নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৌশলি বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি এবং যা বুঝি তাই নিশ্বঙ্ক চিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি যা বুঝি তা নিশ্বঙ্কচিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চায়নার সামরিক উচ্চাকাঙ্খা এবং বাংলাদেশের রাজনিতি

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১০


লেখার বিষয় প্রধানত দুইটা।

এক. চায়নার সামরিক উচ্চাকাংখা

দুই. তাতে বাংলাদেশের লাভ অথবা ক্ষতি

পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার সামরিক উচ্চাকাংখা সম্পর্কে জানতে হলে আগে আপনাকে জানতে হবে তাদের সামরিক বাহিনি সম্পর্কে। চায়না পৃথিবীর ইতিহাসে একটা আলাদা এবং স্বাধিন চেতা একটা জাতি ছিল সেই শুরু থেকেই। তাদের নিজস্ব অস্তিত্ব এবং চিন্তা চেতনা ছিল। ছিল নিজেদের মতকরে সবকিছু গরে তোলার আকাঙ্খা।

চায়নার ইতিহাস অনেক লম্বা। দেশটি মুলত আধুনিক বিশ্বের নজরে আসে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পরে। যখন মাও সেতং দেশটির হাল ধরেন এবং বিদ্রোহ শুরু করেন। তৎকালিন সময়ে মাও সেতং এর বিদ্রোহি সামরিক সংগঠনকে ডাকা হত পিপলস লিবারেশন আর্মি নামে। খুব কমপ্লিকেটেড একটা ইতিহাস নিয়ে এই সেনাবাহিনিটির উৎপত্তি। প্রাথমিক ভাবে কমিউনিস্ট পার্টির উদ্দেশ্য ছিল চায়নার রাজনৈতিক ভাবে স্টাবলিশমেন্ট এবং একটা ওভার পপুলেটেড দেশের অর্থনৈতিকে স্টাবল করা।

বিষয়টাতে তাদের সাফল্য এতটাই চমৎকার ছিল যে তারা সামরিক দিক দিয়ে এগোতে শুরু করে। এরই হাত ধরে তারা ১৯৬৪ সালে প্রথম পারমানবিক বোমার সফল পরিক্ষা চালায় এবং একরকম জোর করেই জাতিসংঘের স্থায়ি পরিষদের নিজেদের স্থান সুরক্ষিত করে নেয়।

পিপলস লিবারেশন আর্মির শাখাগুলোও একটু ডিফারেন্ট। তাদের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখা ছারাও তাদের সেকেন্ড আর্টিলারি কোর নামক আলাদা একটা শাখা আছে। যেখানে এক লক্ষাধিক সদস্য আছে। এটি একটি মিসাইল এবং রকেট স্পেশাল বাহিনি। এই কোরটাই মুলত পারমানবিক অস্ত্রগুলো নিয়ন্ত্রন করে। ধারনা করা হয় এদের কাছে এত বিপুল পরিমানে মিসাইল আছে যে তা দিয়ে আলাদা একটা যুদ্ধ করতে পারবে তারা। আর কোন ফোর্সের প্রয়োজন হবে না। তাদের এই ফোর্স ৬ টা আলাদা ব্রিগ্রেডে ভাগ করে পুরো দেশে বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।

উচ্চকাংখা বলতে যেটা বুঝানো হয়েছে সেটা পুরোটাই স্ট্রটেজিক। চায়নার সামরিক বাহিনির এয়ার ফোর্স এবং নেভি ফোর্স পুরোটাই স্বনির্ভর। এয়ার ফোর্সের সামরিক ভিশন বলতে বর্তমানে তাদের নিজস্ব এয়ার সুপেয়রিয়রিটি ফাইটার, বম্বার, ক্যারিয়ার, ড্রোন, ফাইটার ড্রোন এবং অবশ্যই সুপাল কোয়ালিটি ফোরথ এবং ফিফথ জেনারেশন Chengdu J-20। যা অলরেডি প্রোডাকশনে চলে গেছে। এয়ার ফোর্সের এই স্বনির্ভরতা তাদের আর্সেনাল বা বিমানের সাথে বহন করা বোমাগুলোর ম্যানুফ্যাকচারিং ক্যাপাবিলিটও আছে। মানে কোন কিছুই বাইরে থেকে তারা কিনে না।

