নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৌশলি বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি এবং যা বুঝি তাই নিশ্বঙ্ক চিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি যা বুঝি তা নিশ্বঙ্কচিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসাধারন কিছু বাড়ির ডিজাইন (পর্ব-১)

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩


আমি চিন্তার করলাম যেহেতু আমি ইন্টারনেট ঘেটে প্রচুর বাড়ির ডিজাইন দেখে দেখে কনসেপ্ট কালেক্ট করি। তাই কেন না ফেসবুকে সেই বাড়িগুলোর ডিজাইন গুলো শেয়ার করি। সেই ভাবনা থেকেই আসলে এই লেখার অবতারনা। এটা আসলে একটা ছবি ভিত্তিক নোট। তাই লেখা পরার চেয়ে ছবি দেখেই মজা পাবেন বেশি। তারপরও লেখাগুলো আপনাকে আরো বেশি সুবিধা দেবে ডিটেইলস জানার জন্য।

এই বাড়িটির নাম New Canaan Residence। বাড়িটি আমেরিকার Connecticut অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত। বাড়িটির ডিজাই করেছে আমেরিকার বিখ্যাত আর্কিটেকচার ডিজাইন ফার্ম Specht Harpman Architects। তাদের এই কাজটি বিভিন্ন দিক থেকে একটি মাস্টার পিস বলেই সবার কাছে বিবেচিত হয়। আসুন দেখি বাড়িটিতে তারা কি করেছে।

প্রথমত তারা তাদের গেস্টদের ঢোকার জন্য অসাধারন একটা ওয়েলকামিং এন্ট্রি তৈরি করেছে। যাতে গেস্টরা বাড়িতে ঢোকার সময় পুরো লনটা হেটে আসতে পারে এবং পুরো বাড়ির সৌন্দর্য তাদের চোখে পরে। এখানে উল্লেখ যোগ্য যে এই ঘাষের লন যে আসল ঘাসই হতে হবে সেটার কোন মানে হয় না। যদি আসল ঘাস আমাদের সাব কন্টিনেন্টে না হয় তবে আপনি প্লাস্টিকের গ্রাস ম্যাটেরিয়ালস গুলো ব্যাবহার করতে পারে। দেখতে সুন্দর এবং স্থায়ি এবং অবশ্যই ঝামেলা মুক্ত। এর পরে পুরো ড্রইং রুমটির দুটি দেয়াল সম্পুর্ন গ্লাসের করা হয়েছে যাতে দুই দিকের সম্পুর্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য চোখে পরে।


অসাধারন এই সুইমিংপুলটি করা হয়েছে বাড়িতে ঢুকতেই হাতের ঠিক ডান পাশে। কিন্তু একটা লো হাইট দেয়াল দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে যাতে গেস্টদের চোখে পুরোটা না পরে। এত যেমন সুইমিং পুলে সাতার কাটা অবস্থায় প্রাকৃতিক দৃশ্য চোখে পরছে তেমন প্রাইভেসিও সুরক্ষিত হয়েছে। এছারাও সুইমিং পুলের পাশেই বেশ খানিকটা যায়গা রাখা হয়েছে যাতে সাতারের পরে খানিকটা বিশ্রাম নেয়া যায়। পুলের ঠিক সামনেই রাখা হয়েছে স্যালুন এবং বার।

মাস্টার বেডরুমটিতে রাখা হয়েছে একই সাথে একটি আস্ত গ্লাসের দেয়াল এবং বিশাল সব জানালা। প্রধান কারন হচ্ছে যাতে ন্যাচারাল আলো এবং বাতাস সব সময় ঘরটিতে প্রবেশ করতে পারে। আবার সেফটিও যাতে সুরক্ষিত থাকে।

সুইমিং পুলে যাওয়র জন্য সরু একটা ওয়াকওয়ে রাখা হয়েছে। আবার পাশেই একটা লিভিং স্পেস রাখা হয়েছে যেখানে বাড়ির শিশু-কিশোর বা বড়রা বসে একেবারে খোলা হাওয়ায় কিছক্ষন পারিবারিক সময় কাটাতে পারে।

এটাই বাড়ির মেইন দরজা। মুলত এটি একটি অত্যান্ত হাইটেক দরজা। ম্যাগনেটিক সিস্টেম এর মাধ্যমে এটি খুলে এবং বন্ধ হয় এবং সেটি একটি সেন্সর এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। যে সেন্সরটি বাড়ির সদস্য বা পরিবারের কেউ ছারা খুলবে না।

খুবই সিম্পল একটা ড্রইং রুম। কিন্তু এর লাইটিং এমন ভাবে হিসাব করে সাজানো হয়েছে যে কোনভাবেই আপনার আনকমফোর্ট ফিল হবে না যতক্ষন আপনি এখানে থাকবেন। খুব বেশি ফার্নিচার অথাব সিলিং দেয়া হয়নি। চেস্টা করা হয়েছে বেশি করে স্পেস রাখার জন্য যাতে বসবার কারিরা বেশি কমফোর্ট ফিল করে।

