নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৌশলি বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি এবং যা বুঝি তাই নিশ্বঙ্ক চিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী

আমি যা শুনি যা বুঝি তা নিশ্বঙ্কচিত্তে বলতে চাই।

বশর সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলুন ঘুরে আসি ব্লাক হোলের ভিতরে (পর্ব-২)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১০



প্রথম পর্বে ব্লাক হোল কি সেটা জানলাম। বিশাল ব্লাক হোল এর উৎপত্তি সম্পর্কে জানলাম। কিভাবে কাজ করে সেটাও বুঝলাম। এইবার চলেন একটা ব্লাক হোলের মধ্যেদিয়ে আমরা ঘুরে আসি।



প্রথমেই একটা মজার বিষয় জেনেনেই। আমাদের অভিকর্ষ বা গ্রাভিটি সম্পর্কে আমরা যতটুুকুন বুঝি সেটা আমাদের সবার প্রিয় বিজ্ঞানি নিউটন সাহেব দিয়েছিলেন। এটা খুবই সিম্পল একটা থিউরি। আপেল উপরে না গিয়া নিচে কেন গেল। গিয়েছিল কারন পৃথিবী তারে টাইনা নিচে নিয়া আসছে। উনার ঘটনা মোটামুটি এখানে সমাপ্তি।



কিন্তু বিজ্ঞানি নিলস বোর এবং উনার সমসাময়িক বিজ্ঞানি আইনস্টাইন দুইজনে মিল্যা এই জিনিষটাকে জটিলতার চরম পর্যায়ে নিয়া পোছাইছিলেন। এর অবশ্য কারনও আছে। কারন জিনিষটাই আসলে এই রকমরেই জটিল। উনারা বলতেছেন নাহ এই টানাটানিটা আসলে কোয়ান্টাম পর্যায় থেকে শুরু হয়। মানে উনাদের কথা হচ্ছে এই টানাটানি বুঝতে হলে যে কোন বস্তুকে ভাঙতে ভাঙতে তার সবচেয়ে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র কনা মানে অনু অথবা পরমানুতে পৌছতে হবে। সেখানে লুকিয়ে আছে এই টানাটানির প্রধান কারন। ওইখান থেকেই আসলে এই সকল টানাটানির সুত্রপাত।



তাই নিলস বোর প্রথমে দিলেন তার বিখ্যাত quantum theory(কোয়ান্টাম থিওরি) যেটা আমরা মোটেই বুঝি না। উনার পরে বিজ্ঞানি আইনস্টাইন আরো কয়েক ধাপ আগাইয়া দিলেন theory of relativity(থিওরি অফ রিলেটিভিটি) যেটা আমি তো দুরের বিষয় বড় বড় বিজ্ঞানিরাই ভালো করে বুঝেন না। এই দুই শালায় মিল্যা অনু আর পরমানুরে নিয়া এতই টানাটানি করলেন যে আর এক আমেরিকান বিজ্ঞানি J. Robert Oppenheimer মাঝ খানদিয়া একটা আস্ত নিউক্লিয়ার বোমা বানাইয়া বইসা থাকলেন। যেটা দিয়া আমেরিকার সেনাবাহিনি জাপানে লক্ষাধিক মানুষ মাইরা ফালাইলো মুহুর্তের মধ্যে। এই সবেরই শুরু নিলস নিউটন বেটার আপেল টানাটানি থিউরির মধ্যে দিয়া।



এই টানাটানিটাই মুলত গ্রাভিটি। এখন এই প্রশ্ন উঠতে পারে গ্রাভিটির শক্তি কেমন হতে পারে। বলতে পারেন গ্রাভিটি আলো এবং সময় দুইটাকেই একই সাথে বাকিয়ে ফেলতে পারে। কঠিন লাগেতেছে?? ঠিক আছে উদাহরন সহ বুঝিয়ে দিচ্ছি।



