নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন ও বাস্তবতাকে পাশাপাশি নিয়ে চলা নিতান্তই সাধারন একজন মানুষ।

ফাহাদ জুয়েল

ফাহাদ জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বই রিভিউঃ নিক পিরোগের "থ্রি টোয়েন্টিওয়ান এএম, থ্রি থার্টিফোর এএম" (একত্রে)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫


বইঃ থ্রি টোয়েন্টিওয়ান এএম, থ্রি থার্টিফোর এএম (একত্রে)
লেখকঃ নিক পিরোগ
অনুবাদকঃ সালমান হক
প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী
মুদ্রিত মূল্যঃ ২৬০ টাকা মাত্র।

থ্রিঃ টোয়েন্টিওয়ান এএম

রেস্টুরেন্ট এর মেনুকার্ডে খাবারের ক্যাটাগরির মাঝে অ্যাপিটাইজার(Appetizer) নামে একটা ক্যাটাগরি আছে।এই Appetizer এর কাজ কি জানেন?ফুড এন্ড বেভারেজ এর ভাষায়-অ্যাপিটাইজার হল সে সমস্ত হালকা খাবার যা ক্ষুধার উদ্রেক করে Main Food গ্রহনে ব্যক্তিকে আগ্রহী করে তোলে।

বই রিভিউয়ে খাবারের প্রসঙ্গ আনলাম কেন?
কারন নিক পিরোগের লেখা হেনরি বিনস সিরিজের ৩য় এই বইটি আমার কাছে অ্যাপিটাইজারের মত মনে হয়েছে!

বইয়ের শুরুতেই প্রিয়তমা ইনগ্রিড আর প্রিয় বিড়াল ল্যাসিকে নিয়ে জীবনে প্রথমবারের মত সূর্য দেখতে আলেক্সান্দ্রিয়া থেকে ৩০০ মাইল দূরে,আলাস্কার ফেয়ারব্যাংকসে যায় আমাদের গল্পের নায়ক হেনরি বিনস।জীবনে সেখানে জীবনে প্রথমবারের মত সূর্য দেখে দিনে ২৩ ঘন্টা ঘুমানো হেনরি বিনস।অনুভব করে সুর্যরশ্মি!সেখানেই জানতে পারে তার প্রেমিকা ইনগ্রিড মা হতে চলেছে,আর সে বাবা!

কিন্তু,প্রতিদিন যে কিনা মাত্র ১ ঘন্টা জেগে থাকে সে কিভাবে বাচ্চার দেখাশুনা আর ভরনপোষন করবে?তাই এটা নিয়ে ইনগ্রিডের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাগ করে প্রিয় বিড়াল ল্যাসিকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে হেনরি।

হঠাৎ একসময় ভূমিকম্পে কেপে উঠলো আলাস্কা।ভূমিকম্পের কবলে পড়ে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের সাথে সে নিজেও আক্রান্ত হয়ে নৌকায় ভাসতে ভাসতে ঘুমিয়ে থাকার ২৩ ঘন্টায় ১০০ মাইলেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে সে।পৌছে যায় জনবসতি শূন্য কোন এক জায়গায়,শুরু হয় প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার সংগ্রাম।এই অংশটুকু পড়ার সময় মনে হচ্ছিল ডিসকভারিতে Man vs Wild দেখছি!পড়তে পড়তে একঘেয়েমি আর বিরক্তও লাগছিল।তবে পুরো বইয়ের চমকটা শেষের দিকে!

আর এটাই আপনাকে এ সিরিজের ৪র্থ বই 3 : 34 am পড়তে আপনার ক্ষুধা বাড়িয়ে দিবে বহুগুন!আর এজন্যই 3:21am অংশটুকুকে অ্যাপিটাইজারের সাথে তুলনা করেছিলাম!

থ্রি: থার্টিফোর এএম

সিরিজের চতুর্থ বই।ঘুম ভাঙার পর ল্যানসিংয়ের একটা হাসপাতালে নিজেকে আবিস্কার করে হেনরি বিনস।ঘুমিয়ে পড়ার আগে সর্বশেষ যে স্মৃতিটা তার মনে পড়ছে তা হল-একটা ফ্লাশড্রাইভের ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ আর গোলাপি রংয়ের তরল ভর্তি সিরিন্জ!

ঘটনাচক্রে হেনরির পুলিশ অফিসার প্রেমিকা ইনগ্রিডের হাতে আসে ৩০ বছরের পুরনো এক হত্যা মামলা।সে হত্যা রহস্য উদঘাটনে জড়িয়ে পড়ে হেনরি ও তার বাবা।তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য!

প্রতিটি পৃষ্ঠায় জুড়ে থাকা টুইস্ট আর টার্নের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে অনেকগুলো উত্তর-

ফ্লাশড্রাইভে কি এমন আছে,যা প্রেসিডেন্ট সুলিভান তাকে দেওয়ার কথা?
যদি হেনরিই সিআইএ'র স্লিপ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের প্রথম এক্সপেরিমেন্ট হয়,আর তার জন্য যদি দায়ী হয় তার নিজের মা! তাহলে তার মা কি পারবে হেনরিকে আবার স্বাভাবিক জীবন দান করতে?

সত্যি বলতে 3:34am-ই এখন পর্যন্ত আমার পড়া এই সিরিজের সেরা বই।মগজ খেলানো আর চমকে যাওয়ার মত উপাদানে ভরপুর এ গল্পটির শেষে আছে পরবর্তী বইয়ের ইঙ্গিত।

অর্থাৎ আপনি সিরিজটার সাথে জুড়ে থাকতে বাধ্য হবেন।অনুবাদক সালমান হকের সাবলীল অনুবাদে এ সিরিজের পরবর্তী বই "থ্রি: ফোরটি সিক্স" পাওয়ার আশা করছি খুব শীঘ্রি।

থ্রিলার প্রিয় পাঠকরা হেনরি বিনসের সাথে ঘুরে আসতে পারেন অ্যাডভেঞ্চারের অন্য এক জগতে।
হ্যাপি রিডিং!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.