নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলে এসো বন্ধু হতে

যে কোনো মহৎ সৃষ্টির পেছনেই থাকে একটি তীব্র অসহায়বোধ। আর যাঁরা প্রতিভার অধিকারে এই প্রবাহকে বাস্তব অবস্থানের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারে ‘তারা-ই জয়ী’। আর সেজন্যই তাঁর তৈরি যে কোনো সৃষ্টিই কালোত্তীর্ন। আমার তৈরি সৃষ্টির মধ্যে আমি এটাই খুঁজি।

সুব্রত সামন্ত (বুবাই)

স্বাগতম

সুব্রত সামন্ত (বুবাই) › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা প্রতিমার স্ট্যাচু /PART

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮

ঋ— আজ আমাকে একটা কবিতা শোনাও না রজত। কতদিন হল তোমার মুখ থেকে কোনো কবিতা শুনি নি।
সু— কি যে বল না ! এটা কি কবিতা পড়ার সময় ? আর তাও কিনা আবার এই ফোনেতে ?
ঋ— হ্যাঁ ফোনেতেই। আমি কোনো বাহানা শুনবনা রজত, আমাকে আজ একটা কবিতা তোমাকে শোনাতেই হবে।
সু— ঠিক আছে কবিতা না শুনে সরাসরি রণচণ্ডী হবে যখন তবে একটা কবিতা শোনাচ্ছি, শোনো ;
কবিতা প্রতিমার স্ট্যাচু (ম-১৫) (পুরুষকণ্ঠ)

কবিতা :
আকাশ চোখে নিয়ে ; ঘাস ছুঁয়ে—ইনিয়ে-বিনিয়ে খালি পায়ে হাঁটা।
কারোর আসবার খুশির খবর পাওয়ামাত্রই
নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে উৎসুক হয়ে স্টেশনে গিয়ে
প্রহরহীন অস্থির-কাতর বসে থাকা।
হঠাৎ অজানা-এক ইচ্ছাতে পড়ে শুধু শুধু বৃষ্টিতে বহুদূর ভেজা।
কিছু কিছু বৈঠকি মুখের সাথে নিয়ত যোগাযোগ রাখবার উত্তুঙ্গ-উতল নেশা।
অনেক স্মৃতি-স্বপ্নে গড়া সবেমাত্র একটা মুহূর্তকেই
স্বপ্নের আমদানিতে আরো অন্যসব না ফুরানো মুহূর্তে ধরে রাখা।

কবিতা :
প্রয়োজনে যখন-তখন মুঠোভরা মহান-দামিনী হাত।
চাইবামাত্রই পাতে পড়া প্রচণ্ড গরম ভাত।
কারো কোনো শাসন-বারণ না মানা... মোহভরা আম কুড়ানো ঝড়ের রাত।
কৈ মাছের প্রাণ ; অবিরাম বিনামেঘে-বিনাঝড়ে বজ্রপ্রপাত।
বামুনদের পুকুরের বেড়া ভেঙে দিয়ে বাগদিদের ছাড়া হাঁস।

কবিতা :
দাদাকে বউদির বিখ্যাত-নিলজ্জ আদর, চুপিচুপি বলে দেওয়া
বাহির-ভিতর স্বপ্নে গোছানো যাবতীয় সব কথা।
মায়ের কোলে বাবার আদরে আমার সেই দারুণ ভালোলাগা কবেকার ছেলেবেলা।
আইবুড়ো মন-উচাটন মেয়ের কৌশলে লুকিয়ে-চুপিয়ে ছেলে দেখা।
বারবার সবকিছু বলার পরেও— আবার অনেক কিছুই সরাসরি বাকি থাকা।
দামাল উপকূলের দোলাচল টপকে মাঝ-মাঝ সমুদ্রে নিথর হয়ে আসা।

কবিতা :
হঠাতই ছড়িয়ে পড়া ঝড়ে দলা মাঠে, তুমুল ফসলের রাশ।
খুব ছেলেবেলা থেকে শুনে আসা আমাদের একান্ত পারিবারিক কিছু
গুরুতর সমস্যা এবং সংস্কার।
দুড়ুদুড়ু বুকের সবটুকু উপকূলজুড়ে অবস্থিত
বোবা উড়ো কথায় তালগোল পাকানো অনিঃশেষ সংগ্রহশালা।
আমার মেয়ের লাজুক-ইতস্তত হাতে জামাইয়ের আগাম পাঠানো হৃদয় ছেচা উপহার।
চালচুলোহীন বোকাটে একলা ছেলের নিঃস্বার্থ-বেহিসাবি দেশসেবা।
বউয়ের নিজের হাতে সাজানো ঘরদোরে আমার বিষম বেয়ারা অসভ্যতা।

কবিতা :
একহাতে ছুঁড়ে ফেলে, অন্য হাত দিয়ে ঠিক ধরা
আর ক্রমাগত ধরে থাকা।
‘কবিতা আবার আসব’ এই কথা দিয়ে যাওয়া। ******

— কি হল এভাবে চুপ করে আছো যে, কবিতা কেমন লাগল বলবেনা ?
ঋ— এতে নতুন করে আমার আর কি বলার আছে। তোমার কবিতা বরাবরের মতো খুব ভালো লেগেছে মশাই। তুমি এখনো আগেরই মতো কবিতা পড়তে পারো।
সু— ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। তবে শুধু ভালো লাগলেই হবে না। পুরস্কারও দিতে হবে।
ঋ— ঠিক আছে বল কি পুরস্কার চাও ?
সু— দেবে তো ?

রচনাটি "কাল সারারাত বৃষ্টি হয়েছিলো" অডিও সিডি থেকে নেওয়া হল।
সিরিজ- আজ কবিতারা কথা বলবে পার্ট-০১।

খানাকুল, হুগলি, পশ্চিমবাংলা, ভারত।/manama, bahrain

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.