নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৌশলি বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি এবং যা বুঝি তাই নিশ্বঙ্ক চিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি যা বুঝি তা নিশ্বঙ্কচিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলুন ঘুরে আসি ব্লাক হোলের ভিতরে (পর্ব-১)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

মানুষ হিসাবে আমার ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। সময় পাইলেই ঘুরতে যাই সময় না পাইলেও সময় বাইর কইরা তার পরে ঘুরতে যাই। এমন কোন স্থান নাই যেখানে আমরা ঘুরতে যাই না। শুধু নাম শুনলেই হইলো আমরা সেটারে ঘুরার যায়গা বানাইয়া ফেলি।

তাই আমি ভাবলাম কেননা আমরা একটা ব্লাক হোল এর ভিতরে ঘুরে আসি। দেখে আসি এবং জেনে আসি কি এই জিনিষ ব্লাক হোল আর কি হতে পারে এর ভিতরে ঘুরতে গেলে। বিশেষ করে যারা ইন্টারস্টেলার মুভিটা দেখছি তাদের জন্য অবশ্যই কিছু প্রশ্ন থেকে যায় যে কি হতে পারে যখন একটা মানুষ একটা ব্লাক হোলের মধ্যে দিয়ে যাবে। চলুন দেখি।

প্রথমত প্রশ্ন হচ্ছে ব্লাক হোল কি?? এটা কিভাবে সৃস্টি হয়? এইটা না জানলে তো ব্লাক হোলের মধ্যে ঘুরতে গিয়া অযথা লাভ নাই।

গানিতিক ভাবে যে কোন কিছু ব্লাক হোল হইতে পারে। ব্লাক হোল কি সেটা বুঝতে হলে আপনাকে দুইটা জিনিষ বুঝতে হবে সবার আগে।

১) আমাদের এই মহাবিশ্বের যত জিনিষ আছে(মানুষ, পৃথিবী, গ্রহ নক্ষত্র) সবকিছুই একটা বিন্দু থেকে সৃস্টি হয়েছে। তার মানে আমরা দুনিয়াতে যা দেখি কোন কিছুই নতুন করে সৃস্টি হয়নি। সবকিছুই আগে থেকে ছিল শুধু মাত্র চারিদেকে ছরিয়ে পরেছে বৈকি।

২) আর একটা জিনিষ জেনে রাখেন যে প্রত্যেকটা জিনিষের নিজস্ব অভিকর্ষ বা গ্রাভিটি রয়েছে। সেটা হতে পারে খুব কম অথবা অনেক বেশি। সে আপনি হোন বা একটা আস্ত গ্রহ হোক। সাইজের উপর শক্তি ডিপেন্ড করবে। তার মানে এইযে আপনি, আমি সহ আমাদের চারপাশে সবকিছুরই আকর্ষন শক্তি আছে। তবে সেটা এতটাই ক্ষুদ্র যে তা গনায় ধরার মতন না।

এখন মনে করেন মহাবিশ্বের শুরুতে সেই বিন্দু থেকে ছরানো জিনিষ গুলো থেকে যোকোন একটা জিনিষ "সে হতে পারে একটা কাগজের টুকরো বা একটা জাহাজ অথবা একটা গ্রহ বা একটা তারা বা নক্ষত্রকে সংকুচিত করতে করতে একেবারে এমন একটা ব্যাসার্ধে নিয়ে আসা হল যে সেটার ভিতরে বস্তুর ঘনত্ব এত বেশি হবে যে অভিকর্ষ বল বা গ্রাভিটি বা এর আর্ষন শক্তি বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে পৌছলো যে সেই আকর্ষন থেকে কোন জিনিষ তো দুরের কথা আলোর কনিকা গুলো পর্যন্ত বের হতে পারেনা তখনই সেটা একটা ব্লাক হোল।

এখানে যে ব্যাসার্ধের কথা বলা হয়েছে এটা সকল বস্তুরই আছে। মানেই প্রত্যেকটা বস্তুরই এমন একটা ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্রতম ব্যাসার্ধ আছে যেটাতে উক্ত বস্তুকে সংকুচিত করা হলে সেটা একটা ব্লাক হোলে রুপান্তরিত হয়ে যাবে। এই ব্যাসার্ধকে schwarzschild radius বলা হয়। অসম্ভব মেধাবি এবং কিছুটা পাগলা বিজ্ঞানি Karl Schwarzschild এই ব্যাসার্ধের আবিস্কর্তা।

