নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৌশলি বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি এবং যা বুঝি তাই নিশ্বঙ্ক চিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি যা বুঝি তা নিশ্বঙ্কচিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাচীন বিশ্বের অসাধারন কিছু স্থাপনা (পর্ব-২)

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১০

অনেকেই স্ট্রাকচার গুলো সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে থাকবেন। তারপরও আমি আমার মত করে একটা বিশ্লেষন করতে চেয়েছি।



আগের পর্ব পরতে নিচরে লিংকে ক্লিকান

প্রাচীন বিশ্বের অসাধারন কিছু স্থাপনা





১) Chand Baori, India

চাদ বাওরি ভারতের রাজস্থান প্রদেশে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে অত্যান্ত পুরোনো একটি স্থাপনা যা এখনো সগৌরবে ইনটেক ভাবে এখনো টিকে আছে পৃথিবীর বুকে। এটি নির্মিত হয় অস্টম বা নবম শতাব্দির কোন এক সময়ে। তখন রাজস্থানের শাষক ছিলেন নিকুম্ভ রাজ বংশের চান্দা। সে উক্ত অঞ্চলের পানির সমস্য দুরি করন এবং হাশি-খুশির দেবি কুলদেবির মন্দির একই সাথে নির্মান করার উদ্যেশ্যে এই পুকুরটি নির্মান করেন চান্দা। হিন্দি প্রচুর মুভি করা হয়েছে এই পুকুরটিকে ঘিরে। পেহলি সহ অনেক গুলো গানের ভিডিওতে দেখা যায় পুকুরটি।



আর্কিটেকচারাল:

পুকুরটির মুল বিষয়টি হচ্ছে এর সিড়িগুলো। একদম নির্ভুল ভাবে উল্টা ভি শেইপে একটি থেকে অন্যটি একই গভিরতায় নির্মিত হয়েছে। পুকুরটিতে সর্বোমোন ৩৫০০০ টি স্টেপ রয়েছে ১৩ টি ফ্লোরে। এটি বর্তামানে পৃথিবীর সবৃগভির পুকুর যার গভিরতা প্রায় ১০০ ফিট। আরো মজার বিষয় হচ্ছে এই পয়ত্রিশ হাজার টি স্টেপের মধ্যে মাপের দিক দিয়ে একটিরও কোন ভুল পাওয়া যায়টি। সিড়িটির ঢাল এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে নিচ থেকে কেউ উপরে তাকালে সে কিছুই দেখতে পারবে না। যিনি এর ডিজাইন করেছেন আমার ধারনা তিনি একটা ম্যাথম্যাটিক্যাল জিনিয়াস ছিলেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় আমরা ভারত বর্ষের লোকজন আজও জানি না কে সেই জিনিয়াস।



স্ট্রাকচারাল: কিভাবে এইরকম পারফেক্ট এবং অত্যাধুনিক একটা পাথরের স্ট্রাকচার তৎকালিন সময়ে তৈরি করা হয়েছে এটার ব্যাখ্যা দিতে পারে নাই। একদম একই মাপে পাথর গুলোকে কেটে এমন ভাবে বসানো হয়েছে যে কোন ভাবেই চুল পরিমান এদিক সেদিক হয় নাই। আর একটা বিষয় হচ্ছে এটাই বেইজ। যারা স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং পরাশুনা করেছেন তারা বুঝবেন যে এত বড় আর ভারি একটা পাথরের স্ট্রাকচার মাটির উপরে রাখার জন্য নিচে ঠিক কি ধরনে একটা বেইজের প্রয়োজন পরে তার উপরে মাঝখানে একটা পুকুর রাখা হয়েছে পানি উত্তলনের জন্য। মন্দির টার ব্যাপারে বলতে গেলে আলাদা ভবে বলতে হবে। মন্দিরটা একই সাথে মুল স্ট্রাকচারটিকে একটি আলাদ সাপোর্ট দিচ্ছে যা পুরো কমপ্লেক্সটাকে একসাথে এখন পর্যন্ত ইনটেক অবস্থায় ধরে রেখেছে।



২) Saksaywaman



এটি পেরুর কুস্ক শহরের কাছাকাছি অবস্থিত। এটি মুলত ইনকা সম্রাজ্যের রাজধানি ছিল কোন এক সময়ে। ইনকা বলতে আমাদের চোখের সামনে আসে মাচুপিচু। কিন্তু এই শহরটি ছিল মাচুপিচুর আগে ইনকাদের একটি মাস্টার পিস। আমার ধারনা এখান থেকেই তারা তাদের সেই অসাধ্য মাচুপিচু প্রযেক্টটি করার আইডিয়া পায়।



