নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মেডিকেলেএসিসটেন্ট, আমার কোরআন ও হাদীস জানার খুব শখ.আমার উস্তাদশাইখুল ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রঃ) আল্লামা আবু জাফর( সাবেক সাইখুল হাদীস দেওবন্দ ভারত)শাইখুল হাদীস আল্লামা জাহীদুল ইসলাম ,দেওবন্দ(সাবেক প্রীন্সীপাল খাড়াকান্দী মাদ্রাসা)মুফতী ওমর ফারুক,

মো: আজাদ আবুল কালাম

ব্যবসা

মো: আজাদ আবুল কালাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

COMMON CBC BLOOD TEST(ANY PRESCRIPTION)

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১

সিবিসি (CBC) টেস্ট কী এবং কেন করা হয়?
.......................
চিকিৎসকগণ নানা সময়ে রোগীদের ব্লাড টেস্ট করতে দেন। এসব ব্লাড টেস্টের মধ্যে থাকে সিবিসি বা কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট- CBC Test (Complete blood count ) । আর এই সিবিসি টেস্ট করে দেখা হয়, ব্লাড সেল টাইপ এবং ব্লাড সেলের কাউন্ট বা পরিসংখ্যান। এসব দেখে চিকিৎসকগণ বুঝতে পারেন ব্লাড সেল স্বাভাবিক কিনা। এই ধরনের টেস্ট করে বুঝা যায়, শরীরে কোনো ইনফেকশন আছে কিনা, রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কত ইত্যাদি ইত্যাদি।
কমপ্লিট ব্লাড টেস্ট রক্তের বিভিন্ন উপাদান ও বৈশিষ্ট্য গণনা করে যার মধ্যে রয়েছেঃ
• লোহিত রক্ত কণিকা যেটা রক্ত বহন করে,
• শ্বেত রক্ত কণিকা যেটা জীবাণুর সাথে যুদ্ধ করে,
• হিমোগ্লোবিন, রক্তে অক্সিজেন বহনকারী প্রোটিন,
• প্লাটিলেটস, রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।
আরবিসি (RBC) বা রেড ব্লাড সেল:
রেড ব্লাড সেল বা লোহিত রক্ত কণিকার কাজ হচ্ছে ফুসফুস থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করে কোষে পৌঁছে দেয়া এবং কোষ থেকে দূষিত কার্বনডাই অক্সাইড বহন করে ফুসফুসে নিয়ে যাওয়া।
আমাদের জানতে হবে কি কি কারনে বা কোন কোন অসুখে এই সকল পরিমাপকের কি কি পরিবর্তন হতে পারে, যেমন-
• রেড ব্লাড সেলের নরমাল ভ্যালু হচ্ছে প্রতি মাইক্রোলিটারে ৩.৫ থেকে ৫.৫ মিলিয়ন সেলস । রেড ব্লাড সেল কম থাকলে অ্যানিমিয়া হতে পারে। আর রেড ব্লাড সেল বেশি থাকলে ধরা হয় পলিসাইথেনমিয়া।
• হিমোগ্লোবিন: লোহিত-কণিকার একটি প্রয়োজনীয় অংশ হল হিমোগ্লোবিন। হিমোগ্লোবিনই অক্সিজেনকে বহন করে এবং লোহিত-কণিকার রক্তবর্ণের জন্য দায়ী। পরীক্ষায় হিমোগ্লোবিনের পরিমান সাধারণভাবে নির্দেশ করে দেহ কতটা অক্সিজেন পাচ্ছে। হিমোগ্লোবিনের নরমাল ভ্যালু একজন মানুষের বয়স ও লিঙ্গের উপর নির্ভর করে। তবে ল্যাব ভিত্তিক ফলাফল এদিক সেদিক হয়ে থাকে। তবে ধরে নেয়া হয় পুরুষের নরমাল ভ্যালু হচ্ছে ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম পার ডেসিলিটার আর মহিলাদের ক্ষেত্রে ১২.৫ থেকে ১৫.৫ গ্রাম পার ডেসিলিটার। এই ভ্যালুর চেয়ে কম হলে অ্যানিমিয়া হয়ে থাকে।
• হেমাটোক্রিট :লোহিত কণিকা রক্তের কতটা অংশ (ঘনায়তন বা volume-এর মাপে) জুড়ে আছে সেটি বোঝাতে এটি ব্যবহার করা হয়। এটি মাপা হয় শতাংশ বা পার্সেন্টেজ হিসেবে। যদি হেমাটোক্রিট ৪০ বলা হয়, তার মানে রক্তের ঘনায়তনের ১০০ ভাগের ৪০ ভাগ লোহিত কণিকাপূর্ণ।
