নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৌশলি বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি এবং যা বুঝি তাই নিশ্বঙ্ক চিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি যা বুঝি তা নিশ্বঙ্কচিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন আলহাজ্ব এবং একটি সহিহ অংক

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩০

অনেক তো ফাইজলামি আর দুস্টামি হইলো। গরুকাটা হইলো, গোশত খাওয়া হইলো, গোশত বিলানো হইলো, আসেন এইবার একটু কিছু সিরিয়াস জিনিষ নিয়া আলুচুনা করি। শুরুতেই আপনি একটি তসবিহ নিয়া বসেন। কারন এতবার সুবানাল্লাহ বলতে হবে যে হিসাবে গন্ডোগোল লাইগা যাইতে পারেন।

উপরের যেই ছবিটা দেখতেছেন এইটা পৃথীবি বিখ্যাত আমেরিকান হোটেল কোম্পানি এবং মাল্টিন্যাশনাল বিলিওনিয়ার কোম্পানি হিলটন হোটেল কর্পরেশনের মালিকানাধিন একটি হোটেল। খুবই সুন্দর ছিমছাম এবং সাজানো গোছানো হোটেল। ভিতরে রয়েছে অত্যান্ত লাক্সারিয়াস সব সুইট, বল রুম, ডাইনিং এবং চমৎকার সব ফ্যাসিলিটি। সবাই বলেন সুবানাল্লাহ। এবং এটির অবস্থান হচ্ছে পবিত্র কাবাশরিফের দক্ষিন গেটের রাস্তার অপজিটে। মানে কাবাশরিফের সকল হাজিদের থাকার জন্য হোটেলটি মুলত ব্যাবহৃত হয়।
এবার আসি মুল কথায়। হোটেলটির মালিক আমেরিকান ধনকুবের ব্যারন হিলটন। তিনি একজন বিলিয়নিয়ার। তাদের পারিবারিক ট্রেডিশন হচ্ছে হোটেল ব্যাবসা করা। তবে মজার বিষয় হচ্ছে তিনি আমেরিকাতে বেশ কিছু সোসাইটির সম্মানিত ডোনার। এতটাকা যার থাকে তার ডোনেট করতে বাধে কোথায়। বিশেষ করে আমেরিকানরা আবার যথেস্ট দানশীল। তবে সেই দান যায়গা মত যায়।



আমেরিকাতে আইপ্যাক নামে একটা সংগঠন আছে। এই সংগঠনটার মুল লক্ষ এবং উদ্যেশ্য হচ্ছে ইসরাইলের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা, মার্কিন সংসদে ইসরাইলের পক্ষে বিল পাশ করানো এবং ইহুদি স্বার্থ রক্ষা করা। কিছুদিন আগে আইপ্যাকের ডোনার লিস্ট ঘেটে বেশ কিছু নাম আসছে যেখানে আমাদের হিলটন সাহেব বেশ উপরের দিকে আগাইয়া আছেন। সবাই জোরছে বলেন সুবানাল্লাহ।



উপরের ছবিটার দিকে ভাল করে তাকান। কি দেখতেছেন। জি জ্বনাব উহা কেএফসি দেখা যাচ্ছে। এবং উহার পয়সা যে সরাসরি ইসরাইলি ফান্ডে যায় তাহা এখন একটা সাধারন মুরগিও জানে। এই হোটেলের বেশিরভাগ দোকানই মাল্টিন্যাশনাল ব্রান্ডের এবং সেখানে আমাদের সবার প্রিয় এবং হিলটন পরিবারের সদস্যা প্যারিস হিলটনের একখান দোকান রয়েছে। উনি কিছুদনি আগে সেই দোকান খানা উদ্ধোদন করিয়াছেন। যদিও ইসলামি রেওয়াজ মতে কোন অমুসলিম মক্কাতে প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা আছে কিন্তু এই পবিত্র মাটিতে প্যারিস হিলটনের মত একটা বেশ্যা কি করে ঢুকার অনুমুতি পাইলো সেইটা সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতির কাছে কুশ্চেন রইলো।



