নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হয়তো মানুষ নই, মানুষগুলো অন্যরকম, হাঁটতে পারে, বসতে পারে, এ-ঘর থেকে ও-ঘরে যায়, মানুষগুলো অন্যরকম, সাপে কাটলে দৌড়ে পালায়। আমি হয়তো মানুষ নই, সারাটা দিন দাঁড়িয়ে থাকি, গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকি।

বাগান বিলাস

যাপিত জীবনকে নিয়ে ভাবনার অনেক উপাদান আছে। তবে সবকিছু ভাবতে পারি না। ভাবার সুযোগ পেয়েও অনেক অনুষঙ্গ নিজ প্রয়োজনে এড়িয়ে গেছি। অনেক বিষয়ে পরে ভাবা যাবে বলে ঐ পরিচ্ছেদে আর কখনও যাওয়াই হয়নি। তবে বারংবার আমি প্রকৃতির কাছে ফিরে গেছি। তার কাছে শিখতে চেয়েছি। প্রকৃতিও শেখালো ঢের। তবুও হয়তো আমার প্রত্যাশা ও শিখনফলে আছে হতাশা । ইচ্ছা ও প্রাপ্তির খতিয়ান খুব একাকী মিলিয়ে দেখি-কত কিছুইতো হলো না দেখা, হলো না কত শেখার শুরু । তবুও প্রাপ্তি কি একেবারেই কম? মোটেই না। পেয়েছিও ঢের। মনে তাই প্রশ্ন জাগে, যেদিন আমি আবার নিঃশ্বেস হয়ে যাব সেদিন কি প্রকৃতিও আমার মতো একা হয়ে যাবে? এর জবাবও প্রকৃতির বিবৃতিতেই পেয়েছি-না, ক্ষুদ্র জীবনের আঁচর প্রকৃতিতে বেশিক্ষণ মূর্ত থাকে না। অন্যকথায় প্রকৃতির মধ্যে বিষণ্নতা বেশি দিন ভর করে থাকে না। তাই সে সহজ, তাই সে সমাদৃত! আমার বিবেচনায় একারণে প্রকৃতি সকল জীব ও জড়ের কাছে সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

বাগান বিলাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখাপড়া

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

পনেরো বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছি।
এখন কাজ করি একটা সরকারি অফিসে।
মাঝেমধ্যে মনেহয় লেখাপড়াটা আমার যথাযথ
হয়নি। মন খুব উশখুশ করে। সুযোগ বুঝে
আবার স্কুলে ভর্তি হলাম। ক্লাস ফোরে।
মাস্টার মশাই বললেন, ফোরে কেন ? ফাইভে
ভর্তি হলে খুব ভালো করতেন আপনি,
আপনার যা বয়স। আমি তার কথা কানে তুলি না।
কেন, আদুভাই অষ্টম শ্রেণিতে উঠতে আট বার
পরীক্ষা দিয়েছে। তার বয়স কতো হয়েছিল ?
আমার বিবাদে জড়াতে ভালো লাগে না।

আমি চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে দেখি
সবাই আমার বয়সে ছোট। তারা সুন্দর করে
গল্প করে, খুনসুটি করে। আমি তাদের
দিকে তাকিয়ে থাকি। তারা পড়াশুনা করে
আমি মুগ্ধ হয়ে তাদের পড়াশুনা করা
দেখি। আমার খুব ভালো লাগে।
তাদের চেষ্টায় আমি আশাবাদী হই।

পরীক্ষা আসে, পরীক্ষা দেই। ফল প্রকাশিত হয়।
আমি ফেল করেছি। শিক্ষক আমার দিকে
তাকিয়ে বলেন, আপনাকে আগেই বলেছিলাম
ফাইভে ভর্তি হোন। আপনি ফোরে ফেল করলেন
এখন ফাইভে উঠবেন কেমন করে ?

আমি ফল পুনর্বিবেচনার আবেদন করি।
তারা আামার খাতা যাচাই করে আমাকে
শিশু শ্রেণিতে নামিয়ে দিলেন।
আমি চিৎকার করে করে পড়ি
‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।’
আমি স্কুল কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ
জানাই। জীবনে শিক্ষার জন্য এর
চেয়ে বড় ক্লাস আর নেই।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহা মজার লেখা

ভাল লাগল খুব

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

বাগান বিলাস বলেছেন: কৃতজ্ঞ আপনার প্রতি। ভালো থাকুন।

২| ১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: তারা আামার খাতা যাচাই করে আমাকে
শিশু শ্রেণিতে নামিয়ে দিলেন।
ভাই আমার ও ইচ্ছা আছে আবার শিশু শ্রেনি থেকে শুরু করার কিন্তু সুযোগ নেই। মজা পেলাম খুব।

২১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫

বাগান বিলাস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আদর্শ লিপি আমার পড়া হয়েছে কিন্তু সেভাবে অনুধাবন করা হয়নি। ইস, আজ যদি আদর্শ লিপি আমাদের সকলের অনিবার্য পাঠ্যক্রম হতো তাহলে হয়তো সমাজটা অন্যরকম হতে পারতো।
ভালো থাকুন।

৩| ১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

দেলাওয়ার জাহান বলেছেন: অসাধারণ একটা লেখা। ইনার মিনিংটার জোরেই টিকে যাবে। ভালো থাকবেন।

২১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩২

বাগান বিলাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

৪| ১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩

রুরু বলেছেন: আগে পড়তাম ' অ তে = অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করো
আ তে= আলস্য দোষের আকর।

আর এখন?
ইদুর ছানা ভয়ে মরে।
অজগর আসছে তেরে।
ঈগল নাকি ছু মারে

২১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৩

বাগান বিলাস বলেছেন: ঠিক বলেছেন। শেকড়টা সতেজ ও প্রানধারী হওয়া দরকার। ধন্যবাদ জানবেন।

৫| ১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:২৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: দারুন লিখেছে , বেশ ভালো লাগলো।

২১ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪

বাগান বিলাস বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.