নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৌশলি বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি এবং যা বুঝি তাই নিশ্বঙ্ক চিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি যা বুঝি তা নিশ্বঙ্কচিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্ত্রাসের সংজ্ঞা কি??

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

বাংলায় সন্ত্রাস এবং ইংলিশে টেরোরিস্ট। এর সংজ্ঞা নিরুপন করতে গিয়ে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেছি। এই শব্দের কোন বাস্তব এবং নির্ধারিত সংজ্ঞা পাইনি এবং পাইনি কোন ব্যাখ্যা। যে যার মনের মত ব্যাখ্যা দারা করাচ্ছে এবং সংজ্ঞা নিরুপন করছে। আসেনতো দেখি কার চোখে বিষয়টা কি রকম।



বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন ভারত এবং তাদের মিত্র দেশগুলো প্রচার করছিল বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে। আর পাকিস্তান এবংতাদের মিত্ররা প্রচারনা শুরু করে সন্ত্রাসি হিসাবে। আজকের মহিউদ্দিন খান আলমগিরের চোখে তখন মুক্তিযোদ্ধারা চরম সন্ত্রাসি এবং বিচ্ছিন্নতা বাদি ছিল। ভারত সর্বপ্রথম এ ধরনের প্রচার যুদ্ধ শুরু করে নব গঠিত র এর সাহায্যে পাকিস্তানকে ভাঙা এবং মিজোরামের বিদ্রোহিদের দমন করার জন্য।( সুত্র: দ্য কাওবয় অফ র বাই বি রমন- দ্বীতিয় অধ্যায়)। সেটা যতটানা ভারতের জন্য উপকারি ছিল বাংলাদেলের জন্য ছিল একটা রক্তেভেজা স্বাধিনতা। ভারতকে এজন্য অবশ্যই ধন্যবাদ দেয়া যায়। কিন্তু সেই স্বাধিন বংলাদেশের সাধারন একটা মেয়েই তাদের জন্য সন্ত্রাসি হয়ে যায় এবং তাকে হত্যা করে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখতে হয়!!!



১৯৭১ সালে পাকিস্তানের চোখে বাংলাদেশের এক সন্ত্রাসের লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমাদের সেই শহিদদের আমরা আজ স্মরন করি শ্রদ্ধাভরে।



আমেরিকার ভিয়েতনাম আগ্রাসনের সময় তাদের স্বাধিনতার জন্য লড়াইকারি যোদ্ধাদের আমেরিকার মিডিয়া এবং তাদরে অনুসরনকারিরা বানিয়ে ছিল ভয়ানক সন্ত্রাসি এবং বিচ্ছিন্নতা বাদি। যাদেরকে গন হারে হত্যাকরা এবং সেই লাশ নিয়ে বিভৎস কাজকরা ছিল আমেরিকানদের জন্য বিশাল প্রাপ্তির ব্যাপার। সেই যোদ্ধারাই আজকে শ্রদ্ধাভরে ভিয়েতনামে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্মরন হচ্ছে।



আমেরিকার চোখে সন্ত্রাসি ভিয়েতনামিদের লাশ বেওয়রিশের মত রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে।



ফিলিস্তিনিদের তাদের ভিটামাটিথেকে জোর করে উচ্ছেদ করে একঘরে করে রেখে আজ ইজরাইল প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। সেখানে আজকে হামাস এবং ফাতাহ এর যোদ্ধা দল গুলো ইজরাইল এবং তার মিত্রদের চোখে সন্ত্রাসি। কারন তারা তাদের সেই হারানো বাসস্থান পুনুরুদ্ধার এবং স্বাধিনতার জন্য লরাই করছে। সেই তারাই আবার ফিলিস্তিন এবং তাদের মিত্রদের চোখে মুক্তিযোদ্ধা।



ফিলিস্তিনের সন্ত্রাসিদের কে ধংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে।



হিজবুল্লাহ তাদের দেশ এবং মুসলমানদের ইহুদি সন্ত্রাসিদের হাত থেকে রক্ষার জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে এবং ইজরাইলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ করেছে। হিজবুল্লাহ মনে হয় একমাত্র শক্তি যারা দখলদার এবং আগ্রাসি ইজরাইলকে ২ বারের মত পরাজয়ের স্বাদ পাইয়েছে। তারাও ইজরাইল এবং তাদের মিত্রদের চোখে ভয়ানক সন্ত্রাসি এবং বিচ্ছিন্নতা বাদি। অন্যদিকে লেবানন এবং সাধারন মুসলমানদের চোখে অসম সাহসী বীর যোদ্ধা।



আমেরিকার চোখে হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসিরা।



আমেরিকার চোখে এখনকার সবেচেয়ে বড় সন্ত্রাসি হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ। আপনার চোখে কি??



লস্কর-ই-তৈয়বা কাস্মির এর সংগঠন যারা একটা স্বাধিন কাস্মির সৃস্টির সংগ্রাম করছে। তারা কাশ্মিরে ভারতিয় বাহিনির অন্যায় এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। তারা আজকে ভারতের প্রচার মাধ্যমের এবং বাংলাদেশের কিছু কিছু প্রচার মাধ্যমের( প্রথম আলু ) কাছে সন্ত্রাসি। কিন্তু কাস্মিরের সেই সাধারন মানুষের চোখে তারা কিন্তু স্বাধিনতার যোদ্ধা। আফজাল গুরুর ফাসিতে কিন্তু আমি অনেক কাস্মিরির চোখের কোনায় পানি দেখেছি। এটা তার প্রতি ভালবাসা এবং কাস্মিরের স্বাধিনতার পক্ষের পানি।



