নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয় জুড়ে শতেক ফুটো খড়-কুটোতে ঢাকা-- জীবন যেন গত্তে পড়া গরুর গাড়ির চাকা--- তরল জলে সরল পুঁটি মনমোহিনী আঁশ--- এক ঝিলিকেই কী সুখ দিলো, সুখ যেন সন্ত্রাস!

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর

আসুক শুভ্র সকাল, আসুক আবার শুদ্ধ সময়..

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প, শশাংকের একটি দুপুর।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:২৫

কি ব্যাপার বলতো ? চোখের ভাঁজে লাল কালির দাগ . উস্ক খুস্ক চুলে শ্যাম্পু দাওনি বোধয়। তোমার পিতা কন্ডিশনার কিনে দেয়নি? গালে কেমন জানি শ্যাওলা জমে গেছে। ম্লান হেসে প্রশ্ন করে গাঁজায় দম দেয়া শশাংক। রোমানা তখনও ওড়না চাপা দিয়ে বুক ঢাকছিল।কি যেন, কেন যেন নিস্পলক নিরর্থক চেয়ে থাকে শশাংক । গাঁজার শেষ টান দিয়ে আলপিন লিভ চকলেট মুখে দেয়।এমন সময় রোমানা ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ডেইরি মিল্ক বাড়িয়ে দেয় শশাংকের দিকে। আহা লাগবেনা। গাঁজার সাথে আলপিন লিভই যথেষ্ট। ডেইরি মিল্ক নেশার অপমান করে।



লাল টকটকে চোখে দগ্ধ হয়ে বুজে থাকে অনেকক্ষন শশাংক। তারপর আবার চোখ মেলে দেখে রোমানা তখনও চেয়ে আছে। একি ঝামেলা ! মেয়েটি কথা বলে না কেন? আজ ছুটির দিন, সাড়া দিন অর্ধ ভোজন আর ঘরে বসে একাকি শুকিয়ে পরার দিন।শশাংক মনে মনে চেয়েছিল একাই থাকবে আজ সাড়াদিন, একাই তার ভালো লাগে।এর মধ্যে সকাল ফুরাতে, ফুরাতে হাজির রোমানা। হাতে শাহবাগীয় গোলাপ, সদ্য প্রয়াত ফাষ্ট ফুড বার্গারের গন্ধ, সাথে 'আসা গিক কেন্ডালা আর জন পেমবার্টন' এর কোকা কোলা; এ এক আজব জিনিষ। সব কিছুতেই মানায়। পানি অথচ পানি নয়।



রোমানা শশাংকের ছাত্রী,যদিও বয়সে প্রায় সমান তারা। কম্পিউটার এর নতুন কি যেন পাইথন এসেছে বাজারে তাই শিখতে আসা রোমানার। কিন্তু তা হলে শশাংকের ইনিষ্টিটিউটইতো রয়েছে বাবা। ছুটির দিনে এইসব ছাত্রীদের আদিখ্যাতা ভালো লাগেনা। আসলে মেয়ে জাতটা দূর থেকেই সুন্দর কাছে আসলেই নর্দমার গন্ধ লাগে শশাংকের।



কি ব্যাপার রোমানা কিছু বলছ না যে? তোমাকে আমার ফ্ল্যাটের ঠিকানা কে দিল? নিশ্চুপ; ঠিক আছে বলোনা। ওকে তুমি যখন আসলে তাহলে চুপ চাপ বসে কেন? শোন রোমানা আমি বাসায় কাউকে এলাউ করিনা , পড়ানো তো বহুত দূর কি বাত। এ আমার ছুটির দিন, নিজের একান্ত আস্তানা।তুমি জান আমি দশ বছর আমার বাড়ীতে যাইনা। ধর্মবতার বলতে তোমরা যাকে জান সে আমি গাঁজা খাই। ড্রাগ নিতে আমার ভালো লাগে। সামজিক নিশেধ সত্বেও নিতান্ত অপারগ হয়ে তোমার সামনে শিব শংকর খেলাম। এ নিয়ে বাইরে বলতে পার কিস্সু হবেনা। আই ডোন্ট কেয়ার। গাঁজা খেলে মানুষ এমনিই বেশি কথা বলে। কি বলবে বল আর না হয় যাও, আমার সামনে থেকে যাও , দূর হও। স্যারি টু স্যা ড্যাট। বসে রইলে যে । ওকে কবিতা শোন এর পর যে জাহান্নাম থেকে এসেছ সেখানেই ফিরে যাও .. কবিতাটি বনপ্র ন্ধুব থনা নামক এক ভুটিয়ার কবিতা.. তাহলে শোন......



