নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাগতম
মাথার মধ্যে একরাশ চিত্রিত এবং বর্ধিত হাতছানির তাড়া নিয়ে
রক্তমাখা দীর্ঘ-বিরতি শেষে
আমি আমার সাতপুরুষের স্বর্গীয় ভিটেতে ফিরছি।
রিক্সা থেকে উদ্যত পা রাখতে না রাখতেই
অতৃপ্ত-অসমাপ্ত গানের মতো হাট্ খোলা বিষন্ন দরজাটা
আমার চিরকুমার পা জোড়াকে ভেতরে টেনে নিল।
আর পায়ের নীচে পড়ে থাকা শুকনো পাতারা ধ্বনিত হয়ে
আমার খবর আশে-পাশের সবাইকে জানিয়ে দিল ;
যার ফলস্বরূপ : এক কোনে শুয়ে থাকা অলস অপরিচিত বিড়ালটা
একমুঠো ব্যস্ততম মুহূর্তকে চারপায়ে মেখে এইমাত্র রঙমশাল হল।
আর ঘরের দেওয়ালের নিসর্গ ঊরুদ্বয়ে দেখলাম
ছোপ ছোপ ঘন-কালো শাওলার দুঃসাহসিক রকমের নির্লজ্জ আদর।
তবে উঠানের পাশে কালসাক্ষী সজনে গাছটা কিন্তু তেমনই আছে
যার কোলের উপর আজো আছে তুলসীমঞ্চ।
শুধু পাঁচিলের পাশে হঠাৎ বালিকা থেকে কিশোরী হয়ে ওঠা সুপারী গাছটাকে
এতক্ষণ চোখে পড়ে নি।
যেটা পুরানো নারকেল গাছের সমান হয়ে
ভাগাভাগি করে নিচ্ছে এই এলাকার রোদ ও আনন্দ।
কিন্তু ঘরের ভিতর প্রবেশ করতেই
একটা প্রবল গন্ধ ও মায়া খুব অনুভব করলাম।
যেটা নতুন প্রেমে পড়া একটা ছেলের
মেয়ের বাড়ির সামনে ঘুর ঘুর করার মতই।
সুব্রত সামন্ত
১৪।০৮।২০১৪
মানামা, বাহ্রাইন।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১১
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: বুবাই সত্যি চমৎকার লিখেন । ভাল থানুন সব সময় ।