নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলতে চাই কিছু লিখেত চাই

মনুআউয়াল

মনুআউয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেভাবে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে সোমা ও সুমনা নামের দুই বোন

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:০৮


দুই বোনই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছে। প্রথমে বড় বোন মোমেনা সোমা। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় এক ব্যক্তিকে হামলার অভিযোগে সেখানে গ্রেফতার হয়েছে সে। বড় বোনের হাত ধরেই জঙ্গিবাদে যুক্ত হয় ছোট বোন আসমাউল হুসনা

ওরফে সুমনা। ঢাকার বাসায় সোমার খোঁজ নিতে গিয়ে সুমনার হামলার শিকার হয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৪ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় মোমেনা সোমা প্রথম জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। বছর দুই আগে থেকে ছোট বোনকেও মোটিভেটেড করে সে। তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি ক্লাস্টারের কারও কারও সঙ্গে যোগাযোগের তথ্যও পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এসব তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জঙ্গিবাদে দুই বোনের জড়িত হওয়ার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তারা নব্য জেএমবির সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাদের সঙ্গে আরও যাদের যোগাযোগ আছে, তাদেরও শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

সিটিটিসি সূত্র জানায়, মোমেনা সোমা ২০০৯ সালে ঢাকার লরেটো স্কুল থেকে ‘ও’ লেভেল পাস করে। এরপর মাস্টারমাইন্ড স্কুল থেকে ২০১১ সালে ‘এ’ লেভেল সম্পন্ন করে। ২০১২ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয়। সেখানে পড়ার সময়ই তার মধ্যে পরিবর্তন দেখা যায়। প্রথম দিকে হিজাব না পড়লেও ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে কট্টরভাবে ইসলামিক নিয়ম মেনে চলতে দেখা যায় তাকে। এমনকি বাসাতে টিভি চালানোও বন্ধ করে দেয় সে।

সিটিটিসি’র কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৪ সালে মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে ইরাক-সিরিয়াতে ইসলামিক স্টেটের কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশি অনেক তরুণ জঙ্গিবাদে ঝুঁকে পড়ে। সেসময় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অনেক শিক্ষার্থীও জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে। সেখানকার নারী জঙ্গিদের একটি দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে মোমেনা সোমা। সেসময় সে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে নারীদের নিয়ে ‘হালাকা’য় মিলিত হতো। হালাকা অর্থ কয়েকজন মিলে আলোচনা করা। এমনকী গত ১ ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে রাজধানীর একটি এলাকার মসজিদে গিয়ে সোমার হালাকা করার কিছু তথ্য পেয়েছেন তারা।

সিটিটিসি’র একজন কর্মকর্তা জানান, ২০১৬ সালে নর্থ সাউথ থেকে সম্মান শ্রেণি সম্পন্ন করার আগে মোমেনা সোমার সঙ্গে অনেকের যোগাযোগ ছিল। এদের মধ্যে গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় অংশ নিয়ে নিহত নিবরাস ইসলাম ও রোহান ইমতিয়াজ অন্যতম। সিটিটিসির কাছে পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকা ছোট বোন সুমনা বলেছে, সে তার বড় বোনের (সোমা) কাছে নিবরাস ও রোহানের নাম শুনেছে। তবে তার সঙ্গে নিবরাস ও রোহানের সরাসরি কোনও যোগাযোগ ছিল না।

সিটিটিসি সূত্র জানায়, মোমেনা সোমার ছোট বোন সুমনা জঙ্গিবাদে জড়িত হয় বছর দুই আগে। ২০১৪ সালে সুমনা মিরপুরের গার্লস আইডিয়াল স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে। এরপর ভর্তি হয় গ্রিনফিল্ড স্কুলে এইচএসসিতে। কিন্তু ২০১৬ সালে সে পরীক্ষায় ফেল করার পর মেন্টর’স থেকে জিইডি সম্পন্ন করে। স্কলারশিপ নিয়ে মালয়েশিয়ার একটি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির সুযোগ পেলেও হেপাটাইটিস-বি রোগ থাকার কারণে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বাদ পড়ে যায় সে। পরবর্তীতে গত বছরের অক্টোবরে ধানমন্ডিতে একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয় সুমনা।

