নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৌশলি বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি এবং যা বুঝি তাই নিশ্বঙ্ক চিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি যা বুঝি তা নিশ্বঙ্কচিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাহাজ চলাচলের জন্য নির্মিত খালগুলো(Ship canal)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০

সেই প্রাচিনতম কাল থেকে মানুষ সমুদ্রে পন্য এবং অন্যান্য পরিবহনের কাজে জাহাজ ব্যবহার করছে। আর এই জাহাজ চলাচলের জন্য নির্মান করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা। এর মধ্যে প্রধানতম একটি হচ্ছে কৃত্তিম খাল নির্মান করা। এই খাল গুলো নির্মান করা হয় মুলত জাহাজ পরিবহনের জন্য যার করনে এগুলো যথেস্ট গভির এবং প্রসস্ত করে নির্মান করা হয়। আরো কিছু কারন আছে যেমন

১) জাহাজ গুলো চলাচলের জন্য একটি সর্টকার্ট তৈরি করা যাতে সময় এবং জ্বালানী দুটোই বাচানো যায়।

২) দুট স্থল বেষ্টিত জলভাগের(হ্রদ, সমুদ্র) মধ্যে লিংক তৈরি করা।

৩) একটি সাগর থেকে আর একটি সাগরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য।

৪) এবং অবশ্যই আর্থিক ভাবে লাভবান হবার জন্য।

এর মধ্যে কিছু কিছু খাল সমুদ্র পানির উচ্চতা থেকে অনেক বেশি উচ্চতায় থাকে। ফলে জাহাজকে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে খালের পানির উচ্চতায় উঠানোর জন্য একধরনের স্থাপনা ব্যবহার করা হয়। এদরেকে শিপলক বলা হয়।

পোস্ট পরার আগে আসুন লক সম্পর্কে একটু জেনে নেই।



লক হচ্ছে জাহাজ গুলোকে বেশি উচ্চতা থেকে কম উচ্চতায় নামানো বা উঠানোর জন্য নির্মিত একটি স্থাপনা। এগুলোতে পানির আর্কিমিডিসের সুত্রটি ব্যবহার করা হয়। প্রথমে জাহাজ গুলো কে একটি কম্পার্টমেন্টে প্রবেশ করানো হয়। তারপর তার পানির উচ্চতা হাইড্রোলিক প্রেসারের মাধ্যমে কমানো বা বাড়ানো হয় যাতে তা পরবর্তি কম্পার্টমেন্টের সমান উচ্চতায় আসে। আর এভাবেই জাহাজ গুলোকে এক উচ্চতা থেকে আর এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এবার দেখি খাল গুলো



১০) Welland Canal



এই খালটি কানাডাতে অবস্থিত। কানাডার লেক ওন্টারিও এবং লেক এরি এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। এর ঠিক পাশেই রয়েছে নায়াগ্রা ফল। ৪২ কিলোমিটার(২৬ মাইল) দির্ঘ এই মানুষ নির্মিত কৃত্বিম খালটি শুরু হয়েছে পোর্ট ওয়েলার এবং শেষ হয়েছে পোর্ট কোলবর্ন। কানাডা এবং আমেরিকার কাছে খালটির গুরুত্ব অপরিসিম কারন নায়াগ্রা ফলের মত এত উচু নিচু সারফেস সম্বলিত নদী জাহাজ চলচলের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই এটিই জাহাজ গুলো অতি দ্রুত এপার ওপার করার একমাত্র উপায়।



