নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে এসো বন্ধু হতে

যে কোনো মহৎ সৃষ্টির পেছনেই থাকে একটি তীব্র অসহায়বোধ। আর যাঁরা প্রতিভার অধিকারে এই প্রবাহকে বাস্তব অবস্থানের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারে ‘তারা-ই জয়ী’। আর সেজন্যই তাঁর তৈরি যে কোনো সৃষ্টিই কালোত্তীর্ন। আমার তৈরি সৃষ্টির মধ্যে আমি এটাই খুঁজি।

সুব্রত সামন্ত (বুবাই)

স্বাগতম

সুব্রত সামন্ত (বুবাই) › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাতী নক্ষত্রের দেশে , আমার উপাসনা

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

একবুক দূরে, নীল স্বাতী নক্ষত্রের দেশ।

আর সামনের দিকে পা বাড়ালেই

আবহমানকালের সেই হৃদয় মোচড়ানো মাথাব্যথা এবং মরীচিকা।

কলেজে আমার তখন কাকতাড়ুয়া তৃতীয়বর্ষ ;

উপাসনা রায় আরো দু’বছরের পিছনের ঝোপের বিন্দুতে দাঁড়িয়ে

দু’চোখে দ্বীপ রেখে লতা-পাতায় চিত্রার্পিতা হতে চায়।



এরপর থেকেই ক্রমশ দ্রুত মূর্তিমতী হয় ; নিঃসঙ্গতার নদী।

সম্ভব হয় ; নক্ষত্র জয়।

যখন—

হঠাৎ একদিন আসে তার উড়ো আকাশে আমার নেমন্ত্রণ।



তখন, সে শরীর উপুর করা একটি পাতলা-নীল বর্ণচোরা খাতা।

তখন, আমি খুব সহজেই—

সেই খাতার পাতার উপর ভিনদেশী নৌকার মতো

অনভিজ্ঞতার কাঁটা-কম্পাস নিঙড়ে নিজেকে ভাসাই।



সেই জলকন্যা তখন

ঝর্ণামাপিক বৃষ্টিসমাচার হয়ে এতটাই বেপরোয়া কস্তূরীমৃগ ;

তার উপদ্রুত অঞ্চলে পা না রেখেই আমি হই ইত্যাকার উত্তরীয়।

যদিও লাইভ-কাস্ট ছায়াময় ঘরে সে সুগন্ধের মতো বর্ধিত অস্থির।

বাতাসের বংশীঠোঁটে শুকনো পাতার মতো বারবার অবারিত উড়ে যায়।

তবুও একদা—

হঠাৎ বৃষ্টিতে হারিয়ে যায় সবুজ-জটিল উপত্যকা।



তারপর সময় সময়ের মণ্ডপে এসে ; ঘোর পিশাচী হয়।

আজ মুখ ফিরিয়ে হাঁটে উপাসনা সান্যাল।



আমি আজো ভেসে থাকি ;

হলুদ পাতামোড়া প্রচ্ছদের ভিতর

ভাঙা চিড়-খাওয়া শব্দের না হয়ে ওঠা কিছু পঙ্‌তিমালায়







সুব্রত সামন্ত

০৯।০৮।২০১৪

মানামা, বাহ্‌রাইন।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.