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে সুমনা জানিয়েছে, দুই বোন মিলে তারা জঙ্গিবাদ নিয়ে কথা বলতো। অনলাইনে জিহাদি বিভিন্ন ভিডিও দেখতো। বড় বোন মোমেনা সোমা তাকে ছুার চালানোর প্রাথমিক প্রশিক্ষণও দিয়েছিল। এমনকী সোমা অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আগে বলেছে, সে ওখানে কোনও একটি হামলা চালাবে। এরপর ঢাকার বাসায় পুলিশ তার খোঁজ করতে আসলে তাদের ওপরে হামলা করার জন্য সুমনাকে বলে গিয়েছিল সে। সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, অস্ট্রেলিয়া এবং ঢাকাতে দুই হামলার চেষ্টা পূর্ব পরিকল্পিত কিনা, তা তারা নিশ্চিত নয়। বিষয়গুলো তারা খতিয়ে দেখছেন।

সিরিয়ায় আইএসে যোগ দিতে চেয়েছিল মোমেনা সোমা

২০১৪ সালে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দিতে চেয়েছিল বড় বোন মোমেনা সোমা। এজন্য তুরস্কের একটি ইউনিভার্সিটি থেকে স্কলারশিপ যোগারও করেছিল। কিন্তু ঢাকায় তুরস্কের দূতাবাস তার ভিসা রিফিউজ করে। সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সীমান্ত থাকায় বিভিন্ন দেশ থেকে আইএসের যোদ্ধারা প্রথমে তুরস্ক যেত। তারপর তারা পাড়ি জমাতো সিরিয়ায়। বাংলাদেশ থেকে সিরিয়ায় যাওয়া অন্তত দুই তরুণের সঙ্গে মোমেনা সোমার যোগাযোগ ছিল। এরা দুজনই ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে সিরিয়ায় চলে যায়। একজন পরবর্তীতে ফিরে আসলেও অন্যজনের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

সিটিটিসির একটি সূত্র বলছে, সিরিয়ায় চলে যাওয়া ওই তরুণের সঙ্গে মোমেনা সোমার বিয়েও ঠিক হয়েছিল। জিহাদি আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরিবার মেনে না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়নি।

উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশে অনেক মানসিক রোগী জন্ম নিচ্ছে

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৩১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমাদের আরো অনেক বেশী সতর্ক হতে হবে

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ফাঁসি দেয়া হোক নয়তো এনকাউন্টার করা হোক। এরা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্ববাসীর প্রতি হুমকি।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫

হাঙ্গামা বলেছেন: মাশাল্লাহ !! মাশাল্লাহ !!!
এদের হাত ধরেই ইসলাম অনেকদুর এগিয়ে যাবে।

এবার পুরস্কার হিসাবে এদের দুইজনকে গুলি করে জান্নাতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক।

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ওরা নির্বোধ।

৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন:
ইসলামে কোনও জঙ্গিবাদ নেই। আল্লাহু আকবার বলে কাফের হত্যা ইবাদতের অংশ। যে এর বিরুদ্ধে কথা বলবে সে নাস্তিক, কাফের, ইসলামবিদ্বেষী। তাকে হত্যা করাও ফরজ।

৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৫

প্রামানিক বলেছেন: খামাখাই এরা জঙ্গীর খাতায় নাম লেখায়।

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৫

আবু তালেব শেখ বলেছেন: এরা কিভাবে এই হটকারি সিদ্ধান্ত নেয় তা কে জানে। নির্বোধের দল ছাড়া জংগীবাদের পক্ষে কোন সুস্হ মস্তিস্কের লোক যেতে পারে না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.