প্রায় ৪ কোটি টন পন্য প্রতি বছর এই পথে হাজার হাজার জাহাজের মাধ্যমে পরিবহন হয়। এর সর্ব দক্ষিন প্রান্ত যা লেক এরি তে অবস্থিত তা ৩২৬ ফিট উচু অন্য প্রান্ত থেকে। এই দুই প্রান্ত এর মধ্যে উচ্চতা এই বিশাল ব্যবধান এর কারনে ব্যাবহার করা হয় আটটি লক। এই লক গুলো বিশাল এই খালে বিভিন্ন অংশে উচ্চতা অনুসারে ছরিয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। মোট চারটি ধাপে এই খালটি কাটা হয়। William Hamilton Merritt প্রথম ১৮২৪ সালে তার watermill গুলো চালানোর জন্য এই খাল টি খনন কার্য শুরু করেন। ১৮২৯ সালে এই প্রথম অংশটি পরিক্ষামুলক ভাবে চালু করা হয়। এর পর ১৮৩৭ সালে দ্বিতীয় বার , ১৮৮৭ সালে তৃতীয়বার এবং ১৯৩২ সালে চতুর্থ বার এর কাজ করা হয় যা এখনও রয়েছে। এখন অবশ্য এর পন্চম ধাপের কাজ শুরু করার ব্যপারে পরিকল্পনা চলছে।



ছবিতে দেখানো হয়েছে খালটির দুই পাসের উচ্চতার পার্থক্য। এটিতে সর্বোচ্চ ৭৪০' লম্বা জাহাজ চলতে পারবে। এর গড় গভিরতা ৩৫ফিট। কোন জাহাজের উচ্চতা ১১৬ ফিট এর বেশি হতে পারবে না।



খালটির কিছু লক।



০৯) Manchester Ship Canal



৫৮ কিমি (৩৬ মাইল) লম্বা এই খালটির অবস্থান ইংল্যান্ডের উত্তর পশ্চিম দিকে লিভারপুল থেকে ম্যানচেস্টার পর্যন্ত। Edward Leader Williams খালটির ডিজাইনার। ৫টি লকের মাধ্যমে ৬০ ফিট উচ্চতা পর্যন্ত জাহাজ গুলোকে তোলা হয়। ১৮৮৫ সালে এর পরিকল্পনা শুরু হয়। ১৮৮৭ সালে মুল নির্মন কাজ শুরু হয়। ১৮৯৩ সালে পুরো খালটি কাটা সম্পুর্ন্ হয় এবং ১৮৯৪ সালে এটি জাহাজ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সর্বোচ্চ ৬০০ফিট বাই ৬৫ ফিট সাইজের জাহাজ এই খাল দিয়ে চলাচল করতে পারবে।।



তবে এই পুরো প্রযেক্টট ফেইল করছে। কারন উনিশ শতকে শুরু থেকে জাহাজ গুলো আর এই রুট ব্যবহার করছিল না।



০৮) Danube–Black Sea Canal



রোমানিয়াতে অবস্থিত। নাম শুনেই বুঝা যাচ্ছে খালটি দানিয়ুব নদি এবং ব্লাক সি ( কৃস্ন সাগর) কে সংযুক্ত করেছে। এই খালটিকে একই সাথে মৃত্যুর খালও বলা হয়। কেন সেটার কথা পরে আসছি। এই খালটি ইউরোপিয়ান জলসিমার একটি খুব গুরুত্বপুর্ন খাল যেটি উত্তর সাগর এবং কৃস্ন সাগরকে একত্রিত করেছে। খালটির প্রধান শাখা যেটি ৪০ মাইল লম্বা এবং পোর্ট Cernavodă পোর্ট থেকে Constanţa পর্যন্ত বিস্তৃত। এর নির্মান কাজ শুরু হয় ১৯৭৬ সালে এবং শেষ হয় ১৯৮৪ সালে। দ্বিতিয় শাখাটি যেটি ১৯ মাইল লম্বা এর কাজ শুরু হয় ১৯৮৩ সালে এবং শেষ হয় ১৯৮৭ সালে।



