নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজিম পরদেশী

কষ্ট মানুষকে নীরবে কাঁদায়.....

আজিম পরদেশী › বিস্তারিত পোস্টঃ

X(( এরপরেও এদেশবাসী বরাবরের মতই ঘুমিয়ে থাকবে X((

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫১

পরিক্ষার চাপে টিকপা চুক্তির ব্যপারে কিছুই লিখতে পারি নাই।

আশা করি এই লিখা মন দিয়ে পড়ে সঠিক বেঠিক যাচাই করবেন।

আমেরিকার মদদ পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে টিকপা চুক্তি বাস্তবায়ন।

২৫নভেম্বর; আমেরিকার

কাছে যেভাবে বিক্রি হলো বাংলাদেশ.......



২৫নভেম্বর আমেরিকার সাথে ‘টিকফা’ নামক চুক্তি করেছে বাংলাদেশ । এ চুক্তির শর্তগুলো একটু জটিল হওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে তা সহজে বোধগম্য নয় । অনেকে জানেই না, তাদের চোখের সামনে কিভাবে বিক্রি করা হয়েছে তাদের মাতৃভূমিকে ।

আসুন খুব সহজ ভাষায় দেখি টিকফা হলে কি হবে........



১) গ্যাসঃ বাংলাদেশে বিনা শুল্কে শকুনের মত প্রবেশ করবে শত শত মার্কিন কোম্পানি, দখল করে নেবে পুরো গ্যাস সেক্টর । তাদের সাথে কখনই প্রতিযোগীতায় পেরে উঠবে না সরকারীও দেশীয় কোম্পানিগুলো । একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পর গ্যাসের দাম এত পরিমাণ বৃদ্ধি করবে যে, তখন বাঙালীরা গ্যাসের উপরে থেকেও রান্নার জন্য সামান্য গ্যাস পাবে না, যেমনি হীরার দেশে থেকেও দু’মুঠো খাবার পায় না সম্রাজ্যবাদীদের

চক্রান্তে বিধ্বস্ত সিয়েরা লিয়নবাসী ।



২) বিদ্যুৎ: সরকারি কোম্পানিগুলো পেরে না ওঠায়

দেশীয় বিদ্যুৎ বিভাগ চলে যাবে মার্কিনীদের হাতে । তখন

আধুনিকায়নের নামে বিদ্যুতের দাম বাড়বে কয়েকগুণ । আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ

পৌছে দেয়া, কিন্তু এ চুক্তি হলে উল্টো উচ্চ বিলের কারণে সুবিধা হারাবে শহুরে জনগণ ।

তখন দেশে উৎপন্ন বিদ্যুৎ

নিয়ে যাওয়া হবে দেশের বাইরে।



৩) বন্দরঃ অবাধ বাণিজ্যের

নামে বন্দরগুলো অবাধভাবে ব্যবহার করবে মার্কিনীরা । তখন এ বন্দর ব্যবহার করে আমাদের দেশে মার্কিন

সেনাবাহিনী ঢুকালো না অস্ত্র

ঢুকলো তার কোনো হিসেব নেয়ার ক্ষমতা থাকবে না বাংলাদেশ সরকারের ।



৪) টেলিযোগযোগঃ টেলিযোগাযোগ খাত আগেই বেসরকারিকরণ হওয়ায়, দেশের

অনেক গোপন তথ্যই হারিয়েছি আমরা । বিশেষ করে, কোন রাষ্ট্রেই কখনো পাশ্ববর্তী দেশের মোবাইল কোম্পানিকে জায়গা দেয়া হয় না, সেখানে ভারতের এয়ারটেল বাংলাদেশে প্রবেশ করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতের নিয়ন্ত্রণে রাখছে । যা আমাদের জন্য খুবই পরিতাপের বিষয় । তবে এ খাতে মার্কিনীরা প্রবেশ করলে তাদের অধিকতর পোদ্দারিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে জনগণ,

কারণ মার্কিনীদের আড়িপাতার জঘন্য রেকর্ডের জন্য তারা সারা বিশ্বেই কুখ্যাত ।



৫) শিক্ষাঃ শিক্ষাখাতে মার্কিনীদের প্রবেশ, আর জাতির মেরুদণ্ডকে ড্রোন দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া একই কথা । আধুনিকায়নের কথা বলে সিলেবাস সহ সর্বত্রে বাদ দেয়া হবে ইসলামকে, প্রতিষ্ঠান গুলোতে পশ্চিমের মত ধর্ম

চর্চা নিষিদ্ধ করা হবে । বিজাতীয় অপসংস্কৃতি দিয়ে ধ্বংস করে দেয়া হবে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে । অনেকে বলতে পারেন, এখনই তো অনেকটা হয়ে গেছে, তাদের

বলতে চাই: এখন যদি ৫ টাকার ধ্বংস হয়, তবে তখন হবে ৫০ টাকার ।

৬) স্বাস্থ্যঃ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে স্বাস্থ্য খাত । ঔষধের গুণগত মানের

কথা বলে মার্কিন নীতি চাপিয়ে দেয়া হবে দেশীয় কোম্পানিগুলোর ঘাড়ে । কথিত

নীতি বাস্তাবায়ন করতে মারাত্মক বৃদ্ধি পাবে ঔষধের দাম । এখন যদি একপাতা এন্টাসিড কিনতে যদি খরচ হয় ১৫ টাকা, তবে তখন খরচ হবে ১৫০ টাকা । মানুষ সামান্য

