নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজিম পরদেশী

কষ্ট মানুষকে নীরবে কাঁদায়.....

আজিম পরদেশী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ভরাডুবির একমাত্র কারন শাহবাগের গনজাগরন মঞ্চ আওয়ামীলীগের ভরাডুবির একমাত্র কারন শাহবাগের গনজাগরন মঞ্চ

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আওয়ামীলীগের ভরাডুবির একমাত্র কারন গনজাগরন মঞ্চের নষ্ট ছেলে মেয়েরা।ওরা বলতো দেশের ১৬ কোটি মানুষনাকি ওদের পক্ষে।তাই যদি হত! তাইলে তাদের ভাষায় ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামীলীগের এই রকম পরাজয় কেন।যেই আওয়ামীলীগের বিরানী খেয়ে ১ মাসের ওপর আন্দোলন করলো আজ সেই আওয়ামীলীগের বিপদে ওরা লেজ গুটিয়ে ।

দুর্নীতি বা অন্য কোন কারনে আওয়ামীলীগের এই রকম ভরাডুবি হত না।কারন দূর্নীতির হিসাবে আওয়ামীলীগের চাইতে কোন অংশে কম নয় বিএনপি।যুদ্ধঅপরাধীদের বিচারের দাবী প্রতিটা বাঙ্গালির, বামপন্থি ও রাম পন্থিদের একার দাবী নয়।তবে সেটা প্রতিহিংসা মূলক হলে তা আর গ্রহনযোগ্য হওয়াটাই দুষকর।শাহবাগের পক্ষে আমি নিজেও ছিলাম।একটাই উদ্দেশ্য ছিলো রাজাকারদের ফাঁসি দাবী।কিন্তু ইমরান ও নাস্তিকরা সেই দাবীতে সীমাবদ্ধ না থেকে ওরা ধর্মকে খুচাতে শুরু করলো।ওদের কুকাজের জন্যই হেফাজতে ইসলামের উদয়।সরকার শাহবাগীদের বিরানী দিয়ে আন্দোলনের নামে নষ্টামী করিয়ে নিজের পায়ে নিজেই কুরাল মারলো আর সুযোগের সু-ব্যবহার করলো বিএনপি।

(আজিম)

বাম, রামেরা যারা ১০০ বার বাটি চালান দিয়েও ১০০ জন লোক জমায়েত করতে অক্ষম।শাহবাগের সেই লোক সমাগম দেখে তাদের কু-বুদ্ধির উদয় হলো।শুরু করলো ধর্মকে নিয়ে মাতলামী।একের পর এক নির্বোধ ধর্মকে নিয়ে কটাক্ষ করলো।ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং নারীর স্বাধীনতার নামে নারীকে বাজারের পন্য বানাতে চাইলো।নাস্তিকদের পক্ষ্যনিয়ে একের পর এক কাজ করে যাওয়া।নাস্তিকদের মুক্তিদাবী করা সহ সব ধরনের ধর্ম বিদ্বেসী মনোভাব প্রকাশ করলো।

শাহবাগ আন্দোলনে কেউ যোগদান করে নি বাম রামদের কথায়।আওয়ামীলীগের অনেক প্রবীন সদস্য গনজাগরন মঞ্চ ভেঙ্গে দেওয়ার পক্ষেমত প্রকাশ করেন তাদের ধারনা ছিলো তাদের ঘাড়ে চেপে থাকা নাস্তিক মুরতাদ ও শাহবাগীরা কোন এক সময় তাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে।বাস্তবে তাদের ধারনাই ঠিক হয়েছে কিন্তু তখন শেখ হাসিনার মতের বাহিরে কথা বলে পদ পদবী হারাতে কেউ চায় না।যার কারনে গনজাগরন মঞ্চ রয়েই গেলো। (আজিম)

ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও সাধারন মানুষ শাহবাগীদের দেখালো লাল কার্ড।দলমত নির্বিশেষে আওয়ামীলীগ ও বাম রাম নাস্তিক মুরতাদ ছাড়া সবাই পক্ষ্য নিলো হেফাজতে ইসলামের।

শুরু হলো নতুন আন্দোলন যা অতিদ্রুত বেগে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছরিয়ে ছিটিয়ে গেল।তাদের শাপলা চত্বরে মহাসম্মেলনের কথা।সরকার,গনজাগরন মঞ্চের নাস্তিক মুরতাদ এবং কথিপয় আলিম নামদারী বন্ডরা তীব্র বিরোধীতা করলো হেফাজতের।সব ধরনের অপতৎপরতায় তারা লিপ্ত ছিলো ।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সব চাইতে নজিরবিহিন হরতাদের ডাক দিলো সরকারের মদদপুষ্ট দল ও নাস্তিকরা শুক্রবার দিন।সব জেলায় জেলায় চালক ও মালিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে হেফাজতে ইসলামের সম্মেলন ভাংচালের জন্য সরকার ধর্মঘট ডাকালো।এমনকি লঞ্চ,স্টিমার বন্ধ করে দেওয়া হলো।হেফাজতের মহাসম্মেলন ৬ এপ্রিল।মানুষ জুম্মার নামাজ পরে পায়ে হেঁটে রওয়ানা দিলো ঢাকার উদ্দেশ্যে।এটা বাংলাদেশের প্রথম কোন সম্মেলনে যোগদান যা মানুষ শত-শত মাইল পায়ে হেঁটে যোগদান করে।কুমিল্লা,নারায়নগঞ্জ,গাজীপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখ লাখ মানুষ জমায়েত হলেন শাপলা চত্বরে।এতলোক পূর্বে কোন সম্মেলনে যোগদান করে নাই।ওইদিন কোন বাধাঁ না দিলে দুইকোটি লোকের সমাগম হত।