আমাদের পৃথিবী থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে আমরা যখন আমাদের সুর্য মামার পিছনে অবস্থান করা কোন তারার দিকে তাকাই তখন আমরা সেটির যে অবস্থান দেখি আসলে সেটি আসলে ভুল অবস্থানে দেখি। কারন সুর্যের ওই তারা থেকে উৎপন্ন ফোটন কনা গুলো সুর্যের পাশ দিয়ে আসার সময় সুর্যের গ্রাভিটি বা মহাকর্ষ টানের কারনে কিছুটা বেকে যায় ফলে তিনটা জিনিষ ঘটে।



১) আমাদের চোখে তারাটির আসল অবস্থান থেকে অন্য অবস্থানে দেখায়

২) কনাগুলো বেকে যাওয়ার কারনে কিছুটা সময় বেশি খরচ করে ফেলে সুর্যের কাছে ফলে আমরা সময় ভুল গননা করি।

৩) এর মানে হেচ্ছ গ্রাভিটি শুধু আলোকেই বাকাচ্ছে না সময়কেও বাকিয়ে ফেলছে।



এখন এইটা তো সুর্য নামক একটা সামান্য ছোট তারার গ্রাভিটির শক্তি। কিন্তু যখন এই গ্রাভিটি একটা আস্ত গ্যালাক্সি বা বিশাল একটা ব্লাক হোলের হয় তখন সেটা কত শক্তিশালি হয়?? আর কি করতে পারে।



হ্যা আলো এই বিশাল গ্রাভিটেশনাল শক্তিসম্বলিত বস্তুগুলোর কাছে যাওয়ার পরে শুধু বাকায় না গোলাকার হয়ে চক্কর দিতে থাকে। মানে আলোর মাথা খারাপ হয়ে যায় আরকি। ফলে সময়ও উল্টাপাল্টা হয়ে যায়।



ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটা তারা আমাদের পৃথিবী থেকে দেখা যাচ্ছে গোলাকার রিং এর মতন কিন্তু তারা রিং এর মতন তো হবার কথা নয়। তারাটা ঠিকই আছে। কিন্তু তারা থেকে আসার আলোটা আসার সময় অত্যান্ত শক্তিশালি আবেং আরো বিশাল একটা তারার শক্তিশালি গ্রাভিটি বা মহাকর্ষ টানে সেই তারাটার চার পাশে গোল একটা চক্কির মতন ঘুর্নি দিয়ে আসছে। ফলে আমরা প্রথম তারাটাকে রিং এর মতন দেখছি। এই পুরো জিনিষটাকে বলে gravitational lensing।



ব্লাক হোল হচ্ছে এই gravitational lensing এর রাজা। ব্লাক হোল গুলোকে মনে হবে মহাকাশে একটা ছিদ্র এর মতন। কারন আলো এর কাছে এসে শুধু বাকেই না একেবারে বিকৃত হয়ে ছেরাবেরা অবস্থা হয়ে যায়। এখন মনে করেন যদি পৃথিবী একটা ব্লাক হোলের চারিদেকে ঘুরতে যেত তাহলে কি হত?



পৃথিবীর যদিও কিছুই হত না কিন্তু ব্লাক হোলের প্রচন্ড গ্রাভিটির কারনে পৃথিবী থেকে আগত আলোর এমন ভাবে বাকাতো যে পৃথিবীর চেহারা তখন দেখানো উপরের ছবির মতন।



বাদ দেন এত কঠিন কঠিন প্যাচাল। চলেন একটা খুবই সাধারন ব্লাক হোলের মধ্যে চলে যাই। এমন একটা ব্লাক হোল যেটা কোন তারাকে গিলে খাচ্ছে না, নরাচরা করছে না এবং সে তার জন্য যথেস্ট পরিমানের বস্তু নিজের মধ্যে টেনে ফেলেছে। ফলে এটি আর কিছুই করতেছে না। শুধুই অন্ধকারের মধ্যে একা একা পরে আছে। তার উপস্থিতি বোঝা যাচ্ছে শুধু মত্র যখন কোন আলোর কনিকা তার পাশদিয়ে যাচ্ছে তখনই সেটা একটা চরকির মতন ঘুর্নি দিয়ে যাচ্ছে।