কি এখনো ব্লাক হোল বুঝতে পারতেছেন না? আচ্ছা বাদ দেন উপরের খামচা খামচি কথা বার্তাগুলো। ব্লাক হোল কিভাবে তৈরি হয় সেটা দেখি।

মনে করেন আপনি একটা কাগজের বক্স বানালেন। কিছুক্ষন পরে মনে হল না পছন্দ হচ্ছে না আপনি কাগজের বক্সটা হাতের ভিতরে নিয়ে দুমরানো শুরু করলেন। কি হবে??
কাগজের বক্সটা ছোট হতে হতে অনেক ছোট হয়ে যাবে। কিন্তু সেটার ওজন কি চেঞ্জ হবে?? কখনই না। অনেক বড় বক্সআকারে যেই ওজন ছিল সেটাই আপনার হাতে মধ্যে দুমরানো অবস্থায়ও থাকবে। এখন পানিতে ভিজিয়ে কাগজটাকে চাপ দিয়ে যদি কোন ভাবে সম্পুর্ন পানিটাকে বের করে ফেলেন তাহলে সেটা আরো ছোট হয়ে যাবে কিন্তু ভর সেই আগের টাই থাকবে।

এখন মনে করেন হাজার টন ওজনের বিশাল জাহাজকে যদি কোন ভাবে কাগজের বক্সের মতন করে ছোট একটা চিনির দানার মধ্যে এনে ফেলা যায় এবং সেটার ভর যদি সেই জাহাজরে ভরই থাকে তবে সেটা কেমন হবে। কিংবা যদি মাউন্ট এভারেস্ট যেটা পৃথিবীর সবচেয়ে উচু পর্বত সেটাকে যদি যদি সংকুচিত করা হয় অথবা আর একটু বড় করে ভাবলে যদি আমাদের এই পুরো পৃথিবী নামক গ্রহটাকে একটা ছোট চিনাবাদামের অভ্যন্তরে যদি ঢুকিয়ে ফেলা যায় কেমন হবে??

কিন্তু আসলে তো এধরনের কোন কিছু করার জন্য কোন উপায় আমাদের জানা নেই।

তাই চলুন

এবার আরে একটু বড় ভাবে চিন্তা করি। আমরা সবাই জানি আমাদের সুর্য অনেক বড় একটা তারা। কিন্তু আমাদের এই গ্যালাক্সি যেটাতে আমাদের সৌরজগত আছে সেটাতে সুর্যের চেয়ে আরো বিশাল বিশাল তারা আছে। এই তারাগুলোর আবার বেশ জটিল একটা গঠন প্রনালি আছে। তারাগুলো যদিও গ্যাসের তৈরি কিন্তু এগুলো পৃথিবীর মতন একটা কেন্দ্র বা কোর আছে যেখানে গ্যাস অত্যান্ত ঘন আবার মাঝখানে গ্যাস কিছুটা পাতলা এবং বাহিরে গ্যাস একেবারে বায়বিয় অবস্থায় আছে। এখন এই ধরনের একটা তারাকে জ্বলতে হলে এর ভিতরে যথেস্ট পরিমান গ্যাস এর জ্বালানি থাকতে হয়। এবং এদের একটা লাইফ টাইম আছে আমাদের মতন। মানে এরাও জ্বলতে জ্বলতে কোন একসময় ভিতরের জ্বালানি শেষ হয়ে যায়। এবং সোজা কথায় বলতে গেলে মারা যায়।