যাউজ্ঞা আমরা এত বড় ব৭ড় আলেম না। তার উপরে আমি ইঞ্জিনিয়ার। অংক ছারা জিনিষ পত্তর কম বুঝি। যা বুঝি ম্যাথ দিয়া বুঝি। তাই আসেন একটা ম্যাথ কষি। প্রথমে আপনে নিয়্যাত করলেন আপনে হজ্বে যাবেন। তো আপনাকে যাইতে হবে হজ্ব এজেন্সির কাছে। তারা একটা নির্দিস্ট অংকের টেকা দাবি করবে। আপনি নিশ্চিত মনে টেকা দিয়া লাফ দিয়া পেলেনে উইঠা পরবেন। শুরু করি পেলেন দিয়া। পেলেন এর মডেল হইতাছে বোয়িং৭৭৭ মডেল। মালিক হইতাছে এমিরেটস এয়ার ওয়েজ অথবা কাতার এয়ার। তো প্রথম ঠেলায় বোয়িং পাইলো আপনার পয়সার একটা অংশ। এর পরে আপনি সৌদি আরবে ল্যান্ড কইরা সুম্মা আমিন কইয়া উইঠা পরলেন হোটেলে। হোটেলের টিকেটের গায়ে লেখা আছিল হিলটন হোটেল। এইবার আপনার টেকার আর একটা অংশ পাইলো ব্যারন হিলটন সাহেব। ধারেন আপনার হজ্ব শেষ। কোরবানি দেয়ার সময় আইছে। তো সৌদি সরকার নিয়ম মাফিক আপনার কোরবানিটা উনাদের উদ্যেগে করে দিবেন। তো সেই কোরবানির পশু আসবে কোথা থেকে?? সাপ্লাইয়ার লিস্ট দেখলে দেখবেন সেখানে অস্ট্রলিয়া, ব্রাজিল সহ বেশ কয়েকটা বড় বড় দেশের পশু আসে। তো পৃথিবীতে এই মুহুর্তে পশু পরিবহনের ব্যাবসাটা ইহুদিদের হাতেই আছে, এইবার ডাইরেক্ট গেল ইহুদিদের পকেটে। খারান জনাব। এখনো শেষ হয় নাই। হজ্ব শেষে আপনে চিন্তা করলেন সৌদি তো আইছি। বাড়িরর সবার জন্য কিছু নিয়া যাই। তো এত ভিরের মধ্যে আপনি আপনার হোটেলের সেই দোকান গুলাই নিরাপদ আর ঝামেলা মুক্ত মনে করবেন। এইবার কিনতে কিনতে চইলা গেলেন প্যারিস আফার দোকানে। ব্যাস কিন্যা ফালাইলেন গিফট। আবার লাফদিয়া উইঠ্যা গেলেন বোয়িং ৭৭৭ এ। ফুরুৎ কইরা চইলা আইলেন দেশে। আর নামের পিছে লাগইয়া দিলেন আলহাজ্ব হাসানুল হক ইনু।



এতক্ষন তো খালি যোগ অংক করলাম। আসেন এইবার একটু বিয়োগ করি। বোয়িং ইসরাইল এর প্রধান আর্মস সপ্লাইয়ারদের অন্যতম। তার একটা ডেডিকেটেড টিম আছে যাদের কাজ হচ্ছে শুধু মাত্র ইসরাইলকে সার্ভ করা। তো তাদের সেই খরচ কোথা থেকে আসে?
হিলটন বাবাজি এইবার ইসরাইলের ফিলিস্তিনে হামলার সময় যে দান ক্ষয়রাত করেছেন তা উসুল কতে ঠিক কয়জন হাজিকে উনার হোটেলের রাত্রি যাপক করতে হপে।( এভারেজ হিসাব)
প্যারিস আফা গতকালকে নিয়্যত করল নতুন ওই পোলাটার লগে আইজকা ডিনার কইরা রাইতে বালুবালু খেলবেন। সেই মোতাবেক উনি ঘুম থেকে উইঠা সবকিছু পইরা সুন্দর কইরা সাইজা রেডি হইয়া জুতার ড্রয়ারে হাত দিয়া দেখেন জুতাগুলা আর পছন্দ হইতাছেন না। তারাতারি উনার ম্যানেজাররে ফোন দিয়া হুকুম ফরমাইলেন। যাও মক্কার দোকানের একাউন্ট থেকে টেকা তুইলা নতুন জুতার টেকা পরিশোধ কর।



এইটা আমার অংকের প্রথম পার্ট। এরকম আরো ২০-২৫ টার মত পার্ট আছে। আপনারা বিরক্ত হবেন। তাই আপনাদের কাছে কয়েকটা প্রশ্ন কইরা আইজকার মত বিদায় নিতাছি।



১) প্যারিস হিলটন আফার জোতার দামে পরিশোধ করার জন্য কয়জন হাজ্বির হজ্বের পয়সা লাগবে। ( শুধু সংখ্যা উল্লেখ করুন)



২) ফিলিস্তিনের শিশুদের রক্ত দিয়া যে বোয়িং এর পাংখা ঘুরে সেই বোয়িং এর সিটে আরামের মাত্রা কত? ১-১০ এর মধ্যে চয়েস করুন।



৩) সিরিয়ার সেই শুশুটি যে মৃত্যুর আগে বলেছিল আমি আল্লাহকে সব বলে দিবো তার শরিরে বিদ্ধ বুলেটের দাম কয়জন হাজ্বির টেকা থেকে কাটা হইছে?