এখন যখনই আমরা এই ব্লাক হোলটার দিকে আস্তে আস্তে যেতে থাকবো আকাশের distortion বা বিকৃতি আস্তে আস্তে বারতে থাকবে। একটা কালো ছিদ্রের মত বিন্দু আস্তে আস্তে বড় হতে থাকবে। আর তার চারপাশের বস্তু এবং আলো গুলো বিকৃত হতে থাকবে।



আমরা ব্লাক হোলের যতটা কাছে যেতে থাকবো একটা সময় দেখা যাবে যে আলো ওই কালো গোলাকার বস্তুটির চার পাশে ঘুরতেছে। এটাকে photon sphere বলে। এই অবস্থায় ব্লাক হোলের গ্রাভিটির আকর্ষন এতটাই বেশি থাকে যে আলোর ফোটন কনিকাগুলো এর চারপাশে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে। যেভাবে চাদ পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে। কিন্তু এই ব্লাক হোলটাতে ওই পরিমান আকর্ষন না থাকায় আলোর কনিকা গুলো অন্যান্য ব্লাকহোলের মতন একেবারে টেনে ভিতরে নিয়ে যায় না। এ জন্যই আমরা আমাদের ভ্রমনের এ ধরনের একটা ব্লাক হোল সিলেক্ট করেছি। বুঝতেই পারতেছেন বেশি না প্যাচাইয়া অল্পতে আপনাদের বুঝানোর চেস্টা করতেছি।



এইবার একটা চরম মজার কথা বলি। আমরা জানি আলো সবসময় সোজা পথে চলে। যার কারনে আমরা আমাদের চোখের ঠিক সোজা সামনে যা আছে তাই দেখতে পাই। পেছনে বা পাশের কোন কিছু দেখতে পাই না। ব্লাক হোলের কাছাকাছি যাওয়ার পরে ঠিক এই ধরনের একটা পয়েন্টে যেখানে আলোর কনিকাগুলো সোজা না চলে একটা বক্রাকার পথে চলে তখন আপনি কি দেখবেন? আপনি যদি সামনে তাকান তাহলে আপনার মাথার পিছনের অংশ দেখতে পারেন। অর্থাৎ পেছনের বস্তুগুলোর উপরে পরা আলোর কনিকাগুলো পুরো ব্লাক হোলের গোলার পথ ঘুরে এসে আপনার চোখের উপরে পরবে। তার মানে চোখের সামনে সোজাসুজি যা আছে সেগুলো কোন ভাবেই দেখতে পারা যাবে না। যখনই সেটা পেছনে চলে যাবে শুধুমাত্র তখনই সেটা দেখা যাবে।



এখন চিন্তা করে দেখেন যেই পরিমান আভিকর্ষের টান আলোর কনিকা বাকাতে পারে সেটা কি সময়কে বাকাতে পারবে না?? অবশ্যই পারবে। আমরা পৃথিবীতে বিষয়টা টের পাইনা। কিন্তু যখনই আপনি একটা ব্লাক হোলের ভিতরে লাফ দেবেন সেটা একটু আলাদা হবে। মনে করেন একটা স্পেস শিপ থেকে আপনি লাইফ জ্যাকেট পরে একটা ব্লাক হোলের ভিতরে লাফ দিলেন। আমরা সেই স্পেস শিপের ভেতর থেকে আপনাকে দেখতে লাগলাম। মজার বিষয় হচ্ছে সাধারনত যেটা ঘটে যে আপনি লাফ দিলেন আর পরতে পরতে অন্ধকার সেই ব্লাক হোলের গর্তের ভিতরে হারিয়ে গেলেনে। এক্ষেত্রে সেটা হবে না। এক্ষেত্রে আমরা দেখতে থাকবো আপনি পরছেন তো পরছেনই, পরছেন তো পরছেনই, কিন্তু সেই পরার গতিটা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। সেই গতিটা আস্তে আস্তে একটা সময় এতটাই কমে যাবে যে স্থির অবস্থায় চলে যাবে। দেখা যাবে আপনি লাফ দেয়ার এক বছর পরেও আমরা আপনাকে দেখছি আপনি নিচে পরছেন তো পরছেনই। কারন আলোর সাথে সাথে ব্লাক হোল সময়কেও বাকিয়ে একেবারে স্লো করে ফেলেছে।