মজার বিষয় হচ্ছে যখনই একটা তারা তার ভিতরকার জ্বালানি খুইয়ে ফেলে(সেটা সুপারনোভা বা বৃহৎ বিস্ফোরনের ফলে হতে পারে) ফলে সে আর জ্বলতে পারে না। তখন সে আস্তে আস্তে নিজেই নিজের ভিতরে ঢুকে পরতে শুরু করে। এটাকে বলে Gravitational singularity। এর ফলে গ্যাসের বেলুনে চুপসে গেলে যেটা হয় সেরকমই আস্তে আস্তে তারাটি নিজের মধ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে থাকে। এতে যেটা হয় তারাটি নিজের কেন্দ্রের দিকে আস্তে আস্তে যেতে যেতে এক সময় সে তার নিজস্ব schwarzschild radius এর ভিতরে চলে যায়। এইটা আবার সাইজে অনেক বড়। তো এই সাইজে আসার পরে ওই তারাটি আর আমাদের চোখের দৃশ্যতার মধ্যে ধরা পরে না। কারন এর আকর্ষন শক্তি বা গ্রাফিটেশনাল ফিল্ড এতটাই বেশি হয় যে সে আর কোন আলো তার ভিতর থেকে বের হতে দেয় না। ফলে আমদের চোখ সেই জিনিষ কে আর দেখতেও পারে না। (আমাদের চোখ তখনই কোন জিনিষ দেখে যখন সেটা থেকে কোন ফোটন কনা বিচ্ছুরিত হয়ে চোখের মনিতে এসে আঘাত করে)

আমরা ব্লাক হোল বুঝতে পারি যখন দেখি যে আকাশে কোন ধুলোর মেঘ বা কোন তারার কো বর্ধিতাংশ তার পাশে কোন একটা অদৃশ্য বস্তুর মধ্যে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে এবং আলো সেটার মধ্যে ঢুকছে কিন্তু আর বের হচ্ছে না তখনই আমরা বুঝতে পারি ওখানে একটা ব্লাক হোল আছে। এছারা ব্লাক হোল বুঝার বা দেখার কোন উপায় নাই।

এতক্ষন ধরে খুবই হাস্যকর ভাবে আপনাদেরকে ব্লাক হোল কি বুঝাইলাম। আমার মনে হয় এর মাথা মুন্ডু আমি নিজেও ভালো করে বুঝি না। তাই যতটুকুন বুঝেছি সেটারে সোজা সাপটা ভাবে বুঝাইতে চেস্টা করলাম।


এবার প্রথম পর্বটা একটা মজার তথ্য দিয়ে শেষ করি। ছবিতে আপনারা আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির দিকে তাকালে দেখতে পাবেন পুরো গ্যালাক্সির লক্ষকোটি তারা ঠিক একটা কেন্দ্রবিন্দুকে সেন্টার করে ঘুরতেছে। প্রশ্ন আসতে পারে এটা কেন হইতেছে। বা এর কেন্দ্রে কি আছে। ওইটা দেখা যাইতেছে না কেন।

জি জ্বনাব এটি একটি Supermassive black hole। প্রত্যেকটা গ্যালাক্সির কেন্দ্রে একটা করে Supermassive black hole আছে। এর সাইজ এতটাই বিশাল এবং এর শক্তি এতই বেশি যে লক্ষ কোটি তারা সে একাই টানতেছে তার কেন্দ্রের দিকে। ফলে পুরো গ্যালাক্সি একটা বৃত্তাকার পথে তারে কেন্দ্র করে ঘুরতেছে। এই শালার টানের শক্তি এতটাই বেশি যে আমাদের সুর্য ব্যাটা তাকে কেন্দ্র করেই ঘুরতেছে। আর আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলো (পৃথিবী সহ) সুর্যের টানে ঘুরতেছে সুর্যের চারিদিকে। আবার পৃথিবী নিজেই নিজের চারিদিকে চক্কর মারতেছে তার গ্রাভিটিশেনাল শক্তির কারনে। আর আমরা পৃথিবীর মানুষ এত বিশাল টানাটানি থেকেই একটাই চমৎকার জিনিষ পাইতেছি।

আর সেটা হচ্ছে সময়।

কি মাথায় ঢুকে নাই। বাদ দেন। আইনস্টাইন যেই জিনিষ নিয়া মাথা ঘামাইছে সেইটা নিয়া আমাদের মাথা না ঘামাইলেও চলবে। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করেন সেখানে অসম্ভব মজার সব জিনিষ পাবেন।


মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: সহজ কথায় জটিল জিনিস দারুণভাবে উপস্থাপন কর্সেন। আগামী পর্বের জন্যে আগ্রহ ভরে অপেক্ষায় থাকলাম।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: সম্পুর্ন ভাবে তৈরি আছে দ্বিতিয় পর্ব একটু সময় নিয়েই পোস্ট দিয়ে দেব।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

জেন রসি বলেছেন: ব্ল্যাক হোল এর মত এত জটিল জিনিস সহজ ভাবে বুঝানোর প্রয়াসকে সাধুবাদ জানাই।পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

+++

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আজকে কালকের মধ্যে দিয়ে দেবো।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মিল্কি ওয়ের দিকে অনেক ক্ষন চেয়ে থেকে একটা দারুন জিনিষ মিলে গেল-

আল্লাহ বলেছেন- আমি সৃষ্টিকে তেমনি ভাবে গুটিয়ে আনছি - যেভাবে তোমরা লিখিত কাগজ গুটাও!!!!