৪০ মাইলের প্রধান শাখাটি প্রায় ৪০০ কিলোমিটার এর ঘুরাপথ কমিয়েছে।

খালটির শেষ অংশ এত জটিল এবং ঝামেলা পুর্ন ছিল যে এর কাজ শেষ করতে ৯ বছর লেগেছে। মোট ৩৮ কোটি ১০ লক্ষ ঘনমিটার মাটি খনন করতে হয়েছে এবং ৫০ লক্ষ ঘনমিটার কংক্রিট এর ঢালাই লেগেছে। এর পধান শাখাটি ৩০০ ফিট প্রসস্ত এবং শাখাটি ১৫০ ফিট প্রসস্ত। প্রধান খালটিতে সর্বোচ্চ ৯৭১ ফিট বাই ৭৫ ফিট পর্যন্ত জাহাজ চলতে পারবে। তবে সাধারনি ৫০০ ফিট বাই ৫৫ ফিট এর জাহাজ গুলো চলাচল করতে পারে।



এই খালটি নিয়ে আছে একটি রক্তাক্ত ইতিহাস। রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক শয়তান স্টালিন তার ভ্রান্ত মতবাদ সমাজতন্ত্র রোমানিয়াকে গিলিয়েছিলেন। তার নির্দেশে ১৯৪৯ সালে মুলত এই খালটির কাজ শুরু হয়। তৎকালিন সমাজতান্ত্রিক রোমানিয়ান সরকার এটির উপর একটি বিল পাশ করে। তারা এর খরচ কমানোর জন্য রাশিয়া থেকে পুরানো ব্যবহৃত সব মেশিনারিজ আমদানি করে যার বেশিরভাগই ছিল অচল। এরপর তাদের হাতে গন হারে রাজনৈতিক বন্দিদের এই খালে জোরপুর্বক কাজ করানো শুরু করে। প্রথমে এর সংখা ছিল বিশ হাজার পরে এর সংখা হয় ৬০ হাজার এবং শেষ পর্যন্ত এর সংখ্যা গিয়ে দারায় ১ লক্ষতে। যেহেতু নির্মান মেশিনারিজ ছিল খারাপ তাই বেশির ভাগ কাজই হাতে করানো হত। এছারা এখানকার মাটি ছিল পাথুরে মাটি। এগুলো ভেঙে তা ভাঙা চুরা রাস্তা দিয়ে বহন করে অনেক দুর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া ছিল মানুষের জন্য অমানবিক একটা কাজ। এখানে বিপুল পরিমান মানুষ না খেতে পেয়ে, অতিরিক্ত শ্রমের কারনে, অসুস্থতায়, এবং গার্ডদের অকথ্য নির্যাতনের মারা গেছে। প্রচন্ড শিতের সময় সারা দিন না খেয়ে কাজ করার পর সারা রাতের শিতের তীব্রতায় অনেক মানুষ মারা যেতেন। ১৯৫৪ সালে এই প্রযেক্টটি বাতিল করা হয়। কিন্তু বন্দিদের মুক্তি মেলেনি। তারা আবার অন্যএকটি প্রযেক্টে ট্রান্সফার হন। ১৯৯২ সালে সমাজতন্ত্র মুক্ত রোমানিয়াতে এই ক্যাম্পের একজন বন্দি একটি বই লিখেন যার নাম ছিল " দ্য ডেখ ক্যানাল" বা মৃত্যুর খাল। কারন এখানে অনেক লাশ বিনা সৎকারে কমিউনিজমের সাথে দাফন দেয়া হয়েছে।X((X((X((( রাগ লাগেরে ভাই)



০৭) Panama Canal



এই খাল নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আটলান্টিক এবং প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে সরাসরি সংযোগস্থাপনকারি এই খালটির অবস্থান পানামা নামক ছোট একটি দেশে। ৭৭ কিলোমিটার(৪৮ মাইল) লম্বা এই খালট গুটান লেকের অংশে সমুদ্র সমতল থেকে ৮৫ফিট উচু। সর্বোমোট তিনটি লক চেম্বারের মাধ্যমে এই উচ্চতায় জাহাজ গুলো উঠানামা করে। এখন আবা এটা তৃতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হইছে।



