নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলতে চাই কিছু লিখেত চাই

মনুআউয়াল

মনুআউয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্তানের কারনে বাংলাদেশী ডাক্তার দম্পতি অস্ট্রেলিয়া থেকে বহিস্কারের পথে

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩


সন্তানের স্বাভাবিক বিকাশ না হওয়ার কারনে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত পরিবারের স্বপ্নভঙ্গ হতে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল সরকার ইতিমধ্যে তাদের স্থায়ী ভাবে বসবাসের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে । এর ফলে তাদেরকে অস্ট্রেলিয়া ত্যাগ করতে হবে অথবা জোরপূর্বক বহিস্কার করা হতে পারে।এ অবস্থায় ওই পরিবারটি অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী পিটার ডাটনের কাছে নতুন করে আবেদন করেছেন।

ডাঃ নাসরিন হক ও ডাঃ শফিকুল ভুইয়া দম্পতি ও তাদের দুই সন্তান ২০০৯ সালে হাঙ্গেরী থেকে অস্ট্রেলিয়া আসেন এবং ২০১০ সালে স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন করেন। কিন্তু তাদের ১৫ বছরের কন্যা সুমাইয়া ভুইয়ার বেড়ে ওঠা অন্য শিশুদের মত স্বাভাবিক ছিল না আর এই কারনে তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়।অভিবাসন মন্ত্রণালয় তাদেরকে বলেছে যে, তাদের সন্তানের শারীরিক সমস্যার কারণে তাদেরকে আর স্থায়ী ভিসা দেয়া যাচ্ছে না। কারন সুমাইয়া ভুইয়ার শরীরে যে সমস্যা তা অস্ট্রেলিয়ার জন্য ভবিষ্যতে একটি বোঝা হতে পারে ।

ডাঃ নাসরিন হক বলেন ” তার সন্তান ৮ বছর বয়স থেকে বিশেষ স্কুলে যায় এবং সরকার থেকে এই পর্যন্ত কোন সাহায্য গ্রহন করেননি। কম্পিউটার পরিচালনায় বিশেষভাবে দক্ষ সুমাইয়া নিজেই নিজের সব কাজ করে থাকে। তার ভাই ১৪ বছর বয়সী ভাই শাকির ভুইয়া ও নিয়মিত স্কুলে ভালো ফল করে আসছে।”

এছাড়া তিনি জানান অস্ট্রেলিয়া সরকারের কোন আর্থিক সহায়তা তার সন্তানের প্রয়োজন নেই কারন জেনারেল প্রাকটিশনার হিসাবে তার আয়কৃত অর্থ দিয়ে তিনি তার সন্তানকে সবরকম আর্থিক সহায়তা দিতে সক্ষম।

তিনি বলেন তাদেরকে এই অবস্থায় হাঙ্গেরী ফেরত পাঠানো হলে তাদের সবকিছুই নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়া তাদের সন্তানরা আর হাঙ্গেরীয়ান ভাষায় কথা বলতে পারে না এবং তারা ঐ সমাজ ব্যবস্থার সাথে নিজেদের মানাতে পারবে না ফলে তাদের পড়াশুনা বন্ধ হয়ে সব সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, সন্তানের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে অনুমতি না দেয়ার ক্ষেত্রে শুধু ডাঃ নাসরিন হক একাই নন। আরো মানুষ এ নিয়ে লড়াই করেছেন বা করছেন। কিছুদিন আগে ড. বিশ্বজিৎ বণিক ও তার পরিবার পিটার ডাটনের হস্তক্ষেপের কারণে স্থায়ী ভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন। এছাড়া ২০১৩ সালে ড. বিশ্বজিতের এক বন্ধু কবিরের পরিবারকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়। এখানেও কারণ, কবিরের ৮ বছর বয়সী ছেলে শ্রীজনেরও ধরা পড়েছে অটিজম। তবে লড়াই করতে করতে অভিবাসন মন্ত্রী স্কট মরিসন এ পরিবারটিকে অস্ট্রেলিয়া থাকার অনুমতি দিয়েছেন।অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহনকারী ফায়েদ হক নামে আরেক বাংলাদেশি দম্পত্তির সন্তান ৪ বছর বয়সে অটিজম ধরা পড়ে। তবে তার পরিবার মি. ডাটনের কাছে আপিল করেছিল। তার হস্তক্ষেপে তারাও অস্ট্রেলিয়ায় থাকার অনুমতি পেয়েছে।

