্কের উপর পশ্চিমাগণের দরদের তো শেষ নাই। সাদ্দাম অন্যায় করিলে তাহার বিচার করিবার ভার সেই দেশের জনগণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের বিষয়ে নাক গলাইবে। আর ইরাকে কি এতো কিছুর পরেও শান্তি ফিরিয়া আসিয়াছে? বরং একটি উন্নয়নকামী দেশকে দোযখে পরিণত করা হইয়াছে।

কুয়েত দখল করে হত্যা করেছন নারীদের ধর্ষন করেছেন।
অবশ্যই নিন্দনীয় কর্ম। কিন্তু তাহার জন্যে আন্তর্জাতিক আদালত রহিয়াছে। সাদ্দামের বিচার করিবার ভার কেহই মার্কিন-তাবেদারদিগকে দেয় নাই। জাপানের ওকিনোয়া দ্বীপে মার্কিন সৈন্যগণ প্রায়শই জাপানী নারীদিগকে ধর্ষণ করিতেছে্। যাহা লইয়া সেখানকার বাসিন্দাগণ যাহার পর নাই বিক্ষুব্ধ। কই তাহার তো বিচার হয় না্।

আপনি কহিয়াছেন তাদের জন্য আপনার এত দরদ কেন।
আমার ধর্ম আমাকে যেমন মানুষ হইতে শিক্ষা দিয়াছে তেমনি মুসলিম-মুলুকের উপর কোনো অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধেও সাধ্যমতো প্রতিবাদ করিবার শিক্ষা দেয়। উহা মৌলবাদী মানসিকতা নহে। বরং তাহা মানবিকতা। আপনি যেভাবে মার্কিন-সামরিক স্বার্থের পক্ষে কথা বলিতেছেন তাহা হইতেই বুঝিতে পারা যায় যে তাবেদারী মানসিকতা নিয়া মুক্তচিন্তার গর্ব করিতেছেন।
ছহ-ছালামতে থাকিবেন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

মনুআউয়াল বলেছেন: আমার ব্লগ ছিল ড. ইউনূস এর যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল প্রাপ্তি নিয়ে।সেখানে আপনি আফগানিস্তান, সাদ্দাম হোসেন সহ বিভিন্ন অবতারনা করছেন । মায়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাগণকে নির্বিচার কোতল করা হইলেও তিনি আং সান সূচিকে অনুসরণ করিয়া মুখে কুলুপ আটিয়া থাকেন। ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য তাহার কোনো দরদ দেখা যায় নাই।

ড্রোন হামলা আমি নিন্দা করি, কিন্তু যে দেশের মানুষ আল্লাহর বিধান মাদকের চাষ করে সেখানে আল্লাহর গজব আসন্ন। শুদু তাই নয়। ইতিহাসর দিকে ফিরে তাকান আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধের ইতিহাস পড়ুন।

কুর্দি ও তুরস্ক সবই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা । আপনি ভাইয়ের সাথে মারামারি করলে অন্যদের কি করার থাকতে পারে।সাদ্দাম কেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ র দখল করে মার্কিনদের নাক গলানোর সুযোগ করে দিলেন ।
আপনি বলেছেন আফগানিস্তানের মানুষ মাদক চাষ যদি সেই দেশের জনগণের নিজস্ব বিষয় হয় তাহলে যুদ্ধ করে সাদ্দাম গ্রেপ্তার করে মার্কিনরা কি করবে সেটা তাদের ব্যাপার তাই নয় কি
ধর্ষণ নিন্দনীয় কর্ম অভিযুক্ত মার্কিন সৈন্যগণ বিচারে সাজা হয়েছে।

আপনি বলেছেন আমার ধর্ম আমাকে যেমন মানুষ হইতে শিক্ষা দিয়াছে তেমনি মুসলিম-মুলুকের উপর কোনো অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধেও সাধ্যমতো প্রতিবাদ করিবার শিক্ষা দেয়। উহা মৌলবাদী মানসিকতা নহে। বরং তাহা মানবিকতা।

তাহলে কুর্দি ও তুরস্ক , ইরাক কাছে কুয়েত , হামাসের কাছে ফাতাহ অমুসলিম-মুলুক? এই যুদ্ধ গুলো ধর্ম যুদ্ধ? সিরীয়ার যুদ্ধ ?
মুসলিম রোহিঙ্গাগণকে নির্বিচার হত্য নিন্দা করেছন মিঃ ওবামা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রোহিঙ্গা মুসলমানদের রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল সমাজে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ভাষণে ওবামা মিয়ানমার সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান।http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-11-20/news/307056

মুসলিম বিশ্বের কোন নেতা এই বিষয়টি নিয়ে এত কড়া ভাষায় কথা বলেছেন ?

সবশেষে কিছু বলে বির্তকের শেষ করতে মার্কিনদের পররাষ্ট্র সামরিক নীতির অনেক সমালোচনা বা পক্ষপাত দূষ্টতা আছে।কিনতু সারাবিশ্বব্যাপি তাদের দাত্যব কার্যক্রম বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত। তাই বলে ঢালোয় ভাবে এর নিন্দা মৌলবাদী মানসিকতা
আপনি যে বিষয় গুলো থেকে ড. ইউনূস মন্ত্যব্য আসা করেন আমি মনে করি এগুলো তার বিষয় নয়। মানুষ হিসেবে তার অনেক ভূল আছে। সেটাই স্বাভাবিক।তার পদ্ধতি নীয়ে আলোচনা থাকতে পারে, ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু সম্মাননা অবশ্যই অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য।
ভাই আবেগ এক জিনিষ আর বাস্তবতা ভিন্ন জিনিষ।

আপনি আবেগ দিয়ে চলছেন বলেই তারা বাস্তবতায় দিনে দিনে তরতর করে এগিয়ে চলছে...

ভালো থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.