এক সময় আপনি এমন একটা পয়েন্টে পৌছাবেন যেটার নাম হচ্ছে Event horizon। এটা প্রত্যেকটা ব্লাক হোলে থাকে। এটা একটা ব্লাক হোলের এমন একটা সিমানা রেখা যেখান পর্যন্ত একবার গেলে আর ফেরত আসার কোন উপায় নাই। মানে হচ্ছে আপনি ব্লাক হোলের প্রচন্ড অভিকর্ষ বলের আওতার মধ্যে চলে গিয়েছেন। এই পয়েন্ট থেকে আর আলোর কনিকগুলো বের হতে পারে না। মানে হচ্ছে আমরা যে আপনাকে দেখছিলাম পরতেছেন, ওই পয়েন্টে গেলে আপনি একেবারে স্থির হয়ে যাবেন। এবং যেহেতু আপনার শরির এর উপর থেকে কোন আলোক কনিকা জাম্প করে বাইরে বের হতে পারছে না তাই আমরা আপনাকে আস্তে আস্তে লাল বর্নের হতে হতে এক সময় অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখবো। মানে হচ্ছে বাইরের পৃথিবীর চোখে ব্লাকহোলের ভিতের আপনার যাত্রার এখানেই সমাপ্তি। কারন আলো ছারা আমরা কোনকিছুই দেখতে পাই না। তাই Event horizon এর পরে আপনার কপালে কি ঘটবে সেটা আপনি ছারা আর বাইরের কারো দেখার কোন সাধ্য নাই।





তৃতীয় এবং শেষ পর্ব পোস্ট করব আগামি কাল। লেখা গুলো লেখার সময় আমি বুঝতে পেরেছি আমার নিজের জ্ঞান কত কম আর তার পরিধি কতটা ছোট। অথচ এই ছোট জ্ঞান নিয়ে আপনাদেরকে এত শক্তএকটা জিনিষ বোঝানার চেস্টা করতেছি। আশা করি ভুলগুলোকে ধরিয়ে দেবেন। আরো অনেক অনেক সাইন্টিফিক মজার মজার বিষয় নিয়ে লিখছি। আশা করি সেগুলোর সাথেও থাকবেন।



(ন্যাস্টিক ন্যাস্টিক কমেন্টস গ্রহনযোগ্য হবে না। আর আমাকে দয়া করে ন্যাস্টিক ট্যাগ দিয়েন না। আমি যদি ন্যাস্টিক হই তাইলে কিন্তু এস্টিক খুতে কস্ট হয়ে যাবে)

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

ওয়াহিদ সাইম বলেছেন: I believe in science.Science is my way of religion.

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: সাইন্স হচ্ছে যেটা আমি দেখছি ,বুঝতেছি, এবং ব্যাখ্যা সহ বিশ্বাস করছি। আর ধর্ম হচ্ছে যেটা দেখছি না, বুঝছিনা এবং কোন ব্যাখ্যাও দিতে পারছি না সেটার উপরে বিশ্বাস রাখা। পার্থক্যটা এখানেই। আমি কনফিউজ। :(

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: তাহলে আমরা যে নক্ষত্রের দূরত্বের হিসাবগুলি জানি বা গ্যালাক্সিগুলির দুরত্ব যা জানি সেগুলি সব ভুল হিসাব? যেমন ধ্রব নক্ষত্র যে সাড়ে চার আলোকবর্ষ দুরে সেটাও তাহলে সঠিক না?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: টেলিস্কোপ যখন এক নক্ষত্রকে আইডন্টিফাই করে তখন বিজ্ঞানিরা এই বিষয়টা হিসাবে আনেন। এনে তার পরে সেটার আসল দুরত্ব নির্ধারন করেন। কিন্তু আমরা মনে করি আসলে টেলিস্কোপ যেটা দেখাচ্ছে সেটাই হয়ত আসল দুরত্ব। কিন্তু টেলিস্কোপোর সাথে এই হিসাবটাও বিজ্ঞানিরা করে ফেলেন দুরত্বে নির্নয়ের জন্য। তাই আমরা যা জানি সেটা সঠিক। কিন্তু যেভাবে জানি সেটা সঠিক নয়। কারন অত ডিটেইলস বিজ্ঞানিরা আমাদের বলেন না।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পরে পড়ে নেব