৪) ইরাকে আইসআইএল এর যৌন জিহাদের ফলে নিহত সেই কুর্দি অথবা শিয়া কিশোরিটির লাশ দাফন করতে কয়টুকরা সাদা কাপরের প্রয়োজন আছে।





পরিশেষে আমাদের হিলটন আফা সকল হাজ্বিদেরকে উনার অন্তরের অন্তস্থল থেইকা মোবারকবাদ জানাইছেন। আর তিনি এও বলেছেন আইএস এর নতুন খলিফাকে তিনি নিজে গিয়ে একদিন ডিনারে টাইম দিয়ে আসবেন। তবে তিনি সন্দিহান খলিফা মাঠের মত খাটেও যুদ্ধ করতে সক্ষম কিনা।



মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১৫

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি যে এই ইন্টারনেট ইউজ করে ব্লগ লিখলেন তাতে কিন্তু ইহুদী-নাসারা ই লাভবান হচ্ছেন...... বিশ্বায়নের যুগে এমন করে খুজতে থাকলে খোদ হোয়াইট হাউসের বিদ্যুতের বিল ও দেখা যাবে আই এস এর তেল বিক্রির টাকায় দেওয়া হচ্ছে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: পয়েন্ট সেখানে না। পয়েন্ট হচ্ছে আপনি হজ্ব করতে যাচ্ছে সেই হজ্বের ব্যাবসা থকে ইচ্ছে করেই সরাসরি লাভ করিয়ে দিচ্ছেন আপনার ভাইয়ের খুনিদেরকে। বিষয়টা আপনার বুঝতে একটু কস্ট হচ্ছে। পুরোটা আবার পরেন।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪০

তারাবেষ্ট বলেছেন: আপনি নিজে হ্বজ করতে যাবেন কবে?....আর লাগলে একটু ভাল করে লাগেন।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: হা হা হা.......... =p~

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

হু-কেয়ারস বলেছেন: তাইলে আর হজ্ব করার দরকার নাই..........বাসায় বইসা নাটক দ্যাখেন। নাকি আবার নাটকে ও কুনু প্যাচ আছে !!!!!!!!!!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: না ভাই। ভুল বঝতেছেন কেন। হজ্বে কোন প্রবলেম নাই। প্রবলেম হইতাছে হজ্বের টেকা দিয়া যারা অস্ত্র কিনার ধান্দা করতেছে তাদের নিয়া।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাইজান আফনের অংক খুব ভালা পাইলাম!

আম বিশ্বের আম হাজীসাবগো আর কি দুষ দিবাইন! নাটের গুরু পালের গোদা যে হিলটান আফারে পাইলে বেহেস্তী হুর ভুইলা যায়!!!

নাটের গুরু ইহুদী বংশধর শেখ আর গ্রেন্ট মুপতি গং যে তাদের সাথে চুক্তি কইরা খেইল খেলতাছে!!!!

গোড়া ঠিক করতে হইবে আগে।

কিন্তু সেইখানে দেখেন সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালারাও নিরব!

কারণ তাদের স্বার্থোদ্ধারে এইরকম বলদ পাঠা আর ২য়টি পাইব না!! সাথে উপরি ইসলামের নাম ভাইঙ্গা এমুন মুফতের ব্যবসা। এক ঢিলে শত পাখি শিকার!

এক রব্বুল আলামিনই পারেন এই জীর্ণদশা থেকে মুসলমানদের উদ্ধার করতে- হস্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে যেমন আবাবিল পাঠায়া কাবারে রক্ষা করছিলেন- আপাতত সেইরকম আসমানী সাহায্য ছাড়া মুক্তির আশা ক্ষীন!!!

আমরা অবশ্য হজ্বে যাওয়ার চিন্তায় ক্ষ্যামা দিতে পারি। তাদের শিকড়ে জল সাপ্লাই না দেবার নিয়াতে.. কিন্তু ঐ যে কুমনিষ্ট হাজীসাবের মতো লুকের সংখ্যা যে বেশি- ধর্মের চেয়ে টুপি বেশি.. মুল ভাব তাদের বোঝান যাইবে না.....