আর্কিটেকচার:

যিনি এই পুরা প্রযেক্টটা ডিজাইন করেছেন যদি লিখে যেতে পারতেন এবং তা যদি সঠিক ভাবে স্টাডি করা হত তাহলে মনে হয় পৃথিবী বর্তমান অবস্থা থেকে আরো এগিয়ে যেত। অদ্ভুদ এই লোক কোন রকম আকাশ পরিভ্রমন ছারাই এত বিশাল এবং এত উপরে অবস্থিত একটা স্থানের কিভাবে ভুমি জরিপ করলেন আর কিভাবেই বা সেই মোতাবেক পুরোটা ডিজাইন করলেন। পুরো শহরটি বর্তমানে ধংস প্রায় তবে ধারনা করা হচ্ছে পুরোটার মধ্যে একটি অত্যাধুনিক শহরের সকল সুবিধাদি ছিল। ওয়াল গুলো এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে তা কোন ভুমি ধ্বস বা অন্য কোন কারনে ধংস প্রাপ্ত না হয়। তাছারা ওয়ালের প্রত্যেকটা পাথর ডিজাইন করে করে কাটা হয়েছে যাতে সেগুলো সঠিক ভাবে অন্যটির সাথে খাপে খাপে বসে যায়। ওয়ালের কোন গুলো এমন ভাবে করা হয়েছে যে একটা দিয়ে তাকালে সবগলো একই এলাইনমেন্টে দেখা যাবে। পুরো পার্বতটির বড় ধরনের কোন ক্ষতি সাধন না করেই ঠিক তার উপরে কাজটি করা হয়েছে।



স্ট্রাকচার: আমার ধারনা এটা একেবারেই অসম্ভব একটা কাজ। কারন হচ্ছে কন্সট্রাকশন সাইটে এত বড় সাইজের পাথর আনার কাজটা এমনিতেই দুরহ তার উপর সেই সাইটটা যদি হয় মাটি থেকে ৯০০০ ফিট উপরে। কিভাবে পাথর গুলো এত উপরে উঠেছে সেটা না হয় বাদ দিলাম। পাথর গুলোকে একেবারে এমন ভাবে কেটেছে যে একটা সাথে একটার শক্ত বন্ধনি হয়েেছে কোন রকম মর্টার ছারা। মানে পুরো ওয়ালটাতে কোন রকম চুনা , বা অন্য কোন মর্টার ব্যবহার করা হয় নাই। শুধু একটা পাথরের সাথে আর একটা খাপে খাপে সেটা করে দিয়েছে। তাছারা পাথরগুলোকে এমন ভাবে মসৃন করা হয়েছে যে দেয়াল টা বেয়ে খুব ভালো প্রশিক্ষিত যোদ্ধারাও উঠতে সক্ষম হবে না। প্রথম স্টেপে যেই সাইজের পাথর ব্যাবহার করা হয়েছে তার পরের স্টেপে তা কার হয় নাই। অনেকেই বলে থাকে শুধু গাছের গুড়ি দিয়ে কাজগুলো করা হয়েছে। তবে পাথর গুলো সাইজ এবং ওজন দেখলেই সহযেই অনুমান করা যায় গাছের গুরির কাজ এইটা না। এটা একেবারেই অন্যকিছু দিয়ে গরা।