রাউন্ড এন্ড রাউন্ড সার্কেলে সেই গুটানোর একটা ছায়া যেন মিলে যায়!!!!!

+++ প্রিয়তে

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। সৃস্টিকর্তা সম্পর্কে তর্কে যাব না তবে সৃস্টির অনেক কিছুই আমরা বুঝি না। :)

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট! দারুন। পোস্ট খুবই ভালা পাইলাম।!

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ জাদিদ ভাই। ভাল থাকবেন।

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: শুধুই ঘুরে গেলাম। বিষয়টা আগে থেকেই একটু একটু জানি।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: দারুন। আশা করি আপনার কাছ থেকে লেখাটা সম্পর্কে ভাল একটা রিভিউ পাব।

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: অসাধারণ!!! পরের পর্বের জন্য সাগ্রহ প্রতিক্ষায়...

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ :) খুব দ্রুতই চলে আসবে আশা করি।

৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কঠিন বিষয়ের সুন্দর উস্থাপনা

+++++++

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: :)

৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: ব্ল্যাকহোলের মত জটীল জিনিসকে সহজভাবে উপস্হাপনা করছেন, ভাল লাগছে। ++++++

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ। পরের পর্ব পেয়ে যাবে শিঘ্রই।

৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

সূর্য হাসান বলেছেন: অসাধারণ উপস্থাপনা। পরের পর্বের অপেক্ষায় সময় আর কাটছে না!

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: কালকেই পেয়ে যাবেন বলে আসা করি। :)

১০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

সুমন কর বলেছেন: কঠিন একটি জিনিসকে সহজে বুঝাবার চেষ্টা করার জন্য অাপনাকে অনেক ধন্যবাদ। schwarzschild থিউরি আমাদের কম খাটায়নি। X(( শেষে অাপনার মতো বলা যেতে পারে,
আমার মনে হয় এর মাথা মুন্ডু আমি নিজেও ভালো করে বুঝি না। তাই যতটুকুন বুঝেছি সেটারে সোজা সাপটা ভাবে বুঝাইতে চেস্টা করলাম।

পোস্টে ৯ম লাইক।

চলুক.......


২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অত্যান্ত জটিল একটা জিনিষ। আমি নিজেই মনে হয় এর ১০০ ভাগের ১০ ভাগও বুঝি না। তারপরও যতটুকুন বুঝেছি সেটাই একটু ডিটেইলস করে বুঝানোর চেস্টা করেছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: ভালো লাগছে কিন্তু প্রতিশ্রুত পরবর্তী পর্বের জন্য আমি খুব একটা আশাবাদী নই। কারন মাঝপথে আগ্রহ হারিয়ে ফেলার নজীর আছে আপনার, যেমন:

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ধনি এবং ক্ষমতাধর ১০ জন ব্যাক্তি ( পর্ব -১)

কি? ঠিক বলিনি?

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমি ওই পর্বটার জন্য অত্যান্ত দুঃখিত। লেখাটা এখনও আমার ড্রাফট এ পরে আছে। আমি মধ্যপ্রাচ্যের এই শেখ নামক কুকুরগুলোকে প্রচন্ডরকম ঘৃনা করি। তাই ওদের নিয়ে লিখতেও খারাপ লাগে। তারপরও আপনি যখন বলেছেন অবশ্যই আমি পোস্টটা দিয়ে দেবো। :)

১২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আইনস্টাইনের জিহ্বা ভ্রমণ করাইলেন :(

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: লেখাটা না বুঝলে ওইটা দেখা ছারা আসলে কিছুই করার নাই। আইনস্টাইন আসলে অনেক ভাইবা চিন্তা কইরাই এই জিহ্বাওয়ালা ছবিটা তুলছে। কারন তার লেখা যারা বুঝতে পারেনা তাদের জন্য ওই ছবিটা একেবারে পারফেক্ট। =p~ =p~

১৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০২

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: ভালো বুঝ পাইলাম ।
পোস্টে +++

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: :)

১৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৩১

বদিউজ্জামান মিলন বলেছেন: ইন্টারস্টেলার মুভিটা দেখছ। কিন্তু পুরাটাই মাথার উপ্রে দিয়া গেছে..

