নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন ও বাস্তবতাকে পাশাপাশি নিয়ে চলা নিতান্তই সাধারন একজন মানুষ।

ফাহাদ জুয়েল

ফাহাদ জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক রিভিউ ।। পূর্ণতা - বিদ্যা সিনহা সাহা মীম

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৫


বইয়ের নামঃ পূর্ণতা
লেখকঃ বিদ্যা সিনহা সাহা মীম
প্রকাশনীঃ শব্দশিল্প
মুদ্রিত মূল্যঃ ১২০ টাকা মাত্র।

অপ্রাসঙ্গিক কিছু কথাঃ

আমি সবসময়ই সময়ের বিপরীত কিংবা সময়ের পেছনে চলা মানুষ।তাই সময়ের ট্রেন্ড "ক্রাশ" জিনিসটাও আমার কাছে অষ্টম আশ্চর্যের মত! অভিধান ঘেটে Crash/Crush শব্দের যে অর্থ উদ্ধার করেছি,তাতে কিছুতেই বোধগম্য হলো না,এত্ত এত্ত পুলাপাইন কেমনে ক্রাশ খায়!

শুধু টাইমলাইনে দেখতাম, দেশী বিদেশী তারকাদের ছবি জুড়ে দিয়ে "মাই ক্রাশ/ব্লা ব্লা ব্লা;সাথে লাভ ইমো! ধারনা করলাম,তারকাদের প্রতি ভালোলাগা কাজ করাটাই বোধহয় হালের ক্রাশ!

এদিক দিয়ে আমার ক্রাশ খাওয়া মানুষটি হল বিদ্যা সিনহা মীম(লাভ ইমো হবে!)টিভির পর্দায় কিংবা রাস্তার বিলবোর্ডে যতবারই দেখি,ততই ভাল্লাগে।মুগ্ধতার শেষ হয় না!সখি,ভালোবাসা কারে কয়..!

এই মানুষটি যে বইও লিখেছেন তা আগে জানতাম না,কয়েকদিন আগে বইপোকাদের আড্ডাখানা গ্রুপে এটা নিয়ে কেউ পোস্ট করেছিল।কিন্তু আমার নজরে আসেনি।তো কি হয়েছে? আমার এই গোপন ভালোলাগার বিষয়টা আরো একজন প্রিয় মানুষ জানে।সেই নজরে এনে দিল।মুগ্ধতা আরো বেড়ে গেল,যার উপর ক্রাশ খাইছি সে তাহলে লেখিকাও (খুশির ইমো হবে)!!

যাক, বইটি হাতে পেলাম একদিন পরেই(ধন্যবাদ রকমারি)।অল্প সময়ের মাঝে পড়াও শেষ করলাম,এবার এই বইয়ের সন্ধান দেওয়া সেই মানুষটি রিভিউ চাইল(দুনিয়ার কঠিন কাজ)।কি লিখব,বুঝতে পারছিলাম না,লেখাটা তো একটু বড় করতে হবে।এজন্যই অপ্রাসঙ্গিক এই অংশটুকু আপনাদের হজম করতে হল!

রিভিউঃ

গল্পটা তিথির। তিথি তখন অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে,হঠাৎ একদিন দশম শ্রেণীর এক কাছ থেকে প্রেমপত্র পায় সে।লজ্জা আর ভয়ে এক সপ্তাহ স্কুলে যায়নি তিথি,সাতদিন পর স্কুলে গিয়ে দেখে চিঠি দেয়ার দিন-ই ছিল সে ছেলেটির শেষ দিন।ছেলেটির সাথে আর কোনদিন দেখা হয়নি তার।

কয়েকমাস পর খুলনা থেকে রাজশাহীতে বদলি হন তার বাবা।সাথে তিথিদের সবাইকেই রাজশাহী চলে আসতে হয়।রাজশাহীতে নতুন পরিবেশে খাপ খেতে কষ্ট হয় তিথির।কিছুদিন পর তিথির মা জানতে পারে তার ছোটবেলার বান্ধবি রোকসানা এ এলাকাতেই থাকে।একদিন তিথিকে সঙ্গে করে তাদের বাড়িতে উপস্থিত হয় তার মা।দীর্ঘদিন পর দু বান্ধবির দেখা,অনেক কথা হল।জানতে পারল রোকসানার ছেলে রাতুল, এবার এসএসসি দিবে আর মেয়ে লিনা ক্লাস সিক্সে পড়ে।