৩) Leshan Giant Buddha, China



এই অসাধারন স্ট্রাকচার টা সম্পর্কে আমরা অনেকেই কিছুই জানি না। এটা চিনের সিচুয়ান প্রদেশের কিংগি নদির পাদদেশের অবস্থিত। ৭১৫ খ্রিস্টাব্দে চিনের তৎকালিন টাং রাজবংশের আমলে এটি নির্মিত হয়। এইটা বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বিশাল পাথরের বুদ্ধ মুর্তি। এমেই নামক এই পাহারটি পুরোটি আপাদমস্তক কেটে মুর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। এর ডিজাইন এবং কন্সট্রাকশন এর কাজ করেন হেইতং নামক একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু। ঠিক এই স্থানে তখন প্রচুর পরিমানে জাহাজ দুর্ঘটনা ঘটত। প্রচুর মানুষ মারা যেত সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হত। অন্যদিকে এই নদি পথটি ছারা এই অঞ্চলে মালামাল পরিবহনের আর কোন রাস্তা ছিল না। হেইতং প্রথমে নদিটিতে একটি ছোট জরিপ চালালেন। তিনি দেখলেন ঠিক এই স্থানটি হঠাৎ করে খুব বেশি গভির হয়ে যাওয়ার কারনে পানির স্রোতের ব্যাপক তারতম্য হয় ফলে জাহাজ গুলো নিয়ন্ত্রন হারিয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখিন হয়। এর পরই তিনি তার মাস্টার প্লান সম্রাটের কাছে পেশ করলেন। তার আইডিয়াটি ছিল একটি বিশাল বৌদ্ধ মুর্তি নির্মান করার ফলে পাহার থেকে যে পরিমান কাটা পাথর এখনে পরবে তাতে নদির গভিরতা হ্রাস পাবে এবং দুর্ঘটনার পরিমান কমে যাবে। তবে জনগন এবং বাকি সবাইকে তিনি বুঝান যে তিনি স্বপ্নে দেখেছেন একটি বুদ্ধের মুর্তি নির্মান করলে তিনি দয়াপরত হয়ে দুর্ঘটনা বন্ধ করে দেবেন। ফলে জনগন এবং সরকার সবাই তার এই প্রযেক্টে অর্থায়ন করা শুরু করে। কাজ শুরু কিছুদিন পরে কাজের স্লথ গতির অভিযোগে ফান্ডিং বন্ধ হয়ে যায়। তাই ভিক্ষু হাই তং তার নিজের চোখ উপরে ফেলেদেন এইটা দেখানোর জন্য যে কাজটির প্রতি তিনি কতটা নিষ্ঠাবান এবং সিনসিয়ার। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয় নাই। হাই তং এর মৃত্যুর ৭০ বছর পরে এটির গুরুত্ব বুঝতে পেরে এটির কাজ আবার শুরু করেন সিয়াচেন এর তৎকালিন গর্ভনর। ফলে প্রায় ৯০ বছর পরে ৮০৩ খ্রিস্টাব্দে এই বিশাল কাজটি সমাপ্ত হয়।



আর্কিটেকচারাল: প্রথম দেখায় এটি খুব সাধারন একটা মুর্তি মনে হলেও এটি একটি অসাধারন আর্কিটেকচারাল কাজ। পুরো স্ট্রাকচার টি পায়ের তলা থেকে মাথার চুলের উপর পর্যন্ত ২৩৩ ফিট উচু। তার মানে বর্তমানের একটি ২৫ তলা বিল্ডিং এর কাছাকাছি এর উচ্চতা। পায়ের প্রতিটা আঙ্গুলের সাইজ ১১ ফিট করে। কাধের বিস্ত্রিতি প্রয়া ৯২ ফুট লম্বা। এর মাথার উপরের বুদ্ধের পেচানো চুলের স্থানে ১০২১ টি গোল গোল বান আছে যে গুলো এমন ভাবে নির্মান করা হয়েছে যাতে বৃস্টির পানি গুলে বেয়ে একটি নির্দিস্টি পথে মুর্তিটির কানের কাছ থেকে এর কাপরের সাথে এটাচ করে নির্মিত পাইপের ভিতর দিয়ে পায়ের কাছে পতিত হয়। দুই পাশের গার্ডোর স্টাইলে আরো দুইটি মুর্তি নির্মান করা হয়েছিল পুরো কমপ্লেক্সটিকে আরো আকর্ষনিয় করার জন্য। মাটি থেকে এটি পার্ফেক্টলি ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে নির্মিত।



স্ট্রাকচার: পুরো স্ট্রাকচার টি নির্মান করতে বাইরে থেকে কোন পাথর বা অন্যকিছু নিয়ে আসা হয় নি। তাই আমার মনে হয় প্রত্যেকবার হাতুরি চালানোর আগে দশবার করে ভেবে কাজটি করা হয়েছে। এবং তার জন্যই এত ব্যাপক পরিমানে সময় লেগেছে। পাথর গুলোকে কেটে নদির মধ্যে একদম এপার থেকে ওপারে হিসাব করে করে ডিস্ট্রিবিউশন করা হয়েছে। যাতে সম ভাবে ভরাট হয়। আামর প্রশ্ন হচ্ছে এত মসৃন ভাবে মুর্তিটির মাথাটা কিভাবে কার্ভ করল? বর্তমান যুগেও তো এই রকম একটা কাজ করাটা দারুন কস্টসাধ্য একটা বিষয় হত।