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমন্ত্রন রইলো।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী অদ্ভুত! কী রহস্যময়!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: :)

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভাল লাগছে জানতে । চলুক ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: :)

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০১

জেন রসি বলেছেন: মহাবিশ্বের এক আজব বিস্ময় ব্লাক হোল। আলো পর্যন্ত শোষণ করে ফেলে।সমস্যা নাই মানুষ বিস্মিত হয় দেখেই একের পর এক রহস্যের জাল খুলতে থাকে।

এইবার তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: মানুষ যতই বিস্মিত হয় ততই তাদের মোহ ভাঙে।

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

শায়মা বলেছেন: উফ ভাইয়া এই ব্ল্যাক হোল নিয়ে রোজ রোজ বুঝার ট্রাই করি কিন্তু মাথা চক্কর দিতে দিতে মাথাটাই ব্লাক হোলে মধ্যে বন বন ঘুরতে থাকে। :(


শেষে কিছুই মনে থাকে শুধু মনে আছে আমরা একটা সুন্দর জিনিস পেয়েছি সেটা সময়!!!!!!:)

আর ব্লাক হোল সময় আর আলো বাঁকাতে পারে।:):):)

০১ লা মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ব্লাক হোল অনেক কাজ করতে পারে। ব্লাক হোল আমাদের এই মহাবিশ্বের এটা প্রধান নিয়ামক গুলোর একটা হয়ে গেছে। এরাই আমাদের হারিয়ে যাওয়া শক্তির উৎস। আমরা ব্লাকহোল এর রহস্য সম্পর্কে যত বেশি জানবো ততই আমাদের প্রযুক্তি উন্নত করতে পারবো। এমনও হতে পারে আমরা এই ব্লাক হোলের জ্ঞান দিয়ে মঙ্গলগ্রহে বসতি করতে পারবো এবং খুব দ্রুত ভ্রমন করতে পারবো।

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

saamok বলেছেন: ব্লাকহোল যা বিজ্ঞানের চরম বিস্ময়কর এক বস্তু। বোঝা যাচ্ছে, উপলব্ধি করা যাচ্ছে কিন্তু দেখা যাচ্ছে না। বিজ্ঞান দিয়ে বোঝা যায় যে এই জটিল বস্তুগুলি এমনি এমনি সৃষ্টি হয়নি। সৃষ্টি করা হয়েছে এবং দেয়া হয়েছে একটি নির্দিষ্ট গতি পথ। বিগব্যাং দিয়ে এই পথের যেমনি আরম্ভ হয়েছিল তেমিন শেষ ও হবে।

ধর্মীয় কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলির ব্যাখ্যা বা জ্ঞান কারও কাছে নেই ব্লাকহোলেম মতই বোঝাযায়, উপলব্ধি করাযায় কিন্তু কোন ব্যাখ্যা নেই। যেমন, নবী মুহাম্মদ সাল্লাললাহু আলাইহে ওয়াসালালাম এক পেয়ালা দুধ আশি জনকে পুর্ণ তৃ্িপ্তি সহকারে পান করিয়েছেন, চাদ কে দ্বিন্ডিত করা, দ্বিখন্ডিত নদীর মধ্যে দিয়ে মুসা আ: গমন, ইসা আ: এর জন্মান্ধ এবং কুষ্ট রোগিকে তাতখনাত সম্পুর্ণ সুস্থ করা। এগুলি হচ্ছে বিষেশ নিদর্ষন যা কোন ভাবেই যাদু নয়। যার কোন সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই।

ধর্মীয় এই গুলি একটি নির্দিষ্ট পথকে দেখাচ্ছে। যে বুদ্ধিমান সে দেখবে, বুঝবে এবং শক্ত করে আকরে ধরবে ফলে তার বিশ্বাস আরও গভীর হবে এবং সাফল্য লাভ করবে, আর যে বিশ্বাস করল না তার বিরুদ্ধে প্রমান হিসাবে উপস্থাপন করা হবে এবং তার কৃত কর্মের জন্য যে নিজেই দায়ী থাকবে।