তাই আপাতত হিলটন আফাগর জুতার দাম শোধ করতে থাক- নামওয়ালা মুসলমানরা!!!!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০৪

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: যাক শান্তি পাইলাম। আপনি আমার লেখার মুল থিমটা বুঝতে পারছেন।

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৪

ফুলেরপাতা বলেছেন: আপনি অনুমতি দিলে- আসেন আমরা আপনাকে "হিট" বানাই- কয়েক ঘন্টার মধ্যে ইনশাল্লাহ আপনি চীরকালের জন্য "ব্যান্ড"!!!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৯

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ভয় দিয়েন না। এমনিতেই কস্টে আছি। পিলিজ লাগে। আমি নিরিহ শান্তিপ্রিয় প্রানি। খারি একটু খুজখবর রাইখা চলি আরকি। এখানে একটাও আমার মতামত ছিলনা। সবগুলাই সত্য তথ্যাবলম্বনে দেয়া হইছে। তাই এসবের দরকার নাই ভাই। আমি যা আছি তাই ভাল।

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:১৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: আরিব্বাস! খেয়াল করিনি তো! দারুন লিখেছেন।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: এই বিষয়টা কেউই খেয়াল করেনি কখনো। সবাই তো সওয়াব কামানোর আসায় ওখানে যায়। কিন্তু কেউই খেয়াল করে না। তলে তলে কাম ঘইটা যাচ্ছে।

৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানলাম আপনার লিখা পড়ে।

আসলে বিদ্রোহী ভৃগু এর সাথে সহমত রেখেই বলি, .... আমি আপনি তৃতীয় বিশ্বের তকমা গায়ে আটা ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মতো লাফাইতে শুধু পারুম..আর সৈাদী শেখদের খামারে তন্দুরী ফ্রাই শুধু হমু ..... এর বেশী নয় কিছুতেই।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ওইটাও হইতে পারুম না। এখন উনারা আরো ভালো মাল খুজেন।

৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

বশর ভাই, আপনার হিলটন এ্যনালাইসিস হয়ত ঠিক আছে। তবে তা হয়ত "দশ হাজারে একজন" হজ্জ গমনকারীর জন্য বা তার চেয়ে কম। আসলে কি হজ্জ করার পরে মানুষের জীবনের কিছু পরিবর্তন হয়, অনেক আরো অনেক খবিস হয়। কিন্তু তার দায় বাকিরা কেন নিবে? আল্লাহ কি একজনের দ্বায় আরেক জনকে দিবেন? আর বোয়িং এ উঠলেই যদি ইহুদিরা লাভবান হয় তাহলেতো প্রায় সকল দেশ ভ্রমনই বাদ দিতে হবে, এটাতো আদিম চিন্তা হয়ে গেল!! আর পশু সাপ্লাই ইত্যাদি ব্যাবসাতে ইহুদীদের যে মনপলি তা ভাঙ্গতে তো মুসলমানদের কোন বাধা নাই, মনপলি ভাঙ্গলেই হয়!!

শেষ কথা হচ্ছে ধরেন ধান বা চাল বিক্রয় করেন এমন সবাই যদি মদ খোর হন, তবে তাদের কাছে থেকে ধান চাল কিনে খেয়ে তাদের মদের টাকার পরক্ষ যোগান দ্বার হলে, আমার কি অপরাধ হবে কি না? বা তার মদ খাবার দ্বায় আল্লাহ আমার উপরে চাপাবেন কি না??

ইসলাম অন্য ধর্ম বিদ্বেষী ধর্ম নয়। অন্য ধর্মের লোকদের সাথে ব্যাবসা করতে ইসলাম না করে নাই, হোক না তারা ইহুদী কিংবা হিন্দু!!