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমার এই পর্বটা পরে শেষ করে তার পরে আর একবার ইন্টার স্টেলার মুভিটা দেখেন। তার পরে আমাকে জানাইয়েন বুঝছেন কিনা।

১৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৭

শায়মা বলেছেন: ফলে পুরো গ্যালাক্সি একটা বৃত্তাকার পথে তারে কেন্দ্র করে ঘুরতেছে। এই শালার টানের শক্তি এতটাই বেশি যে আমাদের সুর্য ব্যাটা তাকে কেন্দ্র করেই ঘুরতেছে। আর আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলো (পৃথিবী সহ) সুর্যের টানে ঘুরতেছে সুর্যের চারিদিকে। আবার পৃথিবী নিজেই নিজের চারিদিকে চক্কর মারতেছে তার গ্রাভিটিশেনাল শক্তির কারনে। আর আমরা পৃথিবীর মানুষ এত বিশাল টানাটানি থেকেই একটাই চমৎকার জিনিষ পাইতেছি।

আর সেটা হচ্ছে সময়।





















উফ এত কষ্ট !!!!!! জীবন নষ্ট!!!!!!!! X(


ভাইয়া তোমার রেজাল্ট জানতে ইচ্ছে হচ্ছে। এস এস থেকে বলা শুরু করো তো!!!!!!

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমার রেজাল্ট তেমন একটা ভাল না। আমি লাস্টবেঞ্চের স্কুল পালানো, আর কলেজে ব্যাপাক মারপিট করা স্টুডেন্ট। আর উচ্চশিক্ষার কথা বলে হতাশা বারানোর কোন মানে হয় না।

১৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
দারুণ একটি পোস্ট।
পরের পর্বের আকর্ষণ বাড়িয়ে দিলেন :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৭

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আশা করি সবগুলো পর্বের সাথেই থাকবেন।

১৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

নক্ষত্রচারী বলেছেন: তবে ভরসংক্রান্ত বিষয়গুলো উল্লেখ করলে আরো ভালো হত । হয়তো বাঁ পরের পর্বে পাওয়া যেতেও পারে ।

আমি যতটুক জানি, নির্দিষ্ট ভরের নক্ষত্রগুলোই শুধুমাত্র ব্ল্যাক হোলে পরিণত হয় । সুপারনোভা বিস্ফোরণের পরে মাঝারি ভরসম্পন্ন নক্ষত্র পরিণত হয় পালসার কিংবা নিউট্রন তারায়, ভর আরো কম হলে পরিণত হয় সাদা বামনে আর ভর খুব বেশি হলে তা ধীরে ধীরে পরিণত হয় একটি ব্ল্যাক হোলে ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫০

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ভাই অনেক অনেক কিছু আমি ইচ্ছেকরেই হাইড করে গেছি। আমার লেখাটা একেবারে সিম্পল যারা তাদের জন্য। কারন সাধারন মানুষ এই বিষয়টা বুঝতে চায় কিন্তু পারে না। তাই আমি চেস্টা করেছি বেশি জটিল বিষয়গুলো ঝেরে ফেলে সহজ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে।

১৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সাগ্রহে পরের পর্বের অপেক্ষায়।



আপনার উপস্থাপন শৈলী অতি মাত্রায় ভালা। :)
কুব সহজে কঠিন একটা বিষয় তুলে এনেছেন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

১৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫১

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অসাধারণভাবে বুঝিয়েছেন । আমার এই সোজা মাথায়ও ঢুকতে বাধ্য হয়েছে । পরেরটার জন্য অপেক্ষায় রইলাম ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: :)

২০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৬

ই. আলম বলেছেন: ভালো লাগলো !!!!!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: :)

২১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

লিংকন১১৫ বলেছেন: কঠিন ব্যাখ্যা কে সহজ ভাবে দেয়ার জন্য আপনাকে এক কেজি ধইন্না
আর লিখতে পারতেন হয়তো সময়ের অভাবে লিখেন নি

০১ লা মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: পরের পর্বগুলো পরে আসার দাওয়াত রইলো।

