নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজিম পরদেশী

কষ্ট মানুষকে নীরবে কাঁদায়.....

আজিম পরদেশী › বিস্তারিত পোস্টঃ

***সিলেট পর্যটন কেন্দ্র এখন প্রেম কেন্দ্রে পরিনত ***

২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০১

শহরের কোলাহল থেকে একটুখানি শান্তির খুজে নিরিবিলি পরিবেশে প্রকৃতির টানে দেশ বিদেশের অসংখ্য পর্যটক এসে হাজির হন সিলেট পর্যটন কেন্দ্রে ।বেশিরভাগ পর্যটক আসেন তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ।এখানে বেড়াতে আসে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র শিক্ষকসহ সর্বস্তরের প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ ।





শহরের বাহির থেকে অনেক স্কুল শিক্ষা ভ্রমনে আসে এই পর্যটন কেন্দ্রে ।কিন্তু এই শিক্ষা ভ্রমণ থেকে বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীরা কী ভালো কিছু শিখতেছে বিশেষ করে সিলেট পর্যটক কেন্দ্র থেকে ।বর্তমানে পর্যটক কেন্দ্রের অবস্থা এই রকম যে এটাকে পর্যটক কেন্দ্র না বলে প্রেম কেন্দ্র বলা যায় ।



পর্যটক কেন্দ্রে ঢুকে কিছুদূর গেলেই চোখে পড়বে ঝোঁপের আড়ালে একজোড়া যুবক যুবতির অসামাজিক আচরন ।এইসব বেহায়াপনার কথা লিখে বলার মত নয় ।কলেজ ভার্সিটির অজুহাতে ঘরথেকে বের হয়ে ছেলে মেয়েরা তাদের প্রেমিক প্রেমিকার সাথে কিছু সময় একাকী ঝোঁপের ধারে ঘষাঘষি করার জন্য নিরাপদ অভয়ারন্য হিসাবে বেঁছে নিয়েছে এই পর্যটক কেন্দ্রকে ।



অথচ তাদের পরিবার মোটেও এব্যাপারে অবগত নন বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে ।তারা গর্বের সাথে বলে আমার ছেলেকে আমার মেয়েকে ভার্সিটিটে ভর্তি করিয়েছি ।তাই অভিভাবকের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনার ছেলে মেয়ে কলেজ ভার্সিটির কথা বলে লেখাপড়া করতেছে নাকি ইউরোপীয় সভ্যতার বেহায়াপনা সোনার বাংলায় আমদানী করতেছে সেই দিকে একটু লক্ষ্যদিন ।



আমরা জাতি হিসাবে স্বাধীন হলেও ভিন্নদেশী সংস্কৃতি লালন পালনে আমাদের খ্যাতি জগৎবিখ্যাত এতে আমার সন্দেহের অবকাশ নাই ।অতিতে এই যুবক যুবতিরা একে অন্যের সাথে ভাব বিনিময় করত পত্র আদান প্রদান এর মাধ্যমে । কিছুকাল পূর্বে এই যুবক যুবতিরা একে অপরকে চুমু দিত মোবাইল এ বাস্তবে নয় কিন্তু বর্তমানে সিলেট পর্যটন কেন্দ্রে দিবালোকে প্রকাশ্যে একে অপরকে চুমু দিতেছে ।যুবতির কোলে শুয়ে আছে যুবক আরও কত কি যা বলারমত না ।হয়ত নিকট ভবিষ্যতে কত কিছু দেখতে হবে ।



আমারকাছে অবাক লেগেছে অনেক মেয়েকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় এইগুলো করতে দেখে ।আসলে ধর্মীয় অনুশাসন মানার জন্য বোরকা পরেনি হয়ত তাকে যাতে কেউ চিনতে না পারে এই জন্যই বোরকা কৌশল। প্রেম করা দোষের কিছু না তাই বলে প্রেমের নামে লুচ্চামিকে কোন বিবেকবান মানুষ সায় দিতে পারে না ।



প্রেম করা অনেকের মৌলিক অধিকার হয়ে দাড়িয়েছে।আমাদের কোন আপত্তি নাই।তবে সরকারকে বলি ওদের জন্য আলাদা জায়গায় একটা প্রেম কেন্দ্র খুলে দিন।কেঁচু খুড়তে গিয়ে সাঁপ বেরিয়ে আসলেও আসতে পারে।কারণ অনেক প্রেমিক প্রেমিকা আছে যারা একজনের সাথে প্রেম করে তৃপ্তি পায় না।



তাই সকালে করিমের সঙ্গে পর্যটন কেন্দ্রে,দুপুরে রহিমের সঙ্গে আলুরতলে,আবার বিকালে লতিফ এর সাথে একই মেয়েকে প্রেম করতে দেখা যায়।একটা মেয়ে কম হলেও দশটা প্রেম একসাথে চালিয়ে যেতে পারে।প্রত্যেক ছেলেকেই বলবে জানু তোমাকে আমি আমার জানের চাইতেও বেশী ভালোবাসি ।আসলে কারে সে ভালোবাসে তা বুঝাই অসম্ভব।ও নিজেই হয়ত জানে না কাকে সে ভালোবাসে।



এখন সরকার ,সমাজকর্মী ,পর্যটক উন্নয়ন কতৃপক্ষ তথা সুধী সমাজের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতেছি আমরা যখন আমাদের পরিবার নিয়ে,শিক্ষক যখন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে,বাবা মা যখন ছেলে মেয়ে নিয়ে সিলেটের সুন্দরর্যের অন্যতম স্থান সিলেট পর্যটক কেন্দ্রে যায় তখন এইসব দৃশ্যদেখে লজ্জায় পালাতে হয় ।সামনে না এগিয়ে মাথা নুয়ে চলে আসতে হয়।তাই এক্ষুনী অতিদূত যুবক যুবতিদের এই রকম বেহায়াপনার ওপর নিষেধাঘঘা আরোপ করতে হবে বিশেষকরে পর্যটন এলাকায়।যুবক যুবতির কাছে আমার আকুল আবেদন আপনারা পরবর্তি প্রজন্মে কথা চিন্তা করে এই বেহায়াপনা থেকে নিজেদের বিরত রাখুন।সমাজের লোকেরা আপনাদের ঘৃণার চোখে দেখতেছে।তাই প্রাকৃতিক সুন্দরর্যের লীলাভূমী সিলেটের এই পর্যটক কেন্দ্রকে প্রেম কেন্দ্র না বানিয়ে শিক্ষাকেন্দ্র বানান।কতৃপক্ষের কাছে আবারও অনুরোধ আপনারা ওইগুলো কঠিনহস্তে দমন করুন।



ইতি

আজিম পরদেশী

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.