চায়নার নেভির সামরিক ভিশনের মধ্যে আছে আরো পাচটি বিমান বাহি রনতরি নির্মান করা। অলরেডি তারা এটার কজা শুরু করে দিয়েছে। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা রিপোর্ট করেছে চায়নার একটা গোপন সামরিক স্থাপনাতে এই রনতরি গুলোর নির্মান কাজ চলছে পুরো দমে। মুলত ফিফথ জেনারেশনের বিমানগুলোকে বহন করার জন্যই এই রনতরি গুলো। প্রত্যেকটি রনতরির সাথে থাকবে একটি আলাদা ব্রিগ্রেট যেখানে ডেস্ট্রয়ার থাকবে এবং থাকবে অত্যান্ত হাই কমব্যাট ক্যাপাবিলিটির সাবমেরিন। এবং এই সব জাহাজই থাকবে প্রথমেই বর্ননা করা মিসাইল ফোর্সের আওতায়। মানে তাদের বিচরন থাকবে সব স্থানে। এই পুরো পরিকল্পনাকে চায়নার ব্লু ওয়াটার এমবিশান বলে। পুরো সাগরকে একাই নেতৃত্ব দেয়ার পরিকল্পনা। এর মধ্যে আবার তারা লাস্ট যে ডাবল সাইডেড এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের ডিজাইন দেখাইছে তাতে আমেরিকান সামিরক বিশ্লেষকরাও ব্যাপক চিন্তিত।

চায়নার আর্মি বা গ্রাউন্ড ফোর্সের মধ্যে আলাদা ট্যাংক ডিভিশন হচ্ছে আর একটা মারাত্মক ফোর্স। বাংলাদেশের ব্যাবহৃত ট্যাংকগুলো চায়নার নিজস্ব নির্মিত ট্যাংক। অত্যান্ত উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষমতার সম্পন্ন এই ট্যাংকগুলো আধুনিক বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। এছারাও সামরিক বাহিনির প্রত্যেকটি অস্ত্র তারা নিজেরাই তৈরি করছে নিজেদের প্রযুক্তিতে। আর তাদের মিসাইল ফোর্সের কথা তো শুরুতেই বলেছি।

তাই সামরিক দিক থেকে সামনের দিকে চায়না পৃথিবীর বুকে একটা অত্যান্ত পরাশক্তি হিসাবে আবির্ভুৎ হতে যাচ্ছে। এতটাই ভয়ানক পরাশক্তি যে এই অঞ্চলে তাদের কাছে কৈফিয়ত বহির্ভত কোন কাজ হবেও না তারা হতে দেবেও না।

এর পরে আসি লেখার পরের ধাপে। প্রশ্ন আসতে পারে বাংলাদেশ এর সাথে চায়নার সামরিক বাহিনির কি সম্পর্ক??

এখানেই চমৎকার একটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের অবস্থান। এই দিকদিয়ে বাংলাদেশ ভারতের একেবারে পেটের মধ্যে একটা অঙ্গরাজ্যের মতন। কৌশলগত দিক দিয়ে ভারত-চায়না যতই গলায় গলায় ভাব দেখাক বাস্তবে বিষয়টা অনেক কমপ্লিকেটেড। সেই ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে চায়না ভারতের যে পরিমান যায়গা দখল করে নিয়েছে তার দুঃখ এখনও ভারত ভুলে নাই। যে কোন বিষয়ে এই দুইদেশের মধ্যে ঝামেলা লেগে যায়। ভারত বর্তমানে এই অঞ্চলে চায়নাকে টক্কর দেয়ার জন্য উঠেপরে লাগতেছে। ভারত মহাসাগরে আমেরিকারে ডাইকা আনতেছে। এই পুরো অঞ্চল একক নিয়ন্ত্রনে চালানোর চেস্টা করতেছে। বিষয়টা আপনার আমার কেমন যেন লাগলেও চায়নার মোটেই পছন্দ হইতেছে না।

