নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলতে চাই কিছু লিখেত চাই

মনুআউয়াল

মনুআউয়াল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাংক লুটকারীরা দেশ ও জনগনের শত্রু

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪২


বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ব্যাংক লুটপাট যেন নিত্যনৈমত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েও দর্শকের ভূমিকা ছাড়া দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যেন কিছুই করার নেই। সাম্প্রতিক একটি ঘটনা থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্বলতার এমন চিত্র আবারো ফুটে উঠেছে। এই মুহূর্তে অর্থনীতির সবচেয়ে বড় সংকট ব্যাংক লুট। ব্যাংক ব্যবস্থা বিনষ্ট হয়ে গেছে। প্রভাবশালীরা এখন ব্যাংক গিলে খাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে লুটেরা গোষ্ঠী ব্যাংক করছে। এ কারণে মানুষ ব্যাংকের প্রতি আস্থা হারিয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংক লুট হচ্ছে। খেলাপি ঋণের টাকা ও অবৈধ আয় পাচার করা হচ্ছে। এর সঙ্গে রাজনীতিক, আমলা ও ব্যবসায়ীরা জড়িত। ব্যাংকের টাকা লুট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুধু আইন প্রয়োগই যথেষ্ট নয়, সামাজিক আন্দোলনও গড়ে তুলতে হবে। সেইসঙ্গে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের মাধ্যমে দক্ষ ও জবাবদিহীতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পারলে উন্নয়ন টেকসই ও বেগবান করা যাবে না। এ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এক জটিল ও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ঘুরপাক খেতে খেতে, কখনো রক্তপাত, কখনো রক্তপাতহীন আবর্তে পড়ে এগোতে হয়েছে– রাষ্ট্র ক্ষমতায় শাসকদল হিসেবে পালাক্রমে জিয়া, খালেদা, এরশাদ, খালেদা-নিজামী, হাসিনা-এরশাদরাই দেশ পরিচালনায় শাসকগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, স্বাধীন বাংলাদেশটিকে বিবেচনায় নিতে হলে শাসক হিসেবে কেউ মূল ধারার বাংলাদেশ হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রবাহিত করতে সক্ষম হয়ে উঠেন নি। ব্যাংক ব্যবস্থায় এই ভয়াবহ চিত্র থেকে বাংলাদেশের সমগ্র অর্থনীতির চালচিত্র বুঝে নেয়া যায়। রাজনীতি অর্থনীতির ঘনীভূত প্রকাশ হলে, রাজনীতিও বুঝে নেয়া যায়। রাষ্ট্রের সর্বাঙ্গে পচন ধরছে কি না যা তারই আলামত। এতে রাষ্ট্রের মোটাদাগে অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি, সুস্থ সাবলীল না থাকলে তার অবস্থা ব্যবস্থায় যে পরিণতি ডেকে আনে, বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা তারই চিহ্ন বহন করছে। ব্যাংকগুলোতে ঋণ খেলাপি, অনিয়ম দুর্নীতি ইত্যাদির ফলে যে ভয়াবহ ‘গহ্বর’ তৈরি হয়েছে তাতে রাষ্ট্রের মূল জায়গার অনেক কিছুই যেন লুটেরাদের করায়ত্বে বা হাতের মুঠোয়। বিদ্যমান এরূপ পরিস্থিতে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি ঠিক মতে বুঝে নিলে জনতার মনস্তত্বে শাসক গোষ্ঠী ‘আছে কি নেই’–এই সত্য জবরদস্তিতে যত চাপা পড়ে থাকবে ততই ভেতরে ভেতরে অগ্ন্যোতাপের বা ভূমিকম্পের ক্ষেত্র তৈরি করবে। যেকোনো সময় হিসেব নিকাশের বাইরে চলে যেতে পারে।

ফলে দেশ এক ভয়ঙ্কর নিস্তবদ্ধতার ভেতর দিয়ে অতিক্রম করছে। রাষ্ট্র সমাজ জীবনের নাগরিকের এমন কোন জায়গা নেই যে, লুটপাটের বাইরে অবস্থান নিয়ে দাঁড়াতে পারে– শাসকগোষ্ঠী পালাক্রমে জনমনে এই বার্তাই যেন পৌঁছাতে চায়– চলমান বাস্তবতার বাইরে অন্য কোনো পথ খোলা নেই। মানুষ নিয়তির মতো যেন এগুলো বুঝে নিয়ে শান্ত থাকে। গণতন্ত্রহীনা লুটপাট একীভূত হয়ে স্বৈরতন্ত্র কেন্দ্রীভূত হওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয় হয়ে উঠছে।

স্বাধীনতার ৫১ বছর পর ব্যাংক লুটপাটের ভয়ঙ্কর বার্তা যেভাবে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠছে, তাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ খুঁজে পাবো কোথায়?




মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: লুটের কথা উঠলে তাহাদের মনে হাওয়া ভবন ঘুরে, খাম্বা দেখে, এগুলো দুধভাত

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৯

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: ঋনের নামে ব্যাংক লোটপাটের দৃশ্য ভয়াবহ অনুভূত হচ্ছে।

একদিকে ব্যাংকে সঞ্চিত-সংরক্ষিত অর্থ ঋনের নামে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাক্তির পকেটে অন্যদিকে মেগা প্রকল্পের নামে বৈদেশিক ঋনের সুদাসল বোঝা।

ভয় হচ্ছে দেশটা না দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক দৈন্যতার টানাপূরনে পুড়ে।

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫১ বছর। আপনি লিখলেন ৪৫ বছর্!!!!!

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪১

জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: এদের কে দেশদ্রোহী বললে কোনো সমস্যা?

৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯

অক্পটে বলেছেন: আওয়ামীলীগের আমল মানে হল ব্যাংক লুটপাটের আমল। ব্যাংক তাদের প্রধান টার্গেট। সব আমলেই লুটপাট ছিল। তবে লীগ এলে এটায় বাধভাঙ্গা জোয়ার হয়ে যায়।

৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ব্যাংক লুটপাটকারক যদি সবার শত্রু হয় তাহলে দেশ যারা চালায় তাদের সাথে কেমনে বন্ধুত্ব রাখে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.