এই ছবিটা দেখলে মুর্তিটার সাইজ সম্পর্কে একটা ছোটখাট আন্দাজ করা যায়। পুরো মুর্তিটাকে রোদ এবং বৃস্টি থেকে সেইফ করার জন্য একটা আলাদা ১৩ তলা উচু পাথরের স্ট্রাকচার তৈরি করা হয়েছিল। এটি ছাদের মত করে পুরো মুর্তিটাকে ছাউনি দিত এবং একটা মন্দিরের মত শেইপ ছিল। ইতিহাসের সেরা বাইঞ্চোৎ এবং হারামজাদা চেঙ্গিস খান চিন আক্রমন করে দখল করার পরে তার সেনাবাহিনি কে নির্দেশ দেন এটাকে পুরোপুরি ধংস্ব করে ফেলার জন্য। যেন মনে হয় এখানে কখনো কিছুই ছিল না। কারন তিনি কোন কিছু ধংস্ব করলে সেটারে কোন চিহ্ন রাখতেন না। তার সেনাবাহিনি সেই ছাউনি এবং আলাদা সাপোর্টিং স্ট্রাকচার গুলো যেগুলো মন্দির হিসাবে ব্যাবহৃত হত সবগুলা ধংস্ব করলেও সলিড পাথরের অতিরিক্ত স্ট্রেন্থ এর কারনে এই আসর মুর্তিটার কিছুই করতে পারে নাই।



৫) Underground Churches of Lalibela, Ethiopia



ইথিওপিয়ার ছোট্ট একটা শহর লালিবেলার পাশেই এই অসাধারন স্থাপনাটি অবস্থিত। এখানে মুলত রয়েছে একটি বিশাল ইতিহাস। ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে ক্রুসেড এর সময় মুসলিম সুলতাম সালাউদ্দিন আইয়ুবির হাতে জেরুজালেম এর দখল নেবার পরে তৎকালিন ইথিওপিয়ার শাষক যে কিনা নিজেই একজন ধর্মপ্রান খ্রিস্টান ছিলেন একটি মারাত্মক পরিকল্পনা গ্রহন করেন। তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার শহরেই তিনি একটি নতুন জেরুজালেম তৈরি করবেন যেখানে জেরুজালেম এর সকল চার্চ গুলোর সন্নিবেশ থাকবে। কিন্তু তিনি শর্তারোপ করেন যে এগুলো এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে মুসলিমদের আক্রমনে কোন ভাবেই ধংস প্রাপ্ত না হয়। ফলে আর্কিটেক্টরা পরিকল্পনা করেন পুরো কমপ্লোক্সটি মাটির তলাতেই নির্মান করার। লাল আগ্নেয় পাথর কেটে প্রত্যেকটি চার্চ নির্মান করা হয়েছে। আলাদা ভাবে কোন কিছু না এনে পুরো পাহাটিকেই একটি আস্ত বিল্ডিং বানিয়ে ফেলা হয়েছে।



আর্কিটেকচারাল: বর্তমানে সর্বোমোট ১১ টি চার্চ পাওয়া গেছে। প্রত্যেকটি চার্চ এর এক্সটেরিয়র এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইন করা হয়েছে জেরুজালেম এর চার্চগুলোকে অনুকরন করে। কিছু চার্চ পুরোপুরি ভাবে চারদিক থেকেই উন্মুক্ত আবার কয়েকটি একটি দেয়াল বা দুইটি দেয়াল পাথরের সাথে লাগানো। মাটির নিচে হবার কারনে সর্ব প্রথম সমস্যা হবার কথা এর টেম্পারেচার থাকার কথা অত্যান্ত বেশি। কিন্তু আজব বিষয় হচ্ছে এটি সবসময় খুবই ঠান্ডা এবং ভিতরকার পরিবেশ থাকে আরামদায়ক এবং স্বাস্থকর। যদিও এর বয়স ৮০০ বছরের উপর হয়ে গেছে। বিশ্লেষকরা দেখিয়েছেন এর জানালা এবং ভিতরকার রুমগুলো এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যে বাতাস খুব সুন্দর ভাবে এক পাশ দিয়ে প্রবেশ করে আর এক পাশ দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে। প্রত্যেকটি চার্চে রয়েছে অসাধারন পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা এবং প্রচুর টানেল। রাজার নির্দেশ ছিল যাতে পুনরায় কেউ আক্রমন করলে এটিকে দুর্গ হিসাবে ব্যাবহার করা যায়। তাই প্রত্যেকটি চার্চকে বাকিগুলোর সাথে সুরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। ফলে উপর থেকে কিছু আলাদা চার্চ দেখা গেলেও ভিতরে ভিতরে ছিল একটি একক কমপ্লেক্স। পুরোটা এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে উপর থেকে পতিত পানির এক ফোটাও নস্ট বা জমবে না। পুরোটাই চমৎকার একটা ড্রেইনেজ সিস্টেমের মাধ্যমে নির্দিস্ট কুয়ার মধ্যে জমবে এবং পরবর্তিতে তা প্রয়োজনে ব্যাবহার করা যাবে।