০১ লা মে, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ব্লাক হোল সম্পর্কে আমরা গত একশ বছর আগেও ভালো করে কিছুই জানতাম না। তখন পুরোটাই আমাদের কাছে রহস্য ছিল। এখন আমরা অনেক কিছুই জানি তাই ব্যাখ্যা দেয়া যাচ্ছে। আবার আগামি একশ বছর পরে আমরা এখন যেটা জানি না সেটা জানবো তখন সেটারও চমৎকার একটা ব্যাখ্যা দেয়া যাবে।

কিন্তু ধর্ম হাজার বছর আগে যেটা ছিল এখনও সেটাই আছে। মনে হচ্ছে আরো হাজার বছর পরেই সেটাই থাকবে। হোপ আমি কি বলতে চাচ্ছি বুঝতেছেন।

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

জনাব মাহাবুব বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট। আপনার পোষ্ট পড়ে মনে হলো, সামু যেন তার আগের হারানো গৌরব ফিরে পাচ্ছে। :)

আমাদের সবাইকে আবার এই ধরনের পোষ্ট ফেবু থেকে সামুতে ফিরিয়ে আনতে সাহা্য্য করবে। :D


কুরআনে বর্ণিত আছে, আখিরাতের ১ দিন সমান পৃথিবীর ৫০ হাজার বছর।

বর্তমানে বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের ১ দিন সমান পৃথিবীতে কতদিন আবিস্কার করতে পেরেছেন একটু জানাবেন? :)

০১ লা মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৩

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: সময় আপনি যেভাবে পৃথিবীতে হিসাব করেন মহাবিশ্বে সেভাবে হিসাব হয় না ভাই। সামান্য সুর্যের যে আট-দশটা গ্রহা আছে তাদেরই সময়ের বিশাল ফেরকা আছে। পৃথিবীতে যেটা একদিন মঙ্গল গ্রহে তার চেয়ে ৩৯ মিনিট বেশি। কিন্তু আপনি মঙ্গলে থাকলে আপনার বছর হবে এর দ্বিগুন সময়ে। পুরো বিষয়টা খটকা লেগে যাবে। সময় নির্ভর করবে গ্রাভিটির উপরে। যেখানে গ্রাভিটির শক্তিবেশি সেখানে সময়ও বেশি।

১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: সহজ ভাষায় জটিল বিষয় জানলাম। ধন্যবাদ।

০১ লা মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: :)

১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: চালিয়ে যান ভাই আপনার বদৌলতে অনেক কঠিন বিষয় এখন মাথার মধ্যে ঢুকছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

পোস্টে +++++

০১ লা মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০২

মোঃ এনামুল হক বাবু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক মনযোগের সঙ্গে পড়লাম ব্লাকহোল বা পৃথিবীর রহস্য সম্পর্কে জানার অনেক ইচ্ছা, কিন্তু আগে পরে তেমন কিছুই জানা নাই,অপনার আগের পোষ্টাও পড়ি নাই, আমি অল্প বিদ্যার মানুষ জ্ঞান বুজ অনেক কম অনেক প্রশ্ন মনে পড়ে, হয়তো জানার ইচ্ছা নিয়ে অনেক প্রশ্ন করব আগে আপনার পূর্বের লেখা পোষ্টটি পড়ি তার পর, আসলে অনেক দিন সামু ঢোকা হয়না আজ হঠাৎ সামুতে এসে পড়েছি এখন থেকে নিয়মিত আসার চেষ্টা করব বিশেষ করে ব্লাক বা পৃথিবীর রহস্য জানার ইচ্ছা নিয়ে লিখেজান
...