আর এখানেই বাংলাদেশের আগমন। চায়নার উদ্যেশ্য হচ্ছে ভারতকে একটা স্থানে আটকাইয়া ফেলা। তারা সেটা প্রথম করেছে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে রিনোভেশনের কাজ করে পুরো গোয়েদার বন্দরটাকে নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছে। ফলে সেখানে খুব সহজেই একটা নেভাল ইউনিট থাকতে পারবে। এর পরেই তারা শ্রিলংকার বন্দর নিয়ে নিয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে সেখানে একটা নেভাল ফ্লিট থাকতে পারবে। এখন যদি আপনারা আমার দেয়া ছবিটার দিকে খেয়াল করেন। খুব সহজেই দেখতে পারবেন তারা যদি কোন ক্রমে কক্সবাজারের দিকে একটা বেইজ করতে পারে। তাহলেই কেল্লা ফতে। যখন এই তিনটা সামরিক স্থাপনার থেকে চায়নার জাহাজ গুলো চলাচল করবে প্রায় প্রতিদিনই ভারতিয়দের জন্য একটা করে নাকে ক্ষতের মত হবে।

বিষয়টা খুব একটা কমপ্লিকেটেড না। এটার জন্য আপনাকে শুধু আপনার বন্দরটা তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। তাও একটা কন্ট্রাকের মাধ্যমে পুরো বন্ধরে তাদের ইনভেস্টমেন্ট এবং রক্ষনাবেক্ষন করতে দেয়ার সুযোগ দেয়া লাগবে। ফলে তারা পুরো এলাকাটিকে তাদের নৌবাহিনির জন্য একা বেইজ করার সিস্টেমে রিনোভেশন করে নেবে।

এখন দেখার বিষয় হচ্ছে কি হতে পারে এটার আগের এবং পরের আফ্টার ম্যাথ। প্রথমত এটা করলে এই বন্দরের ভারতের জাহাজ গুলোর অবাধ অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে তাদের পুর্বের রাজ্যগুলোতে পন্য পরিবহনের সমস্যার কারনে উক্ত রাজ্যগুলোর অর্থনিতি বাংলাদেশের পন্য আমদানি নির্ভয় হয়ে পরবে। এর পরে আছে বাংলাদেশের বন্দরের পন্যখালাসে বর্তমানের দির্ঘসুত্রিতার অবসান হবে। ফলে খুবদ্রুত পন্যখালাস হলে দেলে অর্থনিতি আরো দ্রুত প্রসারিত হবে।

সামরিক দিকথেকে সুবিধা হচ্ছে আপনার পুরো উপকুলে একটা বিদেশি কাউয়া ঢুকার আগে পারমিশন নিয়া ঢুকবে। আগে জিজ্ঞেস করবে আসবো কিনা?? অনুমতি দিলে ঢুকবে না হলে বাইরে দিয়ে চলে যাবে। ভিতরকার রাজনিতি পুরোপুরি ভাবে ভারত বিরোধি শক্তির নিয়ন্ত্রনে চলে যাবে। কারন হচ্ছে রাস্ট্রক্ষমতা সাধারন সামরিক শক্তির উপরই ডিপেন্ড করে। যেটা হারে হারে টের পাচ্ছে বার্তমান বিএনপি-জামাত জোট। সামরিক বাহিনির প্রত্যেকটি অস্ত্র চায়না থেকে আসবে। বর্ডারে একটা গুলি চললে ১০ টা ফেরত দেয়ার মত গুলি আপনাকে চায়নাই দেবে। আর তখন বর্ডারে এমনিতেই গুলি করার আগে ভারতীয় সামরিক বাহিনি ১০ বার ভাবতে বাধ্য হবে। হতেই হবে। কেউই আপরাইজিং একটা সামরিক শক্তির সাথে সংঘর্ষের কথা ভাববে না। যেখানে স্বয়ং আমেরিকা যাদেরকে নিয়ে চিন্তিত সেখানে ভারত তো দৌরের উপরে থাকে। উত্তর কোরিয়ার মত দেশকে তারা একাই সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ তো তাদের সামনে কিছুই না।


আমার লেখাটা হয়ত গুছিয়ে লেখা হয় নি। অনেক তথ্য মিসিং আছে। হয়ত অনেকে লেখাটা পরে হাসবেন। অনেকে হালকা রাগও করতে পারেন যারা বিষেশ করে ভারতকে নিজেদের হোমল্যান্ড মনে করেন। তবে পুরো লেখাটা একেবারে আমার ব্যাক্তিগত মতামত। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট । চিন্তার খোরাক আছে । চিন বিশ্বের ১ম শক্তিশালী দেশ হওয়ার পরিকল্পনা করে বসে আছে । তাদের দাবিয়ে রাখার জন্য আামেরিকা ভাল প্রীতি চলছে । মন্দ বলেন নি ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: এখানেই আমাদের প্রসাসনকে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩১