যেখানে ছুঁয়ে যায় দু দুটি যুগের মধ্যখান,

সেখানে বেঁকে বসে ঈশ্বরী দানবী,

হুংকার আর কামনা বলে ওঠে

একি ছিল উদভ্রান্ত জননী?



বেঁচে থাকার মাঝে আরেক মৃতু্

লাল মাটিতে দাফন হবে শরীর

একটু একটু করে খুবলে খাবে মাটির দানব

অংগ যখন বস্রহীন পরবর্তী প্রজন্ম নির্বাসন



জন্ম আর জন্মতিথী কাঁদছে সেদিন

লুকিয়ে ছিল আমার ঘরে আমার প্রাগকথন,

লুকিয়েই ছিল আমার জীবাশ্ব, শুক্রানু

কবিরাজের বালাই সার, ভালবাসা জীবন্ত।





অপলক দৃষ্টি থেকে রোমানা নিজেকে ফিরিয়ে নেয়। চোখে তখন অন্য চোখ, কামনার চোখ। এ চোখ শশাংকের জানা আছে। সোজা বাংলায় রসময় গুপ্তের কামুক চোখ। মেয়েদের কামুক চোখ সাংঘাতিক। এটা শশাংক বোঝে। শশাংক গাঁজা খোর হতে পারে কিন্তু চরিত্রহীন লম্পট না।



রোমানা ঐতিহাসিক কেদারা থেকে বিছানায় বসে। জোর করে ঠেলে দেয় শশাংককে। হাত ধরে যেন কোন কাল বেলা, এর পর আচানক বলে ভাইয়া তুমি তো হাত দেখতে জান তাইনা। তুমি আমার হাত দেখে বল আমার ভাবিষ্যত কি ? এখন থেকে পরবর্তী ভবিষ্যত?



গগনে গরজে শশাংক বলে ওঠে দেখ রোমানা আমি কাওসার আহমেদ চৌধুরী নই যে ভবিষ্যাত বলব।তোমার ওড়না ঠিক কর, ডান স্তন দেখা যাচ্ছে।বেয়াদবী আমি পছন্দ করিনা। রোমানা বিক্ষুব্ধ চোখে চেয়ে থাকে । ওড়না ছুড়ে দেয় মাটিতে । নিজেকে পিশতে থাকে শশাংকের মাঝে। ঘুর্নিঝড়, টর্নেডো চলতে থাকে, চিতকার করে বলতে থাকে রোমানা এই পৃথিবীতে চরিত্রবানের স্থান নেই। আমি বানাবো শশাংক তোমাকে আমার মত করে।তারপর স্বাধীনতা আটকে যায় বোধহীন স্বাধীনতায়। রোমানা আচমকা খুঁজে পায় পৃথিবীতে পুরষ আর নারী ছাড়া শশাংকরাও থাকে, এ যে অন্য মানুষ!









গল্পটি তার জন্য যে একদিন প্রতিদিনের রোজগারের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতো শান্তিনাগর ওভার ব্রিজে. আমাকে ভাইয়া বলে ডেকেছিল , আপনাদের ভাষায় সে হিজড়া.....



ছবি: pj lynch gallery থেকে নেয়া

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫০

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:


আবার পরমুকিনা বুজতাছিনা।
ব্যাপারটা পুরা HD প্রিন্ট না।
আরেকটু ক্লেয়ার করা যায়না???????????

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫৪

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: যায় ... তবে একটু সহজ করেই বলছি... আমার আগের লেখা গুলো আরেকটু ঘোলাটে... এটাতো সহজ সরল অংক... ধন্যবাদ বাংলা ভাই...

