নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলতে চাই কিছু লিখেত চাই

মনুআউয়াল

মনুআউয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইবোলা হলে কী করবেন?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১


ইবোলার প্রাদুর্ভাব বাড়ার সাথে সাথে এ নিয়ে শঙ্কাও বাড়ছে। পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি দেশে এরই মধ্যে প্রায় ৭৫০০ লোক এতে আক্রান্ত হয়েছে।
কিন্তু এই জীবাণুর হাত থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায় বিজ্ঞানীরা সে সম্পর্কে এখন জানার চেষ্টা করছেন। এখানে তার বিস্তারিত:
ষ্পর্শ বাঁচিয়ে চলুন
দেহ থেকে বের হওয়া যে কোন তরল, রক্ত, বমি বা লালার মাধ্যমে ইবোলার জীবাণু এক দেহ থেকে অন্য দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত রোগীর যারা সেবা করেন তাদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তবে রোগীর সরাসরি সংষ্পর্শে যারা আসেন তারাও সংক্রমিত হতে পারেন।
সেই কারণে জরুরি মেডিকেল সেবা যারা দিচ্ছেন, অথবা যাদের গায়ে যথোপযুক্ত পোশাক রয়েছে, শুধুমাত্র তারাই রোগীর কাছাকাছি যেতে পারবেন।
ইবোলার ভাইরাস নিরাপদ পোশাক ভেদ করে সংক্রমিত হতে পারে না।
নিচের ছবি দেখুন:
ইবোলা প্রতিরোধী পোশাক

তবে এই পোশাক যারা পরবেন, পোশাকে ভেতরে তাদের দেহের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হতে পারবেনা। এই পোশাক পরিবর্তনের সময়টাতে সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
চোখ ঢেকে রাখুন
ইবোলার জীবাণুবাহী জলের কণা কোন ভাবে আপনার দেহেরর সংষ্পর্শে এলে দ্রুত সাবান পানি দিয়ে কিংবা অ্যালকোহল-ভিত্তিক স্যানিটাইজার দিয়ে সেই জায়গা ধুয়ে ফেলুন। চোখের ক্ষেত্রে বিপদটি ভিন্ন ধরনের। রোগীর হাঁচি থেকে বাষ্প চোখে লাগলে, চোখের পানির সঙ্গে মিশে ইবোলার জীবাণু মানুষের দেহে ঢুকতে পারে।
একইভাবে, মুখের লালা বা চামড়ায় কোন ধরনের ক্ষত থাকলে, সেদিক দিয়েও সংক্রমণ ঘটতে পারে।
পোশাক ধোলাই-এ সতর্কতা
ইবোলার সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে রক্ত ক্ষরণ। রোগীর চোখ, কান, নাক, মুখ এবং পায়ু দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। ডায়রিয়া এবং বমিতেও রক্ত থাকতে পারে। ফলে রোগীর পোশাক ধোয়ার সময়ে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। এই ঝুঁকি এড়াতে রোগীর পোশাক পরিবর্তনের পর পরই তা পুড়িয়ে ফেলতে হবে। মেডিকেল যন্ত্রপাতিও স্টেরিলাইজ করতে হবে। সেটা না করা হলে জীবাণুর বংশবৃদ্ধি ঘটবে দ্রুত।
কনডম ব্যবহার করুন
স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ইবোলা রোগ বা অন্য কোন সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর রোগীর দেহ থেকে জীবাণু ছড়ায় না বলেই ডাক্তাররা বলে থাকেন। কিন্তু রোগ নিরাময়ের তিন মাস পরও রোগীর বীর্যতে ইবোলার ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। সেই কারণে ডাক্তাররা পরামর্শ দেন নিরাময়ের পর তিন মাস যৌনমিলন থেকে বিরত থাকতে, অথবা কনডম ব্যবহার করতে।
সাবান-পানির অস্ত্র
সাবান, জল এবং অ্যালকোহল-ভিত্তিক স্যানিটাইজার ইবোলার বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এগুলো ব্যবহার করলে ইবোলার কোষের রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড বা আরএনএ ধ্বংস হয়। ফলে জীবাণু মরে যায়।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে ইবোলার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তেমন একটা নেই। তারা জানান, দেশে প্রবেশের জন্যে মোট ২৫টি পয়েন্ট আছে। তার মধ্যে ২০টি সীমান্ত পথে এবং ১৯টিই ভারতের সাথে। এই ২৫টি পয়েণ্টেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের টিম কাজ করছে।
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩

এহসান সাবির বলেছেন: কাজের পোস্ট।

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: সচেতনতামূলক পোষ্ট । জেনে ভাল লাগলো । :)

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
সচেতনতামূলক পোষ্ট ।

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:১২

আহসানের ব্লগ বলেছেন: +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.