হজ্জ সবার জন্য। পাঁচতারায় থাকনে ওয়ালাদের যেমন স্পিরিচুয়াল চেঞ্জ হতে পারে হজ্জ, আবার যে কোন মতে মাত্র হজ্জে যায়, এক পয়সাও আলগা খরচ না করে, শুধুই হজ্জ করে ফিরে আসেন তাদেরো স্পিরিচুয়াল চেঞ্জ হতে পারে। কে জানে যে মানুষটা আজ সবচেয়ে খারাপ হজ্জের পরে সে হয়ত পরিবর্তিত হয়ে যাবেন।

আল্লাহ যখন কোন কাজে উৎসাহ দেন তখন সেই কাজে মানুষকে নিরুৎসাহিত করার আগে শত শত বার চিন্তা করা উচিৎ বলে মনে করি।


আসসালামুয়ালাইকুম !!!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: এই কমেন্টস এর কোন রিপ্লাই নাই। আমি আমার লেখায় সমালোচনার মুল বিষয় ছিল আল সৌদ বাদশাদের। হজ্ব বা হাজ্জিদের নিয়া না। আবার পরেন লিখাটা।

৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: প্রথমদিকের কিছু কথায় সহমত । সৌদি প্রসাশনের কাছে হজ্জ তাদের দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাবসা , এমনকি তাদের এই বিষয়ে পুরো আলাদা একটা মিনিস্ট্রি পর্যন্ত আছে !!

কিন্তু হজ্জ যে সিস্টেমের ভিতরে এখন চলে গেছে , তা থেকে আলাদা হয়ে আপনি কিভাবে হজ্জ পালন করবেন , আমি সে উপায় দেখি না ।

আপনি হিলটনে থাকবেন , কেএফসি তে খাবেন নাকি , না খাবেন তা পুরোটাই আপনার উপরে । আপনি মন থেকে আপনার সাধ্যের মধ্যে কতোটুকু পরিষ্কার নিয়তে হজ্জ পালন করছেন সেটাই দেখার বিষয় ।

তাই বলে হজ্জকে নিরুৎসাহিত করা সমীচীন বলে মনে করি না ।

ভালো তাহকুন , সুন্দর থাকুন ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: হজ্বকে নিরুৎসাহিত করা হয় নি ব্রাদার। বলা হইছে সৌদি আরবের সিস্টেমের প্রতি প্রতিবাদ জানানোর জন্য। হজ্বের সময় যদি সব হাজ্বি এক সাথে এর বিরুদ্ধে একবারের জন্য প্রতিবাদ জানায় সাথে সাথে এগুলা বন্ধ হয়ে যাবে।

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চারদিক বিস্বাদময়ে ভরা । :( :( :(

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: সেরকমই। সৌদি রাজাদের জন্যতো চারিদিক জান্নাত আর জান্নাত

১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বশর ভাই, দুইটা কথা। (১) ইসলামে সুদ চরমভাবে নিষিদ্ধ আর বর্তমানে চাকুরী কি ব্যবসা, সব চলছে সুদের উপর। (২) ঈমামের নামাজ ভুল হলেও মুসল্লিরটা আদায় হয়ে যাবে। তবে মুসল্লির দায়িত্ব সঠিক ইমাম নির্বাচন করা।

আপন গণিত ভালো বুঝে, তাই আশা করি আমার কথার পেছনের কথা বুঝতে পারবেন।

ভালো থাকুন।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০৭

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে সঠিক ইমাম তো আমরা নির্বাচন করছি না। সেই ইমামকেই আমরা সম্মান আর সবকিছু দিয়ে যাচ্ছি।

১২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

এস বাসার বলেছেন: বর্তমানে হজ্ব সৌদিদের জন্য বিরাট একটা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আর এই ব্যবসার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অংশীদার হিসেবে ইহুদী,খ্রীষ্টান........ অনেকেই আছে।

সমস্যা হলো একজন মুসলমান হিসেবে হজ্বকে অস্বীকার করা বা এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। সুতরাং আমাদেরকে হজ্বে যেতে হচ্ছেই।

প্রশ্নটা হলো সৌদি কর্তৃপক্ষ কতটা মুসলমানবান্ধব বা আদৌ তারা মুসলমান কিনা তাতে কিন্তু আপনার বা আমার মুসলমানিত্ব নির্ভর করে না । একজন মুসলামান হিসেবে আমাকে বা আপনাকে যার যার কর্মের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতেই হবে , সুতরাং নিজেকেই যতটা সম্ভব অন্যায় থেকে দূরে রেখে চলতে হবে।


সৌদি মুফতি নয়, আমাদেরকে আল্লাহ এবং রাসুল ( সাঃ) কে ফলো করতে হবে। এটা ঠিক এই কঠিন সময়ে সবকিছু সামলে সামনে এগোনো অনেক অনেক কঠিন কাজ।

ধন্যবাদ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: দারুন বলেছেন। আমি হজ্বকে অীস্বকার করছি না। আমি জাস্ট চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছি ব্যাবসায়ের ফ্যাক্টটাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.