একসময় রাতুলের সাথে দেখা হয় তিথির।অল্প অল্প কথা হতো দুজনের। এভাবেই একসময় ভালেলাগা তৈরি হয় দুজনের মাঝে,সময়ের পরিক্রমায় তা ভালোবাসায় রূপান্তরিত হয়।

এসএসসি পাশ করে রাতুল।ঢাকায় একটি ভালো কলেজে ভর্তি হয় রাতুল।কিশোর বয়সের প্রেমে নাকি ভালোবাসার চেয়ে মোহ থাকে বেশি।একসময় দূরত্ব বাড়তে থাকে দুজনের।রাতুল নতুন করে অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।তবুও তিথি আশায় থাকে,রাতুল হয়তো কোনদিন ভূল বুঝতে পারবে।একসময় রাতুল ইংল্যান্ডে চলে যায়,আর তিথি ভর্তি হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।তাকে আর আশায় বুক বাধতে হয়নি,ইংল্যান্ডে প্রবাসী এক বাঙ্গালি মেয়েকে বিয়ে করে সেখানেই স্থায়ী হয় সে।

ছেলেদের প্রতি একটা বাজে অভিজ্ঞতা তৈরি হয় তিথীর।পড়াশুনা চলাকালীন আর নতুন করে কোন সম্পর্কে জড়ায় না সে।একসময় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করে বড়লোক বাবার সন্তান কামরান কে।কিন্তু বিয়ের পরই বুঝতে পারে,কামরান নেশাখোর।তিথির সাথে বেশিরভাগ সময়ই খারাপ ব্যবহার করতো সে,এমনকি গায়েও হাত তুলতো।তিথি সিদ্ধান্ত নেয়,সন্তান নিলে হয়তো কামরানের পরিবর্তন ঘটবে।দু'বছরের মাথায় জন্ম নেয় পৃথা।কিন্তু তবুও কামরানের কোন পরিবর্তন দেখা যায় না,একটা সময় বাধ্য হয়েই ডিভোর্স নেয় তিথি।দ্বিতীয় বারের মতো পুরুষ জাতির উপর ঘৃনা জন্মে তার।

মেয়ে পৃথাকে নিয়ে একটা বাসা ভাড়া নেয় তিথি।একটা চাকরিও পেয়ে যায়।শুরু হয় নতুন জীবন যুদ্ধ। পৃথাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়,চাকরী নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টায় সে।মোটামুটি ভালোই যাচ্ছিল সময়।কিন্তু পরিবেশ আর আশপাশের মানুষ তাকে ভালো থাকতে দিল না।নানান কথা ছড়াতে থাকল তার নামে।ডিভোর্স নেয়ার চেয়ে বড় অপরাধ যেন ডিভোর্সের পর একা একা জীবন যাপন করা।

একসময় তিথির বাবা আরেকটা বিয়ের অনুরোধ করে তাকে।তিথি বুঝতে পারে, তার জন্যই তার বাবাকে ছোট হতে হচ্ছে।শেষ পর্যন্ত নিজের সুখের কথা বাদ দিয়ে সমাজকেই সন্তুষ্ট করে সে।নতুন করে আবার বিয়ের পিড়িতে বসে সে।

উপন্যাসের অনেক ভালো লাগা একটা কথা হল-
"আসলে আমাদের জীবনটা একটা বইয়ের মত।এক পৃষ্ঠা থেকে আরেক পৃষ্ঠায় না গেলে বুঝতে পারবো না আগের পৃষ্ঠাটা কেমন ছিল,এই পৃষ্ঠায় কি অপেক্ষা করছে।"

তিথির জীবনের নতুন এই অধ্যায়ে কি ঘটেছিল তাও জানবেন না,বইটি না পড়ে থাকলে।তাই তিথির নতুন জীবনের কথা জানতে পড়ে ফেলুন এ বইটি।

হ্যাপি রিডিং! :)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০১

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: মেয়ে দেখি খুব গুনবতী :)
রিভিউটা বেশ :)

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: :)

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


মডেলিং ছেড়ে এপাড়ায় এসে ভুল করছে মেয়েটা। বই লেখার শখ সৌখিন মাথায় না জানি কি ঢুকিয়ে দেয়। তখন মডেলিং টাও যাবে। কথায় আছে দু নৌকায় পা দিয়ে নদী পার হওয়া যায় না।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: বইটি ২০১৪ সালে লেখা।

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

হুম হুম হুম! বই!

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: হুম,বই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.