স্ট্রাকচার:

সম্পুর্ন ভাবে পাহারের পাথর কেটে নির্মান করার ফলে এর ফাউন্ডেশন বা আলাদ কোন সিমেন্টিং এর প্রয়োজন পরে নাই। একক ভাবে একটি টোটাল স্ট্রাকচার হিসাবে দারিয়ে আছে। মজার বিষয় হচ্ছে এর মসৃন ওয়াল গুলো। বর্তমান হিসাব মতে কোন ম্যাকানিক্যাল যন্ত্র ছারা শুধু মাত্র হাতের তৈরি লোহার কোন গাইতি দিয়ে এই ধরনের কাজ করা একরকম দুঃসাদ্ধ কাজ বলা যায়। তার উপর আছে মুল ডিজাইন ডিজাইন অক্ষুন্ন রাখা।













পরের পর্বে ইচ্ছা আছে বাংলাদেশের কিছু প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে লেখালেখি করার। তবে আমার কাছে এ সম্পর্কিত খুব কম ইনফো আছে। দেখি ভালো কিছু ইনফো কালেক্ট করতে পারি কিনা। ধন্যবাদ সাবইকে।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৮

মুক্তকণ্ঠ বলেছেন: অসাধারণ হইছে ভাইডি B-)

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪০

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: থ্যাংকস ভাইডি :)

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: + !:#P

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সেলিম ভাই।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৯

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: খুব ভালো লাগে এমন পোস্টগুলো ! কত অজানা ! +++++++++++++++++++

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: :)

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:১৯

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। পোস্টে ++++++++


পোস্টে ব্যবহৃত দুটি শব্দ পোস্টের সৌন্দর্য নষ্ট করছে। পোস্টের সঙ্গে দুইটি শব্দ একদমই মানায় নি। আশা করি শব্দ দুটি এডিট করে নিবেন।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আপনি মনে হয় চেঙ্গিস খানকে উদ্যেশ্য করে লেখা শব্দ দুইটারে মিন করতেছেন। আসলে সে এই দুইটা ডিজার্ভ করেন। তাই লেখলাম।

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:১৭

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
দারুণ একটা পোস্ট পড়া হল।
ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম!!

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:৩৯

লিখেছেন বলেছেন: nice

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:২১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই ইন্টারেস্টিং পোষ্ট! আপাতত বুকমার্কড করে রাখলাম। আরাম করে পড়ব রাতে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ওক্কে। :)

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৩

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: অনেকগুলো আগে থেকে জানতাম। নতুন কিছু পেলাম আবার।

ধন্যবাদ দারুন পোষ্টটির জন্য।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: পরার জন্য অনেক ধন্যবাদ। :)

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৭

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: আপনি কিন্তু ভাই খুব একটা বিশাল কাজ করে যাচ্ছেন, অভিন্দন।
পোষ্ট সোজা প্রিয়তে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমি নিজে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে আমারও এগুলো জানা প্রয়োজন ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪০

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্টস এর জন্য :)

১১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২২

সোহানী বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। নতুন কিছু জানলাম......... +++ থেকে ও কিছু বেশী.....

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: অসাধারন পোস্ট।+++

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

হাসান রাজু বলেছেন: এক কথায় অসাধারন ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :)

১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

মুদ্‌দাকির বলেছেন: দারুন

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহবুব ভাই :)

১৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আ.আ.আজাদ বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৪

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো লাগা জানিয়ে যাবার জন্য।

১৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনি কি জানেন, গত তিন মাস যাবত ব্যাক্তিগত উদ্যোগে আমি একটা মাসিক ভ্রমণ সংকলন করছি। SOMEWHEREINBLOG'S ব্লগারস ট্রাভেলিং ডায়েরী -আগস্ট ২০১৪ (ভ্রমণ সংকলন -আগস্ট ২০১৪) 'তে আপনার এই লেখাটি সেরা তালিকায় স্থান পেয়েছে। আপনি চাইলে পোস্টটি দেখে আসতে পারেন।

বিঃদ্রঃ এটা কোন পোস্ট পাবলিসিটি বা মার্কেটিং নয়, সহ-ব্লগার এবং পোস্টদাতা হিসেবে দায়বদ্ধতা।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমি দেখেছি এবং খুবই ভালো লাগছে আপনার কালেকশনটি। অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.