বর্তমান পৃথিবীর পুরো অর্থনিতির একটি গুরুত্ব পুর্নো অংশ হচ্ছে এই খালটি। যে কারনে এর দখল নিয়ে চলেছে ঘৃন্য রাজনিতি। প্রথমে এই খালটির মালিক ছিল কলাম্বিয়ানরা, এর পর ফ্রেন্চরা এবং সর্বশেষ এবং এখন পর্যন্ত মালিক হচ্ছে বিশ্ব মোড়ল আম্রিকা। ফ্রেন্চরা ১৮৮৮ সালে এর আধুনিকায়ন এর কাজ শুরু করে। কিন্তু তারা এটি শেষ করতে পারেনি কারন মহামারির প্রাদুর্ভাবে প্রচুর লোকের মৃত্যু ঘটে। এর পর আম্রিকা ১৯০৪ সালে এটার কাজ আবার শুরু করে এবং ১৯১৪ সালে জাহাজ চলচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। ১৯১৪ সালে যেখানে বছরে মাত্র ১০০০ জাহাজ এখন দিয়ে পাস করত সেখানে ২০০৮ সালে ১৫০০০ এর উপর জাহাজ পাস করছে। এই খালটির রয়েছে একটি সুদির্ঘ ইতিহাস।



এবার আসি লকগেইট গুলোনিয়ে। এই লকগুলো বানানো হয়েছিল একটি নির্দিস্ট মাপের শিপের জন্য। এই শিপগুলো কে বলা হয়ে থাকে Panamax .

এই লকগুলো ৫৮ হাজার টন পর্যন্ত কার্গো শিপ পাস করতে পারে। প্রথমে এর পরিকল্পনা ছিল ৯৪ ফিট প্রসস্থ করে বানানোর। তবে ১৯০৮ সালে আম্রিকান নেভি তাদের যুদ্ধজাহাজ যাতে পাস করতে পারে সে জন্য এর প্রস্থ ১১৮ ফিট করার অনুরোধ করে। পরে শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয় প্রতিটি লক লম্বায় ১০৫০ ফিট এবং প্রস্থে ১১০ ফিট করা হবে। প্রতিটি গেট নিচের দিকে ৪৯ ফিট এবং উপরের দিকে ৯.৮ ফিট প্রসস্ত। গাটুনের সাথে সমান্তরালে যে ওয়ালটি আছে তার উচ্চতা ৮০ ফিটের মত। মোটামুটি একটা আটতলা বিল্ডিং এর সমান। আর প্রত্যেকটি লক ৬৬ ফিট উচু।



এবার আসি গাটুন লেক সম্পর্কে। এটি মানুষ নির্মিত প্রথম এবং সবচেয়ে বড় লেক। এই লেকটি নির্মিত হয়েছে ১৯০৭ থেকে ১৯১৩ সালের মধ্যে। এটি নির্মান করা হয় মুলত জাহাজ গুলোর নোঙর করার জন্য। প্রচুর পরিমান জাহাজ এই খানে জমা হয় এবং সব গুলো একসাথে পাস করতে পারেনা। তাই সবাইকে

এখানে নোঙর করে অপেক্ষা করতে হয়। যখন নির্দেশনা দেয়া হয় তখন তারা মুভ করতে পারে। লেকটি প্রায় ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুরে বিস্তৃত। এটি সমুদ্র পৃষ্ঠথেকে প্রায় ৮০ ফিট উপরে অবস্থিত।



বর্তমানে এর তৃতীয় অংশের নির্মান কাজ চলছে। এটি নির্মন হচ্ছে আমেরিকার নিমিত্তজ এবং নতুন আগত বিমান বাহি রনতরি গুলোর কথা মাথায় রেখে। আমি ভাবছি এগুলোর লক গেট গুলো কত বড় হতে পারে??