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫০

ব্লগার রানা বলেছেন: খুব ভাল লাগলো,,, পৃথিবীতে পুরষ আর নারী ছাড়াও শশাংকরাও থাকে,,,

গল্প বলার ভঙ্গিমাটা সুন্দর +++

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:৫৫

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক ব্লগার রানা... আপনি গল্পটা পড়েছেন....

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:২৫

0গাংচিল বলেছেন: ++++++

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: ধন্য হলাম...

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪০

কালোপরী বলেছেন: গাঁজা খাওয়া ভাল না :(

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: জানি.. পৃথিবীটাই নষ্ট.. গাজা খাওয়া খারাপ.. তবে যারা ফ্রাস্টেড তাদের এটা মহা মেডিসিন.. বি:দ্র: আমি গাঁজা খাইনা...

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পটা অন্যরকম । ভালো লাগলো ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: পাঠে ধন্যবাদ.. শুভকামনা...

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: শশাংকদের জন্যে শুভকামনা রইলো। তারা ভালো থাকুক। এটা আপনার প্রথম গল্প? ভালো লেগেছে। আরো লিখুন।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: গল্পকার হাসান ভাইয়ের মন্তব্য খুবই দরকার ছিল... না মাঝে লেখার চেষ্টা করি.. নোটবুকে কিছু কিছু আছে.. হুম ব্লগে এটাই প্রথম .... ধন্যবাদ হাসান ভাই..

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

রাইসুল সাগর বলেছেন: চমৎকার লাগলো। অনেক দিন পর আসলাম। কেমন আছেন।

শুভকামনা সব সময়।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪০

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাইসুল ভাই... হুম অনেক দিন পর... কোথায় ছিলেন..

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪২

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আপনি যে গল্প লিখেন তা তো জানতাম না। গল্প ভালো লাগলো।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৯

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: কোন লিখাই আমার দারা হয়না সরকার ভাই.. কিন্তু না লিখলে কেমন জানি লাগে.. প্রবাস জীবনের একাকিত্বের বন্ধু বলতে পারেন...

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

নস্টালজিক বলেছেন: গুড এফোর্ট, তুহিন লা!

গল্প লিখতে লিখতে লেখা নিশ্চয়ই আরো শার্প হবে! তবে আমার মতামত হলো তুমি বাক্য গঠনে আর একটু যত্নবান হও। আর লেখা শেষ করে মনোযোগ দিয়ে রিভাইস দিও।

লেখকের জন্য রিভাইস-টা দারুন ইফেক্টিভ ফর বেটার রাইটিং!


তোমার জন্য শুভেচ্ছা নিরন্তর!

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৪

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: ঠিক আছে রানা ভাই তথাস্তু... আমি দেখবো বারে বারে দেখব.. প্রবলেম হচ্চে আমার কিছু কিছু বাংলা শব্দ আসেনা বিজয় তে.. তার উপর অভ্র তে আমি লিখতে পারিনা... বাক্য গঠন একটা গুরুত্বপূর্ন বিষয় .. কিন্তু আমি কেমন জানি কনফিউস্ড হয়ে যাই...
সব চেয়ে বড় সমস্যা বই পাচ্ছিনা পড়ার জন্য.. এক ছোট ভাই আমার লাইব্রেরী কার্ড নিয়ে ৬ টা বই নিসে হোয়াইট চ্যাপেল লাইব্রেরী থেকে .. আজো দেয়নি .. প্রায় ২৫০ পাউন্ড জরিমানায় আছি...মেজাজ মনে করেন চরমে.... বলিতে পারিতেছিনা সহিতেও পারিতেছিনা... হা হা হা...

১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০১

ভিয়েনাস বলেছেন: শশাংকরা আমাদের মতোই মানুষ। আমরা যেন তাদের অব হেলার চোখে না দেখি।

গল্পে ভালো লাগা জানালাম :)

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩০

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস সময় নিয়ে পড়ার জন্য....

১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

জুন বলেছেন: অন্যধরনের গল্প গতানুগতিক নয় ভালোলাগলো তুহিন ।
+

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৪

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: আপু,,, আমি বুঝতেছি.. আমার লেখা হয়না... কিন্তু না লিখলে ভালো লাগেনা আপু... তারপরও আপনি পড়েছেন ধন্যবাদ ... শুভ কামনা অনেক...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.