নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজিম পরদেশী

কষ্ট মানুষকে নীরবে কাঁদায়.....

আজিম পরদেশী › বিস্তারিত পোস্টঃ

:):) মানুষের মূল্য কোথায় যেখানে রেকর্ডের মূল্য সীমাহীন।:)

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

৯০ কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সংগীত গাওয়ার কি কোন দরকার আছে ??

ওরা যদি জাতীয় সংগীত ভালোবাসতো যদি চেতনার দানা এতই বেশী থাকতো তাহলে এই রকম একটা কাজে কেন ৯০ কোটি টাকার ব্যায় অথবা লুটপাট হবে।

আমার পরিবার উচ্চবিত্ত না হলেও আমি যদি আমার পরিবারকে বলতাম যে আমি জাতীয় সংগীত সম্মেলিত কন্ঠে গাওয়ার জন্য যাচ্ছি তাহলে অবশ্যই আমার পরিবার আমাকে সাধ্যমত টাকা দিত আর যদি শুনতো জাতীয় সংগীত গাওয়ার জন্য কারো দান দখিনা নিয়েছি, এটাও সত্য হতো ঝাড়ুর বারি একটাও মাটিতে পরতো না, সব কয়টাই আমার কপালে পরতো।কারন আমরা আজ অবদি আমাদের দেশ প্রেম টাকা অথবা নামধারী চেতনার কাছে বিক্রি করি নাই।

আক্ষেপ করে বলতে হয়।

এটা সেই দেশ যেখানে জসীমউদ্দীনের নকশীখাঁতার মাঠের নায়িকা আসমানী বাঁচার জন্য সংগ্রাম করে অথচ ৯ টাকার সাহায্য পেতে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করতে হয়েছে।

এটা সেই দেশ যেখানে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমকে শত কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে পৃথিবী ছারতে হয়েছে।টাকার অভাবে প্রিয়তমা স্ত্রীরীর চিকিৎসা করাতে পারেন নাই।

এটা সেই দেশ যেখানে মান্না দে মারা গেলে ফেসবুক সেলিব্রেটিদের কান্নার শেষ নাই অথচ আনোয়ার হোসেন মারা গেলে তার জন্য কান্নার মত সাধারন সেলিব্রেটি খুজ পাওয়া দুষ্কর।

এটা সেই দেশ যেখানে আব্দুর রহমান বয়াতিকে জীবন বাঁচানোর জন্য মানুষের কাছে ভিক্ষা করতে হয়েছিল।

এটা সেই দেশ যেখানে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধাদের অনেকেই রিকশা চালিয়ে জীবন যাপন করে অথচ দলবাজ ভুয়া মুক্তিযুদ্ধারা মাস শেষ হলেই সম্মানীর সাথে সাথে সালাম ও পায়।

তখন,অথবা এখনো কিন্তু নামধারী দেশপ্রেমীক চেতনাবাদীদের অভাব ছিলো না এই দেশে।



এই ৯০ কোটি টাকা দিয়ে অনেক কাজ করা যেতো সমাজের অসহায় অবহেলিতদের জন্য অথচ জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবীরা ,চেতনা ব্যাবসায়ীরা এগুলো বুঝেও বুঝবে না।

কারন ওদের কাছে জীবনের চাইতে রেকর্ডের দাম অনেক বেশী,কিন্তু তা করবে ৯০ কোটি টাকা আত্মসাধ করে ,চেতনার দন্ড খাড়া করে নয়।

মানুষের মূল্য কোথায় যেখানে রেকর্ডের মূল্য সীমাহীন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: ৯০ কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সংগীত গাওয়ার বিলাসিতা আমাদের মানায় না। এই টাকা দিয়ে প্রয়োজনীয় অনেক কিছু করা সম্ভব। আগের পতাকার রেকর্ড তো এক মাসও স্থায়ী করতে পারলাম না। পাকিরা তা ভেঙ্গে ফেললো। যে কোন সময় এই রেকর্ড ভেঙ্গে যেতে পারে এইরকম কিছুর জন্য এত্তোগুলো পয়সা খরচের কি কোন মানে হয় ? আমাদের মনে রাখা দরকার- আমরা দরিদ্র একটি দেশের জনগন।

আওয়ামীলীগ বিদ্যুতের বড়াই করে। গ্রামে গিয়ে দেখুন আসল অবস্থা। সারা দিনে মাত্র ৫-৬ ঘন্টা বিদ্যুত থাকে। অথচ এখনই ধান গাছে পানির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

আমাদের দেশের সকল প্রেম যদি পথের ধারে পরে থাকা ক্ষুদা যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা শিশুটিকে দেয়া হতো অথবা ভাঙ্গা চোরা সরকারি হাসপাতাল বা মাঠে ক্লাস করা সেই শিশুদের স্কুলের জন্য দেখানো হতো তখন আমি সম্মান জানাতাম এই দেশপ্রেমকে, আমি ভালবাসি বাংলা, আমি ভালবাসি বাংলাদেশকে, আমি ভালবাসি আমার দেশের সকল মানুষকে এবং আমি আমার এই ভালবাসাকে কর্পোরেট ভালবাসায় পরিণত হতে দিতে চাইনা !!
জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবীরা, চেতনা ব্যাবসায়ীরা এগুলো বুঝেও বুঝবে না।

৫০ কোটি টাকায় কতোগুলো সরকারী হাসপাতাল গঠন করা সম্ভব ছিলো ?
৫০ কোটি টাকায় কতোগুলো পথশিশুর জীবন বদলে দেয়া যেত ?
৫০ কোটি টাকায় কতোগুলো উন্নত মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সম্ভব ছিলো ?
৫০ কোটি টাকায় কতোগুলো রাস্তাঘাট নির্মাণ করা যত ?

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

করিম মিয়া বলেছেন: অসাধারন একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

আসলে আমরা নিজরাই নিজেদের পায়ে কুড়াল মারি।
যখন দেশে ১১৫ কোটির টাকার বাজেট করা হয় খেলতামাশার রঙ্গসজ্জার জন্য বিপরীতে ব্রাজিলের মত উন্নত দেশে আন্দোলন হয় বিশ্বকাপ খেলার আয়োজনের বিরুদ্ধে।

ভর্তুকি দেয়া হয়, রাজস্ব ছাড় দেয়া হয় খেলা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আর দেশের মানুষকে দেয়া হয় সড়কপথে চলাচলে টোল উপহার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.