নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলতে চাই কিছু লিখেত চাই

মনুআউয়াল

মনুআউয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুন্দরবনে বাব বার আগুন লাগার নেপথ্যে

২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০২



পূর্ব সুন্দরবনের অরণ্যে এক যুগে সরকারি হিসেবে ১৭টি আগুনের ঘটনা ঘটলেও এর প্রতিকার ও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সর্বশেষ গত বুধবার বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাদঁপাই রেঞ্জের বাইশেরছিলা এলাকায় ৩’দিন ধরে আগুনে পুড়েছে প্রায় ১০ একর বনভূমি। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগে চলছে একের পর এক অগ্নিকা-ের ঘটনা। প্রতিটি অগ্নিকা-ের পর বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বন কর্মকর্তাদের দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে সেই রিপোর্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপকে পাঠিয়ে নিজেদের দায় এড়াচ্ছেন। একের পর এক আগুন লাগছে এই বিভাগের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জের মরাভোলা ও ভোলা নদীর পার্শ্ববর্তি বনাঞ্চল এলাকায়। এই এলাকায় মিঠা পানির কৈ, শিং ও মাগুর মাছের ভান্ডার হিসাবে খ্যাত। বন বিভাগের অগ্নিকা-ের তদন্ত রিপোর্টে উঠে আসে মাছ আহরণ করতে সহজে বনের মধ্যে ঢুকতে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিকা- ঘটিয়ে যাতায়াতের পথ তৈরী করে এক শ্রেণির জেলের।

এসব তদন্ত রিপোর্টে জেলে ও বনজীবীদের দায়ী করা হলেও তাদের চিহিৃত করা বা জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কোন নজির নেই ।

তবে বনজীবীসহ সুন্দরবন সন্নিহিত লোকালয়ের সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে আরও কিছু অজানা তথ্য। তারা জানায়, সুন্দরবনে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জেলে ও বনজীবীরা জড়িত থাকলেও অনেক সময় সুন্দরবনের অসাধু কর্তাব্যক্তিরা কাঠ ও রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বন্যপ্রাণী পাচারকারি দেশী ও আন্তর্জাতিক চোরাকারবারিদের পণ্য নিরাপদ রুট ব্যবহারের জন্য অন্যত্র দৃষ্টি ফেরাতে পরিকল্পিতভাবে সুন্দরবনে আগুন লাগিয়ে দেয়। সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারিদের অনেকেরই ধারনা সুন্দরবনের মাটির নিচে থাকা গ্যাসে কখনও কখনও অগ্নিকা-ের সূত্রপাত ঘটে।

তবে সুন্দরবনে একের পর এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলেও বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনকে রায় এই বিভাগে নেই কোন ভাসমান অগ্নিনির্বাপক জলযান। ফলে সুন্দরবনের ভয়াবহ দাবানল সৃষ্টি হলে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ ম্যানগ্রোভ এফরেষ্টে চরম বিপর্যয় দেখা দেবে। হারিয়ে যাবে আমাদের গর্ব রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বিলুপ্তির তালিকায় থাকা অনেক বন্যপ্রাণী। এবিষয়টি নিয়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নেই কোনো পদপে।

এসব অগ্নিকা-ের ঘটনায় কোটি কোটি টাকার সুন্দরী, বাইন, আমুর, গেওয়াও বলাসহ বনজ সম্পদের তি হয়। এই অগ্নিকা-ের ঘটনা নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের অভিযোগ। কেউ বা বনজীবীদের দায়ী করছে। আবার কেউ বনরীদের। কখনও আবার মৌয়ালদের দায়ী করা হয়। তবে যে কারণেই সুন্দরবনে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটুক না কেন তার সুষ্ঠু তদন্ত, অগ্নিকান্ডের কারণ ও জড়িতদের চিহিৃত করে প্রয়োজনীয় আইননানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি তোলে প্রকৃতির দুর্যোগের সময় মানব ঢাল হিসাবে রা পাওয়া সুন্দরবন উপকূলের মানুষ।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) আমীর হোসাইন চৌধুরী বন বিভাগের লোকজন জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার সময় এই প্রথম অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এর আগে যেসব অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর বিষয়ে কি ধরননে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা আমার জানা নেই’। অগ্নিনির্বাপক জলযান না থাকায় এখন পানির পাম্প চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপরে নিকট আবেদন করা হয়েছে।

তথ্যসূত্রঃ দৈনিক-পূর্বাঞ্চল

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১১

খাটাস বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ টপিক। এ ব্যাপার আরও লেখা লেখি হউয়া প্রয়োজন। ধন্যবাদ সামনে নিয়ে আসার জন্য।

২৭ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪

মনুআউয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৩১

হাসিব০৭ বলেছেন: বিদেশে দাবানল লাগলে সরকার উইঠা পইরা লাগে আগুন নিভানোর জন্য আর আমাদের এই বালের দেশে????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.