(আজিম)

গ্রামবাসী,এলাকাবাসী,রাস্তায় নেমে আগত লোকদের আপ্যায়ন করে।ওইদিন যতলোক হয়েছিলো তা ১০০ টা শাহবাগকে একত্রিত করলেও হতো না।সব হিসাব পাল্টেগেলো।বিএনপির জন্য নতুন সুযোগ সামনের দিনে।হেফাজতিরা হয়ে উটলো সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।১৩ দফা দাবী দিয়ে সরকারকে ১ মাসের সময় দিলো ।

৮ এপ্রিল হেফাজতের হরতাল ছিলো বাংলাদেশের ইতিহাসের সব চাইতে সফল হরতাল।সরকার ঘাবরে গেলো। লোভ- লালসা- টাকা -পয়সা দিয়ে হেফাজতের আন্দোলনকে শীতিল করার সব চেষ্টা করলো সরকার।কিন্তু কোনকিছুর কাছেই নিজের ঈমান বিক্রি করেনি হেফাজতের নেতারা।১৩ দফার প্রতি তারা অনর অবিচল।

সারাদেশে সম্মেলন হল ৬মে ঢাকা অবরোধ।সরকার তার সর্বশক্তি দিয়ে বাধাঁ দিলো কিন্তু এমন অবরুধ হলো যে একটা পিপড়া ঢাকায় ডুকতে পারেনি এমনকি বাহিরও হতে পারে নি।সরকার নীল নকশা আঁকলো।আওয়ামী পুলিশ,বিজিবি ও ক্যাডার বাহিনি দিয়ে হেফাজতের নিরিহ মানুষের উপর আক্রমন শুরু করলো।হেফাজতিরা জড়ো হলো শাপলা চত্বর।আল্লামা আহমদ শফি হুজুরের পরবর্তী দিক নির্দেশনা পাওয়ার জন্য।সরকার চালাকি করে হুজুরকে আসতে দিলো না শাপলা চত্বর।রাত অনেক হয়ে গেলো লক্ষ লক্ষ হেফাজত কর্মীরা শাপলা চত্বরে যখন জিকির -আজকার =নামাজে লিপ্ত তখনই আওয়ামী সরকার ঘটালো ইতিহাসের সেই ভয়াভহ গনহত্যা ।চারদিক থেকে সরকারী বাহিনী নিরিহ মানুষদের গুলি করতে শুরু করলো।অনেক আলিম শহিদ হলেন।হেফাজতের নেতাদের উপর মামলা দেওয়া হলো গ্রেফতার করে অমানুষিক নির্যাতন চালালো আল্লামা বাবুনগরিকে।

(আজিম)



হেফাজতের পক্ষ নিয়ে কথা বলার অপরাধে বিএনপি নেতা এম কে আনোয়ার এর উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার পরওয়ানা জারি করা হয়।হেফাজতের সমর্থকদের উপর মিথ্যা হামলা মামলা করা হয়।বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ তাই তারা মেনে নিতে পারেনি আলিম উলামাকে হত্যা নির্যাতন।তাইতো ৫ সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের এই রকম ভরাডুবি।

সকল ধর্মপ্রণ মুসলমানদের একটাই দাবী আওয়ামীলীগ হঠাও।

আর এই কাজটা গনজাগরনের নাস্তিকরাই তৌরি করে দিয়েছে।

হেফাজত বেঈমানী করে নাই তারা জান প্রান দিয়ে বিএনপির জন্য নির্বাচনে কাজ করেছে এবং হেফাজতের ইস্যুর কারনেই বিএনপির এত বিপুল ভোটে বিজয়। (আজিম)

অপরদিকে গনজাগরনের নাস্তিক মুরতাদ,বাম আর রামেদের কারনেই আওয়ামীলীগের এই রকম ভরাডুবী।

শাহবাগীরা শুধু বদমাইশ নয় ওরা মীরজাফর,ওরা বেঈমান।

সাহস থাকলে আওয়ামীলীগের জন্য ভোট নিতে মাঠে কাজ কর।দেখবো কয়টা ভোট তোমরা তোমাদের পক্ষে নিতে পারো।

মানুষ তোমাদের যেখানেই পাবে সেখানেই কষে চর তাপ্পর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।

আজিমুল রাজা চৌধুরী



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.