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: তাই হাসিনাও তাদের তাল দিচ্ছে, কক্সবাজার গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ চায়না পেলো, পদ্মা সেতুর কাজও তাদের হাতে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: জ্বি ভাই। হাসিনা অনেক বুদ্ধিমতি এবং ধৈর্যশিল মহিলা। তিনি জানেন কোথায় কোথায় কি করতে হবে। এই জন্যই বিএনপি কিছুই করতে পারছে না। আর করতে পারবে বলেও মনে হয় না যদিনা মিরাকল কিছু ঘটে।

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: চীনের সামরিক বাহিনী নিয়ে লেখা আর অসংখ্য চমৎকার সব ছবি খুব ভাল লাগল। রাজনীতিতে গেলুমনা।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমার লেখার মুল উদ্দেশ্যটা কিন্তু রাজনৈতিক ছিল। মুলত বাংলাদেশের তাদের সামরিক উচ্চাকাংখার প্রভাবটা নিয়েই লিখেছি।

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

জালিস মাহমুদ বলেছেন: হুম তবে আমার মনে হয় রাশিয়া সব দিক দিয়া বেস্ট । কেনোনা রাশিয়ার অনেক কিছুই হিডেন অবস্থায় থাকে তারা আপনাকে কিছুই জানতে দেবে না । আসল সময়ে সব হাজির করবে :-B :-B :-B । চায়নাদের বুদ্ধি ভালো মানতে হবে । তারা সামনের দিকে অনেকটা এগিয়ে ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: চায়না এই মুহুর্তে আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এই অঞ্চলে তারা সামনের দিকে একক ভাবে ডমিনেট করবে সামরিক এবং রাজনৈতিক দিক দিয়ে। এই অঞ্চলে সেই লোকই রাজত্ব করবে যে চায়নাকে তোয়াজ করবে।

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

শাহ আজিজ বলেছেন: বিমান রণতরী ভৈরাগ কি চালাতে পেরেছে? এখনকার সময়ে কৌশলগত যুদ্ধই আসল। আজ থেকে ২৪ বছর আগে গালফ সাগরে বসে আমেরিকা যে সৈন্য বিহীন যুদ্ধ করেছিলো ইরাকের বিরুদ্ধে সে যোগ্যতা কি চীন অর্জন করেছে? আগামী ২০ বছরে চীন যে যোগ্যতা সামরিক ক্ষেত্রে অর্জন করবে সেই ২০ বছর কি আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইজরাইল আঙ্গুল চুষবে? তারাও ২০ বছরে অনেক এগিয়ে থাকবে। ভারতের কিন্তু ৭১ সালেও বিমান বাহী রণতরী ছিল। তারও নিজস্ব উৎপাদন ব্যাবস্থা আছে। আপনি শুধুই চীনা সমর সরবরাহের ওপর জোর কেন দিচ্ছেন ? আমাদের জয়দেবপুরে মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি অনেক কিছুই উৎপাদনে সক্ষম। চীন ভারত ও রাশিয়া মিলে নতুন অর্থনৈতিক বলয় গড়ে তোলার খবর পরশু দিনের। আমরা কেন মাঝ পথের খোরাক হতে যাবো। বাসর রাতে নিজ লিঙ্গ ব্যাবহারই উত্তম ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আপনার কমেন্টস টা ভালো লেগেছে। কিন্তু বিষয়টা আপনি যেভাবে বলেছেন অতটা সহজ হবে না। আমাদের মত দেশের জন্য তো সেটা মোটেই না। জাপান এবং উত্তর কোরিয়ার বৈদেশিক রাজনিতির স্টাডি করার জন্য আপনার প্রতি অনুরোধ রইলো্ ধন্যবাদ।

৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০০

শিপু০৯ বলেছেন: সাদামাটা কিন্তু তথ্যবহুল একটি বিশ্লেষন, বাংলাদেশের রাজনীতি একটি বাক্ পরির্বতনের সন্ধিক্ষণে দাড়িয়ে দেখার বিষয় আগামীতে চীনারা কাদের সর্মথন দেয়।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: চীনারা তাদেরকেই সমর্থন দেবে যারা তাদেরকে বেশি সুযোগ সুবিধা দেবে। এটাই রাজনিতি এটাই সুবিধাবাদ।

৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: মানের দিক দিয়ে চীনা অস্ত্র এখনও বেশ পিছিয়ে। তাছাড়া তাদের যুদ্ধকৌশল ও বেশ প্রশ্নবিদ্ধ, আপনি বলতে পারবেন ইতিহাসের ঘেটে যে কোন যুদ্ধে তারা নিরন্কুশভাবে প্রাধান্য বিস্তার করতে পেরেছিলো? একমাত্র চীন-ভারত যুদ্ধ ছাড়া? বেশীরভাগ যুদ্ধে তারা প্রচন্ড মার খেয়েছে মূলত: তাদের ভুল কৌশলগত কারনে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অতিতকে নিয়ে বেশি ঘাটছি না। ভবিষ্যতের দিকে তাকাচ্ছি। ভবিষ্যৎ তাদের কথাই বলছে। আপনি আমেরিকার বর্তমান সামরিক পলিসি স্টাডি করেন। বুঝতে পারবেন। ইউরোপ থেকে আমেরিকা কেন দক্ষিন এসিয়ার দিকে বেশি নজর দিচ্ছে

৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৯

সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট, পুরোটা পড়িনি :P সময় করে অাসতে হবে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: এত বেমি কিছু না। পরার আমন্ত্রন রইলো। বিশ্লেষন ধর্মি লেখা। ধন্যবাদ

৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৭

নাজমুল রনি বলেছেন: কিছু মনে করবেন না ,আমার মনে হয় আপনার আন্তর্জাতিক রাজনীতি বা স্ট্রাটেজিক স্টাডি নিয়ে তেমন পড়াশুনা নাই।আপনার লেখায় যেসব তথ্য দিয়েছেন তা খুবই সস্তা দরের এবং ভুলে ভরা।লেখার দ্বিতীয় অংশে চীনের শক্তি বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের লাভ দেখাতে চেয়েছেন যা সস্তা আবেগ।
তারপরও ভালো লাগলো এই কারনে যে আপনি দাদাদের মোকাবিলা করতে চেয়েছেন।পরবর্তীতে আরো ভালো লিখবেন এই আশা রইলো।(বানানের দিকে একটু খেয়াল রাখবেন)।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমার তথ্যতে ভুল থাকতে পারে কিন্তু আবেগ জিনিষটা হয়ত আমি লেখার সময় মাথায় রাখি না। এখানে আমি কিছুটা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে লিখেছি। আন্তর্যাতিক রাজনিতিতে চীনের বিষয়ে যারা ঢিলে ভাবে চিন্তা করে আমার ধারনা তাদের উচিৎ বিষয়টা নিয়ে আরো স্টাডি করা। ধন্যবাদ কমেন্টস এর জন্য।

১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

ট্রোল বলেছেন: এটা একটু পড়ে দেখেন Click This Link

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আপনি একটু বেশি আবেগি ভাবে লিখেছেন। তবে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ। :)

১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

হাসিব০৭ বলেছেন: সহমত

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভালই লাগলো ,

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: :)

১৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

রায়হান চৌঃ বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন......
নিজেদের অস্তিত্য টিকিয়ে রাখার জন্য চায়না কে খুব বেশি প্রয়োজন।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমার কাছে মনে হচ্ছে এটাই সবচেয়ে উত্তম পন্থা এই মুহুর্তে বাংলাদেশের ভুরাজনিতিতে সফল হওয়ার জন্য।

১৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

jiad82 বলেছেন: অসাধারন,বশর ভাই, ফেসবুকের রহিমুল হক।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০০

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: :) ধন্যবাদ

১৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৭

বিপ্লব06 বলেছেন: বেশ ভালো লিখেছেন! এটা ঠিক যে চীন একটা পরাশক্তি! তাদের রিসেন্ট প্রোগ্রেস চোখে পড়ার মত! কিন্তু এই প্রোগ্রেসটাই হবে চায়নার গলার কাটা। তাদের অর্থনীতির গ্রোথ যখন সেইম রেটে বাড়বে না তখন তাদের সমস্যা হবে। চায়নার ইন্টারনাল কনফ্লিক্ট দেখা দিবার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

চায়না কখনো এক নম্বর হইতে পারবে না। এক নম্বর হইতে গেলে গোটা বিশ্বের সমুদ্রগুলো এবং নেভাল রুটগুলো নিয়ন্ত্রণ করা লাগবে। ইতিহাস ঘেঁটে দেখেন, আম্রিকার আগে ব্রিটিশরা বিশ্বের এক নম্বর ছিল, সমুদ্র শাসন করার ক্যাপাবিলিটির জন্য। আমেরিকা এই জন্যই এত্ত টাকা পয়সা খরচ করে এতগুলা ফ্লিট মেইন্টেইন করতেছে!