আপনার যদি একটা জাহাজ থাকে তাহলে এই সাইটে গিয়া সব ইনফো পাবেন।



০৬) Houston Ship Channel



এটি আমেরিকার টেক্সাসের হসটন এ অবস্থিত একটি জাহাজ চলাচলের খাল। এর দৈর্ঘ ৯০ কিলোমিটার এবং প্রস্থে ৫২৮ ফিট পর্যন্ত। এটি ১৮৩৬ সাল পর্যন্ত একটি সরু খাল ছিল যাতে সাধারন নৌকাতে করে পন্য সামগ্রি আনা নেওয়া করা হত। এর পরই শুরু হয় টেক্সাসের ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন। এতে একটি পোর্ট প্রয়োজন হয় ব্যাপক ভাবে। তাই হসটনে একটি পোর্ট স্থাপন করা হয়। এবয় এই খালটিকে ড্রেজিং করা শুরু হয়। প্রথমে এর গভিরতা ছিল ১০-১২ ফিট এর পর করা হয় ২৫ ফিট এবং শেষ পর্যন্ত ৪৫-৫০ ফিটের মত করা হয়।



এটি মুলত গালফ অব মেক্সিকো কে হসটন এর সাথে যুক্ত করেছে। এখান থেকে মুলত আমেরিকার বিশাল অর্থনিতির একটা বিশাল অংশ চলাচল করে। এখানে আমেরিকান নেভি, আর্মি এবং আরো বেশকিছু গুরুত্বপুর্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থার পোর্ট রয়েছে।





০৫) Kiel Canal



জার্মানিতে অবস্থিত। খালটি মুলত বাল্টিক সাগর এবং উত্তর সাগরকে একত্রিত করেছে। এই মুহুর্তে এই খালটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যাস্ত খাল গুলোর মধ্যে একটি। মুলত প্রচন্ড বিপদ সংকুল ডেনমার্ক উপকুলিয় পথ পরিহার করার জন্য তৎকালিন জার্মান সরকার ১৮৮৭ সালে এর কাজ শুরু করে। প্রায় নয় হাজার লোকের আট বছর লেগেছে ৯৭ কিলোমিটার লম্বা এই খালটি নির্মান করতে।



প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ঠিক আগে জার্মান নেভির অতিরিক্ত দৌরাদৌরিতে খালটিতে প্রচন্ড চাপ পরে এবং অনেক জাহাজ না ঢুকতে পেরে জার্মান সসস্ত্র বাহিনির মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দারায়। ফলে তাদের চাপে সরকার এটিকে আরো প্রসস্ত এবং গভির করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে যুদ্ধের সময় জার্মানরা বিশাল সুবিধা লাভ করে।



দ্বিতিয় বিশ্বজুদ্ধের সময় হিটলার এর সরকা এটি সাধারন জাহাজ এর জন্য পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। হিটলারের পতনের পর এই খালটি আবার সাধারন জাহাজ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।



খালটি ১০৬ ফিট এর কম বেশি প্রসস্ত। সবোর্চ্চ ৫৩৫ ফিট লম্বা এবং ৩০ ফিট ডুবে এধরনের এধরনের জাহাজ এই খালদিয়ে চলাচল করতে পারবে। এর দুটি লক রয়েছে যারা প্রতিটি লম্বায় প্রায় ৩৫০ মিটার। এর মাধ্যমে জাহাজগুলোর টোল আদায় করা হয়।

তবে দুঃসংবাদ হচ্ছে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে একটি অতিরিক্ত বড় জাহাজ এর লকে প্রবেশ করানোর কারনে একটি লক ভেঙে পরে। ফলে এখন খালটি মুলত বন্ধ রয়েছে নতুন লক নির্মান কাজের জন্য। আশা করা হচ্ছে ২০১৪ নাগাদ আবার এটি চালু হবে।











যদি এই পোস্টটি আপনাদের ভাল লাগে। তবে বাকি পাচটি ইনশাআল্লাহ পরের পোস্টে দেওয়া হবে। আশা করি আপনাদের মুল্যবান কমেন্টস পাবো। যদি কোন ভুল তথ্য বা বানান ভুল হয়ে থাকে তবে জানাবেন। অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