এই কারনে আশায় বুক বেঁধেছেন ডাঃ নাসরিন হক ও ডাঃ শফিকুল ভুইয়া দম্পতি।তারা আশা করেন মি. ডাটন তাদের পরিবারকেও অস্ট্রেলিয়া থাকার অনুমতি দেবেন। এই ব্যাপারে তারা সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।এই ব্যাপারে অনলাইনে একটি পিটিশন ” Please do not deport daughter of 2 full-time doctors because of her developmental delay!”।আহবান করা হয়েছে। অনলাইনে কয়েক হাজার মানুষ এই পিটিশন সমর্থন করছেন ।আপনারা এই লিংকে গিয়ে পিটিশন সমর্থন করে এই পরিবারটির পাশে দাড়াতে পারেন।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই মর্মান্তিক সংবাদ । মানবতা ভুলন্ঠিত ।
শুভেচ্ছা রইল পরিবারটির প্রতি ।
লিখাটি প্রিয়তে গেল ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

মনুআউয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ডাক্তারদের ডিপোর্ট করা হোক।
উনাকে ডিপোর্রট করার দরখাস্তর লিংক দেন, আমি সাইন করবো; কোটি কোটী দরিদ্র বাংগালী সাইন করবেন।

ডাক্তারের অভাবে আমাদের প্রেসিডেন্ট আ: রহমান সাহেব সিংগাপুর হাসপাতালে বসবাস করছেন; প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান সাহেব ওখানে মারা গেছেন; শেখ হাসিনা যায় আমেরিকা, খালেদা জিয়া যায় সৌদী; থাইল্যান্ড না কোথায় মারা গেছে হান্নান শাহ; উনার বাচ্ছার মতো ৫/১০ লাখ বাচ্ছা আছে বাংলাদেশে; দেশে এসে উনি মানুষের ও ঐ ধরণের বাচ্ছাদের সেবা করুক।


২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

মনুআউয়াল বলেছেন: ভাই তারা কোথায় থাকবে, তা তাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। আর বাচ্চা দুটোর জন্ম বাংলাদেশে নয়।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

আদম_ বলেছেন: chad gazi is right.

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৭

মনুআউয়াল বলেছেন: কারোর ব্যাক্তি স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ উচিৎ নয়

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

এমনি হবে আরো। অমানবিক বৈদেশিক নীতি!

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

এমনি হবে আরো। অমানবিক বৈদেশিক নীতি!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

মনুআউয়াল বলেছেন: হওয়া উচিৎ নয়

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

এমনি হবে আরো। অমানবিক বৈদেশিক নীতি!

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:২৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই খবর গুলো পড়লে আমার খুব রাগ লাগে। সরি। কয়েক বছর আগে এরকম এক বাংলাদেশী দম্পতিকে আমেরিকাতে অবৈধ করা হয়েছিল। তাদের সন্তানও মনে হয় অসুস্থ ছিল। তখন তারা জোর করে আমেরিকাতে থাকতে চেয়েছিল। মিডিয়াও তাদের অনেক হাইলাইট করে। আজব কথা। ভিনদেশী হয়ে উন্নত দেশে জোর করে থাকতে হবে কেন? নিজের আত্মপরিচয় কী শেষ? টাকা আর সুবিধাই সব। দেশ কিছুই না? কিসের ভিত্তিতে ওসব দেশে এত জোর খাটায়?

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

মনুআউয়াল বলেছেন: বাচ্চা দুটোর জন্ম বাংলাদেশে নয়।তাই ওদের বাংলাদেশে বা হাঙ্গেরী গিয়ে নতুন করে শুরু করা অনেক কঠিন হবে।

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: এসব ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া খুব কনজারভেটিভ, নিজের দেশকে অস্ট্রেলিয়ানরা খুব ভালবাসে। বিদেশী ঝামেলা রাখবেনা।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: ডাক্তার দম্পতি বাংলাদেশে এসে অটিজম নিয়ে কাজ করে লাখ লাখ শিশুর সেবা করতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.