নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাগতম
একবুক দূরে, নীল স্বাতী নক্ষত্রের দেশ।
আর সামনের দিকে পা বাড়ালেই
আবহমানকালের সেই হৃদয় মোচড়ানো মাথাব্যথা এবং মরীচিকা।
কলেজে আমার তখন কাকতাড়ুয়া তৃতীয়বর্ষ ;
উপাসনা রায় আরো দু’বছরের পিছনের ঝোপের বিন্দুতে দাঁড়িয়ে
দু’চোখে দ্বীপ রেখে লতা-পাতায় চিত্রার্পিতা হতে চায়।
এরপর থেকেই ক্রমশ দ্রুত মূর্তিমতী হয় ; নিঃসঙ্গতার নদী।
সম্ভব হয় ; নক্ষত্র জয়।
যখন—
হঠাৎ একদিন আসে তার উড়ো আকাশে আমার নেমন্ত্রণ।
তখন, সে শরীর উপুর করা একটি পাতলা-নীল বর্ণচোরা খাতা।
তখন, আমি খুব সহজেই—
সেই খাতার পাতার উপর ভিনদেশী নৌকার মতো
অনভিজ্ঞতার কাঁটা-কম্পাস নিঙড়ে নিজেকে ভাসাই।
সেই জলকন্যা তখন
ঝর্ণামাপিক বৃষ্টিসমাচার হয়ে এতটাই বেপরোয়া কস্তূরীমৃগ ;
তার উপদ্রুত অঞ্চলে পা না রেখেই আমি হই ইত্যাকার উত্তরীয়।
যদিও লাইভ-কাস্ট ছায়াময় ঘরে সে সুগন্ধের মতো বর্ধিত অস্থির।
বাতাসের বংশীঠোঁটে শুকনো পাতার মতো বারবার অবারিত উড়ে যায়।
তবুও একদা—
হঠাৎ বৃষ্টিতে হারিয়ে যায় সবুজ-জটিল উপত্যকা।
তারপর সময় সময়ের মণ্ডপে এসে ; ঘোর পিশাচী হয়।
আজ মুখ ফিরিয়ে হাঁটে উপাসনা সান্যাল।
আমি আজো ভেসে থাকি ;
হলুদ পাতামোড়া প্রচ্ছদের ভিতর
ভাঙা চিড়-খাওয়া শব্দের না হয়ে ওঠা কিছু পঙ্তিমালায়
সুব্রত সামন্ত
০৯।০৮।২০১৪
মানামা, বাহ্রাইন।
©somewhere in net ltd.