নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলতে চাই কিছু লিখেত চাই

মনুআউয়াল

মনুআউয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গীবাদ থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণীর তানিয়া জীবনকাহিনী

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭


বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ তানিয়া জর্জেলাস ও তার স্বামী জনের জীবনকাহিনী চারটি মহাদেশে বিস্তৃত। জন ছিলেন টেক্সাসের এক ধনী খ্রিস্টান পরিবারের ছেলে।

কৈশোরে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এর ১৩ বছর পর ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগদান করে নিজেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন জন। এর মধ্যেই লন্ডনে তানিয়াকে বিয়ে করেন তিনি।

সম্প্রতি তানিয়াকে ‘আইএস-এর ফার্স্টলেডি’ অভিধা দিয়ে তার উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করে আমেরিকান ম্যাগাজিন দ্য আটলান্টিক।

সেই জিহাদি জীবন থেকে পালিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ তানিয়া জর্জেলাস। ফলে জনকে ডিভোর্স দিয়ে ২০১৩ সালে জিহাদি জীবনধারা ত্যাগ করেন তিনি। যদিও তার স্বামী এখনও আইএস’র সঙ্গেই আছেন। আর তানিয়া বর্তমানে বসবাস করছেন মার্কিন শহর ডালাসে।

তানিয়ার জীবন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে ইয়াহু লাইফস্টাইলে।

এতে বলা হয়ে, ২০০৪ সালে তানিয়া ও জন জর্জেলাসের সাক্ষাৎ ও বিয়ে হয়। জন জর্জেলাস ইয়াহিয়া আল বাহরুমি বা ইয়াহিয়া দ্য আমেরিকান নামেও পরিচিত। তিনি আমেরিকায় আইএসের শীর্ষ নেতা হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। মুসলিম ভাবধারায় বেড়ে ওঠা তানিয়ার সঙ্গে টেক্সাস থেকে আসা জর্জেলাসের পরিচয় হয়। জর্জেলাসের বাবা মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন ডাক্তার। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরে টুইন টাওয়ারে হামলার পরপরই তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। কাকতালীয়ভাবে, ইতিহাসের এই সংকটকালীন তানিয়াও মৌলবাদে আকৃষ্ট হয়েছিলেন।

এরই মধ্যে তানিয়া ও জন দম্পতির দ্রুতই তিন সন্তান বিশিষ্ট একটি পরিবার গড়ে উঠে। পরে ২০১৩ সালে তারা আইএসে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করেন এবং একই বছরের আগস্টে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। অবশেষে জন তিন সন্তান ও সন্তানসম্ভবা তানিয়াকে নিয়ে সিরিয়া পৌঁছায়। কিন্তু পৌঁছানোর পর তানিয়ার মনোভাব পরিবর্তন হয়। তিনি সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। স্বামীর পিতা-মাতার সহায়তায় তানিয়া যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। তিনি আইএসের সঙ্গে থাকা স্বামীকে ডিভোর্স দেন।



দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনে সম্প্রতি তানিয়ার ওপর একটি ফিচার প্রকাশিত হয়েছে। পুরো ফিচারজুড়ে একটি জিজ্ঞাসাই ফুটে উঠেছে, তা হলো- আসলেই কি তানিয়ার মধ্যে পরিবর্তন এসেছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, ‘একসময় তিনি একটি পরিবারকে দেখাশোনা করতেন ও তাদের গুপ্তহত্যার প্রশিক্ষণ দিতেন। লেখক গ্রায়েম উডের পর্যবেক্ষণ হলো- এখনো তার মধ্যে লক্ষণ আছে, সহিংসতার না, তবে জেহাদের বিষয়ে তাকে যেভাবে ভুল বোঝানো হয়েছে তার স্থায়ী একটি প্রভাবের লক্ষণ রয়েছে। এক সময় তিনি আমাকে বললেন যে, তিনি মনে করেন, শিয়ারা প্রকৃত মুসলিম না। আইএস একটি সুন্নি মৌলবাদী দল, শিয়াদের ঘৃণা করাই যাদের মূল তত্ত্ব। সে কখনোই বলেনি যে, সে সিরিয়ায় ফিরে যেতে চায়। কিন্তু সে শোকাহত হয়েছে যে, অনেক আইএস অনুসারীদের বোমা মেরে ধ্বংস করা হচ্ছে। শুধু এই জন্য যে, তারা একজন খলিফার অধীনে বাঁচতে চেয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা সাধারণ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করার পর তার এ ধরনের মন্তব্য পাওয়া যেতো। ’

লন্ডনে নিজের বেড়ে উঠার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তানিয়া বলেন, ‘আমি অসংখ্যবার বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছি। প্রায়ই নিজেকে বহিরাগত মনে হত। আমি প্রতিশোধ নেয়ার একটা পথ খুঁজতাম। ”

যদিও লেখক উড বলেন, তানিয়ার পরিধেয় পোশাক দেখে মনে হতে পারে যে, তিনি গত কয়েক দশক ইতালির ‘ভোগ’ ম্যাগাজিন পড়ে কাটিয়েছেন, কোরান নয়।

এখনো তিনি তার জেহাদি স্বামীর জন্য টান অনুভব করেন। তিনি বলেন, আমি তাকে না ভালোবেসে থাকতে পারি না। এই ভালোবাসা কিভাবে যাবে তা আমি জানি না। এই পর্যায়ে এসে জর্জেলাস দম্পতির অবস্থা হলো, জন তার আমেরিকান, খ্রিস্টান, শহরতলীর ধনী জীবন ত্যাগ করে আইএসের একজন সদস্য হিসেবে একজন জিহাদির জীবন বেছে নিয়েছে। আর তানিয়া করেছেন তার উল্টোটা- এখন তিনি ডালাসের শহরতলিজুড়ে নিজের পরিচয় খুঁজে বেড়ান। স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টায় নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

সোহানী বলেছেন: তানিয়ার সম্পর্কে এ প্রথম জানলাম। বিষয়টি সামনে আনার জন্য ধন্যবাদ।

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: পড়েচিলাম একটা প্ত্রিকায়। হুবুহু এক।

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

আল ইফরান বলেছেন: এইগুলা জিহাদ না, জিহাদের নামে বিপ্লবের রঙিন খোয়াব।
ঠিক যেইভাবে চারু মজুমদারের অইপাড়ে আর সিরাজুল আলমরা এই পাড়ে ছেলেমেয়েদের বিভ্রান্ত করেছিল, এই আইসিস তার ব্যতিক্রম কিছু না।
এইসব নিউজে আর আগ্রহ পাই না।

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আমার আব্বা বলেছেন: নিজের একটি সন্তানকে সে হত্যা করুক কেমন ব্যাথা লাগে আর জীহাদে গিয়ে অন্যের সন্তানকে হত্যা করবে । ছোয়াব কামাবে জীহাদে, বিনা হীসাবে জাননাত হাস্যকর

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.