আর চায়না যে গ্রেট ফায়ারওয়াল দিয়ে ইন্টারনেট কন্ট্রোল করতেছে সেইটা কেন? কিসের ভয়? তারা কি আরটিফিসিয়ালি কিছু চালাচ্ছে? যদি উত্তরটা হ্যা হয় তাইলে কিন্তু বিপদ!

এইটা পড়ে দেখতে পারেন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: চায়নাতে এই ধরনের কিছু একটা করার জন্য সিআইএ এত ট্যাকা খরচ করছে যে সেইটা দিয়া তারা আর একটা ফ্লিট বানাইতে পারতো। বিষয়টা একটু কমপ্লিকেটেড। চায়নার ফিনেনসিয়াল গ্রোথ এর জন্য সেই দেশের পাবলিক তাদের সরকার ব্যাবস্থাটা খুব সুন্দর ভাবে মেনে নিয়েছে। সরকার আনস্টাবল তখনই হবে যখন পাবলিক সাপোর্ট কমে যাবে। যেটা এখন আওমিলিগ এর জন্য হচ্ছে বাংলাদেশে। কিন্তু চায়নার কম্যুনিস্ট পার্টিকে পাবলিক বেশ ভালোভাবেই সাপোর্ট দিতেছে। দুই একটা যা বিদ্রোহ হচ্ছে তাও হালকা কিছু বিষয় নিয়ে পুরো সরকার ব্যাবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হচ্ছে কিন্তু খুবই কম। বিশেষ করে রিসেন্টলি বিষয়টা তাদের হাতে চলে আসছে।

আর গ্রেট ওয়াল দেয়ার কারনও ওইটা। আমেরিকান স্পাইগিরি কমিয়ে ফেলেছে। আমেরাক উইল ডু এনিথিং টু প্রিভেন্ট চায়না টু গেইন আ স্ট্রং মিলিটারি স্ট্রেন্থ।

১৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

সোহানী বলেছেন: বিস্ব রাজনীতির মারপ্যাচ আমি বুঝি না তবে আপনার লিখা ভালোলেগেছে লিখার অসাধারন উপস্থাপনার কারনে। শুধু এটুকু বুঝি, অন্য সব সবাই দেশের সমস্টিগত ভালোর জন্য পররাস্ট্র নীতি নির্ধারন করে... একমাত্র মনে হয় আমরা নিজের ব্যাক্তিগত ভালো মন্দ দিয়ে এ নীতি নির্ধারন করি।

ভবিষ্যতে আরো লিখার প্রত্যাশায়...

অনেক অনেক ভালোলাগা সহ +++++

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো মন্দের বিচার তখনই আসবে যখন দেশের স্বাধিনতা রক্ষা হবে। এবং ভালো আর মন্দের মানদন্ড সেই স্বাধিনতা দিয়েই যাচাই করা হবে। এখানেই আমরা বার বার মার খাচ্ছি। স্বাধিনতা বিসর্জন দিয়ে পররাস্ট্র নিতি বিবেচনা করছি।

১৭| ০২ রা মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণী পোস্ট, সহজভাবে অনেক কঠিন হিসেব বুঝাতে পেরেছেন। আসলেই চীন যে কোন উপায়ে এই ভারত মহাসাগরের কর্তৃত্ব নিয়ে নিবে, টুডে অর টুমরো, এটা সময়ের ব্যাপার। আর ভারত ভালোই বুঝে গেছে যে চীনের সাথে ঝামেলা পাকায়া লাভ নেই। তাই বাংলাদেশের এখানে একটা ভালো রোল প্লে করার সুযোগ আছে, সেই অপেক্ষায় রইলাম আমরা, আমাদের রাজনীতিক ব্যক্তিত্বরা কি স্ট্রটেজি অবলম্বন করে এটাই দেখার বিষয়।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

০২ রা মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি বুঝতে পেরেছেন বিষয়টা। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.