কালীদাস বলেছেন: পানামা খাল তো মনে হয় অনেক পুরান.... ১৮৮৮ সালের আগেও তো ছিল বলে জানতাম :|

চমৎকার পোস্ট :)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে তা একটা নালা ছিল। পরে এটাকে খাল বানানো হয়েছিল।

ধন্যবাদ কমেন্টস এর জন্য।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

ধানের চাষী বলেছেন: ভাল লিখেছেন খাল গুলো নিয়ে

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অনকে ধন্যবাদ ধানের চাষিকে। আমি যেইদিন পোস্টাই সেইদিনই সার্ভার ডাইন থাকে। কপাল আমার।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৭

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। প্লাস।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্টস এর জন্য।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আরেকটি গ্রেট পোস্ট +++++++

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চলতে থাকুক !
ভালো লেগেছে এটাও !

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০০

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন, প্রচুর হোমওয়ার্ক করা পোষ্ট। ধন্যবাদ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: হোমওয়ার্ক বলতে ওয়ার্ক করা লাগছে দেটস শিওর।

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৮

অথৈ সাগর বলেছেন:
অসাধারণ । আপনাকে অনুসরণে নিলাম । পোস্ট প্রিয়তে ।

পেশাগত কারনে এসব খালের কয়েকটাতে অনেক বার যেতে হয়েছে । নিজের তোলা ছবি নিয়ে পানামা খালের কয়েকটা পোস্ট আছে আমার । এই পোস্টটা দেখতে পারেন।

পানামা খাল, আমার দেখা সুইট ইঞ্জিনিয়ারিং ( লক গেটের সচিত্র বর্ণনা ) (ছবি ব্লগ)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আপনার এই লেখাটা আমার খুব প্রিয়। আমি অফলাইনে কমপক্ষে ৫ বার পরেছি। আসলে পানামা খাল নিয়ে লেখার সময় আমি আপনার কথাই মনে করছিলাম। অনেক ধন্যবাদ। তো এখন কোথায় আছেন?? দেশেই??

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

এ.এ.এম বিপ্লব বলেছেন: এরা ৪০ মাইল খাল তৈরী করতে সময় লাগাইছে দুই -আট বছর ! আর আমাদের ২ কিলোমিটারের ফ্লাইওভারের কাজ করতে সময় লাগে ৫-৭ বছর !!
তবে আমরা কিন্তু এক দিক দিয়ে ওদের ছেয়ে ফাস্ট ,, নদি খাল ভরাট করার দিক দিয়ে, তাই না?

আপনার লেখা থেকে অনেক কিছু জানলাম । ভালো লাগলো।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: শুধু সময় না খরচেও আমরা তাদের অনেক পিছে ফেলেদিছি। আসালে তাদের রাজিনিতিবিদরা দেশনিয়ে বেশি ভাবে আমাদর গুলার থেকে। ধন্যবাদ।

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

অথৈ সাগর বলেছেন: ধন্যবাদ । আমি এখন সিঙ্গাপুরে আছি । একটু পরে মালয়শিয়ার উদ্দেশে পারি জমাব । ভাল থাকবেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: খুবই মজার একটা লাইফ। সাগরে ভাসতে ভাসতে এক দেশ থেকে আর এক দেখে যাওয়া।

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

এহসান সাবির বলেছেন: চলুক... আছি সাথে.... প্রিয় তে....

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: চলছে তো চলবেই। ধন্যবাদ।

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১২

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। অসাধারণ.।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

দি সুফি বলেছেন: সেইরাম হইছে !:#P

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: থেঙ্কু।

১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৫

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।++++++++++

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: সুন্দর কমেন্ট। ধন্যবাদ

১৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: ALLAH bless to you and your All friend, Amin

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৯

বেকার সব ০০৭ বলেছেন: এই পোস্টে্ আমার মন্তব্য থাকবে না এটা মানতে পারি না।

এক কথায় অসাধারন হয়েছে পোস্ট ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.