ঔষধের অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে । একই সাথে মার্কিন কোম্পানিগুলোর সাথে প্রতিযোগীতায় টিকতে না পেরে পথে বসে যাবে দেশীয়

কোম্পানিগুলো ।



৭) পরিবহন সেক্টরঃ পরিবহণ খাত বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সেক্টর । দেশের পরিবহন সেবা না নিয়ে দেশের কোন নাগরিক থাকতে পারে না । দেশের কোটি কোটি জনগণ এ খাতের সাথে জড়িত, এ খাতের আয়ও প্রচুর । কিন্তু মার্কিনীরা এ ছোট্ট দেশে প্রবেশ করলে তারা বিনিয়োগের মাধ্যমে যেকোন উপায়ে একচ্ছত্র

অধিপত্র প্রতিষ্ঠা করবেই, ফলে বাংলাদেশের সমস্ত পরিবহন

মালিকদের পথে বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না । আর আমাদের টাকা নিজ দেশে নিয়ে যাবে মার্কিনীরা ।



মনে রাখবেন এ চুক্তির সবচেয়ে ভয়াবহ ফলাফল হচ্ছে, মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানির কাছে পেরে না ওঠায় রাস্তায় বসে যাবে দেশীয় ব্যবসায়ীরা । আর এই সুযোগে একচেটিয়া অধিকার পেয়ে সবকিছুর দাম

আকাশে উঠাবে মার্কিনীরা ।



মূলত, এই কারনেই ভারতও চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে টিকফা চুক্তিতে আবদ্ধ হয়নি । আমার এ লেখাটা অনেকের কাছে রুপকথার মত মনে হতে পারে,

কিন্তু আমি সহজ ভাষায় যা বর্ণনা করতে চেয়েছি পরিস্থিতি তার থেকে অনেক ভয়ংকর হবে । মূলত, এ চুক্তি হচ্ছে বাংলাদেশকে চুষে খেয়ে ভিখারী বানানোর একটা পন্থামাত্র ।

যেমনটা ল্যাতিন আমেরিকার

দেশগুলোতে অবাধ বানিজ্য চুক্তির নামে তাদের পথে বসিয়েছে দিয়েছে আমেরিকা,

কিংবা আফ্রিকান দেশগুলোতে ব্যবসার নামে ঢুকে তাদের দুর্ভিক্ষ আক্রান্ত করে ছেড়েছে তারা । তেমনি এই চুক্তির

মাধ্যমেও বাংলাদেশকে আফ্রিকা-ল্যাতিন আমেরিকার মত চুষে খাবে আমেরিকা,

বানিয়ে দিবে কঙ্কালসার ।



এরপরেও এদেশবাসী বরাবরের মতই ঘুমিয়ে থাকবে । ফায়দা কি এত কিছু বলে?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০

আকাশদেখি বলেছেন: আমাগো জনগনের কেউ ভালা চায়না...
সরকার ভাবছিল টিকফা চুক্তি করলে আমরিকা তাগোর নির্বাচন নিয়া কিছু কব না...। আর এখন টিকফা চুক্তি করলে জনগন হয়তো টিকফার দিকে নজর দিবে আর নির্বাচনের দিকে নজর দিবে না।

so সরকার দুইটা চালই চালছে... এখন জনগন কোনটার দিকে নজর দিবে? BNP তো নিজেরে নিয়াই ব্যস্ত....।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১২

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: কিন্তু কে কার কথা শোনে ? মেধা সত্ত্বের কারণে আমাদের ঔষধ শুধু নয়, সুলভ বীজ, কম্পিউটার সফটওয়ার, মুভি, গান অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হতে পারে । মেধা সত্ত্ব যে কিভাবে মারবে তা মারা পর্যন্ত বুঝছে পারবে না ।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২০

আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: যুদ্ধের শুরু এখান থেকেই.............


ইংরেজদের এই আমরাই তারাইছি.....
এবার মার্কিন...

বি রেডি..... টাইম ইজ কামিং

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১

নূর আদনান বলেছেন: ঘুমিয়ে থাকায় শান্তি, আমরা যে শান্তি প্রিয় জাতি...!!

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

নবীউল করিম বলেছেন: বাঙ্গালী জাতীর গত ১৫০০ বছরের ইতিহাস বলে, এই জাতী দাস হয়েই ছিল! খুবই কম সময়ের জন্য মুক্ত থাকতে পেরেছিল! সুতরাং দাস হয়ে থাকাটা আমাদের মাটির সাথে মিশে আলো আর বাতাসে ফিল্টার হয়ে শরীরে প্রবেশ করে মজ্জাগত হয়ে গিয়েছে। যতোই কেউ চেষ্টা করুক, যতো বড় বিশেষজ্ঞ যতো বড়ই প্রকল্প হাতে নেউক না কেন এই জাতীকে দাসত্ব থেকে মুক্ত কোরতে সফল হবে না!

বাঙ্গালী দাস হয়ে ছিল, দাস হয়ে আছি, দাস হয়েই থাকবো.........

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

আজিম পরদেশী বলেছেন: আসলে আমাদের রাজনীতিতে বিগত ৪০ বছর থেকে এমন কিছু লোক চালাচ্ছে যারা কেবল নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত দেশ বা জাতির কথা চিন্তার সুযোগ কই তাদের।সেটার ক্ষেত্রে বিএনপি আওয়ামীলীগ কেউ কারো চাইতে কম নয়।ওদের দোষ দিয়েই বা লাভ কি সবই আমাদের জন্য।আমরাইতো বারবার ওদের হাতে দেশটারে ইজারা দেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.