আফজাল গুরু। কাস্মিরের স্বাধিনতার প্রতিক।



তাহলে আলকায়দা কিসের জন্য যুদ্ধ করছে। কার স্বাধিনতার জন্য এত মানুষ হত্যা করছে। আলকায়দা আফগানিস্তানে, ইরাকে, সিরিয়াতে, পাকিস্তানে গন হারে মানুষ হত্যা করছে কাদের জন্য। ইসলামের জন্য?? ইসলাম কি এভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?? আজকে যেই আলকায়দা সৌদি আরবে সন্ত্রাসি তারা সেই সৌদিআরবের চোখে সিরিয়াতে মুজাহিদ। লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করছে কি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। আজকে দেখা যাচ্ছে এই আলকায়দা যেখানেই যাচ্ছে সেখানেই আমেরিকা এবং তার মিত্ররা হাজির হচ্ছে এবং সেই দেশ বা স্থান দখল করে লুটেপুটে খাচ্ছে। আলকায়দা এখন আমেরিকার একটা অস্ত্র হয়ে গেছে। যার প্রতি তারা এই অস্ত্র তাক করছে তার আর রক্ষা হচ্ছেনা। আজকে সিরিয়াতে এরাই মুজাহিদ হয়ে যাচ্ছে যেখানে আমেরিকা আর ইজরাইলকে সিরিয়া আক্রমন করার সুযোগ করে দেয়া ছারা সিরিয়ার জন্য তারা কিছুই করতে পারে নাই।



আম্রেকার বানানো আলকায়দার দুই পাপেট মুজাহিদ।



বাংলাদেশে শেখ সেলিমের দুলাভাইরা( শায়খ আব্দুর রহমান) যখন সারাদেশে একযোগে বোমাবাজি শুরু করে তখন তারা কিসের ভিত্তিতে এই কাজ করে। কাদের সুবিধার জন্য তারা এই কাজ করে। আমরা দেখেছি তৎকালিন সরকার এদের ধরে ধরে ঝুলিয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বলে গলাফাটানি দলটা এদরকে গ্রেফতার কারি সেই সাহসি সেনা সদস্যদের একই স্থানে ট্রান্সফার করে গনহারে হত্যা করেছে।



শেখ সাহেবের দুলাভাইদের গ্রেফতার কারিদের লাশ।



আজকের এই আম্লিগ সরকারের চোখে ছাত্রদল এবং শিবির সন্ত্রাস এবং হত্যাকারি। কালকের বিএনপির সরকারের চোখে এই ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ হবে সন্ত্রাসি( যদিও তারা আসলেই সন্ত্রাসি )। আজকে যারা হরতালের গারি পুরানোতে হায় হুতাস করছে তারাই এর পক্ষে গান গাবে।



তাই কোন গনমাধ্যমে সন্ত্রাসি শব্দটা শুনলেই আমি আগে ভাল করে কনফার্ম হই সে কাদের চোখে সন্ত্রাস।





আমি একেবারে খোলাখুলি ভাবে আমার কিছু চিন্তাভাবনা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এবার এ ব্যাপারে আপনাদের মতামত চাই। আপনার এই পোস্টের উপর ওপেন ডিবেট করতে পারবেন কমেন্ট বক্সে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

এম ই জাভেদ বলেছেন: কিসের সাথে কি ?

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ঠিক কোনটার কথা বলছেন?? ব্যাখ্যা করুন। কোনটার সাথে কোনটা মিলে নাই??

২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

এম ই জাভেদ বলেছেন: উপরের শত্রু মিত্রদের দের কে আম্লিগ বিম্পির সাথে তুলনা করাটা।

একটু বেশি হয়ে গেল না ব্যাপারটা। ওদের বিরোধের সুনির্দিষ্ট কারন আছে, তারা লড়েছিল নির্দিষ্ট আদর্শকে প্রতিষ্ঠা বা স্বাধীনতার জন্য।

কিন্তু আমাদের বর্তমান দুই দলের শত্রুতার পেছনে আদর্শের চেয়ে ক্ষমতাই মুখ্য। এ জন্যই বলা কিসের সাথে কি ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: এখানেও কিছুটা আদর্শ আছে। আম্লিগ এর আদর্শ ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার বাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নামে নাস্তিকতার। আর বিএনপির আদর্শ হচ্ছে ইসলামি জাতিয়তাবাদ। সুতারং আমার মনে হয় কিছু মিলতো আছেই।

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: ভালই তো লাগলো.................

আসলে কার চোখে কে সন্ত্রাসী সেটাই মুখ্য..... সেটা সব ক্ষেত্রেই

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: সেটাই বলতে চেয়েছি।

৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, চমৎকার লাগল। ভাল আর খারাপ কে বা কারা তা আপনার অবস্হানের উপর নির্ভরশীল। নিজ আদর্শ দৃস্টিভঙ্গী দিয়ে অন্য পক্ষকে দেখলে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়তো আসবেই। তা নিয়ে বিতর্কে যেতে চাচ্ছিনা। ধন্যবাদ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: বলেন সমস্যা নাই। উপরে উল্লেখিতদের মধ্যে আপনার কি মনে হয়??
আমি তো শেষে বলেছি আপনাদের মতামত সানন্দে গ্রহন করা হবে।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ, এখানে রানৈতকি কোন আলাপ নাই, আসলে কার চোখে কে সন্ত্রাস এটাই মূখ্য। ভালই লাগছে। তবে আপনী ইঞ্জিনিয়ার স্থাপত্য নিয়ে লেখাই ভাল লাগে। ধন্যবাদ

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

সপন সআথই বলেছেন: ojoutik karon e niroporadh je kono hotakei sontras bole, etai amr dharona. valo likhechen, dhonnobad neben

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০০

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.