০১ লা মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আমি সাইন্স ভিত্তিক লেখাগুলো সাজিয়ে রাখছি। পাবেন নিয়মিত আশা করছি।

১৩| ০১ লা মে, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ব্ল্যাক হোলের সাথে সময়ের বেঁকে যাওয়ার সম্পর্কটি অনেকটা পরিষ্কার হলো আমার কাছে।

এপর্বটি আরও ভালো লেগেছে। আপনিও অনেক গভীরে গিয়েছেন। আমরা অন্তত ততটুকু গভীরে না গেলে আপনাকে পরামর্শ দিতে পারবো না।

অনেক ধন্যবাদ :)

০১ লা মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ এত জটিল একটা জিনিষ এত কস্ট করে পরার জন্য।

১৪| ০১ লা মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

তাপস কুমার দে বলেছেন: ব্লাক হােল নিয়ে পেড়েছি আগে আজ আরো জানলাম।লেখেন ভাই।ব্লাক হোল রহস্যময়ময়ী সময় ও আলোক সম্পর্কযুক্ত অতিসুক্ষ বিষয় কিন্তু আপনার সহজ ভাষায় লেখনি বুঝতে সুবিধা হলো।ধন্যবাদ।

০১ লা মে, ২০১৫ দুপুর ২:৫১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: :) অনুপ্রানিত হলাম।

১৫| ০১ লা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

সুমন কর বলেছেন: কঠিন বিষয়টি সহজভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

কিন্তু যখন পড়ি তখন কিছুটা বুঝি অাবার পড়া শেষ হবার আগেই প‌্যাচ লেগে যায়। ধুর ! ব্যাপক জটিল একটি বিষয়। :(

তবে আপনার লেখার উপস্থাপন ভাল লেগেছে।

চলুক........

০১ লা মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ। তৃতীয় পর্ব পোস্ট দেয়া হয়েছে। পরে আসতে পারেন।

১৬| ০১ লা মে, ২০১৫ রাত ৯:২৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: মহাজাগতিক বিষয় গুলো অনেক জটিল। আপনার লেখা অনেক সহজ সরল । ব্ল্যাক হোলকে পানির মত তরল বানায় দিছেন ভাইয়া। অনুসরনে নিলাম।

০১ লা মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ। অনুপ্রানিত হইলাম।

১৭| ০১ লা মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: যথারীতি চমৎকার। যারা একটু হিমশিম খাচ্ছেন, তাদের বলব, লেখাটা কয়েকবার পড়ুন, সময় নিয়ে। তাহলে দেখবেন ব্যাপারটা খুব বেশী জটিল মনে হচ্ছে না। একজন উৎসুক পাঠক হিসেবে আমাদের যতটুকু বোঝা দরকার, ততটুকু বুঝতে পারবেন আশা করি।

ধন্যবাদ বশর ভাই। তবে একটা কথা, ধর্ম নিয়ে এখানে কথা না বললেই কি নয়। অনেকেই আমরা ধর্মে বিশ্বাসী, তাদের মনোজগতে আধাত লাগতে পারে এমন কোন মন্তব্য বা ইঙ্গিত না করলেই কি নয়? আপনার লেখার মুখ্য উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই ধর্ম এবং বিজ্ঞান এর তুলনামূলক আলোচনা নয়। এতো সুন্দর করে ব্ল্যাক হোল নিয়ে লিখছেন, সামনে আরও মজাদার কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ লেখা নিয়ে হাজির হবেন আমাদের মাঝে এই আশা করে অনুরোধ রইল, সাবজেক্ট এর মধ্যে থাকুন। অনেকে অপ্রাসাঙ্গিকভাবে ধর্ম টেনে আনলেও আপনি বিজ্ঞানভিত্তিক লেখক হিসেবে নিরপেক্ষ থাকুন, তাতে নানান মত পথের মানুষ আপনার এই মুল্যবান লেখাগুলো পড়ার সুযোগ পাবে।

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা জানবেন।

০২ রা মে, ২০১৫ সকাল ১০:০৪

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমি ধর্মনিয়ে মোটেই কোন কিছুই বলিটি। যাস্ট একটা কমেন্টস এর উত্তর দিয়েছি মাত্র। তারপরও চেস্টা করবো যাতে ধর্ম নিয়ে কোন কথা যাতে না আসে। ধন্যবাদ।

১৮| ০৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ভাল ছিল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.