নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাপিত জীবনকে নিয়ে ভাবনার অনেক উপাদান আছে। তবে সবকিছু ভাবতে পারি না। ভাবার সুযোগ পেয়েও অনেক অনুষঙ্গ নিজ প্রয়োজনে এড়িয়ে গেছি। অনেক বিষয়ে পরে ভাবা যাবে বলে ঐ পরিচ্ছেদে আর কখনও যাওয়াই হয়নি। তবে বারংবার আমি প্রকৃতির কাছে ফিরে গেছি। তার কাছে শিখতে চেয়েছি। প্রকৃতিও শেখালো ঢের। তবুও হয়তো আমার প্রত্যাশা ও শিখনফলে আছে হতাশা । ইচ্ছা ও প্রাপ্তির খতিয়ান খুব একাকী মিলিয়ে দেখি-কত কিছুইতো হলো না দেখা, হলো না কত শেখার শুরু । তবুও প্রাপ্তি কি একেবারেই কম? মোটেই না। পেয়েছিও ঢের। মনে তাই প্রশ্ন জাগে, যেদিন আমি আবার নিঃশ্বেস হয়ে যাব সেদিন কি প্রকৃতিও আমার মতো একা হয়ে যাবে? এর জবাবও প্রকৃতির বিবৃতিতেই পেয়েছি-না, ক্ষুদ্র জীবনের আঁচর প্রকৃতিতে বেশিক্ষণ মূর্ত থাকে না। অন্যকথায় প্রকৃতির মধ্যে বিষণ্নতা বেশি দিন ভর করে থাকে না। তাই সে সহজ, তাই সে সমাদৃত! আমার বিবেচনায় একারণে প্রকৃতি সকল জীব ও জড়ের কাছে সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সাগরের আমন্ত্রণে আমরা একবার আটলান্টিক মহাসাগর সফর করেছিলাম।
বলে রাখা দরকার, হ্নীলা পাহাড়ের গা ঘেসা আমরা কতক অর্বাচীন টং ঘরের অভাগা বসতি
একদা বঙ্গোপসাগরের সাথে জলবায়ু যুদ্ধ সংক্রান্ত এক বাজিতে অনাকাংখিতভাবে জিতে যাই।
তারই পুরস্কার স্বরূপ অভাগাদের আটলান্টিক যাত্রা।
বলাবাহুল্য, সে সফরে মহামান্য জলরাশি ও তার পারিষদবর্গ আমাদের যত্ন আত্তির কমতি করেন নি।
আমাদের জন্য উন্মুক্ত ছিলো জলজগতের সকল মিঠাই মিষ্টান্ন, রূপার পাত্রে রাশিয়ান পানীয়;
মাননীয় কোরালরাজ যিনি হাঙ্গর উপজাতীর প্রাচীনতম প্রধান, তিনি বিশেষ ভঙ্গিমায় মাথা নুইয়ে
অভিবাদন জানিয়ে আমাদের নিয়ে যান জলেশ্বরীর অন্দর মহলে।
সেখানে চলছিলো এন্টারটিকান রাখাল শিল ও কেতাদুরস্ত পেঙ্গুইনের অনবদ্য প্রজাপতি স্কেটিং
দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, মোঘল হেরেমের ফানুস নর্তকীরা এ তুলনায় নস্যি ।
বিশ্বাস করুন, সেদিন বরফের চেয়ালে বাতাসের বিমূর্ত আনাগোনা আমাদের চোখের সামনে
লুডভিল ফান বেটোফেনের পিয়ানোর বিশুদ্ধ মুর্ছনাকে হেসেখেলে পরাজিত করে।
সাঁঝ পেরোলে দলছুট এক শ্বেত ভাল্লুক আমাদের স্কন্ধে হাত রেখে কী অদ্ভুত
জাদুকরী সম্মোহণে বললো, সম্মানিত রাজেন্য, আজ ক্রন্দন নেই, নেই মৃতু্যুর ভয়
মহাময়ীর নির্দেশে আজ আমি আপনাদের মৃত্যুর দারোয়ান।
মান্যবর অতিথিবৃন্দের পদধুলি এ শ্বেত-শুভ্র শিউলি রাজ্য স্পর্শ করায় আমরা চির কৃতজ্ঞ।
আমাদের চোখ ভিজে যায়। আমরা ক্ষুদ্র, দীন। এতো প্রাপ্তি, এতো সম্মান কখনো জোটেনি আগে।
আমাদের মাথার উপরে তারা, কার্তিকের চাঁদের কোলে উৎকীর্ণ মেরেলিন মনেরোর
চুলের মতো আকর মেঘ পাহাড়ে আগেও দেখেছি, অষ্টাদশী প্রেয়সীর হাত
যৌবনে অনায়াসে একাধিক বার ধরেছি, মনে রাখার মতো কিছু মনে হয় নি।
কিন্তু সে রাতে অন্যরকম লেগেছে, রোদ পোড়া চেয়ালের পেশী ঈষৎ কেঁপেছে,
বিনা নির্দেশে আমাদের অসংযত মুষ্টিবদ্ধ হাত উঠে গেছে মাথার উপরে।
০৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০১
বাগান বিলাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রইলো । শুভেচ্ছা জানবেন।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৫
মহান অতন্দ্র বলেছেন: ছোট লেখা । তবে অসাধারণ বর্ণনা । ভাল লাগা ।
০৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
বাগান বিলাস বলেছেন: ভালো লাগায় সিক্ত হলামমহান অতন্দ্র। অনেক শুভেচ্ছা।
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫
তুষার কাব্য বলেছেন: অসাধারণ লেখনি..!
০৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০২
বাগান বিলাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তুষার কাব্য । ভালো থাকুন।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৬
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: দারুণ!!!! +++++++
০৭ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
বাগান বিলাস বলেছেন: শুভেচ্ছা । ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
এহসান সাবির বলেছেন: দারুন কবিতা।
ভালো লাগা রেখে গেলাম।