২২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

সহজপাঁচালি বলেছেন: আমি এতদিন ভাবতাম ব্ল্যাক হোল সংখ্যায় মাত্র একটা। তাহলে প্রত্যেক গ্যালাক্সির মাঝখানেই একটা করে ব্লাক হোল আছে তাই তো?
আচ্ছা, প্রথমদিকে বললেন, ব্ল্যাক হোল একটা বিন্দু অর্থাৎ সাইজে খুবই খুবই ছোট কিন্তু ভর অনেক বেশি এমনই কিছু একটা হবে ভাবছিলাম। কিন্তু সৌরজগতের মাঝখানের ব্ল্যাকহোলের কথা বলতে গিয়ে বললেন, ওইটা অনেক বিশাল সাইজের!
আমি ভাই একেবারেই মূখ্যুসুখ্যু মানুষ। সবাই লেখাটা কি সুন্দর বুঝল আর আমার কােছ শালা এখনো schwarzschild radius এ রয়ে গেল। আমি কি তার আলো খাইয়া ফালামু!
আমার প্রশ্ন শুনে বিরক্ত হবেন না প্লিজ।

লেখাটা বেশ ভালো। আগে তো কিছুই বুঝতাম না। এখন অন্তত অন্তত এটুকু বুঝতে পারছি: আমার পেস্ট্রিটা আমার বোনের থাবা থেকে লুকিয়ে ফেলে সবার সামনেই রেখে দেওয়া যেতো যদি ওটাকে ব্ল্যাক হোল করে ফেলা যেত। তবে আমিই বা ওটাকে আর দেখতাম কিভাবে!

০১ লা মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: Black hole is an object that has an escape velocity of greater or equal to the light speed in vacuum.

ব্লাক হোল থেকে আলো বের হতে পারে না। আর যেখান থেকে আলো বের হতে পারে না সেটা চোখে দেখ যাবে না। আপনি কি Darkness বা অন্ধকারের সংজ্ঞা জানেন?? ওখানেই আপনার লাস্ট প্রশ্নের উত্তর পাবেন।

schwarzschild radius হচ্ছে বস্তুরে সেই অবস্থা যেখান থেকে আর আলো বের হতে পারে না। এই জিনিষ দেখার সাধ্য নাই কারো। এটা বের করা হয়েছে ম্যাথ এর খাতায় অংক কষে।

২৩| ০১ লা মে, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

ট্রিউট্রো রায় বলেছেন: অনেক কঠিন তথ্যগুলোকে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। অসাধারন !

০১ লা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২৪| ০১ লা মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কোন একসময় পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম। তখন আগ্রহ নিয়ে অনেক কিছু পড়েছিলাম; টাইম ট্র্যাভেল, বিগ ব্যাং, থিওরি অফ রিলেটিভিটি, ব্ল্যাক হোল ইদ্যাদি। কিন্তু আপনার মত এতো সহজ স্বাভাবিক ভঙ্গীতে উপস্থাপন খুব কম পেয়েছি। খুব ভালো লাগলো, এরকম জটিল বিষয় এতো সহজ এবং সুন্দর করে উপস্থাপন করে সামু ব্লগের সবার জন্য উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়।

২য় পর্বে গেলাম...

০৪ ঠা মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: :)

২৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ সকাল ৯:১০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব ভাল লাগছে , চমৎকার পোস্ট

০৪ ঠা মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: :)

২৬| ০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৩:০৫

নিয়েল হিমু বলেছেন: ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে আইনস্টাইন বলেছিল "যেখান থেকে আলোও বের হয়ে আসতে পারে না সেটা আমরা দেখতে পাই কিভাবে ?" একদম বাচ্চাসুলভ কথা ছিল আমার মনে হয় আবার হয়ত ততকালিন সেরা প্রশ্নও হতে পারে এটা তবে পোষ্ট শেষে ছবিটা চরম গেছে :P
আমার বাসায় এই ছবিটা ঝোলানো ছিল ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২০

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমিও ঝোলাবো দেখি।

২৭| ০৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আর সেটা হচ্ছে সময়। ++++++++

২৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০৫

প্রতিবাদী আর যুক্তিবাদি বলেছেন: ওহ! ভাই খুব কঠিন জিনিস খুব সহজ করে বুঝাইলেন। ধন্যবাদ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.