• এম সি ভি(MCV)- প্রতিটি লোহিত রক্ত কণিকার স্বাভাবিক আয়তন বোঝা যায়।
• এম সি এইচ সি(MCHC)- প্রতিটি লোহিত রক্ত কনিকার মধ্যে হিমোগ্লোবিনের ঘনত্ব নির্দেশ করে।
• এম সি এইচ (MCH)- প্রতিটি লোহিত রক্ত কনিকার পরিমান নির্দেশ করে।
চলুন এখন জানা যাক অ্যানিমিয়া্র কারনসমূহ:
আমাদের দেশে প্রধান অ্যানিমিয়ার কারন হল
- আয়রনের ঘাটতি। (iron deficiency)
- থ্যালাসেমিয়া
- কৃমি
- পরিমানমত রক্ত তৈরি না হওয়া
- দীর্ঘ মেয়াদী কোন অসুখ থাকলে
- ব্লাড ক্যানসার হলে
- অপুষ্টি
- অর্শ, গেজ, অন্ত্রে ক্যানসার থাকলে
- দীর্ঘ দিন রক্ত ক্ষরণ হলে যেমন- দীর্ঘ মাসিক, পাইলস
আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত অ্যানিমিয়ার কারন হলো আয়রনের ঘাটতি, যেটা মহিলাদের সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। আসুন এখন আলোচনা করা যাক আয়রনের ঘাটতি কেন হয় সেটা নিয়ে। আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি তিন ধরনের হতে পারেঃ
- কম আয়রন জাতীয় খাদ্য গ্রহন,
- অন্ত্র হতে শরীরে আয়রন কম শোষিত হওয়া,
- ব্লাড ক্ষয় হওয়া।
কম আয়রন জাতীয় খাদ্য গ্রহন:
আমাদের দেশের বেশিরভাগ মেয়েরাই আয়রনের ঘাটতিতে ভোগে। আর এই আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো আয়রন জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়া। কোন কোন খাবারে আয়রন বেশি আছে সেটি পরীক্ষা করার একটি সহজ উপায় আছে। উপায়টি হলো, যে সকল খাবার কেটে রাখলে কিছুক্ষণ পর কালো হয়ে যায় বুঝতে হবে সেসকল খাবারে আয়রন আছে যেমন, বেগুন, কচুশাক, কাঁচকলা, আপেল ইত্যাদি। এছাড়াও গরুর কলিজা, মাংস, দুধ, ডিম, পাকা কলা ইত্যাদি এগুলোতে আয়রন আছে।
অন্ত্র হতে শরীরে আয়রন কম শোষিত হওয়া:
যদি অন্ত্রে কৃমি থাকে বা কোন অসুখ থাকে তাহলে সেগুলো লৌহ শোষণে বাধা দেয়।
ব্লাড ক্ষয় হওয়া:
মেয়েদের যেহেতু প্রতি মাসে রক্ত ক্ষয় হয় তাই রক্ত স্বল্পতার ঝুঁকি থাকে। তবে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে রক্ত ক্ষরণ বেশি হলে অথবা আয়রন জাতীয় খাবারের ঘাটতি থাকলে অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি থাকে। আর এইজন্য মেয়েদের বেশি বেশি আয়রন খাওয়া উচিত। এছাড়াও খাদ্যনালী, শ্বাসনালী, মূত্রনালি হতে রক্ত ক্ষরণ হলে রক্ত স্বল্পতা হতে পারে।
(চলবে)


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২০

রাজীব নুর বলেছেন: রোগ শোক আমার একেবারেই পছন্দ না।
ডাক্তারের কাছে গেলেই নানান টেস্ট। পানির মতো টাকা খরচ হয়।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আবদ্ধ বলেছেন: অনেক দরকারি তথ্য জানলাম।ধন্যবাদ...

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

আবু বকর সিদ্দিক রাফি বলেছেন: কিছুদিন আগেই ব্লাড টেস্ট করালাম। wbc এর পরিমাণ দেখাল 16000/cumm. ডক্টর দেখে তো প্রায় আঁতকে উঠল। পরামর্শ মোতাবেক ১ সপ্তাহর এন্টিবায়োটিক চালিয়ে যাচ্ছি।

৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: খুবই উপকারী পোষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.