নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলনদ

মাহমুদুল হাসান কায়রো

যাযাবর, অান্তর্জাতিক যাযাবর।

মাহমুদুল হাসান কায়রো › বিস্তারিত পোস্টঃ

পীর হাবিব ও অন্ধ বিশ্বাস।

১২ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬

সমস্ত ভিডিও, ছবি ও তথ্য নিজ চোখে দেখার পরও যারা পীর হাবিবকে নির্দোষ মনে করে, যারা মনে করে ফরহাদ মজহারকে ফাসিয়ে দেয়া হয়েছে তাঁরাই হলো তাদের প্রতি প্রকৃত বিশ্বাসী। বিশ্বাস বিষয়টাই এমন যা কখনো পরিবর্তন হয় না, বা যার উপর বিশ্বাস আনা হয় সে এমন ভাবে মগজ ধোলাই করে যে তার প্রতি অবিশ্বাস করার সুযোগ দেয়া হয় না। যারা অবিশ্বাস করে তাদের অবিশ্বাসী বলে গালি দেয়া হয়। পীর হাবিবের প্রতি অবিশ্বাস কারীরা যদি অবিশ্বাসী হয় তবে কি সেটা খারাপ???
অনেকে এটাকে অন্ধ বিশ্বাসী বলে টিটকারী করে থাকে। যারা এমন টিটকারি করে থাকে তারা সবাই ধ্বংস হবে, একমাত্র বিশ্বাস স্থাপন কারীরাই সফলকাম হবে। এখানে বিশ্বাসের ক্ষেত্রে পীর হাবিবের ঘটনা কেবল এক্টা উদাহরণ মাত্র। (যমুনা টিভির ভিডিও দেখার পরও আমি চাই সরকার নিরপেক্ষ ভাবে তার ঘটনার তদন্ত করুক, অপরাধী হলে অপরাধ অনুযায়ী সাস্তি দেয়া হোক আর অপরাধী না হলে তাকে দ্রুত মুক্তি দেয়া হোক)

আমাদের সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো, পীর হাবিবের ক্ষেত্রে ভিডিওগ্রাফির প্রমাণ আছে যা সহজে অস্বীকার করা যায় না। তাই, হাবীবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারীদের অনেকেই তার প্রতি এখন অবিশ্বাস করছেন, বা করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু, যদি তার কোন ভিডিও না পাওয়া যেতো তাহলে তার উপর বিশ্বাস স্থাপনকারীরা কিছুতেই তার ব্যাপারে নেগেটিভ কথা মেনে নিতো না। তারা বলতো, এটা হলুদ মিডিয়ার সৃষ্টি। ইসলামকে কলংকিত করার জন্যই একজন বুজুর্গ মানুষের উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে। এবং গতকাল রাতের পুর্ব পর্যন্ত এমনটাই চলে আসছিলো।

পীর হাবিবের ঘটনা এক্টা দৃষ্টান্ত মাত্র। এটা অন্ধ বিশ্বাসীদের জন্য এক শিক্ষা। কোন বিষয়ের, দলের কিংবা ব্যাক্তির উপর বিশ্বাস স্থাপন করার পুর্বে বিবেক, বু্দ্ধি, শিক্ষা, অভিজ্ঞতা সব একত্রিত করে ব্রেন দিয়ে বিচার করে তারপর বিশ্বাস করতে হয়। এবং উক্ত ব্যক্তি বা বিষয়ের প্রত্যেক কাজ কর্মের ব্যাপারে প্রশ্ন করে জেনে নিতে হয়। যখনই প্রশ্ন করা নিষেধ করা হবে, কোন উত্তর গোপন রাখা হবে তখনই মনে করতে হবে ঘাপলা আছে।

এবং আজ আপ্নি যতটুকু জানেন, বুঝেন, জীবন থেকে যতটুকু অভিজ্ঞতা পেয়েছেন কাল কিংবা পরশু কিংবা দশ বছর পর আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে, কিছু পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হবে। তখনও আপনার সকল বিশ্বাসকে নিজের শিক্ষা অভিজ্ঞতা ও বিবেকের মানদন্ডে যাচাই বাছাই করতে হবে, যতটুকু সঠিক মনে হবে গ্রহণ করতে হবে যতটুকু সঠিক মনে হবে না এটাকে কল্যাণকর মনে করে ফেলে দিতে হবে। এই যোজন বিয়োজন করতে যদি আপনার কষ্ট হয়, বা কোন কিছু আপ্নাকে বাঁধা দেয় সেটার নামই অন্ধ বিশ্বাস।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭

ফয়েজ উল্লাহ রবি (পারিজাত) বলেছেন: X(
কা কে বিশ্বাস করবো?
বিশ্বাস শব্দটা এখন অবিশ্বাসে ঢেকে গেছে।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আমিতো মিস করলাম, কিছুইতো জানি না, হেল্প মি.............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.