এই বারান্দাটা আপনাকে একেবারে প্রাকৃতির মধ্যে এনে দেবে। এখানে হালকা ভাবে একটু হাটতে বা পায়চারি করতে পারবেন সাথে সাথে প্রয়োজনে কারো সাথে দারিয়ে দারিয়ে গল্পও করতে পারবেন।

বেডরুমের ছবির দিকে তাকিয়েই আপনি বুঝতে পারছেন কেন এটি অসাধারন। পিছনের গ্লাসটি সম্পুর্ন ক্লিয়ার হওয়াতে আপনি এখানে শুয়ে প্রকৃতির অসাধারন সবুজকে উপভোগ করতে পারবেন। কিন্তু প্রয়োজনে আবার উপরে থাকা রিমোর্ট কন্ট্রোল পর্দা টেনেও দিতে পারবেন। দুই পাশের দুইটি জানালা ঘরটিকে যথেস্ট পরিমানে বাতাস এনে দেবে ফলে একই সাথে এটি ঠান্ডাও থাকবে।

বাথরুমের বিষয়টা একেবারে কমফোর্ট রাখা হয়েছে। চেস্টা করা হয়েছে যত বেশি খালি স্পেস দেয়া যায়। শাওয়ার এবং কমোড সেকশন আলাদা ভাবে রাখা হয়েছে। টাওয়েল বক্স এবং বেসিন একই সাথে দিয়ে আর্কিটেক্ট যথেস্ট বুদ্ধিমানের পরিচয় দিয়েছেন।

পরিশেষে একেবারে মুল বাড়ির ডিজাইনই দিয়ে দেয়া হয়েছে। দেখে নেন কিভাবে বানানো হল এত সুন্দর একটা বাড়ি এবং কি কি আছে বাড়িটার মধ্যে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর পোস্ট, বাড়ীগুলো দেখতে চমৎকার।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: একটাই বাড়ি এখানে। জাস্ট ওই বাড়িটারই সবগুলো ফিচার দেখানো হয়েছে্

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হামা ভাই।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ইনশাল্লাহ! এমন বাড়ি বানামু! :D

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: সমস্যা নাই। ডিজাইন কইরা দিমু। ;)

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা...

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আহা আহা আহা................

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

তাপস কুমার দে বলেছেন: ভালো!!!!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:১১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

বৃতি বলেছেন: ডিজাইনটা খুব সুন্দর। ভালো লেগেছে।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:১২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ভালোতো লাগতেই হবে। এটা বিশ্বের সেরা জিাইনারদের হাতে করা যে। :)

৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: এখনই তো একখান বাড়ি বানাতে ইচ্ছে করছে ---

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: বানিয়ে ফেলেন। ডিজাইনার হিসাবে আমাকে বইলেন। আছি সবসময়।

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫১

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
++++

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: প্লাস গৃহিত হইলো।

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫২

সোহানী বলেছেন: আহ্.... বুকের ভীতরের হতাশাটা আরো বাড়িয়ে দিলেন..... তারপর ও ইর্ষান্বিত ++++++

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: হতাশা বারানোর কিছু নাই। আপনার যা আছে সেটাকেই চেস্টা করুন সুন্দর করে সাজাতো। তাহলেই হল।

১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার সব বাড়ি !!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ভাই একটাই বাড়ি। ওইটারই ডিটেইল দিসি। :(

১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১

কলমের কালি শেষ বলেছেন: দারুণ বাড়ি । একটা বানাতে হবে ! :P

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: বানাইয়া ফেলেন আমি আছি :)

১২| ১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

ভবঘুরে ভূত বলেছেন: ভাই আপনার ডিজাইন করা কোন বাড়ি সম্বন্ধে লিখেন :)

১৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমার ডিজাইন করা বাড়ি সম্পর্কে লিখতে গেলে সেই ডিজাইনই চুরি হয়ে যায়। একবার লিখেছিলাম। পরে দেখি সেই ডিজাইনের বেশ কয়েকটা বাড়ি হয়ে গেছে।

১৩| ১৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪

ভবঘুরে ভূত বলেছেন: খুব খারাপ কথা। যাইহোক, বাড়ি বানানোর পর সেটা নিয়ে লিখবেন। আর মেইন ডিজাইনটাটা দিবেন না। চুরি হবার সম্ভাবনা কমে যাবে।

১৫ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: নাহ। এভবে দিবো না। আমার কাজগুলো একটা টিম ওয়ার্ক। এভাবে একটা কাজের পুরো ক্রেডিট আমি নিয়ে নিলে সেটা ভালো দেখাবে না। তবে দেখি কোন প্রজেক্ট কমপ্লিট হবার পরে সেটা নিয়ে লিখবো আশা করছি। কুয়াকাটাতে একটা অসাধারন প্রজেক্ট করছি। দেখি কতদুর করা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.